বিক্রি
খুলনায় ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি
রমজান মাসকে সামনে রেখে ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন খুলনা ব্লাড ব্যাংক।
শুক্রবার (২১ মার্চ) খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি এলাকায় এই মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রথম দিনে ৫০০ জন ক্রেতার মধ্যে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে এই মাংস বিক্রি করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন খুলনা ব্লাড ব্যাংক।
আরও পড়ুন: রমজানে ঢাকায় ন্যায্য মূল্যে ট্রাকে করে মাংস ও ডিম বিক্রি হবে
শুক্রবার সকাল ১০টায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।
এ সময় কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি সালেহ উদ্দিন সবুজ জানান, রমজান মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে ৬০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, কেসিসি ও মেট্রোপলিটন পুলিশ এই কাজে সহযোগিতা করেছে। আপাতত প্রতি শুক্রবার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে।
উল্লেখ্য খুলনার বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস ৭২৫-৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১০০০ টাকা কেজি প্রতি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাংস-মুরগি-ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম
সাশ্রয়ী মূল্যে রাজধানীর ৩০ পয়েন্টে বিক্রি হবে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রমজানে ঢাকায় ন্যায্য মূল্যে ট্রাকে করে মাংস ও ডিম বিক্রি হবে
পবিত্র রমজান উপলক্ষে আগামী ১০ মার্চ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্পটে ট্রাকে করে গরুর মাংস, মুরগি ও ডিম বিক্রি করবে।
ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে গরুর মাংস ৬০০ টাকা, ছাগল/খাসির মাংস ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি ২৮০ টাকা ও ডিম ১০ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করা হবে।
সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে খাদ্য, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যবিষয়ক জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আবদুর রহমান বলেন, রমজান মাসে আমরা কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব। এই মোবাইল ভেন্ডিং প্রোগ্রাম রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ঢাকা শহরের ৩০টি স্পটে পণ্য বিক্রি করা হবে। এটি সরকারের একটি অন্তর্বর্তীকালীন উদ্যোগ। ১০ মার্চ উদ্বোধন করা হবে এবং ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকার ৩০টি স্থানে ট্রাকে বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। সামর্থ্য অনুযায়ী আরও বেশি জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা করা হবে এ কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন চাল দেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
রংপুরে বিল পরিশোধ করতে না পারায় নবজাতক বিক্রি, আটক ৩
রংপুর নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পারায় এক নবজাতককে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রসূতি মায়ের অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার(২১ জানুয়ারি) বিকালে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।
আটকরা হলেন- হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও নগরীর কামারপাড়া এলাকার মৃত নজির উদ্দিন সরকারের ছেলে এমএস রহমান রনি, শিশুটির ক্রেতা মধ্য পীরজাবাদ এলাকার সামসুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন রতন ও রুবেলের স্ত্রী জেরিনা আক্তার বিথী।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি বুধবার সকালে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের বিল পরিশোধে ব্যর্থতার অযুহাত ও রোগীর পরিবারের অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে নবজাতক ছেলে শিশুটির বিক্রির এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নানির কোল থেকে নবজাতক চুরি
উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানান, গত ১৩ জানুয়ারি শনিবার নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সংলগ্ন শাপলা রোডস্থ হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালেল ২০২নং রুমে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হন ভুরারঘাট এলাকার লাবনী আক্তার। সেখানে ওই দিন রাতে সিজারের মাধ্যমে একটি নবাজাতক শিশুর (ছেলে) জন্ম দেন তিনি। এর চারদিন পর ১৭ জানুয়ারি ক্লিনিকের বিল পরিশোধে ব্যর্থতার অজুহাত ও অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে প্রসূতি মায়ের অগোচরে সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রির উদ্যোগ নেন হাসপাতালের পরিচালক। শিশুটির বাবা ওয়াসিম আকরামের সহায়তায় হাসপাতালের পরিচালক এমএস রহমান রনি তার পূর্ব পরিচিত জেরিনা আক্তার বিথী-রুবেল হোসেন রতন দম্পতির কাছে ৪০ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রি করে দেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ মারা যাওয়া নবজাতকের মায়ের মৃত্যু
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পরবর্তীতে প্রসূতি লাবনী আক্তার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে রবিবার (২১ জানুয়ারি) নগরীর মধ্য পীরজাবাদ এলাকা হতে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এমএস রহমান রনি, রুবেল হোসেন রতন, জেরিনা আক্তার বিথীকে আটক করে।
আটকদের বিরুদ্ধে ওই প্রসূতি মা মামলা করেছেন বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
সিরাজগঞ্জে চর্বিতে রং মিশিয়ে মাংস হিসেবে বিক্রি
সিরাজগঞ্জে চর্বিতে রং মিশিয়ে গরুর মাংস হিসাবে বিক্রির দায়ে দুই বিক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে শহরের মিরপুর ওয়াপদা বাঁধ এলাকায় ও সদর উপজেলার কড্ডার মোড় এলাকায় মাংসের দোকানে অভিযান চালিয়ে এ অর্থদণ্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে সেই মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত
অর্থদণ্ড হওয়া দুই বিক্রেতা হলেন- মিরপুর ওয়াপদা বাঁধ এলাকার জুলমত আলী ও কড্ডার মোড় এলাকার রেজাউল করিম।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হাসান-আল-মারুফ জানান, শুক্রবার সকালে ওই দুই দোকানে মাংসের সাদা চর্বিতে রং মিশিয়ে মাংস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছিল- এমন গোপন সংবাদ পাই। এর ভিত্তিতে ওই দুই দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের হাতেনাতে ধরা হয়।
তিনি আরও জানান, এ অপরাধে উভয় মাংসের দোকানকে ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে মৃত গরুর মাংস বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীর জেল-জরিমানা
খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
বাবাকে মৃত দেখিয়ে জমি বিক্রির অভিযোগ মেয়েদের বিরুদ্ধে
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক বাবাকে মৃত দেখিয়ে জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার মেয়েদের বিরুদ্ধে।
উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের খোচাবাডি় গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) সংবাদকর্মীদের কাছে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বাবা আবুল কাশেম।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবুল কাশেম (৭০) কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ফুলবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, মো. আবুল কাশেম পৈতৃক সূত্রে পাওয়া তার ৮৯ শতক জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। কৃষি কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। তিনি পাঁচ মেয়ে। মেয়েদের বিয়েও দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
জানা যায়, ফুলবাড়ী সাব রেজিস্ট্রার অফিসের এক দলিল লেখকের মাধ্যমে বাবাকে মৃত দেখিয়ে তার মেয়ে শেফালী বেগম, শাহিনা বেগম, রোশনা বেগম, সেলিনা বেগম ও জোসনা বেগম ৯ শতক জমি প্রায় ৫ বছর আগে মাহমুদ নামে এক প্রতিবেশীর কাছে বিক্রি করে দেন।
আবুল কাশেম বলেন, আমি আমার জীবদ্দশায় স্ত্রী ও মেয়েদের কোনো জমি হস্তান্তর করিনি। প্রতিবেশী দলিল লেখক ফজলুল হক ও আমার মেয়েরা আমাকে মৃত দেখিয়ে ৯ শতক জমি বিক্রি করেছে মাহমুদ নামে একজনের কাছে।
তিনি বলেন, আমি এর সুষ্ঠু বিচারের জন্যে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই।
বিষয়টি জানতে কাশেম আলীর মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ফুলবাড়ী উপজেলার দলিল লেখক ফজলুল হক বলেন, কাশেম আলী ২০১৫ সালে তার জমি মেয়েদের লিখে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মেয়েরা সেই জমি বিক্রি করেছে। সব ডকুমেন্টস আমার কাছে রয়েছে। অযথা হয়রানি করার জন্য তিনি এসব অভিযোগ বিভিন্ন স্থানে দিচ্ছেন।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু বিষয়টি জমিজমা সংক্রান্ত আমি তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে দোকান কর্মচারীকে খুন, ২ যুবক আটক
যশোরে ১৬৫ রাউন্ড গুলি-অস্ত্র-মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ২
মনোনয়ন ফরম বিক্রিতে আ. লীগের আয় ৪ দিনে ১৬.৮১ কোটি টাকা
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মাত্র ৪ দিনে ৩০০ আসনে ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করে মোট ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
যার অর্থ দাঁড়ায়- শুধু মনোনয়ন ফরম বিক্রি থেকে দলটি প্রতিদিন গড়ে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি আয় করেছে, যদিও গত দুই দিনে ধীরগতি দেখা গেছে। প্রথম দিন শনিবার থেকে ব্যাপক বিক্রি শুরু হওয়ায় দলীয় কোষাগারে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা জমা পড়ে। এরপর রবিবার ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার মধ্যে দিয়ে আরও লাভজনক একটি দিন পার হয়।
তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে, দেশের ফ্ল্যাগশিপ উন্নয়ন প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতু থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার প্রথম দিনে (২৬ জুন, ২০২২) মাত্র ২.০৯ কোটি টাকা টোল আদায় হয়। প্রথম ৪ দিনে মোট আদায়ের পরিমাণ ছিল ৮ কোটি টাকার উপরে। ২০২৩ সালের ২৮ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন সাকিব
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগে ৭৩০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৫৯টি, খুলনায় ৪১৬টি, রাজশাহীতে ৪০৯টি, রংপুরে ৩০২টি, ময়মনসিংহে ২৯৫টি, বরিশালে ২৫৮টি এবং সিলেট বিভাগে ১৭২টি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১৮ নভেম্বর) তার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধন করেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, মনোনয়ন ফরম বিক্রির সংখ্যা কমে গেলেও ২০১৮ সালের তুলনায় আওয়ামী লীগ অনেক বেশি আয় করেছে, সেসময় তারা ৪ হাজার ১০০ ফরম বিক্রি করে ১২ কোটি ৩২ লাখ টাকা আয় করেছিল।
আরও পড়ুন: আবারও নড়াইল ২ আসনের আ. লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন মাশরাফি
মূলত বর্ধিত আয়ের পেছনে রয়েছে মনোনয়ন ফরমের ফি বৃদ্ধি। ২০১৮ সালে প্রতিটি ফরমের দাম ছিল ৩০ হাজার টাকা, এ বছর তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
এ বছর মোট ৩ হাজার ৩৬২টি ফরমের মধ্যে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে মাত্র ১২১টি ফরম।
২০২৫ সালে ক্রিকেট থেকে অবসরের পরিকল্পনা করা ক্রিকেট সুপারস্টার সাকিব আল হাসানের মতো সেলিব্রিটিদের আকৃষ্ট করেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে। ২০২৯ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের মেয়াদের সংসদ নির্বাচনে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার প্রতিনিধিরা মাগুরার দু’টি ও ঢাকার একটি আসনে মোট ৩টি মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
গত ১৯ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু আজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে আজ সোমবার থেকে। যদিও তাদের অংশগ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বিবেচনাধীন রয়েছে।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মনোনয়ন ফরম বিক্রি আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে: চুন্নু
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।
টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় পার্টি: রওশন
আজ আ. লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিক্রির উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রির উদ্বোধন করবেন তিনি।
৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
শনিবার গভর্নিং কমিটির সভা শেষে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শনিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রশাসনিক বিভাগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বুথ থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। এদিকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলা থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সব বিভাগের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অতিরিক্ত জনসমাগম ছাড়াই নিজেরাই অথবা প্রার্থীদের যোগ্য প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য প্রার্থীকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: অনলাইনে পাওয়া যাবে আ. লীগের মনোনয়ন ফরম
আ. লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরুল্লাহ
আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে অর্ধেক দামে ডাল-তেল, আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ভেক্তাদের স্বস্তি দিতে ফ্যামিলি কার্ডের বাইরেও রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ৪টি পণ্য টিসিবির ট্রাকে বিক্রি করা হবে।
সেগুলো হচ্ছে- মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু ও পেঁয়াজ। এসব পণ্য বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে প্রায় অর্ধেক দামে মিলবে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব।
আরও পড়ুন: আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্য সচিব বলেন, টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে ঢাকায় ১৩ লাখ পরিবারকে ন্যায্য মূল্যে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) থেকে ঢাকায় ২৫ থেকে ৩০টি ট্রাকে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এতে নতুন করে আরও ৯ হাজার পরিবার যোগ হবে। প্রতিটি ট্রাকে ৩০০ জন এসব পণ্য পাবে। শুক্রবার ও শনিবার বাদে প্রতিদিন বিক্রি হবে। তবে বিভিন্ন দিন বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হবে।
পরে সব দিনই এই কর্মসূচি চলবে উল্লেখ করে সচিব বলেছেন, একেক দিন ঢাকার একেক স্পটে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, এই সেলে যে কেউ ২ কেজি করে মসুর ডাল, আলু ও পেঁয়াজ এবং ২ লিটার সয়াবিন তেল নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আলু প্রতি কেজি দাম পড়বে ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা। তবে এই মুহূর্তে চিনি দেওয়া যাচ্ছে না। চিনি পাওয়া গেলে দেওয়া হবে।
তিনি জানিয়েছেন, যিনি আগে আসবেন তিনি আগে পাবেন, এই ভিত্তিতে এই ট্রাকসেল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আমদানি বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই ট্রাকসেলের পরিধি বাড়ানো হবে।
সচিব আরও বলেন, সরকার ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য দিচ্ছে। প্রতিটি পণ্য অর্ধেক দামে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের আওতাধীনরা যেন এই পণ্য না নেন, এই বিষয়টি নিশ্চিতে তদারকি করা হবে।
বৈশ্বিক অবস্থা ও ডলারের বিনিময় হারের দাম বেড়ে যাওয়ায় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেন বাণিজ্য সচিব।
আরও পড়ুন: টিসিবির স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১০ হাজার ৯৫ টন আলু আমদানি হয়েছে। ২ লাখ টন আলুর আইপি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
ডিম আমদানি নিয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ২৫ কোটি ডিম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে ৬২ হাজার ডিম আমদানি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ডিম আমদানি না, ডিমের দাম কমানো। দাম কমে গেলে আমদানি কম হলেও অসুবিধা নেই। তবে বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আলু ও ডিম আমদানি হবে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ডিম ও আলু আমদানি হওয়ায় উল্লেখযোগ্য ফল আমরা পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা গেছে, কোল্ড স্টোরেজ থেকে ২৭ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হবে। জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কোল্ডস্টোরেজ থেকে আলু বের হবে।
টিসিবি কার্ডধারীদের এখন আলু দেওয়া হবে না জানিয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, কারণ জেলা প্রশাসকরা সোমবার (১৩ নভেম্বর) থেকে সরকারি দামে অর্থাৎ ৩৬ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি নিশ্চিত করবে।
সচিব আরও বলেন, তেল, চিনি, ডাল, আলু এসব পণ্য আমদানি করতে যেন ডলারের সমস্যা না হয় সরকারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে- একজন ভোক্তা মাসে একবারই এ ট্রাকসেল থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। এই বিষয়টি নিশ্চিতে একেক দিন ঢাকা শহরের একেক স্থানে এই পণ্য বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
হিমাগার পর্যায়ে নির্ধারিত ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ
সরকার মনোনীত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নির্ধারিত (প্রতি কেজি ২৬-২৭ টাকা) মূল্যে হিমাগার থেকে আলু বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আগামীকাল (১ নভেম্বর, ২০২৩) থেকে আলুর নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে সোমবার (৩০ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকদের একটি চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ‘ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজ এবং খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন। জনস্বার্থে বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকগণ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৫৬ এর ৩(২)(ঙ) ধারা অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে হিমাগার থেকে আলু বিক্রয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
আরও পড়ুন: বাজার স্থিতিশীল করতে আলু আমদানি করবে সরকার
এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে এক বা একাধিক হিমাগার তদারকির দায়িত্ব অর্পণ করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি করবে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর হিমাগার পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ২৬-২৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
কিন্তু কোনো পর্যায়েই সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সরকার নির্ধারিত দামে এখনো বিক্রি হয় না পেঁয়াজ-আলু ও ডিম
সোমবার কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, পেঁয়াজ, আলু ও সবজির দাম সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট মোটা মুনাফা করছে।
তিনি বলেন, সরকার পেঁয়াজ ও আলুর পর্যাপ্ত মজুদ থাকার কথা বললেও একদল অসাধু ব্যবসায়ী ভারতে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী