তারল্য
স্বর্ণ বনাম হীরা: কোন বিনিয়োগটি বেশি লাভজনক?
সামাজিক অবস্থান, আভিজাত্য, নির্ভরতা তৈরির বিকল্প হিসেবে স্বর্ণ ও হীরা ধাতব বস্তু দুটি স্ব স্ব ক্ষেত্রে মূল্যবান। কিন্তু সম্পদের সময় মূল্য থেকে অর্থোপার্জনের ক্ষেত্রে যে প্রশ্নটি সবার আগে আসবে, স্বর্ণ নাকি হীরা, কোন বিনিয়োগটি বেশি লাভজনক?
উভয় বিনিয়োগের মাঝেই কিছু মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। আজকের আয়োজনে আপনি জানতে পারবেন স্বর্ণ ও হীরাতে বিনিয়োগের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো এবং বিনিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে কোন কোন বিষয়গুলো আপনার খতিয়ে দেখা জরুরি।
স্বর্ণ বিনিয়োগের সুবিধা
অনিশ্চিত সময়ে স্থিতি রক্ষাকারী
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বাজারের অস্থিরতার সময় স্বর্ণকে প্রায়ই নিরাপদ অবলম্বন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রার মূল্যহ্রাস ব্যতিরেকে এই সম্পদ নিজের দাম ধরে রাখতে পারে।
তুলনামূলকভাবে নির্ভরযোগ্য খাত
বিভিন্ন সময়ে মূল্যমান বা লাভের ক্ষেত্রে বন্ড বা স্টকের থেকে অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণতা বজায় রাখে স্বর্ণ। একাধিক খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সামগ্রিক বিনিয়োগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে এই ধাতবটি।
আরও পড়ুন: হংকংয়ে রেকর্ড ৪৯.৯ মিলিয়ন ডলারে গোলাপী হীরা বিক্রি
ভৌত সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণযোগ্য
স্বর্ণ একটি ভৌত সম্পদ যা আপনি কয়েন, বার বা গয়না আকারে সংরক্ষণ করতে পারেন। এই স্থিতিশীলতা স্টক বা বন্ডের মতো অন্যান্য বিনিয়োগের তুলনায় অধিক নিরাপত্তার অনুভূতি প্রদান করতে পারে।
ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য আছে ১.৬৯ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ব্যাংকগুলোতে এক লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ভিত্তিহীন।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাংকের আমানত ও তারল্য নিয়ে প্রচারিত ভুল তথ্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক খবর প্রচার করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের তাদের ব্যাংক আমানত তুলে নিতে বলা হচ্ছে। এটা বলা হচ্ছে যে ব্যাংকগুলোতে নগদ নেই বা তারল্য সংকট রয়েছে।’
আরও পড়ুন: তারল্য সংকট রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল এফবিসিসিআই
‘কিন্তু এটা সত্য না। বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা খুবই ভালো।
সংবাদ সম্মেলনে আজাদ বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বর্তমানে এক লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য থাকায় কোনও তারল্য সংকট নেই।
তারল্য পরিস্থিতি নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনও ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনায় ব্যাঘাত ঘটলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তা সমাধানের পদক্ষেপ নেবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ৫১ বছরের ইতিহাসে কোনও ব্যাংক বন্ধ হয়নি।
আজাদ আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘ব্যাংকে মানুষের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ। ব্যাংকগুলোতে মানুষের কষ্টার্জিত সঞ্চয় নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার মতো কিছুই ঘটেনি।’
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট নেই: প্রধানমন্ত্রী
মানি চেঞ্জাররা নগদ ২৫ হাজার ডলারের বেশি রাখতে পারবে না: বিবি