ইউরো
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ লাখ ইউরো সহায়তা দিচ্ছে ইইউ
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোর একটিতে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ৩ লাখ ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সাম্প্রতিক অগুনের ঘটনায় শরণার্থী শিবিরের পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
ঢাকাস্থ ইইউ দূতাবাস মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ করে আশ্রয়, তাবু, পানি ও সেখানকার উন্নয়নের জন্য তাৎক্ষণিক জরুরি সহায়তা দিতে কাজে লাগানো হবে এই তহবিল।
এটি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে এবং অন্যান্য মানবিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার সহায়ক হবে।
৭ জানুয়ারি ভোরে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরগুলোর মধ্যে ক্যাম্প-৫ -এ ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় ৯৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র পুড়ে গেছে বা আংশিক ধ্বংস হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ১৫টি শিক্ষাকেন্দ্র, অসংখ্য শৌচাগার ও ওয়াশরুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না: ইউএসএইড
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা ও ফায়ার ব্রিগেডের দ্রুত হস্তক্ষেপের কারণে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
যেহেতু ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরগুলোতে প্রায়ই আগুন লাগে। এমতাবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি মানবিক অংশীদারদের শিবির কাঠামো শক্তিশালী করতে এবং এই জাতীয় ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে সহায়তা করেছে।
নতুন এই বরাদ্দ দেওয়ার আগে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে গত বছর বাংলাদেশকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ৩৮ মিলিয়ন ইউরোর বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে ইইউ ।
গত মার্চে আরেকটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে ইইউ ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থীদের সহায়তার জন্য ১০ লাখ ইউরো সহায়তা করেছিল।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ-ইইউ'র ৪০০ কোটি ইউরোর চুক্তি সই
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে নতুন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে শীর্ষ পর্যায়ের এই আলোচনা শুরু হয়।
সেই উপলক্ষে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের টেকসই সবুজ রূপান্তরে অবদান রাখতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি সই করেছে ইইউ’র ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) ও বাংলাদেশ। এটি দেশের জলবায়ু প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যেও করা হয়েছে।
শিক্ষা সহায়তা, নিরাপদ কাজ, সবুজায়ন, ই-গভর্নেন্স ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সহায়তার জন্য ৭০ কোটি ইউরো মূল্যের পাঁচটি অতিরিক্ত সহযোগিতামূলক পদক্ষেপও চালু করা হয়েছে।
ব্রাসেলসের বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেন, 'ইইউ ও বাংলাদেশ ৫০ বছর ধরে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত অংশীদার। এখন, গ্লোবাল গেটওয়ের অধীনে সবুজ রূপান্তরের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে আমরা এই অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইউরোপীয় কমিশন, ইআইবি ও বাংলাদেশ নবায়ণযোগ্য জ্বালানি সহায়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একযোগে কাজ করবে। এই ৪০০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ বাংলাদেশের জনগণ ও অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এই উদ্যোগ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অবকাঠামোগত ঘাটতি দূরীকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডিজিটাল উদ্ভাবন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং আরও অনেক কিছুতে বিনিয়োগ করতে সক্ষম করবে। গ্লোবাল গেটওয়ে বন্ধুত্বের, অংশীদারিত্বের, বিশ্বাসের, স্বার্থসংশ্লিষ্ট পারস্পরিক নির্ভরশীলতার একটি প্রতীক।
নবায়ণযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলোর জন্য ইইউ এবং ইআইবি (৩৯৫ মিলিয়ন) ইউরোর মধ্যে ঘোষিত ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর অংশীদারিত্বের মধ্যে সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর ইইউ-গ্যারান্টিযুক্ত ইআইবি ঋণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বিনিয়োগ অনুদানসহ ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর মিশ্রণ সহায়তা প্যাকেজের পরিপূরক।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বেলজিয়াম সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
উপরন্তু, ১২ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশন প্রকল্প, যার মধ্যে ৭ মিলিয়ন ইউরো রয়েছে যা জার্মানির সহ-অর্থায়নে পরিচালিত হয়, যার লক্ষ্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ জ্বালানি রূপান্তরকে সহজতর করার নীতি, আইনি কাঠামো এবং বিনিয়োগের পরিবেশে কাজ করা।
প্রকল্পগুলো মূলত ইউটিলিটি স্কেল সৌর ফোটোভোলটাইক এবং উপকূলীয় বায়ু প্রকল্প এবং সম্ভাব্য সম্পর্কিত ব্যাটারি শক্তি সঞ্চয় ব্যবস্থার সমন্বয়ে সমগ্র বাংলাদেশে জ্বালানি ও গ্রামীণ উন্নয়নে অ্যাক্সেস বাড়াতে অবদান রাখবে।
এই কার্যক্রম বাংলাদেশে আনুমানিক ৭৫০ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা স্থাপনে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিনিয়োগগুলো বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিকেন্দ্রীকরণের উন্নতি করবে, শেষ পর্যন্ত জাতীয় ও সম্ভাব্য আঞ্চলিক, সংযোগ ও সহনশীলতা বাড়াবে।
কারিগরি সহায়তার অংশ হিসেবে, ইইউ একই জমিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং খাদ্য উৎপাদন, সৌর শক্তি, হাইব্রিড সৌর শক্তি/বায়ু ও ব্যাটারিচালিত সৌরশক্তি একত্রিত করার উপায়সহ প্রকল্প প্রস্তাবগুলো পরীক্ষা করতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সব অংশীজনদের সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকার আহ্বান অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সৌর প্রকল্প ও উপকূলীয় বায়ু প্রকল্প জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।
গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনের জন্য অংশীদারিত্ব বাংলাদেশি আইনি কাঠামো তৈরিতে সহায়তা করবে যা অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ জ্বালানি রূপান্তরের জন্য বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে এবং জ্বালানি খাতে নারী পেশাদারদের কর্মসংস্থানের সুযোগও উন্নত করবে।
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষা খাতের (৩০ মিলিয়ন ইউরো), নিরাপদ কাজের কর্মসূচির উন্নয়নে, সবুজ নির্মাণ, কার্যকর ডিজিটাল গভর্নেন্স জোরদার এবং দেশের উন্মুক্ত স্থানে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধে (প্রতিটি ক্ষেত্রে ১০ মিলিয়ন ইউরো) সহযোগিতার জন্য অতিরিক্ত ৭০ মিলিয়ন ইউরোর একটি প্যাকেজ সই হয়।
এ বছর ইইউ-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী। এই সময়ে ইইউ বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন, বাণিজ্য ও মানবিক অংশীদার হয়েছে।
এই পাঁচ দশকে রাজনীতি, বাণিজ্য, উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও কানেক্টিভিটির সমন্বয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক বহুমাত্রিক হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ শক্তিশালী মুদ্রা
বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড এবং অর্থনৈতিক লেনদেনে সাবলীলতার দরুণ মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতির একটি অপরিহার্য উপাদান। স্বভাবতই সবগুলো মুদ্রা মূল্যমান এক পাল্লায় পরিমাপ করা হয় না। এমনকি কিছু কিছু মুদ্রা অন্যগুলোকে ছাড়িয়ে আশ্চর্যজনক উচ্চতায় উঠে আসে। এই আকাশচুম্বী তারতম্যের কারণ কী! বর্তমান বিশ্বের সব থেকে দামি ১০টি মুদ্রার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি চলুন পটভূমিটাও জেনে নেওয়া যাক।
বৈদেশিক মুদ্রার মান নির্ধারণ হয় কীভাবে?
বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যমান মূলত নির্ধারিত হয় দু’টি প্রধান উপায়ে: ফ্লোটিং রেট ও ফিক্সড রেট।
ফ্লোটিং রেট
এই রেটটি নির্ধারিত হয় মুক্ত বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে। যখন একটি মুদ্রার চাহিদা বেশি হয়, তখন এর মূল্য বাড়ে। আর চাহিদা কমার সঙ্গে সঙ্গে তার দামটা পড়তে থাকে। বিভিন্ন প্রযুক্তিগত এবং মৌলিক কারণ একটি ন্যায্য বিনিময় হার সম্পর্কে মানুষের ধারণাকে প্রভাবিত করে। আর সেই অনুযায়ী পরিবর্তন হতে থাকে চাহিদা ও সরবরাহ।
উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয়দের মধ্যে মার্কিন ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ইউরোর তুলনায় মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে যায়। এর পেছনে নটবর হিসেবে কাজ করে সুদের হারের পরিবর্তন, বেকারত্বের হার, মুদ্রাস্ফীতি ও ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাগুলো।
ফিক্সড রেট
বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হিসেবে একটি দেশের সরকার নিজেদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট হার নির্ধারণ করে দেয়। এই হার বজায় রাখার জন্য সরকার সেই বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে নিজস্ব মুদ্রা ক্রয় ও বিক্রয় করে।
আরও পড়ুন: আমদানিতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে
স্বল্পমেয়াদে ফ্লোটিং রেটের গতিবিধিকে ঘিরে দানা বাধতে থাকে অনুমান ও গুজব। কখনো সত্যিকার অর্থেই রেটের বিপর্যয় ঘটে, যার সূত্র ধরে পরিবর্তিত হতে থাকে দৈনন্দিন সরবরাহ ও চাহিদা। স্বল্পমেয়াদের এই অস্থিরতার চরম অবস্থায় সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো হস্তক্ষেপ করে।
অর্থাৎ একটি মুদ্রার দাম অত্যধিক বেশি বা কম হয়ে গেলে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর এই হস্তক্ষেপ ঘটে। অন্যথায় এই অস্থিতিশীলতাটি দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং ঋণ পরিশোধের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সর্বপরি, মুদ্রার ফ্লোটিং রেটকে তুলনামূলকভাবে অনুকূল অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য ফিক্সড রেটের ব্যবস্থাগুলো প্রয়োগ করা হয়।
২০২৩ সালে পৃথিবীর শীর্ষ ১০ মূল্যবান মুদ্রা
কুয়েতি দিনার
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুদ্রা হলো কুয়েতি দিনার (কেডব্লিউডি), যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রায় যার বিনিময় হার ৩ দশমিক ২৭ মার্কিন ডলার। কুয়েতের ভৌগলিক অবস্থান সৌদি আরব এবং ইরাকের মাঝে হওয়ায় দেশটিকে তেল রপ্তানিকারক হিসেবে বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। ১৯৬০-এর দশকে প্রবর্তিত মুদ্রা দিনার সর্বপ্রথম ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ফিক্সড রেট করা হয়েছিল। এই কৌশলগত পদক্ষেপটি কুয়েতকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং একক মুদ্রামুখী ঝুঁকিগুলো হ্রাস করতে সাহায্য করে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১ কুয়েতি দিনারের দাম ৩৫৩ দশমিক ৭০ টাকা।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
‘গ্লোবাল গেটওয়ে’ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে
ঢাকায় অবস্থানরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন ‘গ্লোবাল গেটওয়ে’ কৌশল উচ্চ মানের অবকাঠামো প্রকল্পে টেকসই সংযোগ বিনিয়োগ প্রদানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যা বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ইউরোপ দিবস উপলক্ষে এবং তৎকালীন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট শুম্যানের দৃষ্টিভঙ্গি স্মরণে দূতদের লেখা একটি যৌথ নিবন্ধ অনুসারে, যদি ব্যবসায়ীক পরিবেশ আরও উন্নত করা যায় তবে ইউরোপীয় ব্যবসার দ্বারা বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ২৭টি সদস্য রাষ্ট্র এবং ৪৫০ মিলিয়ন নাগরিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ’র রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, ড্যানিশ রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন, ফরাসি দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা, ডাচ রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো দে আসিস বেনিতেজ সালাস এবং সুইডিশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে যৌথভাবে নিবন্ধটি লিখেছেন।
বাণিজ্য ফ্রন্টে তারা বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য ইইউ, যা বার্ষিক প্রায় ২০ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, তাদের টিম ইইউ এবং ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত করে বাংলাদেশের সঙ্গে গুরত্বপূর্ণ কিছু কাজ এবং সবুজ পরিবর্তনসহ নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাদ্যশস্য সরবরাহের আশ্বাস কানাডার
এটা শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, সুশাসন এবং সুশীল সমাজের সহায়তার মতো ক্ষেত্রে তাদের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন সহায়তার পরিপূরক।
নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, মানবিক সহায়তার অন্যতম অংশীদার হিসাবে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি অস্থায়ী আবাসন প্রদান এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিয়ানমারে তাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার পাশে থাকবেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ’র এই সম্পৃক্ততা এখন বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহায়তা ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য শক্তি, মানবাধিকার, নিরাপত্তা ও ডিজিটালাইজেশনের মতো বিষয়গুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে সর্বশেষ শান্তি পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা