প্রত্যাশা
স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যতটা কনসার্ন ততটা কনসার্ন আর কেউ সম্ভবত নেই। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে অনেক কিছুই চিন্তা করনে।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সদ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগদানকৃত ডা. রোকেয়া সুলতানার সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাজউক ও গণপূর্তকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে একজন ডাক্তার থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও একজন পেশাদার ডাক্তারকেই দিলেন তিনি। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর মেসেজ একদম পরিষ্কার।
তিনি দেশের স্বাস্থ্যখাতে দৃশ্যমান উন্নতি করতে চান। এক্ষেত্রে আমি এবং প্রতিমন্ত্রী দুইজনেই প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশাটা বুঝি ও জানি। আমরা সেভাবেই কাজ এগিয়ে নিতে চাই যাতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা পূরণ হয়।
সভায় সদ্য যোগদান করা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রাজনীতি করেছি কোনো পদ-পদবি পাওয়ার জন্য নয়। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এত বড় সম্মান দিয়েছেন দেশের মানুষের সেবা করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ৩৩ বছর আমি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছি। স্বাস্থ্যখাতের মাঠ পর্যায় থেকে উপর পর্যন্ত আমার জানা আছে। চাকরি জীবনে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ১৯৮০ সাল থেকে একসঙ্গে কাজ করেছি।
আশা করছি, আমরা একসঙ্গে মিলে এবার স্বাস্থ্যখাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে পারব।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, নার্সিং অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট, ডিজিডিএসহ স্বাস্থ্যখাতের সব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবরা।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে অভিযান জোরদার হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেব: জিএম কাদের
শপথ গ্রহণ ও সংসদে যোগদান করে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুরের সেনপাড়ায় নিজ বাসভবনে তিনি এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এমপি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে জিএম কাদের বলেন, 'যেহেতু আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, তাই এই মুহূর্তে আমরা শপথ নিতে পিছপা হব না। আমরা সংসদে গিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলব এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
চলতি নির্বাচনে সরকারের সততা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'যেখানে সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়েছিল, সেখানে তারা সফল হয়েছে। তবে যেসব জায়গায় তারা জনগণের মন জয় করতে চেয়েছিল, সেখানে তারা বলপ্রয়োগ করেছে এবং আমাদের জনগণকে পরাজিত করেছে।’
বৈঠকের এজেন্ডা সম্পর্কে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির অনেক প্রার্থী নির্বাচনের ফলাফলে হতাশ হয়েছেন। অতএব, আমি সবার সঙ্গে বসেছি, তাদের উদ্বেগ শুনেছি এবং লিখিত বক্তব্য সংগ্রহ করেছি। এই তথ্যগুলো ভবিষ্যতে অনুসরণের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এ সময় জাপার কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাপা মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জাপা জেলা সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
খুলনায় সরিষার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা
খুলনায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের রেখা ফুটেছে। চলতি মওসুমে খুলনায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ করেছেন চাষিরা।
এ মওসুমে ২৮৯ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেড়েছে। ৯ উপজেলার পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন মাঠে মাঠে হলুদের সমারোহ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বেড়ে ওঠা ফসল আর ফুল দেখে অধিক ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
উন্নত জাতের বীজ ও সার প্রণোদনা পাওয়ার পাশাপাশি গত বছর সরিষা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এবার কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও প্রত্যেক সরিষা চাষি অধিক মুনাফা লাভ করবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ সংকট: বুড়িগঙ্গার নিকটবর্তী স্থানীয়দের পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রকল্প গ্রহণ
খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে জেলায় এক হাজার ৯৫৪ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুর মেট্রো এলাকায় ১৪ হেক্টর, লবণচরায় ৭ হেক্টর, রূপসা উপজেলায় ৩০৫ হেক্টর, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২৫০ হেক্টর, দিঘলিয়া উপজেলায় ১২০ হেক্টর, ফুলতলা উপজেলায় ১৮০ হেক্টর, ডুমুরিয়া উপজেলায় ৪২০ হেক্টর, তেরখাদা উপজেলায় ১৬০ হেক্টর, দাকোপ উপজেলায় ২৮ হেক্টর, পাইকগাছা উপজেলায় ২৬০ হেক্টর ও কয়রা উপজেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
গত বছর খুলনায় এক হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়।
এদিকে সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে জেলার এক হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের জন্য ১৩ হাজার ৬০০ জন চাষিকে বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করেছে কৃষি বিভাগ। দৌলতপুর মেট্রো এলাকার ৫০ জন, লবণচরা মেট্রোর ৫০ জন, রূপসা উপজেলার দুই হাজার জন, বটিয়াঘাটার এক হাজার ৮০০ জন, দিঘলিয়ার এক হাজান ২০০ জন, ফুলতলার এক হাজার ৪০০ জন, ডুমুরিয়ার দুই হাজার ৩০০ জন, তেরখাদার এক হাজার ২০০ জন, দাকোপের ৩০০ জন, পাইকগাছার এক হাজার ৮০০ জন ও কয়রার এক হাজার ৫০০ জন চাষির প্রত্যেককে এক কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রণোদনা দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: চাকরির পেছনে না ছুটে কমলা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে কুড়িগ্রামের যুবক
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা বিএনপির: রিজভী
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা করছে বিএনপি।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
রিজভী বলেন, 'রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে কিছু মন্তব্য করেছেন বলে বাংলাদেশের জনগণ ও বিএনপির নজরে এসেছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের জন্য বিরোধী দলের এক সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেন জাখারোভা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করে নতুন দল তৈরি করছে সরকার: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘জাখারোভার বক্তব্য একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বিরোধী। বিএনপি ভুল তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
২০১৪ ও ২০১৮ সালের প্রহসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কলঙ্কিত ট্র্যাক রেকর্ড ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্বাস করে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অধীনে একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অসম্ভব।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক বিরোধী শক্তি তাদের চুরি হওয়া ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগ্রাম করছে।
তিনি বলেন, 'পুলিশের নৃশংস নিপীড়ন এবং পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের যৌথ হামলা মোকাবিলা করে বর্তমানে আমাদের দেশের জনগণ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ও প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও আন্তর্জাতিকমানের শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার এজেন্সিগুলো ব্যবহার করে কিংস পার্টি গঠন করছে: রিজভী
রিজভী বলেন, গত কয়েক মাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজধানী ঢাকা ও বিভাগীয় সদরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে অসংখ্য সমাবেশের আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, 'কোনো বিদেশি কূটনীতিকের এ ধরনের সমাবেশে সহায়তা করার প্রশ্নটি শুধু অসত্যই নয়, গণতন্ত্রের জন্য জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম সম্পর্কে সুস্পষ্ট মনগড়া অভিযোগ।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে জোট বেঁধে এবং জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জাখারোভার বক্তব্য নিজেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল, যা অপ্রত্যাশিত ও দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে এই স্বৈরাচারী শাসনের সূচনার পর থেকে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে তাদের স্বজনসহ লাখ লাখ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে জাখারোভার বক্তব্য।
রিজভী বলেন, বর্তমানে গণতান্ত্রিককামীরা গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও বাকস্বাধীনতার জন্য রক্ত ঝরিয়ে রাস্তায় নেমেছেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ-নাশকতার পেছনে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা: রিজভী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বের গণতন্ত্রপ্রিয় দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ইতিবাচক ভূমিকাকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করে। অনুপ্রেরণামূলক কূটনৈতিক উদ্যোগ রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও মতাদর্শকে অতিক্রম করে জনগণের জন্য ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের অভিন্ন লক্ষ্যে বাংলাদেশীদের ঐক্যবদ্ধ করেছে।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের পাশে অন্য কোনো দেশকে দেখতে গণতন্ত্রপন্থী নাগরিকরা পছন্দ করে না।
তিনি বলেন, পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক স্বার্থে রাশিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। বিএনপি রাশিয়ার ঐতিহাসিক অবদানকে স্বীকৃতি দেয় এবং দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে মূল্য দেয়।
তিনি বলেন, 'আমরা আশা করি, রাশিয়া বাংলাদেশিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে না। আমাদের জনগণ যখন ভোটাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন রাশিয়ার সমর্থন করাই উচিৎ হবে।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
ফরিদপুরে লক্ষাধিক মেট্রিক টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রত্যাশা
চলতি রবি মৌসুমে ফরিদপুরের পেঁয়াজ চাষিরা লক্ষাধিক মেট্রিকটন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ইতোমধ্যেই জেলার লক্ষ্যমাত্রার ৫০শতাংশ চাষাবাদ শেষ করেছেন তারা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে পেঁয়াজ বাজারের অস্থিরতা কিছুটা স্থিতিশিল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ও ডিগ্রিরচর ইউনিয়নে কয়েকটি মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শীতকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করার জন্য চাষিরা খেতে কাজ করছেন। কেউ নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউ সেচ দিচ্ছেন, আবার কেউ প্রস্তুতকৃত জমিতে ভাল্ব (ছোট পেঁয়াজ) রোপন করছেন ।
এসব খেতের চাষিরা জানান, এ বছর পেঁয়াজের ভালো দর পাওয়ায় রবি মৌসুমে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাষিরা খেত প্রস্তুত করেছে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদের জন্য। সরকারি আবাদের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের ভাল্ব রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
আরও পড়ুন: ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন সরকারের
প্রতিবন্ধীদের সব প্রত্যাশা পূরণ করা হবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, প্রতিবন্ধীদের সব প্রত্যাশা পূরণ করা হবে। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন নিশ্চিতে সরকার আন্তরিক।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারই প্রথম প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কথা ভেবেছে, তাদের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। অন্য সময় যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের আখের গোছানোয় এত ব্যস্ত ছিল যে, জণকল্যাণের কথা ভাববার সুযোগ পায়নি।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধীদের শনাক্ত করে, তাদের সুবর্ণ কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আজকে শতভাগ প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। তাদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আবাসন, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে স্মার্ট ক্যান দিচ্ছি, ব্রেইল বই দিচ্ছি। তাদের জন্য পৃথক আইন, সমন্বিত পরিবেশে পড়ালেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আগামীর বাংলাদেশ প্রতিবন্ধীবান্ধব করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ডিজিটাল বিপ্লবের ফলে তাদের জীবন সহজ হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ হলে তার সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করবেন প্রতিবন্ধীরা।
রাশেদ খান মেনন বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য নেওয়া উদ্যোগগুলো সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করলে তাদের জীবন সুন্দর হবে।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য যথাযথ শ্রুতিলেখক নিযুক্তির বিষয়ে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের যৌক্তিক দাবি বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাজ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
পরে মন্ত্রী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হাতে আর্থিক অনুদান ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মধ্যে স্মার্ট হোয়াইট ক্যান বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: আট বিভাগে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
মানবকল্যাণ পদক পাচ্ছে বিদ্যানন্দসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: এক মাসে ১০ লাখ যান চলাচল, প্রত্যাশার চেয়ে ৫০% বেশি
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা ও টোল আদায় সব প্রত্যাশা ও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত ২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজারেরও বেশি যানবাহন এটি ব্যবহার করছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার জানান, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৬২৭টি যানবাহন এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে। এ সময়ে টোল আদায় করা হয়েছে ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারী গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি যানবাহন, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম) যা ক্যাটাগরি-১ এর অন্তর্ভুক্ত। এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে এসব যানবাহনকে ৮০ টাকা টোল দিতে হয়। প্রথম মাসে, এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা যানবাহনগুলোর মধ্যে ৮ লাখ ৯২ হাজার ২৫০টি এই ক্যাটাগরির ছিল, যা মোট যানবাহনের ৯৯ শতাংশেরও বেশি।
ক্যাটাগরি-২ এর অন্তর্ভুক্ত মাঝারি ধরনের যানবাহনের (৬ চাকা পর্যন্ত) টোল ৩২০ টাকা। এই ক্যাটাগরির ১ হাজার ৪৬৮টি যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েটি ব্যবহার করেছে।
ছয়টির বেশি চাকার ট্রাককে ক্যাটাগরি-৩ হিসেবে শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর টোল ৪০০ টাকা। প্রথম মাসে এক্সপ্রেসওয়েতে এই ক্যাটাগরির গাড়ি চলেছে মাত্র ৪৯টি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে ৯টি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন, প্রথমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
এ ছাড়া ক্যাটাগরি-৪-এ সব ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি) রয়েছে। এই ক্যাটাগরির মোট ৬ হাজার ৮৬০টি গাড়ি ১৬০ টাকা করে টোল দিয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকে এই সময়ের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা মোট যানবাহনের শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ ছিল এই ক্যাটাগরির যান।
আখতার বলেন, ‘আমরা খুশি কারণ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বেশি যানবাহন ব্যবহার করছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ সেপ্টেম্বর তার বহরের ২৫টি গাড়ির জন্য ২ হাজার টাকা টোল পরিশোধ করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। পরের দিন বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের জন্য রুট খুলে দেওয়া হয়। এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যেতে ১০ থেকে ১২ মিনিট সময় লাগে।
আখতার আরও বলেন, ‘যদিও আমরা আশা করেছিলাম যে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ হাজার যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করবে। এখন সেই সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি হয়েছে। এটি প্রত্যাশার চেয়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত নগরীর বাসিন্দারা রাস্তায় যানবাহন চালিয়ে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ‘এক্সপ্রেসওয়ে সম্পূর্ণরূপে চালু হলে এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হলে আমরা উল্লেখযোগ্য সুবিধা পাব।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ৬
প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি রাজধানীর কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে চলবে।
তবে যাত্রী সংকটের ভয়ে সরকারি-বেসরকারি পরিবহনগুলো এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছে না। এমনকি মহাখালীর আন্তঃজেলা বাসগুলোও এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে না। কারণ, বাস স্টেশনগুলোর কাছাকাছি র্যাম্পগুলো এখনও চালু হয়নি। ফলে নগরীর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমছে না।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, মহাখালী র্যাম্পের পাশাপাশি এক্সপ্রেসওয়ের অন্যান্য র্যাম্পের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, একবার সেগুলো সম্পন্ন হলে, এক্সপ্রেসওয়েতে বর্তমানের চেয়ে যান চলাচল আরও বাড়বে, এক্সপ্রেসওয়ের নিচে রাস্তায় পরিবহনের চাপ কমবে।
বুয়েটের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে আংশিকভাবে চালু হওয়ার পরও রাস্তায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের সমস্যা দৃশ্যমানভাবে কমেনি। তিনি বলেন, কমার কোনো সুযোগও নেই।
আরও পড়ুন: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: প্রথম তিন সপ্তাহে ৫ কোটি টাকার বেশি টোল আদায়
এক্সপ্রেসওয়ের ল্যান্ডিং পয়েন্টগুলোর নিকটবর্তী রাস্তাগুলো ব্যস্ততম সময়ে তীব্র যানজটের কবলে পড়ে। তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের জন্য গণপরিবহনের বিকল্পগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হলে প্রকল্পের প্রকৃত প্রভাব অর্থাৎ ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব নির্ধারণ করা যেতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবু সালেহ মো. রায়হান ইউএনবিকে বলেন, বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত যানবাহন চলাচল কিছুটা হলেও সহজ হয়েছে কারণ বেশিরভাগ ব্যক্তিগত গাড়ি এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছে।
যুগ্ম কমিশনার আরও বলেন, যদিও ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড এবং তেজগাঁও শিল্প এলাকার লাভ রোডের মতো র্যাম্পের কিছু এক্সিট পয়েন্টে প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান। তবে সংশ্লিষ্ট রাস্তায় কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার পরে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: জধানীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গার্ডারের আঘাতে শ্রমিকের মৃত্যু
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অংশীজনদের থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করি: মেয়র তাপস
এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ থেকে সুরক্ষা দিতে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় 'এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ'- এ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে গণপূর্ত অধিদপ্তর, রেলওয়ে, ওয়াসা, পুলিশ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অধিদপ্তর ও বোর্ড ইত্যাদি অনেক সংস্থার অনেক আবাসন ও স্থাপনা রয়েছে।
এছাড়াও এখানে রিহ্যাবের প্রতিনিধি এসেছেন। আপনারা নিশ্চয় ওয়াকিবহাল আছেন যে নির্মাণাধীন প্রায় শতভাগ ভবনে আমরা মশার লার্ভা পাই।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহে ঢাকাবাসীকে অভ্যর্থনা জানাতে আমরা প্রস্তুত: শেখ তাপস
বিশেষ করে চৌবাচ্চাসহ অন্যান্য যেসব অবকাঠামো করা হয়, সেখানে পানি জমে থাকে। আমরা চাই, সেসব নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনায় যেন এডিসের প্রজননস্থল সৃষ্টি না হয় সেজন্য আপনারা যথাযথভাবে তদারকি করবেন।
তিনি বলেন, আপনারা সেসব জায়গায় এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূল না করতে পারলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা তা নির্মূলের ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু পরবর্তীতে সেসব স্থাপনার সুরক্ষা আপনাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে আমরা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করি। সেজন্যই আজকের এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
শেখ তাপস বলেন, এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ হয়ে থাকে। যা অনেক সময় প্রাণহানি ঘটায়। সেজন্য আমাদের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের বড় অংশই হলো এই ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করা, এডিস মশার বিস্তার রোধ করা।
তিনি বলেন, সেলক্ষ্যে যে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি তার অন্যতম হলো উৎস নিধন। এটি আমাদের (ডিএসসিসি) সৃষ্ট কোনো কর্ম পদ্ধতি বা উদ্ভাবন নয়।
তিনি আরও বলেন, সিডিসি কর্তৃক এডিস মশা নিধনে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও কার্যকর হাতিয়ার হলো উৎস নিধন। সারাবিশ্বে যে কর্ম পদ্ধতিতে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা হয় আমরা তা অনুসরণ করে তার পূর্ণ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে আরও বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমাদের যে নিয়মিত কর্মপরিকল্পনা আমরা সাজিয়েছি তার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমরা আরও বেশি নজর দিতে চাই।
বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণগুলোতে আমরা আরও বেশি নজর দিতে চাই।
সেজন্য আমরা শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও আজকের সভায় আমন্ত্রণ করেছি। যাতে করে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেন।
সভায় মেয়র তাপস এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৫ জুন হতে ৪ মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা এবং আগামী ১৫ জুলাই থেকে ৩ মাসব্যাপী কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান।
আরও পড়ুন: ধোলাইখাল জলাধারের পরিবেশ হাতিরঝিলের চাইতে সুন্দর ও নান্দনিক হবে: মেয়র তাপস
স্বামী বিবেকানন্দ অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থায় বিশ্বাসী ছিলেন: মেয়র তাপস
নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই।
তিনি বলেন, আমরা জানি তিনি (রাষ্ট্রপতি) কী ভূমিকা পালন করতে পারেন। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার তার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া আমরা মনে করি না তার সেই সাহস আছে।
সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার আগুন নিয়ে খেলছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে: ফখরুল
তিনি বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতির ওপর তাদের আস্থা নেই।
ফখরুল জানান, মো. সাহাবুদ্দিনকে মানুষ বেশি চেনে না। তাই ক্ষমতাসীন দল তাকে রাষ্ট্রপতি করায় তারা কিছুটা হতাশ হয়েছেন। ‘আমরা এবিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কেন মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি করেছে তা বিএনপির কাছে পরিষ্কার না। ‘এই বছরের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ মানুষকে বিস্মিত করেছে।’
এর আগে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন।
ফখরুল বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারবেন কি না তা নিয়ে মানুষের সন্দেহ আছে।
তিনি বলেন, তাদের দল নতুন রাষ্ট্রপতির প্রেক্ষাপট নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি, কারণ তারা তাকে নিয়ে আগ্রহী নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তারা মূল বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে চান।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক নয়। বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলে এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন না করলে সবকিছুই অর্থহীন হয়ে পড়বে। তাই, আমরা এ বিষয়টির ওপর ফোকাস করছি।
রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করলে বিএনপি তাতে যোগ দেবে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারকে পাশ কাটিয়ে কিছু করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির নেই।
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি চায়, তাহলেই রাষ্ট্রপতি এটা করবেন। সরকার পরিষ্কারভাবে বলেছে যে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবে না। তাই, সংলাপের প্রশ্নই আসে না।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে, মানুষের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে এবং সংঘাতের রাজনীতি এড়াতে হলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের দল অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য চলমান আন্দোলন আরও জোরদার করবে।
ফখরুল বলেন, সরকারের মনোভাবের ওপর ভিত্তি করে আন্দোলনের ধরন নির্ধারণ করবে দেশবাসী।
আরও পড়ুন: জনগণ ‘দুঃখ-কষ্টের’ মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে: ফখরুল
আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানোই সরকারের মূল পরিকল্পনা: ফখরুল
আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'প্রত্যাশা: অভিবাসীদের আশা' শুরু মঙ্গলবার
টেকসই পুনর্মিলন, নিরাপদ অভিবাসন এবং অভিবাসন শাসন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং জনসাধারণকে বোঝানোর জন্য ‘প্রত্যাশা: অভিবাসীদের জন্য আশা’ শীর্ষক একটি ফটো প্রদর্শনীর আয়োজন করবে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) ।
নিরাপদ অভিবাসন, টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ, এবং অভিবাসন শাসনের বিষয়গুলো সম্পর্কে মানুষকে জানানো এবং সচেতন করার জন্য গল্প বলা একটি কার্যকর হাতিয়ার।
আরও পড়ুন: আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ২ প্রকল্প
এই প্রদর্শনীটি অভিবাসন-সম্পর্কিত বিভিন্ন গল্পকে একত্রিত করবে যা আমাদের জটিল অভিজ্ঞতা বুঝতে এবং বাংলাদেশে অভিবাসনের কিছু সুযোগ ও চ্যালেঞ্জকে প্রাসঙ্গিক করতে সাহায্য করবে।
সোমবার আইওএম বলেছে, এটি অভিবাসন এবং এর জটিলতাগুলো বুঝতেও সাহায্য করবে।
এছাড়াও, গল্পগুলো প্রত্যাশা প্রকল্পের অধীনে প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসীদের নিরাপদ অভিবাসন এবং টেকসই পুনঃএকত্রিতকরণের কাজের প্রভাব এবং ফলাফল উপস্থাপন করবে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ছবির প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এছাড়াও, ইভেন্ট চলাকালীন পট গান, গানের পরিবেশনা, শর্ট ফিল্ম এবং কুইজ সমন্বিত একটি ইনফোটেইনমেন্ট শো অনুষ্ঠিত হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ: সাসটেইনেবল রিইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড ইম্প্রুভড মাইগ্রেশন গভর্ন্যান্স (প্রোতাশা) প্রকল্পের আওতায় এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
আইএমও ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় এবং ব্র্যাকের সঙ্গে অংশীদারিত্বে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে আসছে।
আরও পড়ুন: সাংস্কৃতিক চীন: কাল ও দেশের সীমা পেরিয়ে চীনা চায়ের সুবাস
টাকা কীভাবে এলো? মানব সভ্যতায় টাকার ইতিহাস