উৎসব শুরু
দিল্লিতে ৪র্থ বাংলা-ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু
দিল্লির সিরি ফোর্ট মিলনায়তনে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে চতুর্থ বাংলা-ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।
ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসাবে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: প্রীতিলতাকে ধারণ করা চ্যালেঞ্জের ছিল: তিশা
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা আশীষ রঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় ও আলোচনায় শাবান মাহমুদ বক্তব্য দেন এবং বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়ায় এবং একে অপরের সঙ্গে আরও ভালো বোঝাপড়ার সূচনা করে।
২০১৭ সালে শুরু হওয়া চলচ্চিত্র উৎসবটি কয়েক বছর ধরে মহামারি দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তিন দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের জনপ্রিয় সিনেমা ‘হাওয়া’ প্রদর্শিত হবে ৫ ফেব্রুয়ারি।
এছাড়াও প্রশংসিত পরিচালক গৌতম ঘোষের দুটি ফিচার ফিল্মও উৎসবে প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুন: রটারড্যাম ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রশংসিত নুহাশের ‘পেট কাটা ষ’
তিন বছর পর শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা আর্ট সামিট
সিলেটে ৩ দিনব্যাপী লোক সংস্কৃতি উৎসব শুরু
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ৪০ বছর উদযাপন উপলক্ষে সিলেটে তিন দিনব্যাপী লোক সংস্কৃতি উৎসব শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) থেকে উৎসব শুরু হয়ে চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সিলেট এম এ জি ওসমানী অঞ্চলের বাস্তবায়নে তিনদিন ব্যাপী এ উৎসব প্রতিদিন বিকাল ৫টায় শুরু হয়ে শেষ হবে রাত ১০টায়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় হাই কমিশন ঢাকার পৃষ্ঠপোষকতায় সিলেটের কিন ব্রিজ ও আলী আমজাদের ঘড়ি সংলগ্ন এলাকা জুড়ে এই উৎসবে সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে আগত দল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক শিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবে দুই দিনব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনী
সিলেট সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন সিলেট ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে থাকছে মণিপুরিনৃত্য, লোকনৃত্য, লোকগীতি, লোকনাট্য, ঢাক-বাদন, বিয়ারগীত, ঝুমুর-নৃত্য, কাঠি নৃত্য, পুথিপাঠ, পালানাটক, লাঠি খেলা, আইলামবর, মালজোড়া ইত্যাদি।
এছাড়াও উৎসব প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে কুষ্টিয়া থেকে আগত লোক বাদ্যযন্ত্রের স্টল ও লোক বিষয়ক বইয়ের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র।
এ উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক রজত কান্তি গুপ্ত জানান, বিগত প্রায় চারদশকের বেশি সময় ধরে দেশবাপী ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের উৎস অনুসন্ধান করে আসছে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার। আমাদের উদ্দেশ্য বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক চেতনাকে সুসংহত করে ভবিষ্যতের অভিসারী করা।
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার ‘সিলেট বিভাগীয় লোকসংস্কৃতি উৎসব’ এ তিনি সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের উপস্থিতি প্রত্যাশা করেন।
উল্লেখ্য, ‘হাতের মুঠোয় হাজার বছর আমরা চলেছি সামনে’এই স্লোগান নিয়ে ঢাকা থিয়েটারের তত্ত্বাবধায়নে ৬ মাঘ ১৩৮৮ বঙ্গাব্দ, ২০ জানুয়ারি ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ সালে মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার তালুকনগর গ্রামে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সেলিম আল দীন ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ। বর্তমানে সারা দেশে দুই শতাধিক সংগঠন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের আদর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সারা দেশের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য ৩৬টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এ সকল অঞ্চলের দায়িত্বে রয়েছেন আঞ্চলিক সমন্বয়কারীরা। আঞ্চলিক সমন্বয়কারীদের কাজের তত্ত্বাবধান করেন আট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আট জন বিভাগীয় সমন্বয়কারী।
আরও পড়ুন: শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব
সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না। দেশের লোকজ সংস্কৃতির ধারক বাহক হিসেবে এগিয়ে চলছে সংগঠনটি। খুব সংক্ষিপ্তভাবে ইতিহাস বর্ণনা করতে গেলে যেতে হয় ৮০ দশকে।
এর ধারাবাহিকতায় বর্ণনাত্মক নাট্যরীতি ও বর্ণনাত্মক অভিনয় রীতি বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার। এছাড়াও গ্রাম থিয়েটারের ঐতিহ্যবাহী (লোক) সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।