বঙ্গভবন
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির দোয়ার আয়োজন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা, মিলাদ ও দো’আ মাহফিলের আয়োজন করেন।
দোয়া মাহফিলে যোগ দেওয়ার আগে দরবার হলে আসরের নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপ্রধান।
আসরের নামাজের আগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাহউদ্দিন ইসলাম, সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
নামাজের পর এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুল কাবির।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণকারী বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্ব ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতে রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্য, সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মচারীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বীর উত্তম সুলতান মাহমুদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
প্রধান স্কাউট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন প্রধান স্কাউট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। রবিবার দুপুরে বঙ্গভবনে বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান রাষ্ট্রপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান এবং স্কাউট ব্যাজ পরিয়ে দেন।
এছাড়াও রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে স্বাতন্ত্র্যসূচক স্কাউট স্কার্ফ পড়িয়ে দেন বাংলাদেশ স্কাউটস সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ।
পরে বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি ও প্রধান জাতীয় কমিশনার বাংলাদেশ স্কাউটসের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অবহিত করেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সংযুক্ত সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খানসহ স্কাউটস নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর: রাষ্ট্রপতি
ভিভিআইপিদের সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না: পিজিআরকে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
বাংলাদেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছেন এনএসইউ’র ভিসি
স্বাধীনতার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কই প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ডেনমার্কের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ এ সমস্যা মোকাবিলায় একযোগে কাজ করতে পারে।
অ্যান্ড গ্রিন ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্ট’ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে একটি যৌথ কর্মপরিকল্পনা সইয়ের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এর ফলে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সক্ষম হবে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ডেনমার্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, ডেনমার্কসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদাররা রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শেষ করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: ভিভিআইপিদের সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না: পিজিআরকে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি বলেন, ডেনমার্ক বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সবসময় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য অভিনন্দন জানান এবং বিদায়ী ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত এখানে তার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংসদ সদস্য রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান এবং প্রধানমন্ত্রীও রাষ্ট্রপ্রধান ও তার স্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক বিদেশ সফরের বিভিন্ন দিক রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি তার সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ডের জেনেভা সফরসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ১৪-১৫ জুন অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' এ যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পরস্পরের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন এবং কুশল বিনিময় করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: রাষ্ট্রপতি
ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে তার সাম্প্রতিক জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে আলোচনা করেন।
জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনি তার সফরের ফলাফল সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সফল সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফর জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ বইটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন।
আরও পড়ুন: সুশাসন নিশ্চিত করতে আইনজীবীরা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন: রাষ্ট্রপতি
বঙ্গভবনের মুখপাত্র আরও জানান, তারা একে অপরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।
এর আগে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বঙ্গভবনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপতির সচিবরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীও রাষ্ট্রপ্রতিকে একটি ফুলের তোড়া উপহার দিয়েছেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে দেশি-বিদেশি অপশক্তিকে প্রতিহত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ গড়তে হবে: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
জনগণের অর্থের যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জনগণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় করা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
রবিবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, বঙ্গভবনে বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বার্ষিক নিরীক্ষা ও হিসাব প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
সাহাবুদ্দিন বলেন, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে অডিটের গুরুত্ব অপরিসীম।
এছাড়া অডিট আপত্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
সিএজি রিপোর্টের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ৪৭টি অডিট ও অ্যাকাউন্টিং রিপোর্ট জমা দেন।
রাষ্ট্রপতির দপ্তর সম্পাদক সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সবার জন্য ভালো কিছু করুন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি
বঙ্গভবনের ইতিহাস সমুন্নত রাখতে জনগণের জন্য কাজ করুন: রাষ্ট্রপতি
দেশের উন্নয়নে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ রবিবার বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি সেনাবাহিনীর উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সবার জন্য ভালো কিছু করুন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সেনাবাহিনীর কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে সেনাবাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরব উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
বৈঠকে সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতিকে তার সাম্প্রতিক ভারত সফরের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনের ইতিহাস সমুন্নত রাখতে জনগণের জন্য কাজ করুন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বিডিইউ উপাচার্যের অভিনন্দন
বঙ্গভবনের ইতিহাস সমুন্নত রাখতে জনগণের জন্য কাজ করুন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাদের দায়িত্বের প্রতিটি স্তরে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গভবনের সুনাম বাড়ানোর কথা আমাদের ভাবতে হবে কারণ এর দীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। আপনারা সবাই বঙ্গভবনের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। আপনারাও বঙ্গভবনের প্রতিনিধি।’
বুধবার সকালে বঙ্গভবনের দরবার হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশনা দেন।
রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তিনি বঙ্গভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বিডিইউ উপাচার্যের অভিনন্দন
তারা জনগণের সেবক, তাদের প্রভু নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে জনগণ তাদের প্রত্যাশিত সেবা সহজে পায়।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং আপনার (বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের) প্রতিটি কর্মকাণ্ড সেবামুখী হওয়া উচিত যাতে জনগণ আপনার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পারে।
বঙ্গভবনের ইতিহাস তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গভবনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে নিষ্ঠা, সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সততা ও ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক ও আলোকিত জনপ্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা সরকারের আইন, বিধি-বিধান দ্বারা পরিচালিত হবেন।
তিনি আরও বলেন, মনে রাখবেন সব আইন জনগণের কল্যাণের জন্য প্রণীত হয়।
বঙ্গভবনকে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে কর্মরত প্রতিটি কর্মীর কঠোর শ্রম, মেধা ও আন্তরিকতা মিশে আছে।
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গভবনের ইতিহাস শুধু গৌরব ও মর্যাদারই নয়, কিছু জঘন্য অপরাধেরও সাক্ষী। খুনি চক্রের সদস্যরা এই বঙ্গভবনে বসে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র করেছিল।’
তারা জনগণের সেবক, তাদের প্রভু নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে জনগণ তাদের প্রত্যাশিত সেবা সহজে পায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তারা বাংলার মাটি ও মানুষের হৃদয় থেকে তার আদর্শকে মুছে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তারা তা করতে পারেনি।
সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আজ শুধু বাংলাদেশিদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়নের পথে। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ভূমিকা রাখতে বলেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যোগ দিয়েছে।
উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বানও জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীনসহ বঙ্গভবনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতকে আরও বড় ভূমিকা রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির গভীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি হামিদকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গভবন
বুধবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে জানান, ২৪ এপ্রিল সকাল ১১টায় হামিদের উত্তরসূরি মো. শাহাবুদ্দিন শপথ নেওয়ার পরই দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিদায় অনুষ্ঠান শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপতিকে এত বড় বিদায় দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
আগামী ২৪ এপ্রিল দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হবে।
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের ২০ মার্চ তিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন। একই বছরের ১৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি। তিনি ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন
বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল গ্রাউন্ডে বিদায়ী গার্ড অব অনার প্রদানের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে। শেষে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির গার্ড অব অনার বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে একটি খোলা ফুলে সজ্জিত জিপে ফোয়ারা এলাকা থেকে প্রধান ফটকের দিকে যাত্রা করবেন।
জয়নাল বলেন, বঙ্গভবনে তার দীর্ঘ অবস্থানের সমাপ্তি শেষে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে একটি ভিভিআইপি মোটর শোভাযাত্রায় নগরীর নিকুঞ্জ এলাকায় তার নতুন বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হবেন।
ক্রেডেনশিয়াল গ্রাউন্ডে গার্ড অব অনার এবং প্রধান ফটকে স্যালুট গার্ড প্রদান করবে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্ট। অন্যদিকে অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে বহন করবে সুন্দর সাজানো গাড়ি। বঙ্গভবনের সব কর্মকর্তারা দুই দলে ভাগ হয়ে গাড়ির সামনে দড়ি টেনে দাঁড়াবেন। তারপর এটি সামনে অগ্রসর হবে।
বঙ্গভবনের ভিতরে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং পিজিআর সদস্যরা ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেবেন এবং হামিদ বঙ্গভবনকে বিদায় জানিয়ে একটি খোলা জিপে বঙ্গভবন থেকে প্রস্থান করবেন।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রপতির
গত ১৭ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সম্মানে বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, তিনি রাষ্ট্রপতি হলেও নিজেকে সব সময় দেশের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই মনে করতেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, রাষ্ট্রপতির পদকে দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করে তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন।
বঙ্গভবনের উন্নয়নে তার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গভবন মর্যাদার প্রতীক।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ আবদুল হামিদ ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
হামিদ আইন অনুযায়ী অবসর ভাতা, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ শুধু সংস্কার করা এয়ার রেইড শেল্টার ও বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করেননি, জনসাধারণের জন্য উন্মুক্তও করেন।
বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘরকে বাঙালির শতবর্ষের বর্ণাঢ্য ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গভবনের সমৃদ্ধ ইতিহাস সংরক্ষণ ও তা জাতির ভবিষ্যত প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে বঙ্গভবন উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে তোশাখানা ও এয়ার রেইড শেল্টার হাউসের আধুনিকীকরণ এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়।
তোষাখানা বাড়িগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারের উপহার দিয়ে সজ্জিত।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে শেষবারের মতো বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে শেষবারের মতো বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। রাষ্ট্রপতির মেয়াদ আগামী সপ্তাহে (২৪ এপ্রিল) শেষ হতে চলেছে।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাতে তার সাম্প্রতিক কাতার সফরসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইফতারে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
ইফতারের আগে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন ২৪ এপ্রিল
স্বাধীনতা দিবস: বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি