গুরুত্বপূর্ণ
স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে প্রাথমিক শিক্ষার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: রুমানা আলী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত স্মার্ট নাগরিক তৈরির ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবারের মতো তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আসেন।
আরও পড়ুন: শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
তিনি বলেন, দেশের সরকারি কর্মচারীদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের। তাদের অন্তহীন প্রয়াস বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার উত্তরণে বিশাল, বিরাট ও ব্যাপক অবদান রেখেছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
আরও বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাস, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
সভার আগে প্রতিমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা মহানগরীর ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: যশোরের প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
শৈত্যপ্রবাহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সূচি পরিবর্তন
'বিএনপি বুঝুক বা না বুঝুক, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ': বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত ২৮-২৯ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের 'নৃশংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের' কথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরে সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় টিকিয়ে রাখতে 'দৃঢ় ও অটল' অবস্থানের কথা জানিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে যথাসময়ে 'অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য' নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কূটনীতিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচন: সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থনের জন্য থাইল্যান্ডের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মোমেন
তিনি বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ- আমাদের বিএনপির বন্ধুরা তা বুঝুক বা না বুঝুক। আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরব এবং সংযত থাকব।’
ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদান, জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইনগত মানদণ্ডের মধ্যে সবকিছু করতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, দেশকে অস্থিতিশীল করা বা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়াগুলোর ক্ষতি করার যেকোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে হবে।
ড. মোমেন বলেন, জাতিকে আতঙ্কিত করা এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা এবং অসাংবিধানিক শক্তিকে উৎসাহিত করা। তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভয় দেখানো ও কূটচালের কৌশল আগেও কার্যকর হয়নি, এখনও হবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন ২০২৩ সালের শেষে অথবা ২০২৪ সালের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি 'অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ' হবে।
তিনি বলেন, 'কে আসবে, কে আসবে না সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণের অংশগ্রহণ থাকলে তা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।’
আরও পড়ুন: 'মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা' দাবি করা ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত: মোমেন
আইনমন্ত্রী বলেন, কূটনীতিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হলেও তারা কোনো প্রশ্ন করেননি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি যে আমরা যে ব্যাখ্যা দিয়েছি তা স্পষ্ট ছিল। তারা সন্তুষ্ট কি না, তা বলা তাদের দায়িত্ব।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবশ্যই সাংবিধানিক পথ অনুসরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর যা ঘটেছিল তার একটি লিখিত সংস্করণসহ হত্যা, পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ অন্যান্য ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এবং স্থির চিত্রের সংকলন তাদের দিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকায় অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে 'সংযম, সহিংসতা পরিহার ও একযোগে কাজ' করার জন্য সব স্টেকহোল্ডারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
দুই দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশনের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, 'অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২৮ অক্টোবর ঢাকায় রাজনৈতিক সমাবেশের সময় রাজনৈতিক সহিংসতায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
কূটনীতিকদের উদ্দেশে মোমেন বলেন, 'গত ২৮ অক্টোবর ও গতকাল যা ঘটেছে তাতে আমরা মর্মাহত। তবে আমরা বিস্মিত নই, কারণ আমরা অতীতে বিএনপি-জামায়াতের ভয়াবহ সহিংসতার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।’ তিনি আরও বলেন, বিএনপি ও তার মিত্রদের সহিংসতা ও আগ্রাসনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
২০০০ সালের গোড়ার দিকে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ তৈরি করেছিল। বিশেষ করে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় ব্যাপক সহিংসতা ও ভোট কারচুপির মতো ঘটনা ঘটিয়েছিল।
নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা লুটপাট, ধর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাদের লক্ষ্য ছিল বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ নিতে চাই এবং মোকাবিলা করতে প্রস্তুত: মোমেন
২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিএনপি ও তার মিত্ররা কয়েক হাজার গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পেট্রোলবোমা ব্যবহার করে অনেক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়ির ভেতরে আটকে থাকা যাত্রীদের জীবন্ত পুড়িয়েও মেরেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও ভয়াবহ ক্ষত ও ট্রমা নিয়ে বেঁচে আছেন।
সে সময় পেট্রোলবোমা ও হ্যান্ড গ্রেনেড হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০ কর্মকর্তাসহ চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়।
রাজনৈতিক দলের চেয়ে ভোটারদের অংশগ্রহণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী
যেকোনো রাজনৈতিক দলের চেয়ে নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নিলেও সেখানে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
রবিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে সচিবালয়ে পাকিস্তান সরকারের ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট প্রকাশিত ‘পূর্ব পাকিস্তানের সংকট সম্পর্কিত শ্বেতপত্র’ এর পুনঃমুদ্রণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি এলে আমরা তাদের স্বাগত জানাই। আমরা চাই তারা অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু তারা যোগ না দিলেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ হবে এবং নির্বাচন অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আলী সরকার, তথ্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা নাসরিন জাহান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য প্রমাণ করে যে, এত দিন পর তারা উপলব্ধি করেছে যে, কেউ তাদের হাতে ধরে ক্ষমতায় বসাবে না। এটি একটি ভালো উপলব্ধি।
হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুলের উৎফুল্লতা এখন ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসছে। কারণ তারা বুঝেছে সময়মতো নির্বাচন হবে এবং তাদের কেউ ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি থেকেও অনেকে অংশ নেবেন। বিএনপির কয়েকজন নেতা ইতোমধ্যে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তাই নির্বাচন প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার পথ পরিহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমি তাদের অনুরোধ করব এবং বাস্তবতা মেনে নিয়ে নির্বাচনের পথ অনুসরণ করার অনুরোধ জানাব।
নির্বাচনের সময় সরকারের আকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন, এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের সময় সরকারকে সঙ্কুচিত করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রধানমন্ত্রী যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে কোনো নির্বাচনী সরকারের পতন হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, এটা ভালো। কারণ বিদেশিরা আমাদের নির্বাচনে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আমাদের উন্নয়নে সর্বত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে। তারা যে প্রতিনিধি দল এসেছে, আমি মনে করি এটা ভালো।
এর আগে পুনর্মুদ্রিত শ্বেতপত্র উন্মোচনের সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে কারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল, কারা মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে ছিল তা বোঝা যাবে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার ‘পূর্ব পাকিস্তান সংকট’ শিরোনামে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। এই শ্বেতপত্রে জিয়াউর রহমানের কোনো উল্লেখ নেই। যাইহোক, এই দেশে অপরাধীদের বীরত্বের মর্যাদায় উন্নীত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পত্রিকায় ছোটদের পাতা প্রকাশ অব্যাহত রাখুন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান করা ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী
দীর্ঘ ১০ বছর পর বেনাপোল পৌরসভায় নির্বাচন
বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনের মাত্র ১০ দিন বাকি। দীর্ঘ ১০ বছর নির্বাচন না হওয়ায় সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে নির্বাচনটি।
বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচনে না এলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন ও ফারুক হোসেন উজ্জল প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
বর্তমানে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে প্রচার প্রচারণায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাসির উদ্দিন।
অপর ২ স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুর রহমান সজন ও ফারুক হোসেন উজ্জল ঢিলে-ঢালাভাবে হাতে গোনা ৫/৭ জন সমর্থক নিয়ে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে ৭৪ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
নৌকার প্রার্থী নাসির উদ্দিনের প্রচার প্রচারণায় শতশত দলীয় নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ সঙ্গে থেকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও পথ সভায় অংশগ্রহণ করছেন।
আজ বুধবার (৫ জুলাই) বিকালে বড় আচড়া ওয়ার্ডে এক নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে পূর্ব নির্ধারিত কোনো কর্মসূচি ছাড়াই কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয় নাসির উদ্দিনের পথ সভায়।
এসময় তিনি স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা এবং সেগুলোর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।
যশোর-১ আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন, শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মনজু, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, যুবলীগের শার্শা উপজেলার সভাপতি অহেদুজ্জামান অহিদ নৌকার প্রার্থী নাসির উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মফিজুর রহমান সজন ও ফারুক হোসেন উজ্জল প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
বেনাপোল পৌরসভায় আগামী ১৭ জুলাই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
পৌর সভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার ৩৮৭ জন। পুরুষ ভোটার- ১৫ হাজার ১৬২ ও মহিলা ভোটার সংখ্যা- ১৫ হাজার ২২৫ জন।
মোট ভোট কেন্দ্র ৯ টি।
বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার সকালে বেনাপোল পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইসলাম।
বড় ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয় সেজন্য প্রার্থী এবং কর্মীদের সতর্ক করেন তিনি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা জানান, বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচন-২০২৩ এর তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা বাস্তবায়নের শার্শা উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পৌরসভা পর্যায়ে পরিবেশবান্ধব পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অপরিহার্য: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
একনেকে ৮৮টি পৌরসভায় নগর শাসন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৬,৩৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোটের সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
এছাড়া নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা জোরদার করুন: দুদকের প্রতি রাষ্ট্রপতি
সোমবার (১৯ জুন) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে তিন কমিশনার ও সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন ইউএনবিকে এসব তথ্য জানান।
ভোটকে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে ভোটের তারিখের পূর্ব থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি।
এ সময় বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশের সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সিইসি হাবিবুল জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্থানীয় সরকারসহ সকল নির্বাচন নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
তিনি বলেন, কিছু কারিগরি ত্রুটি থাকলেও নির্বাচনে সফলভাবে ইভিএম ব্যবহার করা যাচ্ছে। এছাড়া নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে।
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট সি. ডিকসন বলেছেন, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য (এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন) বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটে ইউকেভিত্তিক ওয়েলকাম স্কিলস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব হসপিটালিটির উদ্বোধনকালে তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা: প্রার্থীদের সতর্কভাবে আবেদনের পরামর্শ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের
ডিকসন বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্র অনেক এগিয়েছে, কিন্তু স্কিলড নির্ভর শিক্ষায় বাংলাদেশকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে বৃটিশ অনেক কোম্পানি বাংলাদেশকে সহায়তা দিচ্ছে, ভবিষ্যতেও দিবে। দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমে ওয়েলকাম স্কিল প্রতিষ্ঠানটিও বাংলাদেশে একটি অনন্য সংযোজন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিইও কুলসুম হোসেন, হেড অব ট্রেনিং গ্যারি ফ্যায়েরেলি, হেড অব রিক্রুটমেন্ট ফাইজাল হোসেন, ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন স্কুল এক্সিকিউটিভ প্যাট্রন প্রফেসর ডেভিড ফ্রসকিট ও ডেভিড রাসেল।
কুলসুম হোসিন বলেন, ওয়েলকাম স্কিলস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব হসপিটালিটি যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা হসপিটালিটি এবং ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণে বিশেষজ্ঞ। হসপিটালিটি এবং ট্যুরিজম শিল্পে যারা প্রবেশ করতে চাইছেন এমন ব্যক্তি কিংবা এই সেক্টরে কর্মরত কর্মীরা যারা তাদের দক্ষতা এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করতে চান তাদের জন্য আদর্শ কোর্স ডিজাইন করেছে ওয়েলকাম স্কিলস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব হসপিটালিটি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
জলবায়ু কার্যক্রম যুক্তরাজ্যের জন্য অগ্রাধিকার: ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার
পরমাণু আলোচনায় গ্যারান্টি বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান আবারও বলেছেন যে গ্যারান্টি বিষয়টি ইরানের জন্য ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার আলোচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান মার্কিন ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (এনপিআর) এর সঙ্গে এক সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এনপিআরকে বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ট্রাম্পের মতোই, গত কয়েক মাস ধরে পারমাণবিক আলোচনায় পরোক্ষ অংশগ্রহণের সময়েও ইরানের বিরুদ্ধে মাসে গড়ে এক বা দুটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি কূটনীতিই সমাধান এবং একটি শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আমরা আন্তরিক ও অটল।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে পাঠানো চুক্তির খসড়াটিতে প্রচুর পরিমাণে অস্পষ্টতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইরান ‘একটি চুক্তির বিষয়ে আন্তরিক। তবে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকান পক্ষের বাস্তবিক ইচ্ছা ও সাহস আছে কিনা তা আমরা জানি না।’
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে: ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, তেহরান মনে করে যে বিষয়টি পারমাণবিক চুক্তি থেকে আলাদা এবং এটি সম্পূর্ণ মানবিক।
তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকান পক্ষ তাদের প্রস্তুতি প্রকাশ করলে আমরা বন্দী বিনিময় করতে প্রস্তুত।’
উল্রেখ্য, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ইরান পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত। এসময় দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা অপসারণের বিনিময়ে তার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে ইরান সম্মত হয়।
এরপর ওয়াশিংটন চুক্তিটি প্রত্যাহার করে এবং তেহরানের ওপর পুনরায় একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যার ফলে পরবর্তীতে চুক্তির কিছু শর্ত ভঙ্গ করে ইরান।
জেসিপিওএ-চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ভিয়েনায় আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে ২০২২ সালের মার্চ মাসে সেটি স্থগিত করা হয়। পাঁচ মাস বিরতির পর অস্ট্রিয়ার রাজধানীতে সর্বশেষ পরমাণু আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
৮ আগস্ট জেসিপিওএ- চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে খসড়া সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করে ইইউ। পরে পরোক্ষভাবে ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইইউ’র প্রস্তাবের ওপর এক প্রক্রিয়ায় মতবিনিময় করেছে, যা এখনও পর্যন্ত কোন ইতিবাচক ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্থিরতার মধ্যে ইরাকে জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর ইরানের হামলা
হিজাব ইস্যু: ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
আগামী সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ সিটির গুরুত্বপূর্ণ সড়কে হকার নয়: মেয়র তাপস
আগামী সপ্তাহ থেকে লাল চিহ্নিত অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আর হকার বসতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসকে নিয়ে অবমাননাকর ফেসবুক পোস্ট: ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ১০ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বিপনী বিতানের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পরবর্তী গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ ঘোষণা দেন।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হকার্স মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন পদক্ষেপে যাচ্ছি, নতুন কার্যক্রমে যাচ্ছি। যেমনি ১০ তলা মার্কেটে আমরা (তাদেরকে) পুনর্বাসন করব, তার সঙ্গে সঙ্গে আগামী সপ্তাহ থেকে আমাদের নির্দিষ্ট রাস্তায় নির্দিষ্ট সড়ক আমরা চিহ্নিত করব। কেবল অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো লাল চিহ্নিত করা হবে। হলুদ ও সবুজ চিহ্নিতও করা হবে। লাল চিহ্নিত এলাকায় সড়কে হাঁটার পথে আমরা আর হকার বসতে দেবো না। আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা লাল চিহ্নিত অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো থেকে হকার সরানোর অভিযান শুরু করব।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ঢাকা শহরকে সময়সূচির মধ্যে আনতেই হবে: মেয়র তাপস
বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আধুনিক ১০তলা বিপণি বিতান নির্মাণ কাজ হকারদের প্রতীক্ষা পূরণের আশাবাদ জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এটি দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত ছিল। অত্র এলাকার হকার ভাই-বোনদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মার্কেট। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে দীর্ঘদিন এটা করা হয়নি। আজকে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এটার কাজ শুরু করতে পেরেছি। আমরা আশা করব আগামী দুই বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। হকার ভাই-বোনদের জন্য এটি একটি বড় মার্কেট হবে। তারা তাদের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।’
এছাড়াও ডিএসসিসি মেয়র মুগদাপাড়া কমিউনিটি সেন্টার, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সংলগ্ন নিমতলী মোড়ে সড়ক সম্প্রসারণ এবং বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে: মেয়র তাপস
পরবর্তী কয়েক দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: জেলেনস্কি
আগামী সপ্তাহ যুদ্ধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে ইউক্রেনীয়দের সতর্ক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কি।
রবিবার রাতের ভিডিও ভাষণে তিনি বলেন, আমাদের দেশের পূর্বাঞ্চলে আরও বড় অভিযানে যাবে রাশিয়ান সেনারা।
এসময় রাশিয়া যুদ্ধাপরাধের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন জেলেনেস্কি।
তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন তাদের ভুল স্বীকার করার, ক্ষমা চাওয়ার, বাস্তবতার সাথে মানিয়ে নেয়ার এবং শেখার সাহসের অভাব বোধ করে, তখন তারা দানব হয়ে যায়। এবং যখন বিশ্ব এটিকে উপেক্ষা করে, তখন দানবরা সিদ্ধান্ত নেয় যে এই বিশ্বকে তাদের সাথে মানিয়ে নিতে হবে। ইউক্রেন এই সব বন্ধ করবে।’
ইউক্রেনীয় নেতা বলেন, ‘সেদিন আসবে যখন তাদের সবকিছু স্বীকার করতে হবে। সত্যকে স্বীকার করুন।’
এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সাথে বৈঠক করেছেনে প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি। এসময় তিনি জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে ইউক্রেনে আরও সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানান।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি এটা জেনে আনন্দিত যে সম্প্রতি জার্মান অবস্থান ইউক্রেনের পক্ষে পরিবর্তিত হয়েছে। এটিকে যৌক্তিক বলে মনে করি।’
পড়ুন: রেলস্টেশনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: কড়া জবাব চায় ইউক্রেন
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ইমরান খানের