তারেক
নির্বাচন বানচালের ‘অশুভ শক্তি’র চেষ্টার বিষয়ে সতর্ক করলেন তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন বানচালের ‘অশুভ শক্তির নোংরা প্রচেষ্টা’ ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে আমি বলেছিলাম, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। এখন মানুষ লক্ষ্য করতে শুরু করেছে যে সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ নষ্ট করার জন্য অশুভ শক্তির অপচেষ্টা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে।’
পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রিজভী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে (আইইবি) ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যখন ক্ষমতাচ্যুত, পরাজিত ও পলাতক স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের অধিকার সমুন্নত রাখার পথে হাঁটছে, তখন কিছু রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য নির্বাচনের নামে শর্ত আরোপ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি করে তারা পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনী পথে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে।’
৯৫ দিন আগে
বিএনপির সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে জনগণের সমর্থন চাইলেন তারেক
আগামী সাধারণ নির্বাচনের অনুষ্ঠানে রোডম্যাপ ঘোষণা করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার(৬ আগস্ট) নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে ভার্চুয়াল ভাষণে তারেক বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যেই জনগণের সামনে দলের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে তারা কীভাবে শাসন করবে, রাষ্ট্র পরিচালনা করবে এবং রাজনীতি করবে—তা তুলে ধরেছে।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে সংস্কার প্রস্তাব করেছে। বিএনপি দেশ ও জনগণের কল্যাণে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে জনসমর্থন কামনা করে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গতকাল (জাতীয়) নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি সময়সীমা ঘোষণা করেছে, যার লক্ষ্য ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের কাছে জবাবদিহিতাপূর্ণ একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। সরকার জনগণের ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছে। আমরা বাস্তবায়নের এই উদ্যোগগুলো স্বাগত জানাই।’
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে ভার্চুয়াল ভাষণে তারেক রহমান এই মন্তব্য করেন।
পড়ুন: নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণায় বিএনপির বিজয় হয়েছে: মঈন খান
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। কারণ, তারা বর্তমানে জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার যাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
ফ্যাসিবাদী শাসনের দমনমূলক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তারেক বলেন, শুধুমাত্র ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
এই মুহূর্তটিকে গণতন্ত্রপ্রেমী নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি দুর্দান্ত সুযোগ উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, যদি রাজনৈতিক সম্প্রীতি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে এই সুযোগ কাজে লাগানো যায়—তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভাই, বোন, সন্তান এবং আত্মীয়স্বজনের জীবনের বিনিময়ে কাউকে আর কখনও রক্তাক্ত ২০২৪ সালের মতো ঘটনা দেখতে হবে না। আমি ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, বলতে চাই যে, একজন নাগরিক হিসেবে আপনার নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার, আপনার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার, বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে।’
ফ্যাসিবাদী শাসনামলে রাজনৈতিক কর্মী, সাধারণ জনগণ নির্বিশেষে কেউ নিরাপদ ছিল না এবং তাদের সমস্ত গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল—এটি সবাইকে মনে রাখার আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বলেন, ‘গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণের জন্য পুরো দেশকে একটি বর্বর কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল—আয়নাঘর (একটি গোপন কারাগার)।’
পড়ুন: নির্বাচনের ঘোষণা গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে: বিএনপি মহাসচিব
তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন ছাড়া, পুরুষ হোক বা নারী, সংখ্যালঘু হোক বা সংখ্যাগরিষ্ঠ—কেউই নিরাপদ থাকতে পারে না।
তারেক আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র ও সরকারে জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় আমাদের কাজ হলো—রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও অনুশীলন করা।’
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য স্বাভাবিক। তবে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়গুলো সমাধান করা উচিত। ‘আমরা, গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর জাতীয় সংসদে একে অপরের দিকে কখনও মুখ ফিরিয়ে নেওয়া উচিত নয়। বরং, জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সমাবেশে বক্তব্য দেন।
২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে দলের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশটি আয়োজন করে বিএনপি। পরে পাশের সড়কে একটি মিছিল বের করা হয়।
১২০ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারকে ভুল পদক্ষেপ, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্তের বিষয়ে সতর্ক করলেন তারেক
অন্তর্বর্তী সরকারের যেকোনো ভুল সিদ্ধান্ত দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এবং ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ও মৌলবাদের উত্থানের পথ উন্মুক্ত করে দিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘সরকারের যেকোনো ভুল পদক্ষেপ গণতন্ত্রের যাত্রাকে সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ এবং মৌলবাদ মাথা উঁচু করতে পারে। তাই, আমাদের সকলকে, বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।’
আশুলিয়ার শ্রীপুরে দারুল ইহসান মাদরাসা মাঠে বুধবার (৩০ জুলাই) বিএনপির ঢাকা জেলা শাখা আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে ভার্চুয়াল ভাষণে তারেক রহমান এই মন্তব্য করেন।
২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় আশুলিয়ায় নৃশংস ঘটনার শিকারদের স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আন্দোলনের সময় আশুলিয়া থানার কাছে শহীদদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
পড়ুন: খালেদা জিয়া সুস্থ, নির্বাচনে অংশ নেবেন: আবদুল আউয়াল মিন্টু
ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের উল্লেখ করে তারেক বলেন, জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে আশা করেছিল তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার হবে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে না দিয়ে, তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে কাজ করার পরিবর্তে খারাপ কৌশল অবলম্বন করতে পারে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘নির্বাচনী অগ্রাধিকার নির্ধারণে প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা অন্তর্বর্তী সরকার প্রদর্শন করছে কিনা তা নিয়ে জনগণের মধ্যে একটি গুরুতর উদ্বেগ ও প্রশ্ন রয়েছে।’
তারেক আরও সতর্ক করে বলেন, পরাজিত ও পলাতক ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলো তাদের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য সরকারের কোনো ভুলের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে, শত শত শহীদের রক্তপাতের পরও পতিত, পলাতক, পরাজিত এবং ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলো ছায়ায় লুকিয়ে আছে, ফিরে আসার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিভেদ তৈরি না করার আহ্বান জানান, যাতে দেশের গণতন্ত্র আবার বাধাগ্রস্ত না হয়।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে রাজনৈতিকভাবে অনেক কিছু বলা এবং ব্যাখ্যা করা হচ্ছে এবং গণতন্ত্রে এটি স্বাভাবিক। কিন্তু এমন কিছু করবেন না— যা আবারও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ক্ষতি করতে পারে।’
পড়ুন: দেশে জনগণের প্রতিনিধিত্বের সরকার খুবই জরুরি: মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা আরও সতর্ক করে বলেন, ছোটখাটো বিষয়ে অপ্রয়োজনীয় বিরোধ ‘ফ্যাসিবাদী হাসিনার প্রত্যাবর্তন’র পথ প্রশস্ত করতে সাহায্য করতে পারে।
তিনি দ্রুত তাদের মতপার্থক্য ভুলে এবং দেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সকল রাজনৈতিক শক্তির ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, আমাদের বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার এবং একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসার আহ্বান জানাই। আসুন একটি সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করি।’
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বাংলাদেশের মানুষ ও মাটির সন্তানদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে—এমন ঘটনায় তিনি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।
বিএনপির এই নেতা হতাশা প্রকাশ করেন যে, সরকার এখনও গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে পারেনি।
ক্ষমতায় থাকার জন্য নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পথ বেঁছে নেওয়ার অভিযোগ করে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে শেখ হাসিনা যে নৃশংসতা চালিয়েছেন—তার জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
১২৭ দিন আগে
রাজনৈতিক স্বার্থে শহীদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করার আহ্বান তারেকের
জাতীয় নির্বাচন ব্যাহত করার লক্ষ্যে ধূর্ত কৌশলের মাধ্যমে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে পেশাজীবী পরিষদের এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে নির্যাতনের শিকার শহীদ এবং পেশাজীবী পরিবারগুলোর সম্মানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমি আমার জায়গা থেকে বলছি, যারা পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন এবং জনগণের অধিকার রক্ষার কাজ করার পরিবর্তে রাষ্ট্র ও সরকারের উপর নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে বিভিন্ন প্রতারণামূলক কৌশল ব্যবহার করছেন—তাদের প্রতি আমি বিনীত আবেদন জানাতে চাই, দয়া করে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না।’
তারেক অভিযোগ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘাড়ে বন্দুক রেখে নির্দিষ্ট মহল ক্ষমতায় তাদের প্রভাব ধরে রাখতে, সরকারকে প্রভাবিত করতে এবং বিভিন্ন উপায়ে তাদের নিজস্ব সুবিধা নিশ্চিত করতে চায়। ‘তারা কৌশলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। এটি এখন ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষ এ বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেছে।’
পড়ুন: উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় তারেকের শোক
বিএনপি নেতা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব কোনো একক গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলের নয়, কারণ সর্বস্তরের মানুষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন। চলমান রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ ও মেরুকরণের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের আত্মত্যাগ আমরা যেন ভুলে না যাই।’
তারেক আরও বলেন, নতুন রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে প্রতিদিন নতুন নতুন দাবি উঠলেও জাতিকে শহীদদের আত্মত্যাগ ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘শাসকরা হয়তো বদলে গেছেন, কিন্তু শাসনের প্রকৃতি একই রয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। জনগণের মধ্যে যদি এই ধরনের ধারণা তৈরি হয়—তাহলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের প্রক্রিয়ায় এটি একটি গুরুতর সংকট তৈরি করবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এজন্যই আমি বারবার বলতে চাই, ফ্যাসিবাদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছিলেন, জাতির বীর সন্তানদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ করার এখন সময় এসেছে।’
পড়ুন: রাজনীতিতে সমস্যা থাকবে, তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই: ফখরুল
বক্তব্যের শুরুতেই তিনি রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) একটি প্রশিক্ষণ বিমানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, তিনি ইতোমধ্যেই দলীয় নেতা-কর্মীদের হতাহতদের পাশে দাঁড়ানোর এবং আহতদের সকল প্রকার সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনার কারণে অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত করা হয় এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য না দিয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
১৩৬ দিন আগে
আ. লীগ নেতাদের দমন-পীড়নকে কারবালা ট্র্যাজেডির সঙ্গে তুলনা করলেন তারেক
আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুত নেতাদের পরিচালিত নির্মম দমন-পীড়নকে কারবালায় ইয়াজিদ বাহিনীর করা নিষ্ঠুরতার অনুরূপ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শনিবার (৫ জুলাই) এক বার্তায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার গত ১৬ বছর ধরে ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে চরম নিপীড়ন ও অবিচারের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, জোরপূর্বক গুম করেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করেছে, সহিংসতা, অস্থিরতা এবং বিদেশে জনগণের অর্থ পাচার করেছে।’
তারেক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছিল এবং তার যথাযথ চিকিৎসা প্রদান থেকে বঞ্চিত করে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া নিষ্ঠুর আওয়ামী লীগ নেতাদের পরিচালিত নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর বর্বরতার মতই।’
তারেক বলেন, ইমাম হোসেন (রা.) এবং তার ঘনিষ্ঠ সাহাবীদের ত্যাগের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশে জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জাতিকে অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইমাম হোসেনের বাহিনীর যুদ্ধ আমাদের সর্বদা সকল প্রকার অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে অনুপ্রাণিত করবে, যাতে এই ধরণের নিষ্ঠুর অত্যাচারীরা আর কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।’
বিএনপি নেতা শহীদ হযরত ইমাম হোসেন (রা.), তার শহীদ পরিবারের সদস্য এবং সাহাবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন।
পড়ুন: জামায়াত ‘ঘোলা পানিতে’ মাছ শিকারের চেষ্টা করছে: অভিযোগ রিজভীর
তিনি বলেন, ‘এই দিনে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) কারবালার ভূমিতে অন্যায়, নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেন। এটি শোক, শ্রদ্ধা ও ত্যাগের দিন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, পার্থিব অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইমাম হোসেনের প্রতিবাদ এবং তার ত্যাগ বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের জন্য, সেইসঙ্গে সমগ্র মানবতার জন্য এক গৌরবময় ও কালজয়ী উদাহরণ হয়ে আছে।
তিনি বলেন, ইমাম হুসাইন (রা.)-এর বেদনা ও শাহাদাত এবং ইসলামকে সমুন্নত রাখার জন্য তার আত্মত্যাগ বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার এক শক্তিশালী উৎস হিসেবে কাজ করে চলেছে। ‘একই সঙ্গে, এই ঘটনা ঐশ্বরিক ন্যায়বিচার, ধার্মিকতা, ত্যাগ এবং মানবিক মর্যাদার বার্তাও প্রকাশ করে।’
তারেক বলেন, হযরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাত অন্যায়, নিপীড়ন এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আদর্শিক সংগ্রামের এক অতুলনীয় উদাহরণ।
তিনি বলেন, ‘ইমাম হুসাইনের (রা.) সহযোগীরা ক্ষমতার লালসায় অন্ধ হয়ে ন্যায়বিচার ও মানবতাকে পদদলিতকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কারবালায় ইমাম হুসাইনের (রা.) অনুসারীদের শাহাদাত বিশ্বজুড়ে নির্যাতিত ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে প্রতিটি যুগে এবং প্রতিটি দেশে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে অনুপ্রাণিত করছে।’
১৫২ দিন আগে
পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দেশকে বিভক্ত করবে, সতর্ক করে ঐক্যের আহ্বান তারেকের
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচন ব্যবস্থা বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত কিনা—তা সাবধানতার সঙ্গে বিবেচনা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘জনগণের ঐক্য এখন আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি (পিআর) বিভক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে।’
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য এবং গণতান্ত্রিক যাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তারেক রহমান এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি তুলেছে। যদিও বিশ্বের কিছু দেশে এই নির্বাচন ব্যবস্থা রয়েছে। তবে দেশের বর্তমান বাস্তবতা এবং এর ভৌগোলিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আমি সকলকে সাবধানতার সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানাচ্ছি—এটি দেশের জন্য এই মুহূর্তে কতটা উপযুক্ত, অথবা আদৌ উপযুক্ত কিনা।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে হবে।
পড়ুন: ঐক্য ধরে রেখে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্য আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে বিনীতভাবে আবেদন জানাতে চাই যে, আপনারা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুন—আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা জাতীয় ঐক্যের পরিবর্তে একটি বিভক্ত সমাজ এবং একটি অস্থিতিশীল সরকার তৈরি করতে পারে কিনা।’
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়ায় এখন একটি গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এসেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও একটি সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করা প্রয়োজন।
এসময় গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ বা আহতদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন—তাদের মানুষ যেমন ভুলে যায়নি, তেমনি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা শহীদ হয়েছেন—তাদেরও জাতি ভুলবে না।
তারেক বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে, তার দল শহীদদের সম্মানে তাদের নামে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনার নামকরণ করবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় প্রায় ৭০০ বিএনপি নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, গত ১৭ বছরে আরও অনেককে হত্যা করা হয়েছে, জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে, অথবা বিভিন্ন ধরণের দমন-পীড়নের শিকার হতে হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের জন্য ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৬০ লাখ মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, গণঅভ্যুত্থান একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি করেছে।
বিএনপি রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তন এবং একটি গণতান্ত্রিক দেশ গড়ে তোলায় বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের অনেক আগে তার দল রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ২৭ দফা রূপরেখা পেশ করেছিল—পরে ৩১ দফা করা হয়।
পড়ুন: অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নির্বাচিত সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী হিসেবে চিত্রিত করার জন্য একটি মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে—যা সত্য নয়।
রাজনৈতিক দলগুলোকে বিএনপিকে শত্রু হিসেবে না দেখার বা সমালোচনা না করার আহ্বান জানান ফখরুল। বলেন,এটি জাতীয় ঐক্যের জন্য সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল এবং গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘ঐক্য ও গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আমরা কোনো আপস করব না। একটি উদার গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং সংসদে পরিবর্তন চাই। আমি সকলকে এটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করতে অনুরোধ করছি।’
জুলাই সনদ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যেই এটি চূড়ান্ত করার জন্য সমর্থন জানিয়েছে। ‘এখন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব সরকারের।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, কিছু মহল সূক্ষ্মভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে, কারণ দলের পরবর্তী নির্বাচনে জয়লাভের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতিকে বিভক্ত করার জন্য বিএনপিকে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা চলছে। ‘অনেকগুলো দল নির্বাচন ব্যাহত করার জন্যও বিভিন্ন দাবি তুলছে—যা জাতীয় অনৈক্যের কারণ হচ্ছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনে এটি একটি আমাদের শক্তি হবে।’
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে জাতির স্বার্থে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এতে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, নেজাম ই ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেএসডির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান প্রমুখ।
পড়ুন: নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী চীন: ফখরুল
১৫৬ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেকের বৈঠক অনেক রাজনৈতিক দলের মনে জ্বালা ধরিয়েছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক অনেক রাজনৈতিক দলের মনে জ্বালা ধরিয়েছে। তিনি বলেন, অনেকেই এটা মেনে নিতে পারছে না। কেউ কেউ উস্মা প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (১৪ জুন) বিকালে গাজীপুরের ভবানীপুর এলাকায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আমাদের কিছু রাজনৈতিক দল উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তারা ৭১ সালের জনগণের বিরোধিতা করেছেন। ৯১ সালে হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করেছেন। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেবে এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে বলে মন্তব্য করেন। তাহলে রাজনীতি মানে কি। তাদের রাজনীতি ভুলে ভরা আর বিএনপির রাজনীতি ইতিবাচক রাজনীতি।
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের বৈঠক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে যদি নির্বাচন হয়, তবে এর চাইতে উপযুক্ত সময় আর নেই। এসময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। আর এপ্রিল মাস! তখন প্রচন্ড গরম, ঝড়, হজ্ব, কোরবানির মওসুম। রমজান মাসে কি প্রচারণা করা যায়!
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে, আবহাওয়া ভালো থাকে, রমজান নেই, পরীক্ষা নেই।
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে কত অপপ্রচার চালানো হয়েছে, কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। শেখ হাসিনার অন্যায়ের কাছে তিনি মাথানত করেননি। হাসিনা নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করেছে, গণতান্ত্রিক অধিকার নষ্ট করেছে।
ভারতের পুশ-ইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুশ-ইনের মাধ্যমে ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অগ্রাহ্য করে তারা এটি করতে থাকলে—এর দায় তাদের নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন দিতে রাজি প্রধান উপদেষ্টা: ফখরুল
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক একেএম ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, কেন্দ্রীয় সহ স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান ও ওমর ফারুক শাফিন প্রমুখ।
১৭৩ দিন আগে
ইউনূস-তারেকের বৈঠক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করেছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে হওয়া বৈঠক নির্বাচন অনিশ্চয়তা দূর করেছে। তিনি বলেন, রমজানের আগে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ফলপ্রসূ ঐকমত্যের মাধ্যমে নতুন আশা জাগিয়েছে বৈঠকটি।
শুক্রবার (১৩ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আসন্ন রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে এই বৈঠকে ফলপ্রসূ ঐকমত্য অনিশ্চয়তা দূর করেছে এবং দেশের জনগণের জন্য স্বস্তি ও নতুন আশার বার্তা এনেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, লন্ডনে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পূর্ব ঘোষিত প্রতিকূল এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময়সূচি থেকে সরে এসে সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও অর্জনকে সংযুক্ত করে একটি যৌক্তিক সময় নির্ধারণের জন্য আমরা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধান উপদেষ্টা জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এটি প্রশংসার যোগ্য পদক্ষেপ।
'সবার আগে বাংলাদেশ' নীতি হৃদয়ে ধারণ করে বিএনপি নেতা বলেন, তারেক রহমান সর্বদা প্রমাণ করেছেন যে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব এবং স্থিতিশীলতা।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন দিতে রাজি প্রধান উপদেষ্টা: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘তিনি (তারেক) সময়ের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে ছাড় দিয়ে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যাত্রায়, তিনি কেবল রাজপথে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী নেতাই নন, বরং সংলাপের টেবিলে এবং গঠনমূলক সম্পৃক্ততায়ও সমানভাবে দক্ষ এবং দূরদর্শী।’
প্রধান উপদেষ্টাকে 'নো ওয়ান ইজ টু স্মল টু মেক আ ডিফারেন্স' এবং 'নেচার ম্যাটার্স: ভাইটাল পোয়েমস ফ্রম দ্য গ্লোবাল মেজরিটি' শীর্ষক দুটি বই এবং একটি কলম উপহার দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, তারেক রাজনৈতিক সৌজন্য এবং জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্রীয় চিন্তাভাবনার একটি নতুন ধারার সূচনা করেছেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে এই সৌহার্দ্যপূর্ণ বোঝাপড়া গণতন্ত্র, বাংলাদেশের ও জনগণের বিজয় আনবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের মধ্যে এই সম্প্রীতি ও ঐকমত্যের মাধ্যমে গণতন্ত্র গণতন্ত্র, বাংলাদেশ এবং এর জনগণের বিজয়ের দিকে পরিচালিত করবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, এখন প্রত্যাশা হলো অন্তর্বর্তী সরকার তার ঘোষিত অবস্থান অক্ষুণ্ণ রেখে আগামী রমজানের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু করবে।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে নির্বাচন সম্ভব: তারেককে ড. ইউনূস
সাধারণ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনার পর অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেকের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, শুক্রবার লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টা (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত বৈঠক চলে। এটি বিকাল ৪টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরিকল্পনার আধা ঘণ্টা আগে শেষ হয়।
১৭৪ দিন আগে
ড. ইউনূস-তারেকের বৈঠক শেষ
বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বহুল আলোচিত বৈঠক শেষ হয়েছে।
লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় এই বৈঠক শুরু হয় এবং বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত চলে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বহুল আলোচিত আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে হোটেলে পৌঁছালে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে নিয়ে দুপুর ১টার দিকে লন্ডনের বাসভবন থেকে সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান।
সকালে দ্য ডরচেস্টারের সামনে জড়ো হওয়া বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার কয়েকশ নেতা-কর্মী তারেক রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
এদিকে, ড. খলিলুর রহমান ও বিএনপি নেতা আমীর খসরু দ্য ডরচেস্টার হোটেলে পৃথক বৈঠক করেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেন, আমীর খসরু প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মধ্যে বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন।
আরও পড়ুন: লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক শুরু
উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকটি এরই মধ্যে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছে।
সকলের দৃষ্টি এখন লন্ডনের দিকে, কারণ অনেকেই আসন্ন নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে এটিকে একটি সম্ভাব্য মোড় হিসেবে দেখছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, নির্বাচনের সময়সূচি, প্রস্তাবিত সংস্কার, জুলাই সনদ, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের অনুমোদন, অন্তর্বর্তী প্রশাসনের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রস্থান কৌশল ও তারেক রহমানের বাংলাদেশে সম্ভাব্য ফিরে আসা সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
বিএনপি নেতারা এই বৈঠককে নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে টানাপোড়েন নিরসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করেন। একই সঙ্গে তারা পরামর্শ দেন যে সময়সূচি সামঞ্জস্যপূর্ণ করা আলোচনার একটি প্রধান বিষয় হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের সাক্ষাৎ: আলোচনার এজেন্ডা ও ফলাফল কী হতে পারে?
১৭৪ দিন আগে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্ষমতা নিয়ে সংশয় বাড়ছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশ ত্যাগসহ সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্রমশ সংশয় তৈরি হচ্ছে।
শুক্রবার (৯ মে) খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ি এলাকার এক মিলনায়তনে ইস্টার রিইউনিয়ন উপলক্ষে বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তারেক রহমান বলেন, 'আমরা যদি সাম্প্রতিক ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করি, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালনে সক্ষমতা নিয়ে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ও পেশাজীবীদের মধ্যে সংশয় বৃদ্ধি দেখতে পাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের কাছে তার দল দায়বদ্ধ। তাই একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনিপি এখনও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আমাদের নয়, সরকার-নির্বাচন কমিশনের: মঈন খান
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনকে র্যাব সদস্যরা অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, 'আমাদের সহকর্মী কোথায় আছেন, সে বিষয়ে আমরা এখনো কোনো তথ্য পাইনি। স্বৈরাচারী শাসনামলে শুধু সুমন নয়, ঢাকাসহ সারা দেশে অসংখ্য মানুষকে গুম, নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা উল্লেখ করেন, সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম তুলি ২০১৪ সালে স্বৈরাচারী শাসনামলে নিখোঁজদের পরিবারকে একত্রিত করে 'মায়ের ডাক' নামে একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেন, 'এটা অত্যন্ত উদ্বেগ ও বিস্ময়ের বিষয় যে, পুলিশ প্রশাসন গতকাল সন্ধ্যায় সুমনের বোনকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।’
তারেক বলেন, পুলিশ পরে দাবি করেছিল সুমন নিখোঁজের বিষয়টি তারা জানে না।
তিনি বলেন, ‘তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যাক, সুমনের ঘটনাটি সম্পর্কে তারা অবগত ছিলেন না। কিন্তু স্বৈরাচারী শাসনামলে দায়িত্ব পালন করা একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি গতকাল (বৃহস্পতিবার) ভোরে বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছাড়তে পেরেছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত বছরের ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার মতোই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
তারেক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন দাবি করছে, হামিদের দেশত্যাগের বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। ‘গতকাল থেকে আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং প্রত্যেকেই প্রশ্ন করছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসলে কী জানে।’
একই সঙ্গে অভিযোগ উঠছে যে, সম্ভবত, পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক ও তাদের সহযোগীদের নিরাপদে দেশ ছাড়ার সুযোগ তৈরি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের নামে সময় নষ্ট করছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
অন্যদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে স্বৈরাচারবিরোধী বা ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে সূক্ষ্মভাবে বিভাজনের বীজ বপনের ক্ষেত্র তৈরি করার চেষ্টা হতে পারে। এসব বিষয় বারবার মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে।
২০৯ দিন আগে