ভলোদিমির জেলেনস্কি
কেন জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ পুতিন?
সম্প্রতি আলাস্কা সম্মেলনের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ ইউরোপের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার পরবর্তী ধাপে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে সবাই একমত হন।
তবে এ বিষয়ে ত্রেমলিনের জবাবের প্রতীক্ষায় ছিল সবাই। এরপর সোমবারের (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসের বৈঠকের পর নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে মস্কো এবং তা ইউরোপ-আমেরিকার নেতাদের সঙ্গে মিলছে না।
ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্রেমলিনের সহযোগী ইউরি উশাকভ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি পর্যায় উন্নতকরণের সুযোগের ধারণাটি আলোচনায় এসেছে। তবে কোন নেতা বা প্রতিনিধিকে সেই পর্যায়ে উন্নীত করা হতে পারে— এমন কোনো নাম তিনি উল্লেখ করেননি এবং সুস্পষ্ট করেও কিছু বলেননি।
এরপর মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ আরেকটু সমঝোতার সুরে বলেন, দ্বিপক্ষীয় কিংবা ত্রিপক্ষীয় কোনো কাজই আমরা প্রত্যাখ্যান করছি না। তবে যেকোনো আলোচনায় শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
পুতিনের আপত্তির কারণ কী হতে পারে?
এসব বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে, জেলেনস্কি-পুতিন বৈঠকের বিষয়ে সম্মত হওয়ার মতো অবস্থানে পৌঁছায়নি ক্রেমলিন।
অবশ্য এতে অবাক হওয়ারও কিছু নেই। কারণ এই যুদ্ধ একতরফাভাবে পুতিনই শুরু করেছিলেন। পূর্ব ইউক্রেনের স্বঘোষিত ‘পিপলস রিপাবলিক’ দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দেশটিতে হামলা শুরু করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: শান্তিচুক্তির বিনিময়ে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেতে পারে ইউক্রেন
পুতিন এ-ও মনে করেন, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও আত্মিক জায়গা থেকে ইউক্রেন রাশিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং ইউক্রেনকে আলাদা করা ছিল ‘ঐতিহাসিক ভুল’।
চ্যাথাম হাউসের রাশিয়া ও ইউরেশিয়া কর্মসূচির পরিচালক ওরিসিয়া লুতসেভিচ বলেন, যদি এই বৈঠক হয়, তাহলে পুতিনকে এই ব্যর্থতা মেনে নিতে হবে যে তিনি এমন এক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন, যাকে তিনি হাসির পাত্র বলে পরিহাস করেন এবং যে দেশের অস্তিত্বই তিনি স্বীকার করেন না।
তাছাড়া রাশিয়ার মানুষদেরও বোঝানো কঠিন হবে বলে মনে করেন তিনি। ওরিসিয়া বলেন, দিনের পর দিন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব গণমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে রুশ নাগরিকদের মগজ ধোলাই করা হয়েছে। তাদের বোঝানো হয়েছে যে, জেলেনস্কি একজন নাৎসি, ইউক্রেন হলো পশ্চিমাদের হাতের পুতুল রাষ্ট্র… জেলেনস্কির সরকার অবৈধ। তাহলে হঠাৎ তিনি কেন তার সঙ্গে কথা বলতে যাবেন? ক্রেমলিন এই প্রশ্নের কী উত্তর দেবে— বৈঠক হলে সেটিই হয়ে উঠবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
মস্কো যে শুধু জেলেনস্কি সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে চলেছে, তা-ই নয়। তারা দেশটির নির্বাচনের স্থগিতাবস্থা নিয়েও বারবার প্রশ্ন তুলেছে। যদিও সামরিক আইনের আওতায়ই ইউক্রেনে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
সর্বশেষ শান্তি আলোচনার প্রস্তাবে যেকোনো চূড়ান্ত শান্তিচুক্তির আগে ইউক্রেনে নির্বাচনের দাবি করেছে মস্কো। এমনকি তারা জেলেনস্কির নামও মুখে নেন না, বলে কিয়েভ প্রশাসন।
একটু পেছনে ঘুরে তাকালে দেখা যাবে, এ বছরের মে মাসের মাঝামাঝি তুরস্কে ইউক্রেনের সঙ্গে প্রথম সরাসরি আলোচনায় জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে এক ইতিহাসের বই লেখকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিলেন পুতিন।
কার্নেগি রাশিয়া ইউরেশিয়া সেন্টারের সিনিয়র ফেলো এবং রাশিয়া বিষয়ক খবর ও বিশ্লেষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আর পলিটিকের প্রতিষ্ঠাতা তাতিয়ানা স্তানোভায়ার ভাষ্যে, আসলে ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না পুতিন। তার কাছে এই যুদ্ধ মূলত ইউক্রেনের সঙ্গে নয়, বরং পশ্চিমাদের মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে। তবে পুতিন যদি মনে করেন যে বৈঠক সফল হতে পারে, তাহলে আবার এতে রাজি হতেও পারেন।
তাতিয়ানা আরও মনে করেন, বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে সেখানে অবশ্যই মূল বিষয়গুলো আলোচনার জন্য থাকতে হবে। এর মধ্যে, ইউক্রেনের ভূখণ্ড ছাড়ার মতো বিষয় রয়েছে। কিন্তু জেলেনস্কি শুরু থেকেই মস্কোর এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। আর এক্ষেত্রে ট্রাম্প পরিবর্তন আনতে পারেন বলে ধারণা পুতিনের।
আরও পড়ুন: ‘দনবাস’ কেন রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার কেন্দ্রে
তিনি বলেন, রাশিয়া যা চাইছে তা অর্জনে ট্রাম্প সহায়ক হতে পারে বলে মনে করে মস্কো। এ কারণে রুশ দাবিগুলো নিয়ে কিয়েভকে আরও নমনীয় ও খোলামেলা হতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তাতিয়ানা।
তার ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে রাখতে এবার হয়তো উশাকভের প্রস্তাব অনুযায়ী ইস্তানবুলে বৈঠকে বসতে রাজি হতে পারেন পুতিন। সেখানে প্রতিনিধি দলে উশাকভ ও ল্যাভরভকেও পাঠাতে পারেন প্রেসিডেন্ট। তবে জেলেনস্কির সঙ্গে এমন কোনো বৈঠকে বসবে না ত্রেমলিন, যেখানে তাদের সব দাবি প্রত্যাখ্যান করা হবে।
এদিকে, সোমবার রাতে ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানান, তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে এক বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
ওই পোস্ট দিয়ে তিনি ঘুমাতে গেলেন, আর উঠে বুঝতে পারলেন যে বিষয়টি এখনো চূড়ান্তই হয়নি। পরে সুর বদলে ফক্স নিউজে বলেন, আমি একভাবে পুতিন আর জেলেনস্কির মধ্যে সেট-আপটা করেছিলাম। তবে জানেনই তো, সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তো তাদের! আমরা তো ৭ হাজার মাইল দূরে।’
কিন্তু কোনো ছাড় না দিয়েই পুতিন যখন আলাস্কায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সম্মানিত হয়েছেন, তখন বর্তমান পরিস্থিতিতে তার এই বৈঠকে রাজি হওয়ার কোনো কারণ নেই। এমনকি আগস্টের শুরুর দিকে ইউক্রেনে ড্রোন হামলার মাত্রা সামান্য কমালেও সোমবার রাত থেকে আবার তা বাড়িয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনে সোমবার রাতভর মোট ২৭০টি ড্রোন ও ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে মস্কো।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জেলেনস্কির ওপর ট্রাম্পের চাপে যদি কাঙ্ক্ষিত ফল না পায় রাশিয়া, তাহলে তাদের সামরিক শক্তি তো আছেই।
তবে যে প্রশ্নের উত্তর আসলে কেউই জানে না, সেটি হলো— এই আলোচনা ব্যর্থ হলে এর দায় কার ঘাড়ে চাপাবেন ট্রাম্প?
১০৬ দিন আগে
জেলেনস্কি চাইলে মুহূর্তেই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন: ট্রাম্প
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চাইলে মুহূর্তের মধ্যেই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন। তবে এজন্য ক্রিমিয়া ফেরত পাওয়ার আশা ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের স্বপ্ন ত্যাগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রবিবার (১৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চাইলে মুহূর্তের মধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে পারেন, অথবা লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “ওবামার আমলে হারানো ক্রিমিয়া আর ফেরত পাওয়া যাবে না, আর ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়াও সম্ভব নয়। কিছু জিনিস কখনোই বদলায় না!”
সোমবার (১৮ আগস্ট) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠক করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। তার আগেই জেলেনস্কির ওপর চাপ সৃষ্টি করলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন দোনেৎস্ক ছেড়ে দিলে শান্তিচুক্তি সম্ভব: ট্রাম্প
ট্রাম্প জানান, মস্কোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে দেওয়া হবে না এবং রাশিয়া-অধিকৃত ক্রিমিয়া পুনর্দখলের সুযোগও দেওয়া হবে না।
এই পোস্ট দেওয়ার এক মিনিট পরই ট্রাম্প আবার লেখেন, একসঙ্গে এতজন ইউরোপীয় নেতাকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানো তার জন্য ‘অনেক সম্মানের’।
এদিকে, দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ট্রাম্পের এ পোস্ট ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। গত ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাকবিতণ্ডার মতো পরিস্থিতি ফের তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
তবে জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্মিলিত শক্তি রাশিয়াকে শান্তির পথে আনতে বাধ্য করবে। বৈঠকে যোগ দিতে তিনি ইতোমধ্যে ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আলাস্কায় বৈঠক করেন ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে পুতিন দনবাসের পুরো দোনেৎস্ক অঞ্চল দাবি করেছেন বলে দ্য গার্ডিয়ানের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এরপর ট্রাম্প বলেন, “জেলেনস্কি যদি দোনেৎস্ক অঞ্চলের পুরোটা ছেড়ে দেন, তাহলে একটি শান্তিচুক্তি সম্ভব হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি একটি চুক্তি করা উচিত। কারণ, রাশিয়া একটি বড় শক্তি, ইউক্রেন তা নয়।”
অনেক গণমাধ্যম আলাস্কা সম্মেলনকে পুতিনের বিজয় এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য অপমান হিসেবে উপস্থাপন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। তবে তিনি দাবি করেন, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ‘বড় অগ্রগতি’ অর্জন করেছেন, যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
দ্য গার্ডিয়ান আরও জানায়, সোমবারের বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করবেন এবং ভূখণ্ড বিনিময় পরিকল্পনার বিরোধিতা করবেন। একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য যে কোনো সমঝোতায় ওয়াশিংটন কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে তা জানতে চাইবেন তারা।
রাশিয়াও কিয়েভের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে বলে জানিয়েছেন ভিয়েনাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থায় নিযুক্ত রুশ প্রতিনিধি মিখাইল উলিয়ানভ। তিনি বলেন, কিয়েভের পাশাপাশি মস্কোরও নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার আছে।
আরও পড়ুন: ‘শূন্য হাতে’ পুতিনকে নিয়ে আলাস্কা ছাড়লেন ট্রাম্প
ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সিএনএনকে বলেন, ইউক্রেনকে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ দিতে রাজি হয়েছেন পুতিন।
ন্যাটোতে সরাসরি যোগ দিতে না পারলেও ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো অনুচ্ছেদ–৫–এর মতো ভাষা ব্যবহার করতে পারবে বলে জানান তিনি।
এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জোটের কোনো সদস্য দেশ আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যরা তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে।
১০৯ দিন আগে
পূর্ব ইউক্রেনের সর্বশেষ মুক্ত শহরে রুশ হামলা জোরদার
তুমুল লড়াই চলা পূর্ব ইউক্রেন সম্পূর্ণ দখলের লক্ষ্যে অগ্রগতি নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। সিভিয়ারোডোনেটস্ক এবং কাছাকাছি লাইসিচানস্ক শহরগুলো দখল করার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। যেটি লুহানস্কে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বশেষ প্রধান এলাকা।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশকে নিষেধাজ্ঞার দেয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাকে সমর্থন করে অস্ত্র সরবরাহ করা ইউরোপীয় দেশগুলোকে সর্তক করেছেন।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এই সপ্তাহে তারা ইউক্রেণের ছোট শহর লাইমান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে ৩৭ মৃত্যু
তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়েছেন। শুক্রবার, ডোনেটস্কের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো বলেছেন, রাশিয়ান সৈন্যরা শহরটির বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং এই অঞ্চলের আরেকটি শহর বাখমুতের দিকে তাদের আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করছে।
তবে দেশটির উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হানা মালিয়ার মস্কোর দাবির বিরোধিতা করে বলেছেন, লাইমানে লড়াই এখনও চলছে।
শনিবারের এক ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশটির পূর্বের পরিস্থিতিকে ‘খুব জটিল’ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘রুশ সেনাবাহিনী কিছু ফলাফল চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় পদদলিত হয়ে শিশুসহ নিহত ৩১
তবে ডোনেস্ক ও লুহানস্কে রাশিয়ার সাম্প্রতিক অগ্রগতি পুতিনকে আরও উৎসাহিত করতে পারে। তারা ইউক্রেণের ছোট ছোট শহরগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের সঙ্গে শনিবার ৮০ মিনিটের একটি ফোন কল করেছেন যেখানে তিনি ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রের ক্রমাগত সরবারহের বিষয়ে সতর্ক করেছেন এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ সংকটের জন্য দায়ী করেছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ান সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে তারা পুতিনকে জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবি, নিখোঁজ ২৫
১২৮৫ দিন আগে
ইউক্রেন সফরকালে নাগরিকদের ওপর হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের নিন্দা
ইউক্রেনে বৃহস্পতিবার সব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে দেশটির রাজধানী কিয়েভে হামলায় দুটি ভবনে আঘাত হানলে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত একজন পা হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি পরিষেবা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করার মাত্র এক ঘণ্টা পরে বোমা হামলা হয়। গুতেরেস কিয়েভ ও এর আশ-পাশে কিছু ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা করেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে পৌঁছেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘের প্রধান বলেন, ‘ইউক্রেন অসহ্য দুঃখ ও বেদনার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।’
এদিকে ইউক্রেনজুড়ে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিমে পোলোনে, বেলারুশের সীমান্তের কাছে চেরনিহিভ এবং রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বড় রেলওয়ে হাব ফাস্টিভে। দক্ষিণ ইউক্রেনের ওডেসার মেয়র বলেছেন, বিমান প্রতিরক্ষার মাধ্যমে রকেট প্রতিহত করা হয়েছে।
দনবাস ও খারখিভেও রুশ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কিয়েভ যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী
১৩১৫ দিন আগে
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ একটি 'গণহত্যা': বাইডেন
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ ‘গণহত্যার’ সমান বলে মন্তব্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘এমনকি একজন ইউক্রেনীয় হওয়ার ধারণাটি মুছে ফেলার’ চেষ্টা করার অভিযোগ করেছেন।
ওয়াশিংটনে ফেরার জন্য এয়ার ফোর্স ওয়ানে উঠার কিছুক্ষণ আগে আইওয়াতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি এটাকে গণহত্যা বলেছি।’
বাইডেন বলেন, ‘এটি আরও পরিষ্কার ও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে পুতিন কেবল ইউক্রেনীয় হওয়ার ধারণাটি মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন।’
মেনলো, আইওয়াতে একটি পূর্ববর্তী ইভেন্টে যুদ্ধের ফলে ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তিনি ভেবেছিলেন পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছেন, তবে কোনও বিস্তারিত বিবরণ দেননি।
বাইডেনের মন্তব্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রশংসা অর্জন করেছে, যিনি পশ্চিমা নেতাদের তার দেশে রাশিয়ার হামলা বর্ণনা করতে এই শব্দটি ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাইডেন বলেন, রাশিয়ার আচরণ গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেছে কি না তা সিদ্ধান্ত নেয়ার আইনজীবীদের উপর নির্ভর করে, যেমনটি ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। তবে তিনি বলেছেন ‘এটি আমার কাছে নিশ্চিত মনে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ানরা যে ভয়ঙ্কর কাজগুলো করেছে তার আরও প্রমাণ আক্ষরিক অর্থে বেরিয়ে আসছে এবং আমরা কেবল ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে আরও বেশি কিছু শিখতে যাচ্ছি এবং আইনজীবীদের আন্তর্জাতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে দিব যে এটি যোগ্য কি না।
গত সপ্তাহে বাইডেন বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেননি যে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড গণহত্যার সমান, কেবলমাত্র তারা ‘যুদ্ধাপরাধ’ করেছে।
পড়ুন: মারিউপোলে ১০ হাজারের বেশি বেসামরিক লোক নিহত: মেয়র
নিউইয়র্কে রেলস্টেশনে ৫ জন গুলিবিদ্ধ
১৩৩২ দিন আগে
ইউক্রেনের ২ শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশটির দুজন জ্যৈষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়ে বরখাস্ত করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে দেয়া এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘আজকে অ্যান্টি-হিরোদের বিষয়ে আরেকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব বিশ্বাসঘাতের মোকাবিলা করার সময় আমার নেই। তবে ধীরে ধীরে তাদের সবাইকে শাস্তি দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: মারিউপোল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে বাসের বহর
তিনি দুই শীর্ষ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে বলেন, যারা ইউক্রেনীয় জনগণের প্রতি আনুগত্যের সামরিক শপথ ভঙ্গ করবে... তারা অবশ্যই উচ্চ সামরিক পদ থেকে বঞ্চিত হবে।
১৩৪৩ দিন আগে
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৫ উদ্ধারকর্মী আটকের অভিযোগ ইউক্রেনের
রাশিয়ার বিরুদ্ধে মানবিক কাজে নিয়োজিত ১৫ জন উদ্ধারকর্মী ও চালককে আটক করার অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনীয় নেতারা।
তারা রুশ হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মারিউপোলে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য জিনিস সরবরাহ দিতে মানবিক কজে নিয়োজিত ছিলেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
মারিউপোল শহরটি বিমান, স্থল পরেও নৌ-আক্রমণের শিকার হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এক লাখের মতো বেসামরিক লোক মারিউপোলে রয়ে গেছে। এটি যুদ্ধের সবচেয়ে খারাপ কিছু ধ্বংসযজ্ঞের একটি।
আরও পড়ুন: ভারতে গোডাউনে আগুন: ১১ জনের মৃত্যু
জেলেনস্কি তার জাতির উদ্দেশ্যে রাতের ভিডিও ভাষণে মঙ্গলবার রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবিক কাজে সহায়তাকারীদের অবরুদ্ধ করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা মারিউপোলের বাসিন্দাদের জন্য স্থিতিশীল মানবিক করিডোর সংগঠিত করার চেষ্টা করছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের প্রায় সমস্ত প্রচেষ্টাই রুশ দখলদাররা ব্যর্থ করে দিচ্ছে।
পোল্যান্ডে পালিয়ে আসা ইউক্রেনের ৩৯ বছর বয়সী নাগরিক ভিক্টোরিয়া টোটসেন বলেন, ‘তারা গত ২০ দিন ধরে আমাদের বোমা মেরেছে। গত পাঁচদিনে, প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে বিমানগুলো আমাদের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল এবং আবাসিক ভবন, কিন্ডারগার্টেন, আর্ট স্কুল, সর্বত্র বোমা ফেলছিল।’
আরও পড়ুন: চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত ইউক্রেন: জেলেনস্কি
মারিউপোলবাসীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান রাশিয়ার
১৩৫৩ দিন আগে
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ভিডিও লিঙ্কে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষ
সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান প্রতিনিধিরা বুধবারও ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আলোচনায় বসেছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলিয়াক বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি, রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহার এবং ইউক্রেনের জন্য বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আইনি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দাবি করেছে।
তিনি টুইটারে বলেছেন, জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ‘সরাসরি সংলাপের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব’।
জেলেনস্কির অফিসের একজন কর্মকর্তা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, আলোচনার মূল বিষয় হল যুদ্ধের পর রাশিয়ান সেনারা পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে থাকবে কি না এবং সীমান্ত কোথায় থাকবে।
যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ান-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিল। এই অঞ্চলগুলোর সীমানা ইউক্রেনের দখলে থাকা অঞ্চলগুলোতেও প্রসারিত, যার মধ্যে বন্দর নগরী মারিউপোলও রয়েছে, যেটি এখন রুশ বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
পড়ুন: কিয়েভ-মস্কো আলোচনা বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে: জেলেনস্কি
আলোচনার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, আলোচনায় ইউক্রেন এক বা একাধিক পশ্চিমা পারমাণবিক শক্তির রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্তি এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তা গ্যারান্টিসহ একটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নথি স্বাক্ষরের উপর জোর দিয়েছে। কর্মকর্তা বলেন, এর বিনিময়ে ইউক্রেন একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত ছিল।
তবে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে সদস্য পদ দেয়া হবে না তার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
মঙ্গলবারের আলোচনার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, নিরাপত্তার নিশ্চয়তাসহ ইউক্রেনের জন্য একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষ ‘গুরুত্ব’ দিয়ে আলোচনা করছে। এর আগে জেলেনস্কি বলেছেন, শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার দাবিগুলো ‘আরও বাস্তবসম্মত’ হয়ে উঠছে।
পড়ুন: রুশ হামলায় কিয়েভে আগুন, পরিদর্শনে ইইউ এর ৩ নেতা
১৩৫৯ দিন আগে
আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ জোরদার করেছে রাশিয়া, অভিযোগ ইউক্রেনের
রুশ সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের উত্তর ও দক্ষিণের শহরগুলোর আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ জোরদার করেছে বলে একজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ বলেছেন, রবিবার গভীর রাতে কিয়েভের উপকণ্ঠ উত্তরে চেরনিহিভ, দক্ষিণে মাইকোলাইভ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ব্যাপক গোলাবর্ষণ হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভারি কামান খারকিভের আবাসিক এলাকায় আঘাত করেছে এবং গোলাবর্ষণে একটি টেলিভিশন টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের জনগণকে লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
পড়ুন: দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ভেস্তে গেছে: ইউক্রেন
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আক্রমণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে বলেছেন, মস্কোর আক্রমণ বন্ধ করা যেতে পারে ‘কেবল কিয়েভ যদি শত্রুতা বন্ধ করে।
সোমবার ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান ১২তম দিনে পৌঁছেছে। যুদ্ধের কারণে ১৫ লাখ লোক দেশ ছেড়ে প্রতিবেশি দেশে পালিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান বলেছেন ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সংকট দেখা দিয়েছে।’
সোমবার রাশিয়ান ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে তৃতীয় দফা আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে চীন: ইউক্রেন যুদ্ধের আগুনে ঘি দিয়েন না
১৩৬৯ দিন আগে
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু
ইউক্রেনে রুশ সেনা ঢুকার পঞ্চম দিনে দু’দেশের প্রতিনিধি দল যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, দেশটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার চায়।
এদিকে রুশ আলোচক ভ্লাদিমির মেডিনস্কি বলেছেন, মস্কোও দু’পক্ষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি চুক্তি করতে চায়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ১৬ শিশু নিহত ও ৪৫ জন আহত: প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
এ আলোচনা শুরু হওয়ার আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রুশ সৈন্যদের অস্ত্র জমা দেয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া তিনি অবিলম্বে ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদ দেয়ার জন্য জোটটির প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান হামলায় বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো বিমান পুড়ে ছাই
এর আগে বিবিসি ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানায়, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য দেশটির প্রতিনিধি দল ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে পৌঁছেছে।
তাদের প্রধান আলোচ্য বিষয় থাকবে- যুদ্ধবিরতি ও ইউক্রেন ভূখণ্ড থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার।
১৩৭৫ দিন আগে