ক্ষতিগ্রস্ত
পটুয়াখালীতে আগুনে পুড়ে ছাই ৫ দোকান, ক্ষতি প্রায় ৩৫ লাখ টাকা
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের পুরান বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের ভাষ্যে, আগুন মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে দোকানগুলো পুরোপুরি ছাই হয়ে যায়। আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত পাঁচজন আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন— সুভাষ ধুপি (৭৫) লন্ডি ও সেলুন দোকান, রফিকুল ইসলাম মোল্লা (৫৫) বসতঘরসহ মুদির দোকান, ইব্রাহিম সরদার (৬০) মুদিমাল ও চায়ের দোকান, জাকির সরদার (৬০) চায়ের দোকান। তাদের দোকানঘর, মালামাল, আসবাবপত্র—সবকিছুই পুড়ে গেছে।
স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই বরগুনায় দুই বসতবাড়ি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে হঠাৎ আগুনের শিখা দেখে স্থানীয়রা ছুটে এসে পানি ও বালতির সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বাজারটিযা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে নদী-বেষ্টিত একটি বিচ্ছিন্ন চরে অবস্থিত। এই এলাকায় কোনো ফায়ার সার্ভিস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন হন স্থানীয়রা।
তবে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত না হলেও প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মো. রফিক মোল্লা বলেন, ‘রাতের আঁধারে সব কিছু শেষ হয়ে গেল। দোকানের পুঁজি, মালামাল— সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আমাদের পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা।
তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের প্রশাসনিক সহায়তা জরুরি প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান জানান, ক্ষতিগ্রস্তরা লিখিতভাবে আবেদন করলে সরকারিভাবে তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।
১৭২ দিন আগে
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা
গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত গৃহ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে হস্তান্তর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করেন।
২০২৪ সালের ওই বন্যায় অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম। অসংখ্য বাড়িঘর সম্পূর্ণরূপে ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যে সব পরিবারের বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্থাৎ যাদের ঘর নির্মাণের সামর্থ্য নেই এমন ৩০০ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ঘর পুনর্নির্মাণ করে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার প্রধানের পেশা, আয়, ঘর নির্মাণে আর্থিক অসামর্থ্য, দুস্থতা, ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ধরন ও স্থানীয় অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে উপকারভোগী পরিবার বাছাই করা হয়।
জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য এক বা একাধিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির যৌথ জরিপের মাধ্যমে উপকারভোগীদের অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়ন করা হয়।
৩০০টি ঘরের মধ্যে ফেনী জেলায় ১১০টি, নোয়াখালী জেলায় ৯০টি, কুমিল্লা জেলায় ৭০টি ও চট্টগ্রাম জেলায় ৩০টি বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঘরগুলো যেন দুর্যোগ সহনীয় ও টেকসই হয় সে লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সহযোগিতায় প্রস্তুত করা হয়।
প্রতিটি ডিজাইনে ২টি মূল কক্ষসহ কমন স্পেস, টয়লেট, রান্নাঘরসহ বারান্দা রয়েছে। প্রথম ডিজাইনের ঘরের আয়তন ৪৯২ বর্গফুট এবং টাকার পরিমাণ ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৯৪ টাকা ও দ্বিতীয় ঘরের আয়তন ৫০০ বর্গফুট এবং টাকার পরিমাণ ৭ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৮ টাকা।
ঘরগুলো নির্মাণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল হতে প্রাথমিকভাবে ৫০.০০ (পঞ্চাশ) কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৩০০ টি ঘর নির্মাণে প্রায় ২৪ কোটি ৯৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত পরিশ্রম ও দক্ষতার সঙ্গে গৃহগুলোর নির্মাণ কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা বাড়ি পেয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন। দেশের মানুষ আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে যে সাহস জুগিয়েছে সে সাহস সবসময় মনের মধ্যে ধারণ করবেন। এই কাজে যারা নিরলস পরিশ্রম করে গৃহহীন পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছে বিশেষ করে স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের সদস্যগণ, এলজিইডির প্রকৌশলীগণ ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা। তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ।’
প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি ছোট প্রকল্প। ৩০০ ঘর নির্মাণ, কিন্তু এর মাধ্যমে সঠিকভাবে কাজ করার যে দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করলাম তা আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘ভবিষ্যতেও এ ধরনের দায়িত্ব দেওয়া হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা পালন করার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’
তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় ২৯৮টি ঘর ইতোমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় দুটি ঘর নির্মাণ করা যায়নি, সেগুলো খুব শিগগিরই নির্মাণ হয়ে যাবে।
গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান। ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার চারজন উপকারভোগী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের পরিচালক মনিরুল ইসলাম পাটোয়ারী।
২১৯ দিন আগে
মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড দোয়ারাবাজার, ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৫০ গ্রাম
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর বিধ্বস্তসহ সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
আধঘণ্টা ধরে চলা এই ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রামের প্রচুর গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে।
ঝড়ে উঠতি বোরো ফসলসহ বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ঘরের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় অনেকে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের লামাসানিয়া, পরমেশ্বরীপুর, দলেরগাঁও, বাতলারটেক, বীরসিংহ, রাখালকান্দি, টেবলাই, মাইজখলা, বড়বন্দসহ অন্যান্য ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সদর ইউনিয়নের লামাসানিয়া উত্তপাড়া গ্রামে প্রচুর বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকা বোরো ফসলের।
২২১ দিন আগে
ভারত ভিসা না দেওয়ায় ভারতের ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন: সাখাওয়াত হোসেন
নৌ পরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ভারত সরকার ভিসা না দেওয়ায় আমাদের চেয়ে ভারতের ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের উন্নয়নমূলক ও নতুন নির্মাণাধীন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের রোগীরা ভারতে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন, তাদের একটু ক্ষতি হচ্ছে। ভিসা না দেওয়ায় স্থলবন্দরে যাত্রী চলাচল কম।
পরে উপদেষ্টা বেনাপোল চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এবং ইমিগ্রেশন পরিদর্শন করেন। সেখানে দুই দেশের যাত্রী যাতায়াতের খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন:
এ সময় চেকপোস্ট পরিবহন ব্যবসায়ীরা উপদেষ্টার কাছে পুরোনো বাস টার্মিনাল চালুর কথা জানালে ১৯টি পরিবহনের কার্যক্রমের আশ্বাস দেন।
পরে উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন স্থলবন্দরের সার্বিক বিষয় নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সবশেষে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান এবং তার মা-বাবা এবং পরিবারের খোঁজখবর নেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান, বিজিবি দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, যশোর জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম, ৪৯ বিজিবি অধিনায়ক সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজীব হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসিন, বেনাপোল বন্দর পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মামুন কবীর, ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
৩৬৩ দিন আগে
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সারজিস ও হাসনাতের গাড়ি
হাসনাত আবদুল্লাহ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমের গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
বুধবার(২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দাফন শেষে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গাড়িটির সামনের অংশটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ভাগ্যক্রমে কোনো হতাহত হয়নি।
লোহাগাড়ার চুন্তি ইউনিয়নের হাজী রোড মোড়ে একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় প্রাইভেটকারটির।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাকটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
৩৭২ দিন আগে
লালমনিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ধানসহ সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শীতকালীন শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের বেশিরভাগ খেতই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়।
এলাকার আমন ধানের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের। বাতাসে জমিতে শুয়ে পড়েছে মাঠের আধা পাকা আমন ধান।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আগাম জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য আমন মৌসুমে কৃষককে সরকারি প্রণোদনা বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।
দুহুলী গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে ঝড়ে ধান গাছগুলো নেতিয়ে পড়েছে। আমার ২০ শতক জমির ধান হেলে পড়েছে। ধানের শীষে যে দানা রয়েছে তা এখনো শক্ত হয়নি। অনেক ধান চিটা হয়ে যাবে। আর যে ফলন হওয়ার কথা ছিল তাও কমে যাবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বৃষ্টি, ৮৮৭ আশ্রয়কেন্দ্র চালু
কৃষক মহেশ বাবু জানান, তিনি বর্গা নিয়ে ৫০ শতাংশ জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। ঝোড়ো হাওয়ায় ধান গাছগুলো নুয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অনেক ভালো ফলন হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে তিনি চিন্তিত।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে রোপা আমন ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। এতে উৎপাদনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না এমনটাই জানায় কৃষি অফিস।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে আমন ধানের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই এই দুর্যোগ কেটে যাবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বাগেরহাটে নদ-নদীতে বেড়েছে পানি
৪০৫ দিন আগে
বন্যায় ৩ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ২৩৮৩৯১
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন জেলায় বন্যায় ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মোট মারা গেছেন ১০ জন।
তিনি বলেন, ১০ জনের মধ্যে শেরপুরে ৮ জন ও ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বাড়ছে দুর্ভোগ; ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি
বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।
তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির ক্রমে উন্নতি হচ্ছে। এদিকে বন্যা আক্রান্ত জেলা তিনটি হলো-শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা। এছাড়া ১৩টি উপজেলা বন্যাপ্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ৭৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা।
অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, ৩ জেলায় মোট ৬৩ হাজার ১৭১টি পরিবার পানিবন্দি। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯১ জন।
তিনি বলেন, পানিবন্দিদের আশ্রয় দিতে মোট ১৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে মোট ১ হাজার ৩৩৭ জন এবং ৫৬১টি গবাদিপশু রয়েছে।
আলী রেজা বলেন, ৩ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা দিতে মোট ২০টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে। ত্রাণ হিসেবে ৭২ লাখ টাকা, ৪ হাজার ৪০০ টন ত্রাণের চাল, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
আলী রেজা আরও বলেন, শিশুখাদ্য বাবদ ১৫ লাখ এবং গো-খাদ্য বাবদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, উজানে উন্নতি হলেও অবনতি নিম্নাঞ্চলে
৪২১ দিন আগে
ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংখ্যালঘু অত্যাচারের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে কয়েকটি জায়গায় সংখ্যালঘু অত্যাচারের ঘটনা ঘটলেও তাকে বড় করে বহির্বিশ্বের মিডিয়ার প্রচার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আন্দোলন ও বর্তমান সরকার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ আইন উপদেষ্টার
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ অপপ্রচার। তিনি এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
এসময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম (এআই আরএএম) প্রকল্প চলমান রাখার বিষয়ে তিনি উপদেষ্টার সম্মতি চান।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের জনগণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে কতটুকু সক্ষম তা যাচাই করা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও যুগের সঙ্গে তাল মিলাতে তা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম (এআই আরএএম) প্রকল্পের কাজ চলমান রাখার পাশাপাশি এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
এছাড়া ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটি পর্যালোচনা করা হবে বলেও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা আর বলেন, আন্দোলনে বেশ কিছু সাংবাদিক হতাহত হয়েছেন। তাদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সাংবাদিকদের একটি অংশ ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ সংক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় মামলা করছে। সে মামলায় অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছে। তবে সবার আইনি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছে। ফলে তারা আইনি সহায়তা পাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কোর নীতি বিশ্লেষক আফজাল হোসেন সরোয়ার, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট শিলা তাসনিম হক।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপদ করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান উপদেষ্টার
৪২২ দিন আগে
আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকতে ও খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে এ দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, 'আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা করে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে।’
গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থী ও জনগণকে দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার 'ভয়াবহ গণহত্যা' চালিয়েছে বলে সমালোচনা করেন তিনি।
দলের পক্ষ থেকে এর আগেও ওই হাসপাতালে আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গুমের ঘটনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের আহ্বান ফখরুলের
তিনি বলেন, ‘আমি আজকেও এসেছি এখানে যারা আছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে। আমরা দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’
দেশকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত করার আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থী ও জনগণ জীবন দিয়েছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
ফখরুল বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এসময় তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেন।
আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
৪৪৪ দিন আগে
চাঁদপুরের ৬ উপজেলায় ৪৪টি কালভার্টসহ ১৯২ গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত
চাঁদপুরে বন্যায় ও অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে ৪৪টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সময়ে কচুয়া, শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, সদর ও হাইমচর উপজেলায় ১৯২ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এতে প্রাথমিক ক্ষতি প্রায় ৪০ কোটি টাকা। তবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের পিপলকড়া গ্রামের কৃষক শহীদ উল্লাহ বলেন, বানের পানিতে সড়কের পাশাপাশি আমাদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সড়কে গর্ত হওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল এখন ঝুঁকিপূর্ণ।
শাহরাস্তি উপজেলার উনকিলা গ্রামের মনির হোসেন বলেন, এলাকায় বানের পানিতে বহু সড়ক তলিয়েছে। এসব সড়ক ভেঙে এখন বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তবে কিছু সড়ক আগে থেকে ভাঙা ছিল। এখন আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে ধানের চারা দেবে বাকৃবি
সদরের বালিয়া ইউনিয়নের ঢালীরঘাট-ফরক্কাবাদ সড়কের বাসিন্দা আব্বাস মিয়া, কলেজ ছাত্র কিরন পাটোয়ারি ও মফিজুল ইসলাম খান ইউএনবিকে জানান, টানা বৃষ্টির কারণে সড়ক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি মাটি নরম হয়ে বড় বড় গাছ উল্টে পড়েছে। দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানিকরাজ গ্রামের মোক্তার হোসেন ও মদনেরগাঁও গ্রামের বিল্লাল হোসেন গাজী জানান, টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কের দুই পাশের অংশগুলো বেশি ভেঙেছে। কিছু এলাকায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী ইউএনবিকে বলেন, এ বন্যায় জেলায় আমন ফসল, বীজতলা, পানখেত, আখখেত, শাক-সবজি, ফলফলাদি ও গাছ-গাছালির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৭ কোটি টাকা।
কৃষি বিভাগের কৃষিবিদ মোবারক হোসেন বলেন, এ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৪৮ হাজার। এ জেলায় কোনো কৃষকের শস্য বিমাও নেই।
পৌরসভার নির্বাহি প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, চাঁদপুরে অতিবৃষ্টির কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বেহাল। ফলে জনভোগান্তি চরমে।
আরও পড়ুন: সরকার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে, শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন
৪৫২ দিন আগে