আ.লীগ নেতা
পিটার হাসকে হুমকি: আ.লীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বাঁশখালী ও কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু।
আরও পড়ুন: পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপের উপায় বের করার আহ্বান পিটার হাসের
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে আদালত কোনো মতামত দেয়নি।
মামলার আসামিরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী, মহেশখালীর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদুল আলম, বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইফতেখার উদ্দিন বাবু, সাজ্জাদ, এহছান, ফরহাদ, নাছির ও সাইফুল।
এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবী ইরফান উদ্দিন বলেন, একজন সম্মানিত ব্যক্তি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এ মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলা গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয় — গত ৬ নভেম্বর বাঁশখালীর এক জনসভায় মুজিবুল হক চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেন।
ওই সময় তিনি বলেছিলেন — ‘পিটার হাস বলছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। পিটার হাস আমরা আপনাকে ভয় পাই না। আমরা মোটা চালের ভাত খাই। আপনি বিএনপির ভগবান। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ ইমান বেচি না। আপনাকে এমন মারা মারব, বাঙালি কত দুষ্টু তখন বুঝতে পারবেন।’
এছাড়াও একইদিন কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ৬ নভেম্বর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন— ফরিদুল আলম।
সেই বক্তব্যের ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ফিরেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
পিটার হাসকে হুমকির বিষয়ে সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে: মার্কিন দূতাবাস
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আ.লীগ নেতা আল মামুনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল মামুন সরকারের মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ একজন জনবান্ধব নেতাকে হারাল।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বাসায় ৬৭ বছর বয়সে মারা যান আল মামুন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন
রাসিক নির্বাচন: গভীর রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাসা থেকে আ.লীগ নেতা আটক
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী মামাকে জিতাতে নির্বাচন কর্মকর্তাকে পক্ষে নিতে গিয়ে আটক হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা।
রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়িতে যান।
আটক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
ওই নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে প্রবেশ করলে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় লোকজন ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা। এ সময় তারা বাড়ি ঘেরাও করে লিমনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করে।
এরপর রাত ১২টার দিকে পুলিশ লিমনকে ওই বাড়ি থেকে বের করে থানায় নিয়ে যায়। লিমনের মামা আব্দুল হামিদ সরকার টেকন নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী।
নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগ নেতা লিমনকে কড়া নিরাপত্তায় ওই বাড়ি থেকে বের করে রাত ১২টার পর পুলিশ ওই বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডিবি পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ওই বাড়িতে অবস্থান করছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন তার মামা কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হামিদ সরকার টেকনের পক্ষে অবস্থান নিতে নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে ম্যানেজ করতে যান। লিমনের সঙ্গে আরও দুইজন ছিলেন। তাদের কাছে টাকার ব্যাগ ছিল। নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে টাকার ব্যাগ নিয়ে লিমন ঢুকেছেন এমন খবরে স্থানীয় লোকজন ওই বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় লিমনের সঙ্গে থাকা দুইজন সেখান থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে বাড়িতে আটকা পরে লিমন।
এদিকে, খবর পেয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। এরপর সেখানে যান পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের লোকজন। খবর পেয়ে লিমনের পরিবারের সদস্যরাসহ তার সমর্থকরা সেখানে আসলে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাসহ স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে লিমনের লোকজন সরে যায়।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে বলিয়েছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
লিমনের বাবা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিসদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। লিমনের আরেক মামা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তার আরেক মামা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই পরিবারটি এবার সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর জন্য কাজ করছেন না বলে অভিযোগ আছে। ডাবলু সরকার মেয়র পদে নির্বাচন করতে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি
রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত বলেন, মীর ইসতিয়াক আহমেদের সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। তারা বাসার ভেতরে ঢুকে টাকা লেনদেন করছিলেন। তখন দরজা সামান্য একটু খোলা থাকায় তারা ফেসবুক লাইভ করে ভেতরে ঢুকছিলেন। তাদের দেখে ইসতিয়াক আহমেদ লিমন শৌচাগারের ভেতরে পালান। তারা তার পিছু নিলে টাকার ব্যাগ নিয়ে অন্য দুইজন পালিয়ে যান।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা লিমনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। কেন তিনি ওই নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে গিয়েছিলেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
বাগেরহাটে আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
বাগেরহাটে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে আনারুল শেখ (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৭ জুন) বিকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত আনারুল শেখ বাগেরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি এলাকার আব্দুল গণি শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সদরের বৈটপুর এলাকার মাছের ঘের থেকে ফেরার পথে পিরোজপুর-বাগেরহাট মহাসড়কের বাগেরহাট মেরিন ইনস্টিটিউটের সামনে হামলার শিকার হন আনারুল।
হামালাকারিরা লাঠিসোটা ও লোহার রড দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে রাস্তার ওপর ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় আনারুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইদিন বিকালে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, মাছের ঘের নিয়ে বাচ্চু শেখের সঙ্গে কালাম বয়াতির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জের ধরে আনারুল শেখকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, পরিবারের কাছে আনারুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছে তার কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
তবে রবিবার সন্ধ্যায় এরিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত থানায় এজাহার পাওয়া যায়নি বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ৬ খুনিসহ ২৬ জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো ‘জল্লাদ’ শাহজাহান
সাংবাদিক রব্বানীর খুনিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন: এমএসএফ
কুমিল্লায় আ.লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা মামলায় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লার আদর্শ উপজেলার উত্তর দুর্গাপুরের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক হত্যাকাণ্ডের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লৌহগং এলাকা থেকে আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কাজী আমানউল্লাহ ও আবু সাঈদ।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে পেটে ইয়াবা বহনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের অপর দুই আসামি কাজী নিজাম উদ্দীন ও জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৯ মে স্থানীয় একটি মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে বাড়ি যাবার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবদুল অদুদ বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ১০ জনসহ অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড প্রার্থনা করা হবে।
রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালযের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে চেতনানাশক ছিটিয়ে চুরি, চক্রের সব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
ফেসবুকে তরুণীর অবৈধ ছবি ছড়ানোর অভিযোগে আ.লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার
ফেসবুকে তরুণীর অবৈধ ছবি পোস্ট করার অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ানীবাজার উপজেলার আশিরগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক আবিদ হোসেন রাফি (২১) বিয়ানীবাজার তিলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আবিদ দীর্ঘদিন ধরে ওই তরুণীকে উত্যক্ত করে আসছিল। বেশ কয়েকটি সালিশ বৈঠক হয়েছে এবং ভবিষ্যতে মেয়েটিকে আর বিরক্ত না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন: সিলেটে আটক ৮ জনসহ ২০০ ছাত্রদল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
সম্প্রতি মেয়েটির পরিবার অন্য জায়গায় তার বিয়ে ঠিক করলে আবিদ তার অবৈধ ছবি ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ওই যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তরুণীর অবৈধ ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ইউএনও’র ওপর হামলার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৪
নড়াইলে আ.লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতি, ৪০ লাখ টাকার মালামাল লুট
নড়াইলে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. হাসানুজ্জামানের বাসায় ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার গভীর রাত পৌনে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে তার বাসার গ্রিল কেটে ডাকাতদল ডাকাতি করে।
মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘রাত ৪টার সময় ৮/১০ জনের ডাকাতদল আমার বাসায় ঢুকে আমার ও আমার স্ত্রীর হাত পা বেধে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা,ডলার, বিদেশি ঘড়ি, বন্ধুক,পিস্তল ও গুলি নিয়ে যায়। এতে আমার আনুমানিক ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ডাকাতদের মুখে মুখোশ ও মাস্ক পরা ছিলো। তাদের ভাষা আমাদের এলাকার আঞ্চলিক ভাষা।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (ক্রাইম) মো. কামররুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
আমরা আশা করছি অচিরেই ডাকাতদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।
আরও পড়ুন: পণ্যের বাজার, সরবরাহ চেইন নিয়ন্ত্রণ করে টাকা লুটপাট করছে আ.লীগ সিন্ডিকেট: বিএনপি
সরকার জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য পাতাল রেল প্রকল্প শুরু করেছে: বিএনপি
টাঙ্গাইলে মহিষের আক্রমণে আ.লীগ নেতাসহ নিহত ৩
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে পাগলা মহিষের আক্রমণে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাতে ঢাকার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন এবং ঢাকায় নেয়ার পথে আরেকজনের মৃত্যু হয়। এর আগে মহিষের আক্রমণে রবিবার বিকালে হাজেরা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন-উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তারুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা হাসমত আলী খান, একই এলাকার কিতাব আলী এবং আজগর আলীর স্ত্রী হাজেরা বেগম।
আরও পড়ুন: মহিষের গুঁতোয় আহত সাবেক এমপি বদি
স্থানীয়রা জানায়, দেলদুয়ারের এলাসিন ইউনিয়নের বারপাখিয়া গ্রামের শরিফ মিয়া কৃষিকাজের জন্য এক জোড়া মহিষ কেনেন। রবিবার একটি মহিষ দড়ি ছিঁড়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় লাউহাটি ইউনিয়নের তারুটিয়া গ্রামের মানুষের ওপর হামলা চালায়। পরে মহিষটিকে ধরতে গিয়ে দুই ঘণ্টায় নারী-পুরুষসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির আলী মৃধা বলেন, সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা গেছেন। এর আগে রবিবার বিকালে এক নারী মারা গেছেন।
এ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো দেড় শতাধিক মহিষ!
বরিশালে চুরি যাওয়া ৭৪টি গরু মহিষ উদ্ধার
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আ.লীগ নেতার মৃত্যু
বগুড়ার শাজাহানপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় খলিলুর রহমান (৫৫) নামে এক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। এসময় তার ছেলে মমেত (২৫) গুরুতর আহত হন। তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সাজাপুর এলাকার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
খলিলুর রহমান বগুড়া সদর উপজেলার পল্লী মঙ্গল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিক বলেন, খলিলুর রহমান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী রজিবুল ইসলাম জানান, খলিলুর রহমান ও তার ছেলে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। এসময় বড় কোনো গাড়ির ধাক্কায় খলিলুর রহমান ঘটনাস্থলেই নিহত হন।স্থানীয়রা সঠিকভাবে বলতে পারছেন না সেটি বাস নাকি ট্রাক ছিল।
তিনি আরও বলেন, লাশ শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তির অবস্থা আশংকাজনক। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন পরোপকারী বরিশালের সাংবাদিক মাসুদ
কুড়িগ্রামে প্রধান শিক্ষককে মারধর: আ.লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি
কুড়িগ্রামের এক শিক্ষককে মারধর করায় এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ পদটিসহ দল থেকে মো. রোকনুজ্জামান রোকনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
শনিবার(২১ জানুয়ারি) রাতে জেলার রৌমারী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সি জি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা।
বক্তব্য পাঠ করার সময় তিনি বলেন, ‘রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. রোকনুজ্জামান রোকনকে উপজেলার ফুলকারচর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুন্নবীকে আমার অফিসকক্ষে কথা বলা ও বাক-বিতন্ডার সময় হঠাৎ তাকে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এটা ঠিক করেননি তিনি। বড় মাপের অন্যায় করেছেন।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি তাৎক্ষণিক কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগকে জানানোর পর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে মো. রোকনুজ্জামান রোকনকে শিক্ষককে মারধর করা এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ পদটিসহ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।’
অন্যদিকে, এ ঘটনায় শনিবার সন্ধায় আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকন, সহযোগী আসাদুজ্জামান ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. নুরুন্নবী।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শিক্ষককে মারধর করার সিসিটিভির ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দলের অনেক নেতা-কর্মী বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুরি যাওয়া মালামাল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
রাঙ্গামাটিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২