আ. লীগ নেতা
আ. লীগ নেতাদের দমন-পীড়নকে কারবালা ট্র্যাজেডির সঙ্গে তুলনা করলেন তারেক
আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুত নেতাদের পরিচালিত নির্মম দমন-পীড়নকে কারবালায় ইয়াজিদ বাহিনীর করা নিষ্ঠুরতার অনুরূপ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শনিবার (৫ জুলাই) এক বার্তায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার গত ১৬ বছর ধরে ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে চরম নিপীড়ন ও অবিচারের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, জোরপূর্বক গুম করেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করেছে, সহিংসতা, অস্থিরতা এবং বিদেশে জনগণের অর্থ পাচার করেছে।’
তারেক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছিল এবং তার যথাযথ চিকিৎসা প্রদান থেকে বঞ্চিত করে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া নিষ্ঠুর আওয়ামী লীগ নেতাদের পরিচালিত নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর বর্বরতার মতই।’
তারেক বলেন, ইমাম হোসেন (রা.) এবং তার ঘনিষ্ঠ সাহাবীদের ত্যাগের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশে জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জাতিকে অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইমাম হোসেনের বাহিনীর যুদ্ধ আমাদের সর্বদা সকল প্রকার অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে অনুপ্রাণিত করবে, যাতে এই ধরণের নিষ্ঠুর অত্যাচারীরা আর কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।’
বিএনপি নেতা শহীদ হযরত ইমাম হোসেন (রা.), তার শহীদ পরিবারের সদস্য এবং সাহাবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন।
পড়ুন: জামায়াত ‘ঘোলা পানিতে’ মাছ শিকারের চেষ্টা করছে: অভিযোগ রিজভীর
তিনি বলেন, ‘এই দিনে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) কারবালার ভূমিতে অন্যায়, নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেন। এটি শোক, শ্রদ্ধা ও ত্যাগের দিন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, পার্থিব অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইমাম হোসেনের প্রতিবাদ এবং তার ত্যাগ বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের জন্য, সেইসঙ্গে সমগ্র মানবতার জন্য এক গৌরবময় ও কালজয়ী উদাহরণ হয়ে আছে।
তিনি বলেন, ইমাম হুসাইন (রা.)-এর বেদনা ও শাহাদাত এবং ইসলামকে সমুন্নত রাখার জন্য তার আত্মত্যাগ বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার এক শক্তিশালী উৎস হিসেবে কাজ করে চলেছে। ‘একই সঙ্গে, এই ঘটনা ঐশ্বরিক ন্যায়বিচার, ধার্মিকতা, ত্যাগ এবং মানবিক মর্যাদার বার্তাও প্রকাশ করে।’
তারেক বলেন, হযরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাত অন্যায়, নিপীড়ন এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আদর্শিক সংগ্রামের এক অতুলনীয় উদাহরণ।
তিনি বলেন, ‘ইমাম হুসাইনের (রা.) সহযোগীরা ক্ষমতার লালসায় অন্ধ হয়ে ন্যায়বিচার ও মানবতাকে পদদলিতকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কারবালায় ইমাম হুসাইনের (রা.) অনুসারীদের শাহাদাত বিশ্বজুড়ে নির্যাতিত ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে প্রতিটি যুগে এবং প্রতিটি দেশে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে অনুপ্রাণিত করছে।’
১৫২ দিন আগে
পাবনায় পুলিশের কাছ থেকে আ. লীগ নেতা ছিনতাই, আটক ১৬
পাবনার সুজানগরে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সুজানগর উপজেলার বিভিন্নস্থানে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে আব্দুল ওহাবের বাড়ি-সংলগ্ন মথুরাপুর স্কুলের সামনে থেকে সুজানগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকা থেকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি ঘটে।
আব্দুল ওহাব সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। পাবনা সদর থানা ও ঢাকার মোহাম্মদ থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার মামলার আসামি।
আরও পড়ুন: জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা। তিনি জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যাদেরকে ভিডিও ফুটেজে দেখা যাবে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এছাড়াও পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এর আগে সুজানগর থানা পুলিশের একটি দল আব্দুল ওহাবকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে ওঠায়। এ সময় বেশ কয়েকজন মিলে গাড়িটি ঘিরে ফেলেন। তারা পুলিশকে আব্দুল ওহাবকে ছেড়ে দিতে বলেন, কিন্তু পুলিশ তাতে রাজি না হলে কয়েকশ লোক জড়ো হয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ৮ পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় সুজানগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজাহার আলী বাদী হয়ে মামলা করেন। আব্দুল ওহাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি।
৩০৫ দিন আগে
মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে আ. লীগ নেতার ছেলে আটক
রাজশাহীতে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে শ্রী পার্থর দাস নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার তেলিপাড়ার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পার্থর দাস তাহেরপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চাল ব্যবসায়ী শ্রী কালিপদ দাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মহানবীকে নিয়ে কটুক্তিকারী গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা জানান, পার্থর তার ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) ও উনার মাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যের প্রতিবাদে একাধিক ব্যক্তি পাল্টা মন্তব্য করায় ফেসবুকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক ব্যক্তি তাহেরপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে মৌখিক অভিযোগ করলে তাকে আটক করে তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এদিকে জনতা ও ছাত্ররা তদন্তকেন্দ্র ঘেরাও করে এবং তার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে।
পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় পার্থর দাসকে পুলিশ ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ ভ্যান ভাঙচুর করে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম ও ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে ফেসবুকে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি: ২ যুবককে আটক
৩৭১ দিন আগে
৫ দিনের রিমান্ডে আ. লীগ নেতা ডা. আবু সাঈদ
বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. আবু সাঈদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপী এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে, জামিন নামঞ্জুর
ডা. আবু সাঈদ জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি।
এছাড়া তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট বিস্ফোরণ ও নাশকতার দায়ে ২৫ অক্টোবর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শহরের শেরপুর এলাকার বাসিন্দা আনিছুর রহমান। মামলায় জেলার সাবেক দুই মন্ত্রীসহ ২৪০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় ২৩ নম্বর আসামি ডা. মো. আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাঈদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর, সাবেক এমপি দবিরুল কারাগারে
৪০৩ দিন আগে
শেরপুর জেলা আ. লীগ নেতা চন্দন কুমার পাল কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যার তিন মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার পালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) শেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসান ভূঁইয়ার আদালত তাকে জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে আদালত রিমান্ডের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) তারিখ ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে ফারুক খান
আদালত সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সবুজ মিয়া, সৌরভ ও মাহবুব নামে তিন ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে পৃথক মামলা হয়েছে চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশকালে আটক হন তিনি।
কোর্ট ইন্সপেক্টর (পুলিশের আদালত পরিদর্শক) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, তিন ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে পৃথক মামলা হয় চন্দনের বিরুদ্ধে। তিন মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশকালে আটক হন তিনি।
শহরের পুরাতন গরুহাটি এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী চন্দন কুমার পাল শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি, আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি ছিলেন।
তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর থেকেই চন্দন কুমার পালও আত্মগোপনে চলে যান।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেরপুর জেলা কারাগারে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতার আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে কোন বন্দিকে রাখা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: রুপ হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কারাগারে
হত্যা মামলায় কারাগারে সাবেক এমপি রহিম উল্লাহ
৪১৩ দিন আগে
ফরিদপুরে আ. লীগ নেতার পুরস্কার ঘোষণায় রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে ভিড় এলাকাবাসীর
ফরিদপুরে জীবিত রাসেল ভাইপার ধরতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার পুরস্কার ঘোষণার পর থেকে পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা সাপ ধরতে তৎপর হয়ে ওঠে। গত দুই দিনে বেশ কয়েকটি সাপ ধরে বন বিভাগে জমা দিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিব্যতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বন বিভাগ।
গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুর কোতোয়ালি এরিয়ার মধ্যে জীবিত রাসেল ভাইপার ধরতে পারলে ৫০ হাজার করে টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ।
আরও পড়ুন: বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার চেনার উপায় ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির প্রস্তুতি সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।
এরপর থেকেই এলাকাবাসী এ সাপ ধরতে মরিয়া হয়ে পড়ে।
আলিয়াবাদ ইউনিয়নের কৃষক রেজাউল খান তার জমিতে কাজ করার সময় একটি রাসেলস ভাইপার দেখতে পান এবং সাপটিকে একটি অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে আটকে রাখেন। এরপর তিনি সাপটিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওলাদ হোসেনের কাছে নিয়ে গেলে তিনি স্থানীয় বন বিভাগে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে বলেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাপ নিয়ে বন বিভাগে গেলে তারা সেটি নেয় না এবং প্রাপ্তিস্বীকারপত্রও দেয় না।
আলীয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার বাসিন্দা মনোরুদ্দিন খানের ছেলেও জীবিত একটি রাসেলস ভাইপার ধরেছেন।
ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, এজাতিয় প্রাণী ধরার কোনো বিধান নেই। ধরাটাই অপরাধ।
তিনি বলেন, গত দুই দিনে বেশ কয়েকজন রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে আমাদের কাছে আসে এবং প্রাপ্তিস্বীকারপত্র চায়।
বন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র দিতে পারি না। রবিবার দুপুর পর্যন্ত তিনজন পুরস্কারের আশায় বন বিভাগে রাসেলস ভাইপার জমা দেওয়া চেষ্টা করেছেন। এ নিয়ে আমরা বিপদে পড়েছি।’
আরও পড়ুন: রাসেলস ভাইপার মনে করে পিটিয়ে মারা হলো অজগর
রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা
৫৩০ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ. লীগ নেতার প্রাইভেটকারে ককটেল হামলা, আহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামকে বহনকারী প্রাইভেটকারে ককটেল হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের চৌধুরি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে গাড়িচালক আব্দুর রহিম ও জেলা পরিষদের অ্যাকাউন্টস অফিসার মামুনুর রশিদ আহত হন।
ককটেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাইভেটকারটিও। পরে খবর পেয়ে রাতেই জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গাড়িচালক আব্দুর রহিম বলেন, রাজশাহীতে কাজ শেষ করে তিনজন একই প্রাইভেট কারে শিবগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তারা। সদর উপজেলার চৌধুরি মোড়ে পৌঁছামাত্রই মহাসড়কের পাশ থেকে গাড়িকে লক্ষ্য করে অন্তত ১০টি ককটেল হামলা চালানো হয়। এতে গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায় এবং মামুন তার ডান হাতে লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে দুজনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য ও নয়ালাভাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, আমাকে হত্যা করতেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ককটেল হামলা চালানো হয়েছে। তার দাবি-রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই তাকে হত্যা করতে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন, ককটেল হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
৬২০ দিন আগে
সিলেটে মারামারি থামাতে গিয়ে আ. লীগ নেতার মৃত্যু
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার পূর্ণাছগাম গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আব্দুল্লাহ মিয়া (৩৮) সুন্দাউরা গ্রামের মৃত আয়াত উল্লার ছেলে। তিনি উপজেলার ৬নং দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে লাশ দেখতে এসে প্রতিবেশী নারীর মৃত্যু!
জানা যায়, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাতায়াত নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে দুপক্ষের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার অটোরিকশা করে হায়দরী বাজারের দিকে যাতায়াতের সময় স্থানীয় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটে। এক পর্যায়ে বিষয়টি গ্রামভিত্তিক চলে যায় এবং রবিবার সকাল ৮টার দিকে পূর্ণাছগাম ও সুন্দাউরা গ্রামের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ মারামারি থামাতে যান আব্দুল্লাহ।
সেখানে তিনি গুরুতর আহত হলে তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ'র মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৭৪২
পিকআপের ধাক্কায় মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু
৭৩২ দিন আগে
আ. লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ডা. এখলাস মারা গেছেন
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, বর্তমান উপদেষ্টা ও সীতাকুণ্ডের মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. এখলাস উদ্দীন (৮৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় নগরীর মেহেদীবাগ ন্যাশানাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে ৫ মেয়ে, অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ইমাম উদ্দীন আহমদ চৌধুরীর ইন্তেকাল
তার বড় ভাই ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল দুলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মরহুমকে সোমবার বেলা ২টায় সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা এবং বাদ আছর চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ২ নং বারৈয়ার ঢালা ইউনিয়নের পশ্চিম বহর পুর গ্রামে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার বহরপুর গ্রামে ১৯৩৮ সালের ২০ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধা এখলাস উদ্দিন জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করেন। পরে তিনি নিজেকে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত করেন। প্রায় ২৮ বছর চট্টগ্রাম কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের প্রধান চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ডাক্তার এখলাস উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকার মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের নটারখোলায় মুক্তিযুদ্ধে হরিনা ক্যাম্পের ইনচার্জ এবং চিকিৎসক হিসেবে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. এখলাস উদ্দীনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রামের নেতারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর ইন্তেকাল
৭৩৯ দিন আগে
আবারও পেছাল আ. লীগ নেতা কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ
সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আবারও পেছানো হয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ।
রবিবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মো. শাহাদাত হোসেন প্রামাণিকের আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন আদালত।
এর আগে একই কারণে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পেছানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
মামলার সরকারি কৌঁসুলি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী বলেন, শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রবিবার সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত তারিখে কোনো সাক্ষী উপস্থিত হননি। উপস্থিত না হওয়া কয়েকজন সাক্ষীর নামে পরোয়ানা ও সমন জারি করেন আদালত।
আশা করা যাচ্ছে, আগামী তারিখে সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হবেন।
তবে আসামিদের মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছসহ কয়েকজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া মামলায় অভিযুক্ত জামিনে থাকা পাঁচজন আদালতে উপস্থিত হতে না পেরে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে একটি জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
ওই হামলায় তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত এবং আরও ৭০ জন আহত হন।
ঘটনার পরের দিন হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাইউমসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
এ অভিযোগপত্রের বিষয়ে আদালতে নারাজি আবেদন করে বাদীপক্ষ। পরে মামলা পুনঃতদন্তের পর ২০১১ সালের ২০ জুন আসামির সংখ্যা ১৬ বাড়িয়ে ২৬ জনের নামে দ্বিতীয় দফা অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এটি নিয়েও আপত্তি জানায় নিহত কিবরিয়ার পরিবার।
সবশেষ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। এতে নতুন করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।
পরে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
১০৫৫ দিন আগে