সাধন চন্দ্র মজুমদার
আম রপ্তানি বাড়াতে এফএও’র সহায়তা চান খাদ্যমন্ত্রী
আম রপ্তানি বাড়াতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় এ আহ্বান জানান তিনি।
সাক্ষাৎকালে তারা দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও দেশের ফলমূলের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকরণ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিকভাবে মুক্তির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দানাদার খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এছাড়া ফলমূল ও সবজি উৎপাদনেও অনেক এগিয়েছে। আমাদের দেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম। তাই আম রপ্তানি বাড়াতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তা কামনা করেন মন্ত্রী।
ড. জিয়াওকুন শি বলেন, সারা বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা কাজ করছে। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এফএও’র সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ সময় খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রশাসন প্রদীপ কুমার দাসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের ওপর প্রভাব পড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী
সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে: খাদ্যমন্ত্রী
সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, চালের বাজার ৯ মাস স্থির ছিল।
তিনি বলেন, করোনা অতিমারিতেও চালের দাম বাড়েনি। এখন বাড়ছে কেন? মিল মালিকদের প্রতি এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, ধান চালের মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করে কয়েক জেলার ব্যবসায়ীরা। আমরা তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মিল মালিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিবেক জাগ্রত করুন। বেপরোয়া না হয়ে মানব সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করুন।
তিনি বলেন, কৃষক ধানের দাম বেশি পেলে খুশি হতাম। এখন বেশি দামে ধান বিক্রি হলেও কৃষকের লাভ হচ্ছে না। সুবিধা নিচ্ছে মজুতদাররা।
তিনি আরও বলেন, চালের বস্তার দাম কত? তা মিল গেটেই লিখতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে উৎপাদনের তারিখও। নতুন আইন করা হয়েছে। দ্রুত কার্যকর হবে।
এ আইন কার্যকর হলে মিনিকেট নামের কোনো চাল থাকবে না।
আরও পড়ুন: না শোধরালে জেলে যেতে হবে, অবৈধ মজুতদারদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
না শোধরালে জেলে যেতে হবে, অবৈধ মজুতদারদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী
অবৈধ মজুতদারদের শুধু জরিমানা করেই ছাড় দেওয়া হবে না প্রয়োজনে জেলে যেতে হবে বলে সতর্ক করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে নওগাঁয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
দেশের মানুষের সামাজিক অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে খাদ্যশস্যের কোনো ঘাটতি নেই। সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের সরকারিভাবে ওএমএস চালু আছে।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল কার্ড প্রস্তুত হয়েছে। শিগগিরই ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ করা হবে। এতে এক ব্যক্তি বারবার চাল নিতে পারবে না।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ব্যবসায়ীদের অধিক লাভের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে মিলার, পাইকারি ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ী ও করপোরেট সকলের দায় আছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স স্পটে গিয়ে দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। অনেকে আবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা লাইসেন্স নিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্য মজুত করে ফেলে। এটা তো হতে পারে না।
তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর আইন প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ পাস হয়েছে। বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এটি কেবিনেটে অনুমোদিত হলে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
পুনরায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা রেখেছেন তা পূরণে সব সময় সচেষ্ট থাকবেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা চাই।
আরও পড়ুন: দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
লাফিয়ে লাফিয়ে চালের দাম বাড়িয়েছেন, এখন সেভাবেই কমাতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
ভরা মৌসুমে আমন চালের দাম বাড়বে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়িয়েছেন এখন সেভাবেই কমাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ধান চালের বাজার ঊর্ধ্বগতিরোধে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলগেটে দুই টাকা দাম বাড়লে। পাইকারী বাজারে ছয় টাকা কেন বাড়বে?
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অবৈধ মজুতকারী কিংবা অহেতুক দাম বাড়িয়ে দেওয়া ব্যবসায়ী কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে। বিনা লাইসেন্সে যারা ধানের স্টক করছেন তারা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, রেডি করা চাল বাজারে ছাড়তে হবে। সংকট তৈরি করা যাবে না। প্রচুর ধান আছে। বিবেক ও সততা না থাকলে মানুষ হওয়া যায় না।
সরবরাহের ঘাটতি নেই। এসময় আরসি ফুড ও ডিসি ফুডদের ফুড গ্রেইন লাইসেন্স বিহীন মজুতদারি বন্ধ করতে ও লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: চতুর্থবারের মতো বিজয়ী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
চতুর্থবারের মতো বিজয়ী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৬ নওগাঁ ১ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
রবিবার রাতে নওগাঁ জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা তার কার্যালয়ে বেসরকারিভাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আগামীতে বয়স্ক ভাতা শতভাগে উন্নীত করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
এ আসনে ৬১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদার মোট ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ ভোট পান। নিকটতম প্রার্থী খালেকুজ্জামান তোতা (সতন্ত্র) ট্রাক প্রতীকে পান ৭৬ হাজার ৭২৯ ভোট।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার নওগাঁ-১ আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন।
আরও পড়ুন: অসহায় মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
চালের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। নতুন ধান বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ধানের দামও এখন কম। এ অবস্থায় চালের দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। চলতি মৌসুমে আমনের ফলনও ভালো হয়েছে। দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাদ্য মজুদ আছে। চালের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। অজুহাত দিয়ে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।’
মিল মালিকদের উদ্দেশে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপস হবে না।
আরও পড়ুন: এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী
এসময় তিনি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ধান-চাল সংগ্রহের পরামর্শ দেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক যেন গুদামে ধান নিয়ে এসে হয়রানির শিকার না হয় সেটা খাদ্য কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে।
ফুডগ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন ধান-চালের অবৈধ ব্যবসা করতে না পারে সেদিকে প্রসাশনের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
একইসঙ্গে তিনি পাক্ষিক মজুত বিক্রির রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশনা দেন।
এর আগে, গত ৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বছর আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি আমন ধান ৩০ টাকা, প্রতি কেজি আমন সেদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং আমন আতপ চালের দাম ৪৩ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়।
এ বছর আমন মৌসুমে দুই লাখ টন আমন ধান, চার লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল কেনা হবে। সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক (সংগ্রহ) মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রসাশক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মিল মালিক, কৃষক প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা সংযুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আমন মৌসুমে ৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
আউশ ধানের চাষ বেশি হওযায় চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
অসহায় মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অসহায় মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ভাতা দিয়ে তাদের ইজ্জত রক্ষা করেছেন তিনি।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে নিয়ামতপুরে বীরজোয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পারইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্তমান সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মননশীলতার বিকাশই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও এটি সত্য যে, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আসার আগে অনেকেই পরিবারে ও সমাজে অমর্যাদা পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এখন কেউ বয়স্ক ভাতা পান, কেউ বিধবা ভাতা আবার কেউ আশ্রয়ণের ঘর পেয়েছেন। মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে, নিজের জন্য ওষুধ কিনতে পেরে তারা এখন অনেক খুশি।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বুকে বাঙালিকে পরিচিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সাড়ে তিন বছর মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পান।
তিনি বলেন, দেশকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার আগে মুশতাক ও জিয়ার ষড়যন্ত্রে সপরিবারে তাকে হত্যা করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। ওই দলের প্রতিষ্ঠাতা গণতন্ত্রের শত্রু।
তিনি বলেন, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। জিয়ার আমলে হা-না ভোট হয়েছে। সব ভোটেই কারচুপি করেছে তারা।
পারইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মুজিব গেন্দার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন- নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন এবং নিয়ামতপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাদিরা বেগম।
আরও পড়ুন: আগামীতে বয়স্ক ভাতা শতভাগে উন্নীত করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
জনগণ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়, উন্নয়ন ও শান্তির সঙ্গে থাকবে: খাদ্যমন্ত্রী
আগামীতে বয়স্ক ভাতা শতভাগে উন্নীত করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকার প্রতি বছরই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়াচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামীতে বয়স্ক ভাতা শতভাগে উন্নীত করা হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘সরকার দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
সোমবার নওগাঁর সাপাহারে সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে সাপাহার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্তমান সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেল ও চিনি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত দেশের অধিকাংশ মানুষ, কেউ সরাসরি উপকৃত হয় কেউ বা পরোক্ষভাবে।
তিনি আরও বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় নানা রকম ভাতা দিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এতে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ছাড়াও বয়স্ক ভাতা, স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, বিধবা ভাতা, দরিদ্র মায়ের মাতৃত্বকালীন ভাতা, শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানী ভাতা, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ভাতা রয়েছে। এ ছাড়াও কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছে কৃষক। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা চলে যাচ্ছে অভিভাবকদের মোবাইলে।
সাপাহার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাদেকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন- সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহজাহান হোসেন।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মহজিদ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: জনগণ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়, উন্নয়ন ও শান্তির সঙ্গে থাকবে: খাদ্যমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের মননশীলতার বিকাশই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিসর অনেক বাড়িয়েছে। এ কর্মসূচি দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) নওগাঁর পোরশায় নিতপুর ডাকবাংলোয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক পথচলা বাধাগ্রস্ত করলে জনগণ তা প্রতিহত করবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় নানারকম ভাতা দিয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা, স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, বিধবা ভাতা, দরিদ্র মায়ের মাতৃত্বকালীন ভাতা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানি ভাতা, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ভাতা রয়েছে। এ ছাড়া কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছে কৃষক। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা চলে যাচ্ছে অভিভাবকদের মোবাইলে।
বিএনপির সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তারা নির্বাচন করতে চায় না। জ্বালাও পোড়াও করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আন্দোলনের নামে তারা পুলিশ হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরা স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: খাদ্যমন্ত্রী
ডিজিটাল লিটারেসির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
শিক্ষকরা স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, শিক্ষকরা স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর। এ ছাড়া দেশকে এগিয়ে নিতে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় চৌধুরী চাঁন মোহাম্মদ মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা ও শিক্ষকের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে কাজ করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একসঙ্গে ৩৭ হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করেন। তার সুযোগ্য কন্যা পরে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেন।
নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি শিক্ষকদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরার উদাত্ত আহ্বান জানান।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শিক্ষকদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানেও তারা অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন তিনি সেটি বাস্তবায়ন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ এখন ডিজিটাল সকল সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসে গ্রহণ করতে পারছেন।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিজেকে স্মার্ট শিক্ষক হিসেবে প্রস্তুত করবেন। তারপর শিক্ষার্থীদের স্মার্ট শিক্ষা গ্রহণে প্রস্তুত করবেন। শিক্ষক ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করলে শিক্ষার্থীদের স্মার্টলি শিক্ষা দান করতে পারবেন না।
এসময় তিনি শিক্ষকদের তথ্য প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল লিটারেসির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক পথচলা বাধাগ্রস্ত করলে জনগণ তা প্রতিহত করবে: খাদ্যমন্ত্রী