কমিশন গঠন
ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়নি: আইন মন্ত্রণালয়
ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কিছু কিছু পত্রিকায় ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন সম্পর্কে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার বক্তব্য বিচ্ছিন্নভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিভ্রান্তি দূর করার স্বার্থে জানানো যাচ্ছে যে, ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত হয়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আইন উপদেষ্টা তার সর্বশেষ বক্তব্যে বলেছেন, সময়মতো রাজনৈতিক দল, ছাত্রনেতৃত্ব ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে কি করা যায়—তা চিন্তা করা হবে।
‘তিনি তার বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যেও বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত গণহত্যার বিচার হওয়ার পর এবং গণঅভ্যুত্থানে পতিত দলটির নেতাদের অনুশোচনা প্রকাশ সাপেক্ষে এ ধরনের কমিশন গঠনের কথা ভাবা যেতে পারে। তার বক্তব্য ছিল, গণহত্যাকারীরা যে জাতি থেকে বিচ্ছিন্ন ও পরিত্যাজ্য এটি প্রতিষ্ঠার জন্যও এধরনের কমিশন গঠনের কথা ভাবা যায়।’
এর আগে গেল ১০ মে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘দেশে একটি ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করা হবে। এই লক্ষ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য প্রধান বিচারপতি ও আইন উপদেষ্টাসহ একটি প্রতিনিধি দল দক্ষিণ আফ্রিকাতে যাচ্ছে। ফিরে এসে এই কমিশন গঠন করার সময় বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ (দ্বিতীয় খসড়া) বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তখন এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন লেখক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি এই খসড়া আইনের বেশকিছু ধারা নিয়ে নিজস্ব মতামত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরি অধ্যাদেশটি পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘অনন্তকাল হানাহানি করে এ জাতির মুক্তি হবে না, তাই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। যারা গণহত্যার মতো, মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো ঘৃণ্য অপরাধ করেছে, তারা খুব বেশিসংখ্যক নয়। তাদের উপযুক্ত ও যথেষ্ট পরিমাণ শাস্তির ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। তারা যে এই জাতির মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন, সেটিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য হলেও ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করতে হবে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘যারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের উপযুক্ত বিচার করে, তাদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার জন্য যা যা করা যায়, সেটি করতে সরকার বদ্ধপরিকর। একই সঙ্গে সরকার গুমসহ বিভিন্ন অপরাধের বিচারের জন্য আইন করে যাবে, যাতে এই অপরাধগুলো ভবিষ্যতে আর না হয়।’
১৬৯ দিন আগে
ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করা হবে: আইন উপদেষ্টা
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘দেশে একটি ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করা হবে। এই লক্ষ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য প্রধান বিচারপতি ও আইন উপদেষ্টাসহ একটি প্রতিনিধি দল দক্ষিণ আফ্রিকাতে যাচ্ছেন। ফিরে এসে এই কমিশন গঠন করার সময় বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
শনিবার (১০ মে) বিকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ (দ্বিতীয় খসড়া) বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি এই খসড়া আইনের বেশকিছু ধারা নিয়ে নিজস্ব মতামত তুলে ধরেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘অনন্তকাল হানাহানি করে এ জাতির মুক্তি হবে না, তাই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। যারা গণহত্যার মতো, মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো ঘৃণ্য অপরাধ করেছে, তারা খুব বেশি সংখ্যক না।’
আরও পড়ুন: উচ্চ আদালতে আমাদের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই: আইন উপদেষ্টা
‘তাদের উপযুক্ত ও যথেষ্ট পরিমাণ শাস্তির ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। তারা যে এই জাতির মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন, সেটাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য হলেও ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের উপযুক্ত বিচার করে, তাদেরকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার জন্য যা যা করা যায়, সেটা করতে সরকার বদ্ধপরিকর। একই সাথে সরকার গুমসহ বিভিন্ন অপরাধের বিচারের জন্য আইন করে যাবে, যাতে এই অপরাধগুলো ভবিষ্যতে আর না হয়।’
সভায় খসড়া অধ্যাদেশটির বিভিন্ন ধারা ও উপধারা নিয়ে পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিষ্ট ফরহাদ মজহার, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মানবাধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেলিন ও সায়েরা রহমান খান, মায়ের ডাক সংগঠনের সমন্বক সানজিদা ইসলামসহ প্রমুখ গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।
২০৮ দিন আগে
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠন করবে সরকার
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম এগিয়ে নিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে সার্চ কমিটি গঠন করবে সরকার।
তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের 'নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ' দৃষ্টিভঙ্গি বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই সার্চ কমিটি ও সংলাপকে অবজ্ঞা করছে: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজ এ মন্তব্য করেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় লিবারেল ডেমোক্রেটস পার্টি ও গণফোরামসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থনকারী ১৪ দলের বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি সরকারের আরেকটি 'আজ্ঞাবহ' ইসি গঠনে কাজ করছে: বিএনপি
গত তিনটি নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করেছেন এবং অবৈধভাবে সংসদে গেছেন তাদের কথাও বলেন তিনি।অনেক আগে থেকেই তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তারা অবৈধভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মাহফুজ বলেন, এটি স্পষ্ট যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে তাদের অংশগ্রহণের (নির্বাচনে) ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে এবং কীভাবে এই বাধা কার্যকর করা হবে তার আইনগত ও প্রশাসনিক দিক রয়েছে। "আপনারা শিগগিরই দেখতে পাবেন। নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু হলে এসব বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাবে।’
১৪ দলসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। মাহফুজ বলেন, সরকার এটি পর্যালোচনা করছে এবং সরকার একা কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।
সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন, সংস্কার, আওয়ামী লীগের আর্থিক অপরাধ, মানুষ হত্যার দায়ে তাদের বিচার এবং আওয়ামী লীগের হাত শক্তিশালী করা শরিকদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেছে।
বিগত তিনটি সংসদকে কীভাবে অবৈধ ঘোষণা করা যায় এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত দিয়েছে।
মাহফুজ বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক তরুণ তাদের ভোট দিতে পারেনি এবং নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে তাদের কীভাবে হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় তা দেখবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, তৈরি পোশাক খাতের স্থিতিশীলতা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আশ্বস্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আজ শনিবার ১০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দলগুলো হলো- গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি(এলডিপি), জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দল, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশ জাসদ (শরীফ নুরুল আম্বিয়া), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।
৪১১ দিন আগে
সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করা উচিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম
নাহিদ ইসলাম বলেন, সামনের দিনগুলোতে সাংবাদিকদের আরও পেশাদারিত্বের জায়গায় নিয়ে আসার মাধ্যমে তরুণদের এই পেশায় সম্পৃক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘সংবাদ মাধ্যম সংস্কার: কেন? কীভাবে?’ শীর্ষক একটি মুক্ত আলোচনায় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লব সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ‘রেজিসটেন্স’ ছিল না। এর ফলে মিডিয়ার ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে এই আন্দোলন নিয়ে অনেক তথ্য প্রচার হয়নি। এর কারণ হাউজের উপরে হাউজ। এর জবাবদিহিতার দায়িত্ব কে নেবে?
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে জিমি আমির বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলের ওয়েজবোর্ড শব্দের মাধ্যমে ডিগনিটির এই পেশাকে খানিকটা খাটো করা হয়। ওয়েজবোর্ড না বলে এটাকে বোর্ড অব স্যালারি অ্যান্ড বেনিফিট করা যায় কিনা? এবং তা পত্রিকা, টিভি, অনলাইন, রেডিও জন্য অভিন্ন করা। পাশাপাশি সব ধরণের সংবাদ মাধ্যমের জন্য একটি অভিন্ন নীতিমালা তৈরি করা। এখন আমাদের সময় হয়ে গেছে খোলাখুলি আলোচনা করার। যদি সংবাদমাধ্যম স্বাধীনভাবে চিন্তা ও কাজ করতে না পারে তাহলে গণতন্ত্র মুখ তুলে দাঁড়াতে পারবে না। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ভেঙে পড়বে। সর্বোপরি দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে থাকবে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা ও গণমাধ্যমসহ বেশ কিছু সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে: নাহিদ ইসলাম
জননিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
৪২৩ দিন আগে
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এজন্য প্রয়োজনীয় আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আইনটি পাস করা হবে।’
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ার আইনজীবী সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উপাত্ত সুরক্ষা যেন হয়, আইনে সে ব্যবস্থাই থাকবে: আইনমন্ত্রী
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসার জন্য নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করবো না বরং বাঙালি ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। ঘাতকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে ষড়যন্ত্র করার জন্য আজকের দিনটিকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
তিনি বলেন, ‘এ দিনে শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয়, তার পরিবারের অন্য ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। খুনিরা জানতেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলে বাংলাদেশকে হত্যা করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশকে চাননি, একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে না থাকলে তাদের আমরা আজ জীবিত পেতাম না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দু’জন খুনির একজন যুক্তরাষ্ট্রে, আরেকজন কানাডায় অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে যিনি আছেন তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোর আলোচনা চলছে। তবে কানাডার আইনে আছে সে দেশে অবস্থানকারী কারো অন্য দেশে মৃত্যুদণ্ড হলে তাকে ফেরত দেয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত বাকি খুনিদের দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় পরিপূর্ণভাবে কার্যকর না করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
সোনার বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না: আইনমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত প্রধানমন্ত্রীর
৮৪২ দিন আগে
পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টিকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠন
পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৬৫ (৩ ধারা) অনুসারে মঙ্গলবার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক মাসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে দুই মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্যও বলেছেন আদালত।
কেবিনেট সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুদকের চেয়ারম্যান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: খুলনার পর্যটন শিল্পের দুয়ার উন্মোচন
পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাবে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরদিন ওই প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের কথা উল্লেখ করে এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন গঠন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও যোগাযোগ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান এবং আইজিপিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পাশাপাশি এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয় ২০৫৭ সালের মধ্যে পরিশোধ করা হবে: ওবায়দুল কাদের
পরে ওই বছরের ২০ মার্চ রুলের জবাব ও প্রতিবেদন দিতে আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে একই বছরের ০৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে কয়েক দফা সময়ের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।
এর মধ্যে কমিশন গঠনের জন্য ২০১৭ সালের ০৯ নভেম্বর একজন সদস্যের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। তিনি হলেন পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কারিগরি) মো. কামরুজ্জামান। পরবর্তীতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়ার রুলটি আর শুনানিতে উঠেনি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: প্রথম দিনে ২ কোটি টাকার বেশি টোল আদায়
১২৫৬ দিন আগে