শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নিখোঁজের চার দিন পর বাড়ির পাশের একটি ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে মাইমুনা খাতুন (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভালুকাকুড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মাইমুনা ওই গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় কালাপাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, গত শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মাইমুনা। এরপর খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির পাশের ডোবার মতো কচুরিপানা ভর্তি নিচু জমির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে যান। সেখানে বিবস্ত্র অবস্থায় একটি অর্ধগলিত লাশ দেখতে পেয়ে তারা চিৎকার করতে থাকেন।
পরে নিহতের চাচা আলী হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি মাইমুনার বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে নালিতাবাড়ী থানার পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
নিহত মাইমুনার আরেক চাচা শুক্কুর আলী বলেন, আমরা বুঝতে পারছি না এটি হত্যাকাণ্ড নাকি দুর্ঘটনা। সেটি পুলিশি তদন্তের পর জানা যাবে। হত্যাকাণ্ড হলে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি পুলিশ ঘটনাটির প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার তদন্তকাজ চলছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এবং তদন্তকাজ শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।