বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
লাগাতার কারিগরি ত্রুটি নিয়ন্ত্রণে বিমানের একাধিক পদক্ষেপ
সম্প্রতি বিমানের কিছু ফ্লাইটে একের পর এক কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
গৃহীত পদক্ষেপের আওতায় দুজন কর্মকর্তাকে এরই মধ্যে বদলি করা হয়েছে এবং আরও কয়েকজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, একজন প্রকৌশলী কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে এবং চট্টগ্রামে অন্য একজন প্রকৌশলী কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানে রেকর্ড ৯৩৭ কোটি টাকা মুনাফা
বিজ্ঞপ্তিতে বিমান জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ঢাকা-আবুধাবি ফ্লাইটে টয়লেটের ফ্ল্যাশ সম্পর্কিত ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া কারিগরি সমস্যাগুলোর বিস্তারিত পর্যালোচনার জন্য চার সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে প্রতিটি ফ্লাইটভিত্তিক ঘটনার রক্ষণাবেক্ষণ রেকর্ড ও অপারেশনাল প্রসেস পর্যালোচনা করে ঘটনার মূল কারণ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কারিগরি সমস্যাগুলোর বিপরীতে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবহেলা বা গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে তার দায়দায়িত্বও চিহ্নিত করতে কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ধরনের সমস্যার পুনরাবৃত্তি রোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ করবে কমিটি। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি তার প্রতিবেদন দাখিল করবে। দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে জনবল ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। দুজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে এবং আরও কয়েকজনকে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একজন প্রকৌশলী কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলকভাবে বদলি করা হয়েছে এবং চট্টগ্রামে অন্য একজন প্রকৌশলী কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিমান আরও জানিয়েছে, কারিগরি সক্ষমতা বাড়াতে বিমান বিভিন্ন আউট স্টেশনে (যেমন: জেদ্দা, দুবাই, মদিনা, দাম্মাম, আবুধাবি ও শারজাহ) অতিরিক্ত চাকা মজুত রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে যাতে আপদকালীন প্রয়োজনে দ্রুত চাকা প্রতিস্থাপন করা যায়। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় চাকা সংগ্রহের জন্য ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও, জেদ্দায় বিমানের চাকা ফেটে যাওয়ার ঘটনা তদন্তে পরিচালককে (ফ্লাইট অপারেশনস) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিচালক (প্রকৌশল ও ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট) ও প্রধান প্রকৌশলীদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে তদারকি জোরদার করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) থেকে রাত্রিকালীন বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ শিফট চালু হয়েছে, সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে যা সহায়তা করবে। একইসঙ্গে বিমানের ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা চলছে। এ প্রক্রিয়ায় বোয়িংয়ের সঙ্গে আলোচনা করে কম্পোনেন্ট সার্ভিসেস প্রোগ্রাম (সিএসপি) তালিকা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিমানের ফ্লাইটে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
এর পাশাপাশি রিকমেন্ডেড স্পেয়ার পার্টস লিস্ট (আরএসপিএল) অনুসারে যন্ত্রাংশের মজুত নতুনভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে। প্রকৃত ব্যবহারিক তথ্যের ভিত্তিতে যন্ত্রাংশ সংগ্রহের জন্য টেইলরড পার্ট প্যাকেজ (টিপিপি) ব্যবস্থা পর্যালোচনায় রয়েছে। একই সঙ্গে প্রকৌশলীদের রি-কারেন্ট প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন অ্যাপ্রেন্টিস মেকানিক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তিগত জনবল বাড়ানো ও নিজস্ব দক্ষতা আরও জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রযুক্তিগত নির্ভরযোগ্যতা ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা মান বজায় রাখতে এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
১০৭ দিন আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানে রেকর্ড ৯৩৭ কোটি টাকা মুনাফা
২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইতিহাসের সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনের কথা জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ৯৩৭ কোটি টাকা অনিরীক্ষিত মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছরের ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ড গড়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
সোমবার (১৮ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এবারের আর্থিক সাফল্যের জন্য যাত্রী ও গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিমান বলেছে, তাদের আস্থা ও সমর্থনই এ রেকর্ড মুনাফা অর্জনে সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এই সাফল্য এসেছে দক্ষ সম্পদ ব্যবস্থাপনা, কার্যকর কৌশল গ্রহণ এবং যাত্রীসেবার ধারাবাহিক উন্নয়নের ফল হিসেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এর আগে বিমানের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জিত হয় ২০২১-২২ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ৪৪০ কোটি টাকা।
১৯৭২ সালে মাত্র ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা আয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বিমান বাংলাদেশ। এরপর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সীমিত অবকাঠামো ও সম্পদের মধ্যে থেকে ধীরে ধীরে আজকের আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক এয়ারলাইন্সে পরিণত হয়েছে।
বিমানের হিসাব অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরে ১১ হাজার ৬৩১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় হয়েছে কোম্পানির। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিমান প্রথমবারের মতো ১০ হাজার কোটির বেশি আয় করা কোম্পানিতে পরিণত হয়।
১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৫৫ বছরের যাত্রায় মোট ২৬টি বছরে লাভের মুখ দেখেছে তারা। ২০০৭ সালে করপোরেশন থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের পর গত ১৮ বছরে বিমানের পুঞ্জীভূত মোট মুনাফা হয়েছে ৫৮৯ কোটি টাকা।
বিমান জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানের বহরে ২১টি উড়োজাহাজ ছিল, যার মধ্যে ১৯টি বর্তমানে নিজস্ব মালিকানাধীন। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ এবং দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার।
বিমান কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, কোম্পানির আরেকটি বড় শক্তি হলো নিজস্ব বহর রক্ষণাবেক্ষণ সক্ষমতা। লাইন রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে বড় ধরনের পরীক্ষা (চেক) পর্যন্ত সবই দেশেই সম্পন্ন করতে পারে বিমান। এ কারণে বিপুল ব্যয় সাশ্রয় হচ্ছে বলে দাবি করেছে কোম্পানিটি।
আরও পড়ুন: বিমানের ফ্লাইটে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমান যাত্রী পরিবহন করেছে ৩৪ লাখ, কার্গো পরিবহন হয়েছে ৪৩ হাজার ৯১৮ টন এবং কেবিন ফ্যাক্টর ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।
এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিমানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ টিকিট বিক্রির রেকর্ড অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান।
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটির ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় রয়েছে— নতুন জনপ্রিয় গন্তব্যে রুট সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা ও পরিচালনায় ডিজিটাল রূপান্তর এবং কার্গো সেবা শক্তিশালীকরণ। সেবা, নির্ভরযোগ্যতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্সে পরিণত হওয়া লক্ষ্যের কথাও জানিয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
১০৮ দিন আগে
বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটিতে শারজাহ-ঢাকা ফ্লাইট সাড়ে ৬ ঘণ্টা দেরি, ব্যাংকক ফ্লাইটেও বিলম্ব
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শারজাহ-ঢাকা রুটের ফ্লাইট বিজি-৩৫২ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে সাড়ে ছয় ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে ওই উড়োজাহাজ দিয়ে পরিচালিত হওয়ার কথা থাকা ঢাকা-ব্যাংকক রুটের ফ্লাইট বিজি-৩৮৮ -তেও।
বিমান সূত্রে জানা যায়, শারজাহ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইট বিজি-৩৫২ ছাড়ার কথা ছিল স্থানীয় সময় মঙ্গলবার(২৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটে এবং ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি সময়মতো ছাড়তে পারেনি। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা বিলম্বের পর স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৪২ মিনিটে ফ্লাইটটি শারজাহ ছাড়ে এবং ঢাকায় পৌঁছে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।
আরও পড়ুন: পাঁচ খাতে সেরা বিমান বাংলাদেশ
সূত্রে আরও জানা যায়, এই বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি দিয়েই পরিচালনা করার কথা ছিল ঢাকা থেকে ব্যাংককগামী বিজি-৩৮৮ ফ্লাইট। ফলে শারজাহ ফ্লাইটের দেরির কারণে ব্যাংকক ফ্লাইটও নির্ধারিত সকাল ১১টায় ছাড়তে পারেনি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংককগামী ফ্লাইটটি দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকা ছেড়েছে।
যান্ত্রিক ত্রুটি সম্পর্কিত বিস্তারিত তদন্ত প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
১২৭ দিন আগে
যান্ত্রিক ত্রুটি: উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রামে ফিরে গেল বিমান
আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-১৪৮-এ উড্ডয়নের কিছু্ক্ষণের পরই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি আবার ফিরে এসে নিরাপদে অবতরণ করে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টা ৩৭ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাত্র ২১ মিনিট পর সকাল ৮টা ৫৮ মিনিটে ফ্লাইটটি শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: ইঞ্জিন-সংক্রান্ত জটিলতায় উড্ডয়নের পরই ঢাকায় ফিরে আসল বিমান
এরপর, আরেকটি ফ্লাইট বিজি-১২২-এ সব যাত্রীকে স্থানান্তর করা হয় এবং সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ওই ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিজি-১৪৮ ফ্লাইটটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮ এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রী নিরাপদে রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে কেউ আহত হননি।
১৩৪ দিন আগে
নারিতা ফ্লাইট বন্ধ: প্রবাসীদের ক্ষোভ, প্রশ্নবিদ্ধ বিমানের সিদ্ধান্ত
লোকসানের দোহাই দিয়ে মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে বন্ধ করা হচ্ছে বিমানের বহুল আলোচিত নারিতা ফ্লাইট। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ফের চালুর মাত্র দেড় বছরের মাথায় এমন একটি ‘প্রেস্টিজিয়াস’ রুট বন্ধ করায় চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে বিমান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমন সিদ্ধান্তে চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাপানে যাতায়াতকারী যাত্রী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যাত্রী চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বহুল প্রত্যাশিত এই রুট বন্ধ করে দেওয়াকে ‘হটকারী ও গর্হিত’ সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন, চলমান বিপুল সম্ভাবনার বাস্তবতা উপেক্ষা করে এমন সিদ্ধান্ত বিমানের ভবিষ্যৎ রুট পরিকল্পনা ও ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এভাবে যদি হঠাৎ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বন্ধই করে দেওয়া হয়, তাহলে চালুরই-বা কী দরকার ছিল? লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে বন্ধ না করে বিমানের উচিত ছিল যেকোনো মূল্যে এটিকে হয় লাভজনক করা, কিংবা অন্তত লোকসান কমিয়ে আনা।
বিমানের এই সিদ্ধান্তে জাপানে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা আগামী পাঁচ বছরে কমপক্ষে এক লাখ লোক জাপানে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিশ্চিত করেছন, ঠিক সে সময়ে নারিতার ফ্লাইট বন্ধ করার মানে কী? এখন যদি লোকসানও হয়, বিপুল সম্ভাবনার সুযোগ তো খুব নিকটেই। তাহলে কেন এই হটকারী সিদ্ধান্ত?
বেশ কয়েকজন জাপান প্রবাসী ইউএনবিকে জানান, দুনিয়ার এয়ারলাইন্সগুলো নতুন নতুন রুট খোলে এবং বহর বাড়ায়, আর আমাদের বিমান চলছে উল্টা পথে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ২০২৩ সালে যখন ঢাকা-নারিতা-ঢাকা রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়, তখন অনেক খুশি হয়েছিলাম। কারণ এর আগে ট্রানজিট নিয়ে দেশে ফিরতে কোনো কোনো দেশের বিমানবন্দরে ২১ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। গত বছর সরাসরি ফ্লাইট চালুর পর আমরা মাত্র ৮ ঘণ্টায় দেশে ফিরতে পারতাম। সাময়িকভাবে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ হলেও আমাদের সেই আগের ভোগান্তিই পোহাতে হবে।
ঢাকা-নারিতা ফ্লাইটের একাল-সেকাল
দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা-নারিতা-ঢাকা রুটে ফের ফ্লাইট চালু করেছিল বিমান। এর আগে ১৯৮০ সালের ২৫ মে প্রথমবারের মতো এই রুটে ফ্লাইট চালু করে রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থাটি। পরে কয়েক দফা চালু ও বন্ধের মুখে পড়ে এটি। ২০০৬ সালে রুটটি একবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে ফের চালু করা হয় নারিতা ফ্লাইট।
সে সময় অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনার ৭৮৭ দিয়ে ফ্লাইট চালু করে বিমান। জাপান প্রবাসীদের মাঝেও তখন বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল। কারণ ওই সিদ্ধান্তের ফলে ঢাকা-জাপান যাতায়তে সময় কমে আসে মাত্র ৬ ঘণ্টায়।
শুরুতে ফ্লাইটে যাত্রীর সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে তা পর্যায়ক্রমে নিম্নমুখী হতে থাকে। তারপর বিমান পর্ষদ এ বছরের মে মাসে সিদ্ধান্ত নেয় যে, ১ জুলাই থেকে নারিতা রুট বন্ধ করা হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার থেকে উড্ডয়নের পর খুলে পড়ল বিমানের চাকা
এর ফলে বাংলাদেশ থেকে জাপানে সরাসরি যেতে আর কোনো ফ্লাইট থাকছে না। যাত্রীদের এখন তৃতীয় দেশের ট্রানজিট ব্যবহার করতে হবে, যা খরচ ও সময়—উভয়ই বাড়াবে। তবে প্রায় দেড় বছর পর রুটটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যাত্রীদের জন্য হতাশাজনক হলেও দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এটি ছিল প্রত্যাশিত।
যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বিমানের সাবেক পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘নারিতা ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়াটা অত্যান্ত দুঃখজনক। একটি দেশে ফ্লাইট চালু করে তা আবার বন্ধ করা গর্হিত অন্যায়। জাপান বন্ধু দেশ, যেখানে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আছে, প্রবাসীরা আছেন। বাংলাদেশের জন্য পর্যটনের বড় উৎস দেশ জাপান। জাপান ফ্লাইটে ট্রাফিক ভালোই ছিল, আরও চাহিদা বাড়ত। এর মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। শুরু করলে ফ্লাইট চালু রাখা উচিত।’
কাজী ওয়াহিদ বলেন, ‘মাথা ব্যথা হলে তো চিকিৎসা দিতে হবে। বিমান তো সেটা না করে এখন মাথাই কেটে ফেলতে চাইছে। নারিতা রুট দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দেশি বিদেশি অংশীজন ও প্রবাসীদের দাবির মুখেই অনেক আশা-উদ্দীপনা নিয়ে চালু করা হয়। এবার লক্ষণও ভালো ছিল, কিন্তু মাত্র দেড় বছরের মাথায় বন্ধ করা দেওয়াটা একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত ওয়ান ইলেভেনের সময় বোয়িং থেকে ব্র্যান্ড নিউ দশটি বিমান কিনেছিলাম। সেগুলো দিয়েই বিমান টিকে আছে। তারপর থেকে বিমান একটি প্লেনও কিনতে পারেনি। এমনকি একটি প্লেন লিজও নিতে পারেনি। পৃথিবীর অনেক এয়ারলাইন্সই প্রেস্টিজিয়াস রুটগুলোতে লোকসান দিয়ে হলেও চালু রাখে। একটি এয়ারলাইন্সও সব রুটেই শুধু লাভের আশায় ফ্লাইট চালায় না। দশটায় লাভ করবে, দুটোতে লোকসান দেবে—এটাই তো নিয়ম। পৃথিবীর অনেক এয়ারলাইন্স লোকসান দিয়ে নিউইয়র্ক, নারিতা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রেস্টিজিয়াস রুটগুলো চালু রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমান একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। যেকোনো দেশে ফ্লাইট চালুর আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করা জরুরি। কিন্তু বিগত সময়ে আমরা দেখেছি, নতুন যেসব রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হয়েছে, তার কোনোটিরই সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। হুট করে সরকারপ্রধান মনে করলেন—নতুন একটি দেশের সঙ্গে বিমানের ফ্লাইট চালু করা দরকার, সেটিই করা হয়েছে। কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই করা হয়নি। ফলে গত পাঁচ বছরে যেসব রুটে বিমানের নতুন ফ্লাইট চালু হয়েছে, এখন সবগুলো লোকসানে আছে।’
এ বিষয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এ টি এম নজরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘ইউএস বাংলা যদি এয়ারক্রাফট ক্রয় করতে পারে, বিমান পারে না কেন? সরকার কখন বিমান কিনে দেবে—এই আশায় তারা বসে থাকে।’
‘লোকসান হলেও নারিতা ফ্লাইট চালু রাখা দরকার ছিল। লোকসান তো হবেই। কারণ অন্যান্য এয়ারলাইন্স থেকে আমাদের বিমানের সিটগুলো কমফর্টেবল নয়। শুধু শ্রমিকদের বিবেচনায় ছিট রাখলে তো হবে না! অন্যান্য ভালো যাত্রীদের চাহিদা মোতাবেক ভালোমানের সিটও থাকা দরকার। তাহলে যাত্রী বাড়াবে।’
আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণ বিমান আছড়ে পড়ল রানওয়েতে, অক্ষত দুই পাইলট
তিনি বলেন, ‘একটি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক রেখেই দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট চালু করা হয়েছে। তাহলে তড়িত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফ্লাইট চালু করলেন কেন? এখন আবার তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে বন্ধই-বা কেন করলেন? এতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়; দেশের বদনাম হয়। লাভ না হলেও বিমানের উচিত ছিল রান করা (চালু রাখা)। দুই বছর না চালিয়ে হঠাৎ করে বন্ধ করাটা ঠিক হয়নি। কীভাবে লাভ করা যায়, সেদিকে নজর দেওয়া দরকার ছিল।’
জাপানের যাত্রীদের এখন তৃতীয় কোনো দেশের ট্রানজিট ব্যবহার করতে হবে, যা খরচ ও সময় উভয়ই বাড়াবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ফ্লাইট বন্ধে বিমান কর্তৃপক্ষের ভাষ্য
এ বিষয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) মো. সাফিকুর রহমান ইউএনবিকে জানান, ক্রমাগত লোকসান হওয়ায় ১ জুলাই থেকে ঢাকা-নারিতা রুটে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রুট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ঢাকা-নারিতা রুটটি কোনোভাবেই লাভজনক নয়। তাই বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
তার ভাষ্যে, ‘প্রতি ফ্লাইটে বিমানের ৯৫ লাখ টাকা লোকসান হয়। এভাবে তো আর লোকসান দেওয়া উচিত নয়। সে কারণে আপাতত বন্ধ করার সিদ্বান্ত নিয়েছে বিমান পর্ষদ।’
এই রুটে ফ্লাইট বন্ধের কারণ হিসেবে বিমান দেখিয়েছে ক্রমাগত লোকসানের মুখে ব্যবসায়িক বাস্তবতা, উড়োজাহাজ ও ক্রু স্বল্পতা।
সংস্থাটির তথ্য অনুসারে, ঢাকা-নারিতা-ঢাকা রুটে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ২২৫টি ফ্ল্যাইটের মাধ্যমে ৮৪ হাজার ৬৭৪ যাত্রী ও ২৩৬৫ টন কার্গো পরিবহন করে বিমান। এতে কেবিন ফ্যাক্টর ছিল শতকরা ৬৯ ভাগ। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, যা ফ্লাইটপ্রতি গড়ে ৯৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
বিমানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, নারিতায় সপ্তাহে দুটো ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়ে সেই ফ্লাইট দিয়ে ঢাকা-মাস্কাট, ঢাকা-দাম্মাম ও ঢাকা-মদিনায় অতিরিক্ত ১টি করে ফ্লাইট চালালে লাভ হবে মাসিক অন্তত ৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই একটি রুট বন্ধ করা হলে অন্য তিনটি রুটকে আরও লাভজনক করা সম্ভব হবে।
১৫৫ দিন আগে
পরিবহন পরিষেবায় অনলাইন টিকেট বুকিং ২০২৫: ঘরে বসে বাস, ট্রেন, ও বিমানের টিকেট কাটার উপায়
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে অনলাইন টিকেটিং ব্যবস্থা। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিবহনে সিট বুকিং-এর জন্য এখন আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার বিড়ম্বনা নেই। স্থল, রেল কিংবা আকাশপথ যে কোনও ভাবে যাতায়াতের জন্য কাঙ্ক্ষিত টিকেটটি ঘরে বসেই কিনে নেওয়া যাচ্ছে। চলুন, বাস, ট্রেন, ও প্লেনের টিকেট ক্রয়ের জন্য সেরা ১০টি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যাপারে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
বাস, ট্রেন, ও প্লেনের সিট বুকিং-এর জন্য শীর্ষ ১০টি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
.
বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস (Bangladesh Railway)
২০১২ সালের ২৯ মে সরকারি ভাবে চালু হয় অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার ব্যবস্থা। তারপর থেকে বিগত এক যুগে অনেকটা পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজিটাল টিকেট পদ্ধতি।
তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিন আগে থেকে ট্রেনে সিট বুকিং দেওয়া যায়। এর জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হয় সাইটটিতে নিবন্ধন করা। এই পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নাম্বার দিতে হয়। এরপরের কাজ স্টেশন, ভ্রমণের তারিখ, ট্রেনের শ্রেণী নির্বাচন। এখানে বিদ্যমান সিটের ভিত্তিতে প্রদর্শিত সিটের তালিকা থেকে এক বা একাধিক সিট বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে।
সবশেষে পেমেন্টের পদ্ধতিতে রয়েছে ক্রেডিট/ডেবিট বা বিকাশের মতো জনপ্রিয় মোবাইল পেমেন্ট গেটওয়েগুলো। পেমেন্ট শেষে প্রাপ্ত ই-টিকিটের প্রিন্ট নিয়ে রেল স্টেশনে পৌঁছতে হয়।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: eticket.railway.gov.bd
Bangladesh Railway–এর নিজস্ব অ্যাপ ‘রেল সেবা’ রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন উভয় প্ল্যাটফর্মের জন্য।আইফোন অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/rail-sheba/id6499584782
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.shohoz.dtrainpwa
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (Biman Bangladesh Airlines)
রাষ্ট্রায়ত্ব এই এয়ারলাইন্সটিতে অনলাইন সিট বুকিং-এর সুবিধা যুক্ত হয় ২০১০ সালে। তাদের ওয়েবসাইট-এ যেয়ে ঘরে বসেই সম্পন্ন করা যায় টিকেট অর্ডার ও প্রাপ্তির কাজ। এখানে গন্তব্য, তারিখ, শ্রেণী নির্বাচন ও ইমেইল আইডি ও মোবাইল নাম্বারসহ যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে হয়।
তারপর ডিজিটাল ব্যাংকিং বা মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম-এর মধ্যে যে কোনওটির মাধ্যমে পরিশোধ করা যায় টিকেটের মূল্য। অবশেষে ই-টিকিট প্রদান করা হয় যাত্রীদের ইমেলে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.biman-airlines.com/
অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই ব্যবহারকারীদের জন্য Biman Bangladesh Airlines-এর রয়েছে বিমান অ্যাপ।
অ্যান্ড্রয়েড প্লে-স্টোর লিঙ্ক:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.BimanAirlines.Biman&hl=en&gl=US
অ্যাপেল অ্যাপ-স্টোর লিঙ্ক: https://apps.apple.com/us/app/biman/id6444130555
আরো পড়ুন: অনলাইন ঈদ শপিং ২০২৫: ঘরে বসে কেনাকাটার জন্য তৈরি পোশাকের শীর্ষ ১০ ব্র্যান্ড
সহজ (Shohoz)
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিবহন মাধ্যমগুলোর ই-টিকেট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এক নির্ভরযোগ্য নাম সহজ। ট্রেনের টিকেটগুলো বিআরআইটিএস (বাংলাদেশ রেলওয়ে ইন্টিগ্রেটেড টিকেটিং সিস্টেম)-এর সাথে যৌথভাবে ইস্যূ করে এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সহজ বাস, ট্রেন, লঞ্চ, প্লেন সব পরিবহনকে একটি একক মঞ্চের আওতায় নিয়ে এসেছে। তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিটি পরিবহন মাধ্যমের জন্য আলাদা ভাবে রওনা হওয়ার স্থান, গন্তব্য, ও যাত্রার তারিখ দেওয়ার পদ্ধতি রয়েছে। এর জন্য অবশ্যই একটি সার্বক্ষণিক ব্যবহৃত ইমেইল ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সরবরাহ করা জরুরি।
মোবাইল কিংবা ব্যাঙ্ক কার্ড-এর মাধ্যমে অর্থপ্রদানের পর টিকেটের সফ্ট কপির লিঙ্ক পাওয়া যাবে ইমেল বা এসএমএসের মাধ্যমে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.shohoz.com/
এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যাবে স্মার্টফোন থেকেও।
গুগল প্লে-স্টোর লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.shohoz.rides
আইফোন অ্যাপ-স্টোর লিঙ্ক: https://apps.apple.com/us/app/shohoz-app/id1354321445?ls=1
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
গোজায়ান (GoZayaan)
বাংলাদেশের অগ্রগামী ওটিএ’র (অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি)-এর মধ্যে গোজায়ান অন্যতম। দেশের ভেতরের ও বাইরের এয়ার ফ্লাইট কেন্দ্রিক টিকেটিং প্ল্যাটফর্মটির পথ চলা শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকে। ই-টিকেটের পাশাপাশি GoZayaan হোটেল, ট্যুর, এবং ভিসা সংক্রান্ত সুবিধাও প্রদান করে থাকে।
এখান থেকে টিকেট অর্ডার করতে হলে প্রথমে অ্যাকাউন্ট
খুলে নিতে হবে। এর অধীনে টিকেট প্রাপ্তি সহ ফ্লাইটের যাবতীয় আপডেট পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটে ফ্লাইট সার্চের পাশাপাশি একাধিক ফ্লাইটের মধ্যে তুলনা করারও ফিচার রয়েছে।
ব্যাঙ্কিং ও মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেমগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলোই থাকায় সব শ্রেণীর গ্রাহকরাই অকপটেই ব্যবহার করতে পারেন।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://gozayaan.com/
এছাড়া আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড উভয় স্মার্টফোন গ্রাহকদের জন্য তাদের নিজস্ব অ্যাপও রয়েছে।
আইওএস অ্যাপ লিঙ্ক: https://apps.apple.com/us/app/gozayaan/id1635126688
অ্যান্ডয়েড অ্যাপ লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.gozayaan.app&hl=en
আরো পড়ুন: খেজুরের রকমফের: জেনে নিন ১০ প্রকার খেজুরের পুষ্টি, স্বাস্থ্যগুণ ও দাম
শেয়ার ট্রিপ (ShareTrip)
ট্রাভেল বুকিং বিডি নামের ছোট্ট ফেসবুক পেজটির উদ্দেশ্য ছিলো প্লেনের টিকেট বিক্রি করা। ২০১৩ সালের এই উদ্যোগের অঙ্কুরে পরের বছর জন্ম নেয় শেয়ার ট্রিপ। এটিই দেশে প্রথমবারের মতো একযোগে ন্যাশনাল ও ইন্টার্ন্যাশনাল দুই ফ্লাইটের জন্য অনলাইন টিকেটিং পদ্ধতি চালু করে।
ShareTrip-এর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন অ্যাপ রয়েছে। এমনকি সব প্ল্যাটফর্মই ফ্লাইটগুলোর রিয়েল-টাইম মূল্য তালিকা প্রদর্শন করে। সাধারণ কর্মদিবস, সপ্তাহান্ত, ও ছুটি বিশেষে অর্থ পরিশোধের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে গ্রাহক ইমেইলের মাধ্যমে ই-টিকিট পেয়ে যান।
বুকিং-এর জন্য অবশ্যই অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। আর এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরবর্তীতে ফ্লাইট বাতিল বা তারিখ পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদনগুলো রাখা যায়।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://sharetrip.net/
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=net.sharetrip&hl=en
আইওএস অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/sharetrip-flight-shop-voucher/id1469335892
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
ফ্লাইট এক্সপার্ট (Flight Expert)
মক্কা গ্রুপ অব কোম্পানি-এর এই ট্রাভেল এজেন্সি ২০১৭ সালের ১ মার্চ নিয়ে আসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিকেটিং পদ্ধতি। অবশ্য এই প্রযুক্তিকে ঘিরে পূর্ণাঙ্গ একটি ওয়েবসাইটের আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০২২-এর ৯ জুলাই। বর্তমানে দেশের প্রথম সারির ফ্লাইট বুকিং সাইটগুলোর মধ্যে Flight Expert অন্যতম।
অন্যান্য এজেন্সিগুলোর থেকে যে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে রেখেছে তা হচ্ছে ‘বুক ন্যাউ (পে লেটার)’ ফিচার। এই প্রক্রিয়ায় অর্ডার নিয়ে কোনও পেমেন্ট ছাড়াই যাত্রীর জন্য টিকেট বুক করে রাখা হয়। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে গ্রাহক টিকেটের অর্থ পরিশোধ করেন। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহককে পেমেন্টের রিমাইন্ডার দেওয়া হয়।
সফল ভাবে অর্থ প্রদানপূর্বক এয়ারলাইন্সের ইস্যূকৃত টিকেটের পিডিএফ ফাইল চলে যায় গ্রাহকের ইমেইল ঠিকানায়।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://flightexpert.com/
ওয়েবসাইট মোবাইল-বান্ধব হওয়া সত্ত্বেও এদের রয়েছে স্বতন্ত্র আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.flightexpert.b2c&hl=en
আইফোন অ্যাপ: https://apps.apple.com/ag/app/flight-expert/id6457255223
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
বিডিটিকেটস (bdtickets)
ঘরে বসে বাসের টিকেট সংগ্রহের জন্য রবি আজিয়াটার এই টিকেটিং পোর্টালটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত। ২০১৫ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকে এরা প্রধানত দেশের আন্তঃনগর বাসগুলো নিয়ে কাজ করে আসছে। বর্তমানে bdtickets প্লেন বা লঞ্চের টিকেটও সরবরাহ করে তবে তার জন্য ১৬৪৬০ নাম্বারে ফোন দিতে হবে।
অন্যান্য টিকেটিং সাইটগুলোর মতো এদেরও রয়েছে নিবন্ধন, টিকেট অর্ডার, এবং পেমেন্ট সিস্টেম। তাদের মোবাইল অ্যাপ একটি; বিডিটিকেটস, যার অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই সংস্করণই আছে।
যাত্রার সময় পরিবর্তন বা বাতিলের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পাদন করা যায় যাত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://bdtickets.com/
স্মার্টফোন থেকে এই কার্য সম্পাদনের জন্য পৃথক অ্যাপও রয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.bluetech.bdtickets.launcher&hl=en
আইওএস অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/bdtickets/id1552613900
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয়
বাইটিকেটস (Buy Tickets)
২০১৮-এর ১৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিমান টিকেটিং কার্যক্রম শুরু করে বাইটিকেট্স। ট্রাভেল এজেন্সি এয়ারস্প্যান লিমিটেড-এর এই উদ্যোগ বর্তমানে দেশের পর্যটন সেক্টরের এক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। বাস, লঞ্চ, বিমানের টিকেট বিক্রির পাশাপাশি এদের হলিডে ট্যুর প্যাকেজ ও হোটেল সেবাও রয়েছে।
উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো Buy Ticketsও গ্রাহকদের জন্য সহজ ইন্টারফেসে টিকেট কেনার সুযোগ দেয়। দেশের সমসাময়িক ওটিএগুলোর মতো এটিও এসএমএস বা ইমেলের মাধ্যমে গ্রাহককে ই-টিকেট সরবরাহ করে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://buytickets.com.bd/
স্মার্টফোন ব্যবহারকারিদের জন্য এই পরিষেবাটি শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে সমর্থিত।
অ্যান্ড্রয়েড স্টোর লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.buytickets.bd&hl=en
আরো পড়ুন: কক্সবাজার ইনানী সমুদ্রসৈকত ভ্রমণ: ঘুরে আসুন প্রবাল পাথুরে সৈকতে
যাত্রী (Jatri)
২০১৯-এ আত্মপ্রকাশ করা এই সাইটটির বিশেষত্ব হলো বাস ট্র্যাকিং-এর সুবিধা। এর মাধ্যমে সম্ভাব্য যাত্রীরা বাসের বর্তমান অবস্থান দেখে তার স্ট্যান্ডে পৌঁছার সময়টি যাচাই করতে পারেন।
যাত্রীর নিজস্ব ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ উভয় মাধ্যমেই এই ফিচারটি রয়েছে। সাইটে নিবন্ধনের পর নির্ধারিত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যাতায়াতের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্য পছন্দের বাসটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
মূল্য পরিশোধের জন্য Jatri-এর রয়েছে বিশেষ ডিমানি যাত্রী কার্ড। এর সাথে ডিজিটাল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ভিসা বা মাস্টার কার্ড যুক্ত করার সুবিধা আছে। ফলে যাত্রীরা তাৎক্ষণিক ভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে যাতায়াতের ভাড়া দিতে পারে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.jatri.co/
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.jatri.jatriuser&hl=en&gl=
আরো পড়ুন: রমজানে রোজা রাখার প্রস্তুতি: দেহ ও মনকে সুস্থ রাখতে করণীয়
পরিবহন.কম (paribahan.com)
এই সাইটটিতে দেশের বর্তমান অধিকাংশ পরিবহন পরিষেবার এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টার্ফেস) সংযুক্তি রয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে বিস্তৃত পরিসরে টিকেটিং সেবা প্রদান করতে পারে।
paribahan.com-এর আওতাভূক্ত পরিবহনগুলো হলো বাস, লঞ্চ এবং বিমান। এগুলোর যে কোনওটির টিকেট কেনার সময় যাত্রীরা নিজের পছন্দ মতো পরিবহন কোম্পানি বাছাই করতে পারেন। একই সঙ্গে দেশের প্রায় সবগুলো অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থার সুবিধা রেখেছে ওয়েবসাইটটি।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://paribahan.com/
তবে অসুবিধার জায়গা হচ্ছে পরিবহন.কম-এর কোনও মোবাইল অ্যাপ নেই।
শেষাংশ
অনলাইনে বাস, ট্রেন, ও বিমানের টিকেট ক্রয়ের এই ১০টি প্রতিষ্ঠান জনসাধারণের যাতায়াত ব্যবস্থার মানোন্নয়ন করেছে। সরকারি দিক থেকে এই বৃহৎ ভূমিকায় অবদান রাখছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস। দেশ-বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে টিকেটিং ব্যবস্থাকে উন্নত করেছে বিমান বাংলাদেশ, শেয়ার ট্রিপ, গোজায়ান, এবং ফ্লাইট এক্সপার্ট। এগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে সহজ, বিডিটিকেট্স, ও বাইটিকেট্স। পিছিয়ে নেই শুধুমাত্র দেশের আভ্যন্তরীণ পরিবহনগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকা যাত্রী এবং পরিবহন। সর্বপরি, এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন কাগুজে টিকেট ব্যবস্থার উৎকৃষ্ট বিকল্প, যা নাগরিক জীবনকে ধাবিত করছে উন্নত জীবন ধারণের দিকে।
আরো পড়ুন: পবিত্র ওমরাতে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি ও কিছু সাবধানতা
২৬৮ দিন আগে
ভারতে বাংলাদেশ বিমানের জরুরি অবতরণ
ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। ঢাকা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ের উদ্দেশে প্রায় ৪০০ আরোহী নিয়ে রওনা দিয়েছিল ফ্লাইটটি। অক্ষত রয়েছেন সব যাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বোসরা জানান, বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে বিজি-৩৪৭, বোয়িং-৭৭৭ এয়ারক্রাফট ৩৯৫ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে দুবাইয়ে উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত আনুমানিক পৌনে ১১টায় মাঝ আকাশে ক্যাপ্টেন একটি টেকনিক্যাল সিগন্যাল পান, যার ফলে কাছাকাছি ভারতের নাগপুর এয়ারপোর্টে জরুরি অবতরণ করেন।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ
তিনি আরও বলেন, নাগপুর এয়ারপোর্টে সব যাত্রীকে অত্যন্ত সুচারুরূপে সবধরনের সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে আজ সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকা থেকে আরেকটি বোয়িং-৭৭৭ নাগপুরের উদ্দেশে রওনা হয়ে ১২টা ৩৯ মিনিটে পৌঁছে গেছে এবং নাগপুরে অপেক্ষমান যাত্রী নিয়ে ইতিমধ্যে দুবাই রওনা দিয়েছে।
যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ দুঃখপ্রকাশ করছে বলে জানান বোসরা ইসলাম।
২৮৭ দিন আগে
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা সপ্তাহ উদযাপন
যাত্রী ও বিমানকর্মীদের মাঝে নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা সপ্তাহ উদযাপন করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. সাফিকুর রহমান প্রধান কার্যালয়ের বলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে নিরাপত্তা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।
বিমানের নিরাপত্তা বিভাগের কার্যক্রমে ২ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ আনুষ্ঠান উদযাপিত হবে।
এ সময় বিমানের পরিচালক ও ঊর্ধতন কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত
বিমানের মহাব্যবস্থাপক নিরাপত্তা মেজর মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিমানের নিরাপত্তা বিভাগ সুনামের সঙ্গে যাত্রীদের ব্যাগেজ, কার্গোপণ্য, এয়ারক্রাফট ও স্থাপনার নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। অত্যাধুনিক বডি ক্যামেরা ও সিসিটিভি সার্ভেইলেন্সের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হয়।
এছাড়াও উড়োজাহাজ থেকে যাত্রী নামার পর কেবিন চেক করে যাত্রীদের ভুলে ফেলে যাওয়া মূল্যবান সামগ্রী উদ্ধার করে যাত্রীদের ফেরত পাঠানো হয়। নিরাপত্তা বিভাগ বিমানের পাশাপাশি অন্যান্য এয়ারলাইন্সকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেবার মাধ্যমেও উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় করে থাকে।’
তিনি বলেন ‘নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বিমান নিরাপত্ত বিভাগ বিমানবন্দরে ও বিমানের বিভিন্ন স্থাপনায় যাত্রী ও বিমানকর্মীদের মাঝে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ব্রিফিং ও লিফলেট বিতরণ করছে এবং ব্যানার স্থাপন করেছে।’
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি: শ্বেতপত্র
৩৬৭ দিন আগে
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স বিষয়ক প্রশিক্ষণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘সুরক্ষা ও নিরাপত্তাই আমাদের অগ্রাধিকার’এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিমানের হাইড্রোলিক বিকল, অল্পের জন্য রক্ষা পেল ১৭৫ যাত্রী
যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে অধিকতর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিমান অর্থ পরিদপ্তরের উদ্যোগে বুধবার ‘আন্তর্জাতিক এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স’ এর ওপর বিমানের সকল কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স ট্রেইনার ডেভিড জর্জ এবং জেমস জনস্টোন।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন- কার্গো পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো. মাহমুদুল আলম, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার ও উপসচিব মো. নওসাদ হোসেন, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট পরিচালক মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট পরিচালক এয়ার কমডোর মো. মনিরুল ইসলামসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম থেকে বিমানের হজ ফ্লাইট শুরু
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ময়লার ঝুড়ি থেকে ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
৫৬৮ দিন আগে
প্রতিষ্ঠানের আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিমানের আর্থিক সক্ষমতা ও ব্যবসায়িক অগ্রগতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার ও পরিবেশনের মাধ্যমে সর্বসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই চেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিমান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপক জনসংযোগ মো. আল মাসুদ খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজ আয় থেকে নিজ পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ ও উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
আরও পড়ুন: উন্নত যাত্রীসেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া হবে: বিমানমন্ত্রী
২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমান বোয়িংয়ের ২টা ৭৩৭-৮০০, ৪টা ৭৭৭-৩০০ই আর, ৬টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এবং ডি হ্যাভিল্যান্ড কোম্পানির ২টি ড্যাস৮কিউ৪০০ উড়োজাহাজ কিনতে ২ হাজার ৯৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে।
এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত ঋণের আসল ও সুদ মিলিয়ে ১ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।
২০২২ সালে একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ২০২৩ সালে ২টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজের সম্পূর্ণ ঋণ নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করেছে বিমান। এই উড়োজাহাজগুলোর মালিকানা স্থানান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
২০২৫ সালে আরও ২টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজের সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করবে বিমান।
আরও পড়ুন: যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে বিমানে ৮৪ জন গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ
করোনাকালে বাংলাদেশ বিমান চলতি মূলধন বাবদ সরকারের দেওয়া আর্থিক প্রণোদনা ঋণ হিসেবে ৭৮৮ কোটি টাকা গ্রহণ করে। পরে বিমান মুনাফা করার সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রণোদনা ঋণের আসল ও সুদ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করে।
বিমানের বহরে লিজে থাকা ২টি ড্যাস-৮-৩০০ এবং ২টি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজের লিজ শেষ হওয়ার পর নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে কিনে নিয়েছে।
বর্তমানে বিমানের বহরে নিজস্ব উড়োজাহাজ রয়েছে ১৯টি।
আরও পড়ুন: বিমানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাবিষয়ক প্রশিক্ষণ
৫৭৩ দিন আগে