অনির্দিষ্টকাল
গ্যাস সংকট: সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে
সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
গ্যাস সংকট নিরসনসহ ৫ দফা দাবিতে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে সিলেট জেলাজুড়ে এ ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
ধর্মঘটের ফলে পরিবহন সংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। সিলেট নগরীসহ সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক প্রায় যানবাহন শূন্য রয়েছে। এতে মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা অপেক্ষা করেও পাচ্ছেন না যানবাহন। বিশেষ করে সকালে যানবাহন না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে প্রত্যেক মাসের ১৮ থেকে ২০ দিন পর থেকেই পাম্পগুলোতে অনুমোদিত লোড শেষ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সিএনজিচালিত যানবাহনের চালকরা।
এরই প্রেক্ষিতে গত রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সিলেট জেলায় সিএনজিচালিত সব যানবাহনের সিএনজি লোডিংয়ে সব সংকট ও প্রতিবন্ধকতা দূর করার দাবিতে মানববন্ধন করে পরিবহন শ্রমিকরা।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সিলেটবাসী গ্যাস সংকটের কারণে দুর্ভোগে রয়েছে। বর্তমানে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। প্রতিদিন বিভিন্ন সিএনজি পাম্পে গ্যাস নেওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে গ্যাস পাচ্ছেন না পরিবহন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: বরগুনার সব রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট চলছে
বিগত কয়েক বছর থেকে গ্যাস সংকট সমাধানের লক্ষ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক, স্থানীয় মন্ত্রী ও এমপিদের অবহিত করার পরও সমাধান হচ্ছে না।
এ সময় মঙ্গলবারের (২৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে গ্যাসের লোড বৃদ্ধি ও সংকট সমাধান না হলে বুধবার থেকে সিলেটের সব সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে জানান পরিবহন নেতারা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদ বলেন, বুধবারের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহস্পতিবার থেকে বিভাগজুরে ধর্মঘট পালন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ধর্মঘটের সঙ্গে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ মত দিয়েছেন তারাও তাদের দাবি নিয়ে ধর্মঘট পালন করবেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ধর্মঘটে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
খুলনা থেকে ১৫ জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ
বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধি বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনার ৩ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন খুলনার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
রবিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা।
জানা গেছে, তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ধর্মঘটে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার
খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছি। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি এটিকে ফরমূলা গেজেট উল্লেখ করে বলেন, গেজেটটি ভুলে ভরা। শুধু গেজেট প্রকাশ নয়, দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।
ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, ডিজেলের দুই ভাগ, পেট্রোলের তিন ভাগ এবং অকটেনের চার ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে সাত ভাগ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া পুরাতন ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ বছর করতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু
সিলেটে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
টানা দু'দিন সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখার পর এবার পুরো সিলেটে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
এতে বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস-মিনিবাসসহ সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
সিলেট-তামাবিল সড়কে নির্বিঘ্নে বাস চলাচল এবং জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, এই দুই দাবিতে গত দু’দিন ধরে সিলেট-তামাবিল সড়কে আমাদের কর্মবিরতি চলছে।
কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার ভোর থেকে পুরো সিলেট জেলায় পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে সকল পরিবহন সংগঠন। তাই বুধবার থেকে সিলেটের কোনো রাস্তায় কোনো ধরনের গাড়ি চলবে না।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই শুক্রবার রাতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহত্তর জৈন্তার ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটির ডাকে এক সভায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাসের অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাই ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবি জানানো হয়।
এরপর ৮ জুলাই শনিবার জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে চলাচলকারী বাসের চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করেন।
এসময় তারা লাইসেন্সবিহীন চালকদের গাড়ি আটকে দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ৯ জুলাই রবিবার রাতে সিলট-তামাবিল সড়কে ধর্মঘটের ডাক দেয় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
সোমবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। এতে দু’দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই সড়কের যাত্রীরা। দুদিন ওই সড়কে ধর্মঘট পালনের পর এবার পুরো জেলায় পরিবহন চলাচল বন্ধের ডাক দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবার রাতে বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগনা সালিশ কমিটি ফের বৈঠকে বসে। এতে ১৭ পরগনার কাছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ও বাস মালিক সমিতিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করা হয়। ক্ষমা চাওয়ার আগ পর্যন্ত উত্তর সিলেটে তামাবিল, সিলেট-কানাইঘাট, সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কে বাস চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলেও একমত হয় নেতারা। এছাড়া, মালিক সমিতি নিজেই গাড়ি বন্ধ করেছে তাই ক্ষমা চাওয়ার পর পুনরায় বাস চালাতে চাইলে ১৭ পরগনার অনুমতি নিয়েই বাস চালাতে হবে বলেও ঐক্যমত হন তারা।
বাস ব্যতীত সকল গাড়ি চলাচল করবে। যদি চলাচলে কেউ বাধা প্রদান করে তাহলে ১৭ পরগনার আপামর জনাতা তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয় বৈঠক থেকে।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ জানান, সোমবার ১৭ পরগনার বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার আমাদের পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
পরিবহন শ্রমিকদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর, মামলা প্রত্যাহার ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। ফলে ২৯ মে থেকে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
রবিবার (২১ মে) দুপুরে সুনামগঞ্জ নতুন বাসস্ট্যান্ডে সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিভাগের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু
এ সময় লিখিত বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম।
শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানববন্ধনে প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানালেও, প্রশাসন আমলে নেয়নি। তাই শ্রমিকরা মিলে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৩ মে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেই।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের অনুরোধে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন তাদের কথা রাখেনি। তাই ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-সুনামগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস সমিতির সভাপতি সুজাউল কবীর, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি বুরহান উদ্দিন, সহ সভাপতি মো. আনেয়ার হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক মো. সুমন মিয়া।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
বরিশালের নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাত্রীদের দুর্ভোগ
বরিশালে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ১৮টি রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
শ্রমিকরা তাদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার রাতে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ মিলিয়ে ১৮টি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় শ্রমিকরা বরিশাল টার্মিনাল থেকে লঞ্চগুলো সরিয়ে নেয় ও দূরপাল্লার নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। ধর্মঘটের কারণে বরিশাল থেকে মালবাহী যানও চলাচল বন্ধ আছে।
নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের বরিশাল জেলা সভাপতি মাস্টার একিন আলি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- কর্মীদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র এবং সার্ভিস বই প্রদান; খাদ্য ও সমুদ্র ভাতা প্রদানের জন্য অবদানকারী ভবিষ্যত তহবিল ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন; কর্তব্যরত অবস্থায় দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জন্য ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
হবিগঞ্জের পরিবহন ধর্মঘট চলছেই, বাড়ছে যাত্রীদের দুর্ভোগ
সারাদেশে ২৬ নভেম্বর থেকে নৌ-যান ধর্মঘট
পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে বাসশ্রমিকরা
সুনামগঞ্জে কর্মবিরতি শুরু করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার বাস টার্মিনাল সংস্কার ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে রাত থেকে সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন।
এ কারণে সুনামগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার বাসসহ কোনো বাস চলছে না। ফলে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত
সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ। দুই একটি বাস ছাড়া সব বাস সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যাত্রীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়ার জন্য এসে বাস বন্ধ দেখে বেকায়দায় পড়েছেন। অনেকেই টিকিট নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু কাউন্টারে আসার পর টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ চেষ্টা করছেন সিলেটে যাওয়ার। কিন্তু তাও পারছেন না।
জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেজাউল কবির বলেন, আমাদের কোনো বাসস্ট্যান্ড নেই। এছাড়া বাস রাখার পর্যাপ্ত কোনো জায়গা নেই। তাই বাস সড়কে রাখতে হয়। সড়ক ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই, যেখানে বাস রাখা যাবে। যার জন্য আমাদের বাস আটক করেছে পুলিশ। এমনকি শ্রমিকদের হয়রানিও করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে আমরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে সৃষ্ট যানজট থেকে সড়ক মুক্ত রাখতে এবং বাসের বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পাড়ায় বাস আটক করা হয়েছে। অবৈধ পার্কিং এবং বৈধ কাগজ না থাকায়
শ্যামলী, মামুন, সাকিল পরিবহনের তিনটি বাস আটক আছে বলেও জানানো হয়।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, সড়কের দুই পাশে বাস রাখায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, যানজট হচ্ছে। জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির প্রতিটি সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। অনেকেই এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। এ অবস্থায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনটি বাস পুলিশ লাইনসে এনে রাখা হয়েছে। এ কারণে কর্মবিরতি ডেকে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা যুক্তিযুক্ত হবে না।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোগান্তি যাতে না হয়, এ জন্য বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: ফের ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
হবিগঞ্জে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
হবিগঞ্জে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১টায় হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়।
এর সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের কোন সম্পর্ক নেই বলে জানান হবিগঞ্জের পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
সংবাদ সম্মেলনে হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘সিলেটের গণসমাবেশকে উদ্দেশ্য করে আমরা এই ধর্মঘট ডাকিনি। নবীগঞ্জের সালামতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আমাদের কয়েকটি বাস বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে আমরা মালিক-শ্রমিক মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নবীগঞ্জের প্রশাসন ও পৌরসভা আমাদের বাস-মিনিবাস চলাচলে বাঁধা দেয়া হচ্ছিল। তাই আরও আগে থেকে ধর্মঘট ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সজীব আলী, হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক অবরোধ চা-শ্রমিকদের
হবিগঞ্জে হাওরে নৌকাডুবি: ৪ নারী নিহত
দুর্গাপূজার আগে ঠাকুরগাঁওয়ের মন্দিরে আবারও ১৪৪ ধারা
ঠাকুরগাঁও সদরের আউলিয়াপুর ইউনিয়নের রশিক লাল জিউ মন্দিরে আবারও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইউএনও আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান অনির্দিষ্টকালের জন্য এ আদেশ জারি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,রসিক লাল জিউ মন্দিরের জমির দখল নিয়ে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ইসকন অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মন্দির ও জমি দখল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘটিত এক সংঘর্ষে ফুলবাবু নামে হিন্দু সনাতন ধর্মের একজন নিহত হন। এরপর উপজেলা প্রশাসন মন্দির সীলগালা করে মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
বিভিন্ন পূজার আগে মন্দির দখল নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কায় প্রশাসন ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন।
এবারও দুর্গাপূজার আগে অনুরূপ আশঙ্কা দেখা দিলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় একই স্থানে আ. লীগ-বিএনপির সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
পাবনায় বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি
ঝালকাঠি-বরিশালসহ পাঁচ রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট
ঝালকাঠি-বরিশালসহ পাঁচ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট শুরু করেছে আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
ঝালকাঠির বাস শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে বুধবার বেলা ১২টা থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
হামলায় বাসচালক, হেলপার ও সুপারভাইজারসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে চলছে বাস ধর্মঘট
বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, বেলা ১২টার দিকে বরিশাল রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে বাস পার্কিং নিয়ে ঝালকাঠির শ্রমিকদের সঙ্গে পটুয়াখালী শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে বরিশাল ও পটুয়াখালীর শ্রমিকরা মিলে ঝালকাঠির বাসচালক ও শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়।
এসময় হামলাকারীরা পিটিয়ে ঝালকাঠির বাসচালক কালু হাওলাদার, সুপারভাইজার আবুল কালাম, হেলপার শাওন হাওলাদার, সাগর ও জাহিদসহ ১০ জনকে আহত করে।
চালকসহ আহত ঝালকাঠি সাত শ্রমিককে বরিশাল ও ঝালকাঠি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঝালকাঠি থেকে বরিশালসহ পাঁচ রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসংখ্য যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।
আকস্মিক বাস ধর্মঘটের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অন্যান্য যানবাহনে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বরিশাল-খুলনাসহ ৭ রুটে বাস ধর্মঘট
অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বরগুনা-ঢাকা রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সোমবার ভোর ৬টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চের বাস যাত্রীরা।
বরিশাল মালিক সমিতির অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিবাদে ধর্মঘটের এ ডাক দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে চলছে বাস ধর্মঘট
শ্রমিকদের অভিযোগ, পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর বরগুনা থেকে বাকেরগঞ্জ হয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে বরিশালের রুপাতলী বাস মালিক সমিতির লোকজন বাকেরগঞ্জে বসে বাস চলাচলে বাধা দেয় এবং চাঁদা দাবিসহ বাস শ্রমিকদের মারধর করে।
একমাস ধরে রুট পারমিট না থাকার অজুহাতে সম্প্রতি বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কে ঢাকা-বরগুনা রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বরিশালের বাস মালিক ও শ্রমিকরা।
এতে আরও ৪০ কিলোমিটার ঘুরে মির্জাগঞ্জ ও আমতলী ফেরি পার হয়ে ঢাকা-বরগুনা যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে যাত্রীবাহী বাসগুলোকে। এতে সময় লাগছে অতিরিক্ত ৫ ঘণ্টার বেশি।
এছাড়া দুর্ভোগ পোহানোর পাশাপাশি পদ্মা সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বরগুনা জেলার বাস যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: বরিশাল-খুলনাসহ ৭ রুটে বাস ধর্মঘট
চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে বাস ধর্মঘট