স্কুলছাত্রী
রাণীনগরে প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চা ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
নওগাঁর রাণীনগরে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে জালাল শেখ (৪৮) নামে এক চা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার উপজেলার লোহাচুড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
জালাল শেখ লোহাচুড়া কারিগরপাড়া গ্রামের আলেফ উদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, জালাল শেখ একই গ্রামের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে স্কুল ছুটির পর বিভিন্ন প্রলোভন ও হুমকি-ধামকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। গত সোমবার ওই স্কুলছাত্রী গ্রামের একটি পুকুরপাড়ে বসে মাছ ধরা দেখছিলেন। এ সময় জালাল সেখানে গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ঘটনাটি দেখে ফেলেন। এরপর স্কুলছাত্রীর পরিবার বিষয়টি জানতে পারে।
পরে স্কুলছাত্রী তার পরিবারকে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল ছুটির পর বাড়িতে ফেরার পথে বিভিন্ন সময়ে জালাল তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও হুমকি-ধামকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। ঘটনাটি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন। স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাণীনগর থানায় জালালের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জালাল শেখের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েদ বলেন, প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় চা ব্যবসায়ী জালালকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবি ক্যাম্পাসে ধর্ষণ: ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ২ জনের সনদ বাতিল
খুলনায় তরুণীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নাটোরে অপহরণের ৪ দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ জনকে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- অন্তর আহমেদ (১৯) ও তার বাবা আতাহার আলী (৪৫)।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সনজয় কুমার সরকার জানান, প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাক্ষাত হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় অপহরণ করে অন্তর ও তার সহযোগীরা।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হলে বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযানে নামে র্যাব। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত রাতে নাটোর শহরের বড় হরিশপুর এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রীকে। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাবা-ছেলেকে।
তাদেরকে বাগাতিপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান এএসপি।
আরও পড়ুন: নাটোর বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ১০ তলা ভবন থেকে পড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১০ তলা ভবন থেকে পড়ে মোনাম সামাদ তাহমীন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারী) দুপুরে চকবাজার থানার চন্দনপুরা পশ্চিম গলি ‘নেপচুন টাওয়ারে’ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তাহমীন নগরীর মাদারবাড়ি সিটি গালর্স হাইস্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তিনি ওই এলাকার হায়দার আলীর মেয়ে। ভবনটি তাদের নিজস্ব ছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
মেয়েটির বাবা হায়দার আলী জানান, মেয়েটি চোখে কম দেখত, এজন্য চশমা পরত। রোদে গেলে তার মাথা ঘুরত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, চন্দনপুরা এলাকায় ১০ তলা একটি ভবন থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আত্মহত্যা করেছে কি না বা অসতর্কতাবশত পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্তে জানা যাবে। পুলিশ সুরতহাল শেষ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: অটোরিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে স্কুলছাত্রী অপহরণের ৪ মাস পর ঢাকা থেকে উদ্ধার, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
অটোরিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে অটোরিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে সাইমা আক্তার নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের আফতাব উদ্দিন খাঁ মাজারসংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
নিহত সাইমা আক্তার উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের সেমন্তঘর গ্রামের শহিদুল আলমের মেয়ে ও শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্কুলের সহপাঠিরা জানান, অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফেরার পথে অটোরিকশার মোটরে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লেগে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নবীনগর উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এবিষয়ে নবীনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম জানান, উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে অটোরিকশার মোটরের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!
ফরিদপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে ২ জনকে গণপিটুনি, মাইক্রোবাসে আগুন
ফরিদপুরে স্কুল থেকে এক শিক্ষার্থীকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন দুই ব্যক্তি। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে শরহতলীর কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
আটক ব্যক্তিরা হলেন- ফরিদপুর সদর উপজেলার ইশানগোপালপুর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে মামুন ওরফে ফেন্সি (৪০) এবং শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাদশা মোল্লার ছেলে আলমগীর (৫২)।
কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক অমূল্য কুমার জানান, সোমবার সকালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি মাইক্রোবাসে করে এক ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রীর সহপাঠী ও স্থানীয়রা স্কুল মাঠের মধ্যে গাড়িটির গতিরোধ করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ক্ষুব্ধ সহপাঠী ও স্থানীয়রা মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার
বাগেরহাটে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
বাগেরহাটের রামপালে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রামপাল উপজেলার বড় দুর্গাপুর পুঁটিমারি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তার ২ জন হলেন- রাসেল শেখ (২৬) ও রাকিব হোসেন সজল (২৫)।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সাবেক ইউপি মেম্বারের ২৬ বছরের কারাদণ্ড
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ভুক্তভোগী শুক্রবার বিকালে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে বের হয়।
রনসেন মোড়ে দুই যুবক রহমত ও রাসেল মোটরসাইকেলে উঠিয়ে রামপাল থানার বড় দুর্গাপুর পুঁটিমারি গ্রামে একটি টং ঘরে নিয়ে যায়।
টং ঘরে আগে থেকে অবস্থান করা সজলসহ তারা তাকে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এরপর তাকে গাড়িতে করে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির মামা বাদী হয়ে ওই ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ওসি বলেন, স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ২ যুবককে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২ জন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, অপরজনকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা : ওসি মিজানের ১০ বছর কারাদণ্ড
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মাগুরায় স্কুলছাত্রীসহ ২ জনের আত্মহত্যা
মাগুরার মহম্মদপুরে এক স্কুলছাত্রী ২ জন আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে ও রবিবার সকালে তারা দুজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যাকারী সমাজদার সাগর (২৩) মহম্মদপুর উপজেলার পলাশাবাড়িয়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের সনজিত সমাজদারের ছেলে। অপর আত্মহত্যাকারী আয়েশা খাতুন ঐশী (১৫) সদর ইউনিয়নের ধোয়াইল গ্রামের আক্কাস আলীর মেয়ে। তিনি ধোয়াইল আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই শিশুর মৃত্যু, পরিবার বলছে আত্মহত্যা
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাগর সমাজদার রাতে তার নিজের মুদি দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন। কিন্তু সকালে দোকান ঘরে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা দরজা ভেঙ্গে গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশটি দেখতে পায়।
অপরদিকে রবিবার সকালে আয়েশা তার বোনের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে অভিমান করে গোয়াল ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মহম্মদপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উভয় ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিরকুট লিখে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
খাগড়াছড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা: প্রেমিকের মৃত্যু, প্রেমিকা হাসপাতালে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আট বছর আগে রাজধানীর বাড্ডায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় নাছির হাওলাদার নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি নাছিরকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাছির জামিনে ছিলেন। গত ৩০ আগস্ট যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের দিনে আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বুধবার রায় ঘোষণার আগে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নাছির ঝালকাঠির কোলাবানিয়ার মদিপুর গ্রামের মজনু হাওলাদারের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ (অরেঞ্জ) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আসামি ও ভুক্তভোগীর পরিবার বাড্ডার সেকেন্দারবাগ এলাকায় একই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভুক্তভোগীর মা বিভিন্ন বাসায় কাজ করেন। বিভিন্ন সময় নাছির ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন।
বিষয়টি পরিবারকে জানায় সেই ছাত্রী। তার পরিবার বিষয়টি বাড়ির ম্যানেজারকে জানালে তিনি নাছিরকে মৌখিকভাকে সতর্ক করেন। তারপরও নাছির ওই শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করেন। ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল সকাল ১১টায় ভুক্তভোগী কলপাড়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় নাছির ধরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ১৫ এপ্রিল বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাবুলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করা ডিএসএ মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ আদালতের
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
নবীনগরে সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
মৃত সোনিয়া ওই এলাকার মজনু খানের মেয়ে। সোনিয়া বিটঘর উচ্চ বিদ্যালয় দশম শ্রেণির ছাত্রী।
আরও পড়ুন: কেশবপুরে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু
সোনিয়ার বাবা মজনু মিয়া জানান, তার মেয়ে সোনিয়া রাতে হাতে মেহেদী দিচ্ছিল। এসময় সোফায় বসা অবস্থায় একটি বিষধর সাপ তার বাম পায়ে কামড় দেয়। এরপর সোনিয়া অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তারা সোনিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরিফুজ্জামান হিমেল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোনিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার পরিবারের লোকেরা। সোনিয়ার পায়ে সাপের কামড়ের চিহ্ন ছিল। বিষধর সাপের কামড়েই সোনিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে ঘুমন্ত মা-মেয়ের মৃত্যু
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মোশাররফ হোসেন প্রকাশ লিটন (২৫), মো. আকবর হোসেন প্রকাশ (২৮) ওরফে হাত কাটা আকবর, মো. সুমন (৩০), মো. নুরুল আবছার প্রকাশ স্বপন (৩২) ও আবুল বশর ওরফে বশর (৪৭)।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় আকবর হোসেন, মোশাররফ হোসেন ও নুরুল আবছার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজাপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আবুল বশর ও সুমনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর জিকো বড়ুয়া জানান, ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা: চাঁদপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে কলেজ কর্মচারীকে কারাদণ্ড
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সন্দ্বীপ উপজেলার রহমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সকালে স্কুলে যায়। কিন্তু এরপর আর বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা স্কুল ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। পরদিন দুপুরের দিকে ওই ছাত্রীর বাড়ির পশ্চিম পাশে জমি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
২০১৭ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন