বিমান দুর্ঘটনা
মাইলস্টোন ট্রাজেডি: ৩৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হারল শিক্ষার্থী তাসনিয়া
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থী তাসনিয়া (১৫) মারা গেছে। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
নিহত তাসনিয়ার বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানায়।
আরও পড়ুন: মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: ফরিদপুরের রাইসা মনির সমাধিতে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধা
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি বলেন, উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গত মাসের ২১ জুলাই জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয় তাসনিয়া। ৩৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সকালে আইসিইউতে মারা যায় সে।
তার শরীরের ৩৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানান তিনি।
১০৪ দিন আগে
বিমান দুর্ঘটনায় আহত ৩ জন এখনও আশঙ্কাজনক, একজন লাইফ সাপোর্টে: বার্ন ইনস্টিটিউট পরিচালক
রাজধানী ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাম্প্রতিক সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় আহত তিনজনের অবস্থা এখনও গুরুতর। তবে তাদের একজন লাইফ সাপোর্টে আছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সোমবার(২৮ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে ইনস্টিটিউটে মোট ৩৩ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে ২৭ জন শিশু।
রোগীদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তাদের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আরও নয়জন রোগী গুরুতর বিভাগে রয়েছেন। বাকিরা কম গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
ডা. নাসির উদ্দিন আরও বলেন, আজ প্রাথমিকভাবে তিনজন রোগীকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ড্রেসিং করার প্রয়োজনের কারণে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এই সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে আরও বেশ কয়েকজনকে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সিঙ্গাপুর, চীন এবং ভারত থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসারা দগ্ধদের চিকিৎসায় সহায়তা করতে এসেছিলেন। তারা তাদের সহযোগিতা দেওয়ারর পর পর্যায়ক্রমে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন।
পড়ুন: রুপগঞ্জে স্টিল মিলে ভাট্টি বিস্ফোরণে ৩ শ্রমিক দগ্ধ
এর আগে, শনিবার আয়ান খান (১২) ও রাফসিকে (১২) মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, অন্যদিকে কাজী আমজাদ সাঈদ (২০) এবং সবুজা বেগম (৪০) কে রবিবার ছুটি দেওয়া হয়।
দুঃখজনকভাবে, মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সাহিল ফারাবী আয়ান (১৪) রবিবার ভোর ১টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
১২৯ দিন আগে
উত্তরার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত শিশুদের পরিচয় শনাক্ত করল সিআইডি
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত পাঁচ শিশুর পরিচয় ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, গত ২২ জুলাই ঢাকা সিএমএইচে রক্ষিত অজ্ঞাত মৃতদেহ ও দেহাংশ থেকে তাদের ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা ১১টি নমুনা সংগ্রহ করেন। এসব নমুনা বিশ্লেষণ করে পাঁচজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে, এসব প্রোফাইল ৫টি ভিন্ন পরিবারের ১১ জন সদস্যের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মেলানো হয়। এতে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শনাক্ত হওয়া পাঁচ নারী হলেন— মো. ফারুক হোসেন ও সালমা আক্তার দম্পতির মেয়ে কিয়া ফেরদৌস নিধি (পিএম নম্বর: ৬২৫)।
মো. বাবুল ও মাজেদা দম্পতির মেয়ে লামিয়া আক্তার সোনিয়া (পিএম নম্বর: ৬২৬, ৬৩১, ৬৩২, ৬৩৩–এম৯, এম১০, এম১১)।
মো. আব্বাস উদ্দিন ও মোসা. মিনু আক্তার দম্পতির মেয়ে আফসানা আক্তার প্রিয়া (পিএম নম্বর: ৬২৭, ৬২৮)।
মো. শাহাবুল শেখ ও মিসেস মিম দম্পতির কন্যাসন্তান রাইসা মনি (পিএম নম্বর: ৬২৯)।
মো. আব্দুল কাদির ও উম্মে তামিমা আক্তার দম্পতির মেয়ে মারিয়াম উম্মে আফিয়া (পিএম নম্বর: ৬৩০)।
সিআইডি সূত্রে আরও জানা যায়, বিমান দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ডিএনএ প্রযুক্তির মাধ্যমে অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদের শনাক্তে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি। নিহতদের লাশ পুড়ে যাওয়ায় চেহারা দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে আত্মীয়দের দেওয়া ডিএনএ নমুনার ভিত্তিতে এই প্রোফাইলিং করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আরও কয়েকজনের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ বিশ্লেষণের কাজ চলছে। শনাক্তদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু হবে দ্রুত।
আরও পড়ুন: উত্তরায় যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
১৩৩ দিন আগে
বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে গুজব ছড়ানো গুরুতর অপরাধ: আইন উপদেষ্টা
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনার তথ্য প্রচারে সরকার পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখাসহ জনসাধারণের বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে—এমন গুজব প্রতিরোধের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সবকিছু অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। গণমাধ্যম স্বাধীন ও শক্তিশালী রয়েছে।’
ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সত্য না জেনে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে গুজব ছড়ানো একটি বড় অপরাধ।’
তিনি সরকারকে সহনশীল বর্ণনা করে দায়িত্বশীল, তথ্য-ভিত্তিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে ভুল তথ্য রোধের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, সরকারের তথ্য চ্যানেল সকলের জন্য উন্মুক্ত এবং ব্যবহারযোগ্য— যার মাধ্যমে জনগণ সঠিক তথ্য জানতে পারে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সম্পর্কে মন্তব্য করে আইন উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা পরিস্থিতি নিয়ে খুবই সহযোগিতা করেছেন।
তবে তিনি স্বীকার করেন কিছু ব্যক্তি রাগ বা হতাশা প্রকাশ করতে পারেন। তারা এটিকে বড় করে দেখেন না বলেও উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক: উপদেষ্টা আসিফ
সোমবার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মর্মান্তিক সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। সবশেষ আজ বৃহস্পতিবার ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, মাহতাব নামে নিহত কিশোরের ৮৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এছাড়াও, ৫৬ জন আহত ব্যক্তি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৪৪ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে, ২১ জন ঢাকা সিএমএইচে, একজন কুয়েত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সরকারি হাসপাতালে, একজন শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও একজন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে বুধবার সরকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিচয় প্রকাশ
১৩৩ দিন আগে
বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কম দেখানোর কোনো কারণ নেই: প্রেস সচিব
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের দুর্ঘটনা নিয়ে হতাহতের সংখ্যা ঘিরে ছড়ানো ভুয়া তথ্যকে উড়িয়ে দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, হতাহতের সংখ্যা কম দেখানোর সরকারের কোনো কারণ নেই।
বুধবার (২৩ জুলাই) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন হতাহতের সংখ্যা গোপন রাখা প্রায় অসম্ভব।
তিনি লিখেছেন, ‘২০০২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমি বহু বড় ধরনের দুর্যোগ কভার করেছি। অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন রাখা কার্যত অসম্ভব। প্রথমদিকে পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জন নিখোঁজ হিসেবে জানায়, পরে হাসপাতাল বা কর্তৃপক্ষ থেকে তথ্য এলে তারা স্বজনদের অবস্থান জানতে পারে। এই ঘটনার ক্ষেত্রেও মাইলস্টোন কলেজ প্রতিদিনের হাজিরা খাতা যাচাই করে অনুপস্থিতদের শনাক্ত করতে পারবে।’
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের অবস্থা নিয়ে নিয়মিত তথ্য জানাচ্ছে, সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকেও সহযোগিতা করা হচ্ছে। ‘আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, হতাহতের সংখ্যা কম দেখানোর সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা নেই: প্রেস সচিব
তিনি লেখেন, ‘আমরা মাইলস্টোন কলেজে গিয়েছিলাম নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে, যারা এখনো এই শোক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। চারদিকে ভারী শোকাবহ পরিবেশ ছিল। অনেকে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনে ক্ষোভ জানিয়েছে।’
ঘটনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রেস সচিব জানান, দুই উপদেষ্টা স্কুল কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাসে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়মিত আহত ও মৃতের তথ্য জানানো হবে, যা স্কুলের উপস্থিতির তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে প্রকাশ করা হবে।
প্রেস সচিব জানান, উপদেষ্টারা সুপারিশ করেছেন যাতে বর্তমান শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন ছাত্ররা কন্ট্রোল রুমের কাজে যুক্ত থাকে। ‘আমরা আশা করছি, এটি আজ থেকেই সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে।’
‘আমরা গতকাল (মঙ্গলবার) নয় ঘণ্টা স্কুলে ছিলাম। চাইলে আগে বেরিয়ে আসতে পারতাম, কিন্তু উপদেষ্টারা শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে ছিলেন। প্রয়োজন হলে আরও দীর্ঘ সময় থাকতেন, আমরা তখনই বেরিয়েছি যখন সেটি যথাযথ মনে হয়েছে,’ বলেন প্রেস সচিব।
শফিকুল আলম বলেন, যেসব শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। এই বিমান দুর্ঘটনাকে তিনি জাতীয় শোক হিসেবে অভিহিত করে নিহতদের শহীদ হিসেবে বর্ণনা করেন।
‘আসুন, আমরা একসঙ্গে কাজ করি যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আকাশপথে শূন্য দুর্ঘটনার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে,’ যোগ করেন তিনি।
১৩৫ দিন আগে
বিমান দুর্ঘটনাকে ঘিরে ‘আ. লীগের ষড়যন্ত্রকারীদের’ প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি জামায়াতের
দেশকে অস্থিতিশীল করতে আওয়ামী লীগের ভিতরের কিছু ষড়যন্ত্রকারী সোমবারের যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনাকে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন (এনসিসি) ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার আলোচনার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডা. তাহের সতর্ক করে বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনা দিয়ে এ ধরণের যেকোনো প্রচেষ্টার প্রতিহত করা হবে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যা করেছে, সেসব অপকর্মের কথা উল্লেখ না করে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, পরাজিত ও বিতাড়িত অশুভ শক্তির বাংলাদেশে রাজনীতিতে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই।’
পড়ুন: শাসনের নামে অনেক শোষণ দেখেছি, আমরা সৎ শাসক চাই: জামায়াত আমির
তিনি বলেন, সোমবার একটি যুদ্ধবিমানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণে জাতি শোকাহত, তবে কিছু দুষ্ট মহল এই শোকের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
ডা. তাহের বলেন, মঙ্গলবার সকালে মাইলস্টোন স্কুল প্রাঙ্গণে এবং আবার সচিবালয়ে অস্থিরতা দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘পুরো জাতি তাদের (শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর) পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পরিস্থিতি আরও খারাপ করার চেষ্টা করছে, যদিও আমরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নই।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি তারা (আওয়ামী লীগ) অরাজকতা সৃষ্টি করতে শুরু করে—তাহলে আমরা, অন্য সকলকে সঙ্গে নিয়ে অতীতের মতো জুলাই-আগস্টের (গণঅভ্যুত্থান) চেতনায় তাদের প্রতিহত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
জামায়াত নেতা বলেন, তারা জেট দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জামায়াত আহতদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ডা. তাহের বলেন, জামায়াতের আমিরসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা ইতোমধ্যে আহতদের দেখতে গেছেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
১৩৫ দিন আগে
সচিবালয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৭০ শিক্ষার্থী
সচিবালয় এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে ৭০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকেই বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ জরুরি বিভাগের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, দুপুরের পর থেকে শিক্ষার্থীরা আহত অবস্থায় মেডিকেলে আসতে শুরু করেন। এখন পর্যন্ত ৭০ জনের মতো শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে কারও অবস্থা গুরুতর না।
মঙ্গলবার(২২ জুলাই) উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের বিচারের দাবি এবং সারাদিন কালক্ষেপণ করে রাত তিনটায় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে জড়ো হয় হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের এক নাম্বার গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালালে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
আহতদের একজন লালবাগ মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, ‘পুলিশ আমাকে বন্ধুকের বাট দিয়ে পিটিয়েছে। হেঁটে হাসপাতালে যাওয়ার অবস্থা নেই আমার।’
আরও পড়ুন: সচিবালয় ছেড়ে শিক্ষার্থীরা স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায়, পুলিশ জিরো পয়েন্টে
ঢাকা কলেজের আরেক আহত শিক্ষার্থী সোহাগ বলেন, ‘আমার পায়ের কাছে টিয়ার শেল পড়েছে। চোখ-মুখ জ্বলছে। পায়ে ভীষণ ব্যথা পেয়েছি।’
সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করায় দুপুরের পর থেকে সচিবালয়ের দুপাশে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে সচিবালয়ের মূল সড়ক থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শুরুতে সচিবালয় সড়ক থেকে সরে শিক্ষার্থীরা গুলিস্তান জাতীয় স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে অবস্থান করলেও পুলিশ কয়েক দফা ধাওয়া দিয়ে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। বর্তমানে এ এলাকার সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
১৩৫ দিন আগে
সচিবালয় ছেড়ে শিক্ষার্থীরা স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায়, পুলিশ জিরো পয়েন্টে
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় তারা গুলিস্তানের স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় অবস্থান করছেন।
বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য প্রকাশের দাবিতে এবং মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা দেরিতে স্থগিত ঘোষণা করার কারণে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জুবায়েরের পদত্যাগ দাবিতে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। যদিও এরইমধ্যে শিক্ষা সচিবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘মাইলস্টোন কলেজে এত বড় বিপর্যয়ের পরও আজকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়নি। রাত তিনটার দিকে কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে? সকালে ঘুম থেকে উঠে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার পর শুনেছি পরীক্ষা স্থগিত। এমন অবিবেচক শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে আর দেখতে চাই না। তাই তাদের পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে এসেছি।’
বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সচিবালয়ের সামনে এসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। প্রথমে তারা সচিবালয়ের তিন নম্বর ফটকের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। পরে বিকেল পৌনে চারটার দিকে তারা ফটক খুলে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেন।
এরপর সচিবালয়ের ভেতর পার্কিং অবস্থায় থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গাড়ি ভাঙচুরের জেরে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন: রণক্ষেত্র সচিবালয়, গেট ভেঙে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা=
১৩৫ দিন আগে
উত্তরা বিমান দুর্ঘটনার আহতদের চিকিৎসায় সহায়তার প্রস্তাব ভারতের
বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য ভারতে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন হয়, তা জানাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এক চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) হাইকমিশন জানায়, তারা প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে দেওয়া শোকবার্তার পর হাইকমিশন থেকে এই বার্তাটি এসেছে। মাইলস্টোন স্কুলে এন্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: আরও ৮ জনের মৃত্যু, চিকিৎসাধীন ৭৮
মোদি সোমবার বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় একটি মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানিতে—যাদের বেশিরভাগই কোমলমতি শিক্ষার্থী—গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত হয়েছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমাদের হৃদয় থেকে সমবেদনা।’
মোদি বলেন, তারা আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন।
১৩৫ দিন আগে
মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষার্থীদের ৬ দাবিই যৌক্তিক: অন্তর্বর্তী সরকার
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবির প্রত্যেকটিই যৌক্তিক বলে মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আলোচনা শেষে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাইলস্টোন স্কুলে একটি তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে নিহত ও আহতের তথ্য থাকছে। কেউ নিখোঁজ থাকলে সে তথ্য থাকছে। এখান থেকে তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। নিহত ও আহত পরিবারের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং ট্রমা ম্যানেজমেন্ট সাপোর্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মাইলস্টোনে হতাহতের তথ্য গোপনের দাবি সঠিক নয়: প্রেস উইং
জনগণের ভিড় নিয়ন্ত্রণের সময় সেনাবাহিনীর কর্তব্য পালনকালে কয়েকজন সেনা সদস্যের শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেনা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।
জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান না চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিমান বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও আইন উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের জানান। শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার শিক্ষার্থীদের বলেন, আগামী ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ নিয়মিত পরীক্ষা শেষে ঘোষণা করা হবে।
১৩৫ দিন আগে