ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে
ঈদের আগে উত্থান দিয়ে শেষ হলো পুঁজিবাজারের লেনদেন
ঈদের ছুটির আগে পুঁজিবাজারের শেষ কার্যদিবসের লেনদেনে সূচক বেড়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে, উর্ধ্বমুখী বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার।
সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৪ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ২৭৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেওয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে ২১৮ কোম্পানির মধ্যে ১৬০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৮ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ৩২ কোম্পানির ১৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। লাভেলো সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে সারাদিনে ২২৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ২২৯ কোটি টাকা।
৯.৬৩ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে সোনারগাঁও টেক্সটাইলস এবং ৭.৬৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে নর্দান জুট ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
চট্টগ্রামেও উত্থান
সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৪৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১৬৯ কোম্পানির মধ্যে ৮৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৫৪ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১০ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
৯.৮৩ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে সোনালি লাইফ ইনস্যুরেন্স এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স।
প্রসঙ্গত, ৭ জুন ঈদুল আযহা সামনে রেখে আগামীকাল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ১০ দিন বন্ধ থাকবে দেশের দুই পুঁজিবাজারের সব ধরণের লেনদেন। ১৫ জুন আগের সময়সূচি অনুযায়ী লেনদেন শুরু হবে বাজারে।
১৮৪ দিন আগে
ফের পুঁজিবাজারে পতন, কমেছে ঢাকা-চট্টগ্রামের সবকটি সূচক
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে পতনের পর তৃতীয় দিনেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমেছে ও লেনদেনে অংশ নেয়া তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিম্নমুখী অবস্থায় রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১০ পয়েন্ট ও বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৭ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দামই নিম্নমুখী। ৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৯২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’– তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৮ কোম্পানির মধ্যে ৩৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৫৩টি ও অপরিবর্তিত আছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ২১ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১২ কোম্পানির।২২ কোম্পানির ১৬ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। রেনেটা সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ২৯৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৪৩ কোটি টাকা। ৯.৯১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার সিটি ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে ৬.৭৭ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এনআরবি ব্যাংক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৭১ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৬ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪, কমেছে ১২৭টির ও অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১১ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে সোনালি লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার এবং ৯.৮২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে কেডিএস এক্সেসোরিস লিমিটেড।
২০৫ দিন আগে
২ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা: সপ্তাহে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা কী হারিয়েছেন
সাপ্তাহিক বাজারের লেনদেন অনুসারে, গত সপ্তাহে (২৫-২৯ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা দুই হাজার ৮২৯ কোটি টাকার লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে।
পাঁচ কার্যদিবসের বাজারে সূচকের মধ্যে তিন দিন পতন এবং দুই দিন উত্থান দেখা গেছে।
সপ্তাহে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও কমেছে। ফলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে দুই হাজার ৮২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬১টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, ১৭৩টির দাম কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫২টির।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় সপ্তাহে ডিএসই সূচক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫১২ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসই এবং ডিএসইএস-এর অন্য দুটি সূচকের মধ্যে (বাংলাদেশ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) মূল্য, চার্ট, প্রোফাইল এবং অন্যান্য বাজার তথ্যসহ) ১৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪১৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩৩০ পয়েন্টে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে গতি আনতে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
সূচক ও লেনদেন কমায় সপ্তাহে বাজার মূলধনের পরিমাণ (মূলধন) কমেছে দুই হাজার ৮২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। তবে আগের সপ্তাহে মূলধন বেড়েছে দুই হাজার ৬১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫২২৭৬৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষ কার্যদিবসে পুঁজি দাঁড়িয়েছে ৫১৯৯১৪ কোটি চার লাখ টাকা। মূলধন কমেছে ৫৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার চাঙা করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় গেল সপ্তাহে প্রধান ডিএসই সূচক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫১২পয়েন্ট। ডিএসইর অন্য দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৭পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪১৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৩৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
১১৬০ দিন আগে