বিএনপি চেয়ারপারসন
ফিরোজার পথে খালেদা, জোবাইদার ১৭ বছর নির্বাসনের অবসান
বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথিকে নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা সোয়া ১১টার দিকে একটি গাড়িতে করে রওনা হন খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে গাড়িটির সামনের সিটে বসে থাকতে দেখা যায়। পেছনের সিটে হাসিমুখে বসা ছিলেন তার দুই পুত্রবধূ।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর মাধ্যমে লন্ডনে ১৭ বছর নির্বাসনের জীবন শেষে দেশে ফেরার সুযোগ হয়েছে জোবাইদা রহমানেরও।
এদিন বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আশাপ্রকাশ করেন, খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন দেশের গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া দীর্ঘকাল ফ্যাসিবাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিবাদ বিদায় নেওয়ার পর কারাবন্দিত্ব মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ৪ মাস চিকিৎসা শেষে আজকে দেশে ফিরে আসছেন। এটা আমাদের জন্য, জাতির জন্য একটা আনন্দের দিন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র উত্তরণের এই সময়ে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি একটি উল্লেখযোগ্য দিক। তার ফিরে আসা আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে। দেশকে সঠিক ও বৈষম্যহীন পথে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।’
সোমবার (৭ মে) স্থানীয় সময় ২টা ১০ মিনিটে লন্ডনে তারেক রহমানের বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। এরপর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিমানটি হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে প্রিয় নেত্রীকে অর্ভ্যথনা জানাতে অবস্থান নিতে শুরু করেন বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দলীয় ও জাতীয় পতাকা নিয়ে এদিন ভোর থেকেই প্রায় ১০ কিলোমিটার পথের উভয় পাশে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যান খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি এবং অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন তিনি।
তারপর তাকে তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা থেকে এতদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর আজ দেশে ফিরলেন।
এদিকে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ‘ফিরোজা’কে পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে তার বাসভবন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে দুই পুত্রবধূ
২১৩ দিন আগে
দুই পুত্রবধূকে নিয়ে সোমবার দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া
উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে চার মাস অবস্থানের পর সোমবার (৫ মে) দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় দুই পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন।
শুক্রবার (২ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ ম্যাডাম আগামী ৫ তারিখ সকালে দেশে ফিরছেন। আমরা যতদূর জানি, সঙ্গে উনার দুই বউমার আসার কথা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যান খালেদা জিয়া। সেখানে পৌঁছানোর পর তাকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় এবং ১৭ দিন সেখানে তিনি প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নেন। তারপর থেকে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন তিনি।
অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার লন্ডনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন খালেদা জিয়া। ছেলে তারেক রহমানের বাসায় আনন্দঘন পরিবেশে সময় কাটছে তার।
খালেদা জিয়া কেমন আছেন—জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আগের চাইতে উনি অবশ্যই ভালো।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাতারের আমিরের কাছ থেকে যে অ্যাম্বুলেন্সটি উনাকে লন্ডনে নেওয়ার জন্য পেয়েছিলাম, টেকনিক্যাল কারণে সেটি এখন একটু বিলম্বিত হচ্ছে। সেজন্য ম্যাডাম ঠিক করেছেন, ওটা (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) যদি শেষ মুহূর্তে না পাওয়া যায়, তাহলে উনি বাংলাদেশ বিমানেই আসবেন।’
‘বাংলাদেশ বিমানে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪ তারিখ (৪ মে) উনি রওনা হলে ইনশাআল্লাহ ৫ তারিখ সকাল ১১টার দিকে দেশে এসে পৌঁছাবেন।’
এদিকে, খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে তার গুলশানের বাসা ফিরোজা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের বাসভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।’
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার বলেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন ম্যাডাম খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। এ সংক্রান্ত সব প্রস্তুতির কাজ আমরা করছি। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থায় সবকিছু জানানো হয়েছে।’
লন্ডন থেকে দেশে ফেরার বিষয়টি জানিয়ে গত সপ্তাহে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি দেন। বিএনপির মহাসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: লন্ডনে খালেদা জিয়ার ‘পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ শুরু
২০১৮ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার চারটি ঈদে কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি হয়েছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করে আদালত।
২১৭ দিন আগে
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন অনেক ভালো: ডা. জাহিদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় গিয়ে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
জাহিদ মালেক বলেন, 'ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় লন্ডন ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র পাচ্ছেন খালেদা জিয়া
জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান এবং তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান (প্রয়াত আরাফাত রহমানের মেয়ে) খালেদা জিয়ার দেখাশোনা করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ তিনি মানসিকভাবে আগের চেয়ে অনেক ভালো আছে। চিকিৎসকরা তাকে বাসায় দেখতে গেছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।’
গত ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নেওয়া হয়।
একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আরও ছয়জন বাংলাদেশি চিকিৎসকের সঙ্গে ভ্রমণ করা অধ্যাপক জাহিদ জানান, লন্ডনে আসার পর থেকে তিনি লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
বর্তমানে তিনি অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি, অধ্যাপক জেনিফার ক্রস ও ড. ব্যারেটের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জাহিদ মালেক বলেন, 'বাসায় চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করছেন এবং পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।’
জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানান।
খালেদা জিয়া কবে দেশে ফিরবেন এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, 'ম্যাডাম তখনই বাংলাদেশে ফিরবেন যখন এখানকার চিকিৎসকরা তাকে পরামর্শ দেবেন বা যখন তারা মনে করবেন তিনি ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। ইনশাল্লাহ সময় হলে তিনি দেশে ফিরবেন।’
আরও পড়ুন: ক্লিনিক ছেড়ে তারেকের বাসায় গেলেন খালেদা জিয়া
গত ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় এবং ২৫ জানুয়ারি তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছেলের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
২৯৬ দিন আগে
খালেদা লন্ডনে পৌঁছেই সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি হবেন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনের হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরই সরাসরি একটি উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি হবেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, ‘কাতারের আমিরের বিশেষ রয়েল অ্যাম্বুলেন্স আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে, যা খালেদাকে লন্ডনে নিয়ে যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ আরও জানান, খালেদা জিয়া এবং তার চিকিৎসক দলের ছয় সদস্যসহ ১০ জনের একটি দল মঙ্গলবার রাত ১০টায় দোহা হয়ে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
লন্ডনে পৌঁছানোর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন।
আরও পড়ুন: অসুস্থ খালেদা জিয়া, মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশ স্থগিত
ডা. জাহিদ বলেন, বিমানবন্দর থেকে সরাসরি খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
রবিবার রাতে মির্জা ফখরুল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন যে, তাদের দলীয় প্রধান উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে লন্ডনে যাবেন।
এদিন রাত ৯টায় খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ফিরোজায় তার সঙ্গে কুশলবিনিময় ও শুভেচ্ছা জানাতে আসেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। পরে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রার দিনক্ষণ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। খালেদা জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে যাতে দেশে ফিরে আসেন, সেই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা বিএনপিপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয়াদি ছিল না।’
‘তার সফলযাত্রা ও উন্নত চিকিৎসা শেষে নিরাপদ প্রত্যাবর্তন কামনা করে আমরা আল্লাহর কাছে মোনাজাত করছি।’
খালেদা জিয়া কখন দেশে ফিরতে পারেন, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা কেবল চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। আমরা আশা করছি, তিনি দ্রুতই দেশে ফিরে আসবেন’।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় খালেদা জিয়ার নির্দেশনা কিংবা বার্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ম্যাডাম নির্দেশনা দিয়েছেন, এক সঙ্গে কাজ কর, জনগণের পক্ষে কাজ কর, গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ কর।’
আরও পড়ুন: ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিকালে মার্কিন দূতাবাস যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
৩৩৩ দিন আগে
৬ বছর পর রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন খালেদা
ছয় বছর পর কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী ২১ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিচ্ছেন।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত জানান, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
উলফাত বলেন, শনিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান। ‘তিনি রাজি হয়েছেন... তিনি বলেছেন, সুস্থ থাকলে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে যোগ দেবেন। আমরা আশা করছি ম্যাডাম এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিকালে মার্কিন দূতাবাস যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি হোটেলে বিএনপির বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খালেদা জিয়া। এটিই ছিল তার শেষ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ। এর তিন দিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
উলফাত বলেন, ২১ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপনের সমাবেশে সারাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেবেন।
এর আগে ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছয় বছরের মধ্যে প্রথম জনসমক্ষে আসেন এবং রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হার্ট, ফুসফুস, কিডনি ও চোখের সমস্যাসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একাধিকবার চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
৩৫৫ দিন আগে
ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিকালে মার্কিন দূতাবাস যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আঙুলের ছাপ দিতে আজ বিকালে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে যাওয়ার কথা রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার।
খালেদা জিয়ার মিডিয়া সেলের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন দুপুর ২টার দিকে গুলশান কার্যালয় থেকে মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে রওনা হবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসের প্রথম দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন যুক্তরাজ্য যাবেন।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানিতে যেতে পারেন। এরই মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২ জন খালাস
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হার্ট, ফুসফুস, কিডনি এবং চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একাধিকবার চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
উন্নত মেডিকেল সেন্টারে বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
৩৭৩ দিন আগে
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলান।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন সৌদি রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিবাজদের ভোট না দেওয়ার অনুরোধ খালেদার উপদেষ্টা আমিনুলের
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যএ জেড এম জাহিদ হোসেন ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ড. এনামুল হক চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এটিই খালেদা জিয়ার প্রথম সাক্ষাৎ।
আরও পড়ুন: খালেদার সেনানিবাসের বাড়ি ফেরতের দাবি জানালেন বিএনপির আলাল
৩৭৪ দিন আগে
চিকিৎসার জন্য শিগগিরই লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে লন্ডন এবং পরে তৃতীয় কোনো দেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, 'তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা যত দ্রুত সম্ভব তাকে বিদেশের একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রস্তুতি শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমরা একটি দূরপাল্লার বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করছি এবং প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করছি। প্রাথমিকভাবে তাকে (খালেদা জিয়া) বিমানযোগে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর তাকে বহুমুখী চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে এমন কোনো দেশে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা আশা করছি শিগগিরই সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারব, যাতে ম্যাডাম দ্রুত বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন।’
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য ২ লাখ টাকা অনুদান দিলেন খালেদা জিয়া
জাহিদ আরও বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বজনদের বিস্তারিত তথ্য ইতোমধ্যে তার কার্যালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস প্রসিডিউর) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫।
২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার সাজা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে ৭৭৬ দিন পর তাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়। তবে শর্ত দেওয়া হয় যে তিনি গুলশানের বাসায় থাকবেন এবং দেশত্যাগ করতে পারবেন না।
৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৫ মামলা থেকে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
৪০২ দিন আগে
সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
ছয় দিনের চিকিৎসার পর বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী আজই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাসপাতালে থাকাকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, 'তার স্বাস্থ্য ও সর্বশেষ মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বিকাল সাড়ে ৫টায় গুলশানের বাসার উদ্দেশে হাসপাতাল ত্যাগ করবেন বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গত ২১ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে ৪৫ দিন চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
গত ২৩ জুন অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার বুকে সফলভাবে পেসমেকার প্রতিস্থাপন করেন।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া।
২০২১ সালের নভেম্বরে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসকরা।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস প্রসিডিউর) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাজা স্থগিত করে ৭৭৬ দিন পর খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি দিয়ে তার গুলশানের বাসায় থাকার অনুমতি দেয়। এসময় তিনি দেশত্যাগ করতে পারবেন না বলে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।
গত ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে খালেদা জিয়া পুরোপুরি মুক্তি পান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক গেজেটে বলা হয়, বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি এ আদেশ দিয়েছেন।
সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'যেকোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও স্থগিত মঞ্জুর করার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকবে।’
আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর সচল খালেদা জিয়ার সব ব্যাংক হিসাব
৪৪৩ দিন আগে
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সময় বাড়ানো ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার স্থগিতাদেশ আরও একবার বাড়ানো এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
তার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে- দাবি করে এই আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছিল সরকার। এ নিয়ে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আটবারের মতো বাড়ানো হলো।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
৬২৮ দিন আগে