বাড়ি
কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীর বাড়ি লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তের গুলি
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা হাটের ইজারা নেওয়াকে কেন্দ্র করে দেশের শীর্ষস্থানীয় চাল ব্যবসায়ী রশিদ এগ্রো ফুড প্রডাক্টসের মালিক আব্দুর রশিদের বাড়ি লক্ষ্য করে দিনে দুপুরে গুলি ছুঁড়েছেন দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে কুষ্টিয়ার শহরের কোর্টপাড়া এলাকার গোসালা গলির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
আব্দুর রশিদ বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি।
আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের স্থানীয় আইলচারা হাট নিলামে আমার ভাতিজা গোল্ডেন রাইস মিলের মালিক জিহাদুজ্জামান জিকু পেয়েছে। এরপর থেকে সন্ত্রাসীরা আমাদের দুজনকে মুঠো ফোনে হুমকি দিয়ে আসছিল। আজকে গুলি করে গেল।
তিন বলেন, সপ্তাহখানেক আগেও মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়েছে।
কি কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আইলচাড়া হাট নিয়ন্ত্রণ করি। আমার বড় ভাই চেয়ারম্যান, ভাতিজা জিহাদুজ্জামান জিকু এই হাটের জন্য টেন্ডার ড্রপ করেছে। টেন্ডারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে তিনি জানান।
তিনি দাবি করেন তারা টেন্ডার ড্রপ না করলে অল্প টাকায় নেওয়ার জন্য কিছু ব্যক্তি পাঁয়তারা চালাচ্ছিল। ভাতিজা জিকু টেন্ডার ড্রপ করার পর থেকেই বিভিন্নভাবে জিকুকে এবং তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে কিছু ব্যক্তি। সপ্তাহখানেক আগেও তাকে মুঠো ফোনে হুমকি দিয়েছে বলে জানান তিনি।
রশিদ অভিযোগ করে বলেন, কুষ্টিয়া সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব ও মুন্না এই হাট নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তার ধারণা।
আরও পড়ুন: মাথায় গুলি নিয়েই জুলাই যোদ্ধা হৃদয় মারা গেলেন
তবে কুষ্টিয়া সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব রশিদের অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, এ ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা তো দূরে থাক, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুজন ব্যক্তি হেলমেট পড়ে এসে বাইক থামিয়ে কোমর থেকে অস্ত্র বের করে রশিদের বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি করে তাৎক্ষণাৎ মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।
ঘটনাটি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, মোটরসাইকেলে করে দুজন ব্যক্তি এসে আব্দুর রশিদ সাহেবের নির্মাণাধীন বাড়িতে দুই রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে গিয়েছে। আমরা আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেছি এবং মোটরসাইকেলটির নাম্বার শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এই বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৩৯ দিন আগে
মাশরাফি ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বাড়িতে আগুন
নড়াইল শহরের মহিষখোলা এলাকায় জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। একই সময়ে আলাদাতপুর এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুবাস বোস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামুদ্দিন খান নিলুর বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুবৃর্ত্তরা।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকালে দফায় দফায় এসব হামলা ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শেরপুর জেলা কারাগার ভাঙল দুর্বৃত্তরা, ৫০০ বন্দির পলায়ন
এ ছাড়া পুরাতন বাস টার্মিনালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।
বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কে বা কারা আগুন দিচ্ছে, ভাঙচুর করছে এবং লুটপাট করছে তা আমাদের জানা নেই। আমাদের নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছি আমরা।’
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী-আন্দোলনকারীদের তারেক রহমানের অভিনন্দন
রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান সারজিস আলমের
৪৮৬ দিন আগে
বোনের বাড়ির উঠান থেকে যুবকের হাত-পা ভাঙা লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় চাচাতো বোনের শ্বশুরবাড়ির উঠান থেকে স্বপন আলী নামে এক যুবকের হাত-পা ভাঙা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কুমারখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জালাল মোড় এলাকায় আসাদের বাড়ি থেকে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নিহত যুবকের স্বপন আলী চুয়াডাঙার দর্শনা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি একজন গাড়িচালক। স্বপন ও সুমি সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
স্বজনদের ভাষ্যমতে, প্রেমের জেরে চাচাতো বোন ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে উঠানে লাশ ফেলে পালিয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আসাদের বাড়ির উঠান থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত যুবকের মাথার চুলকাটা ও শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহৃ ও রক্ত রয়েছে। এ ছাড়া চাচাতো বোনের সঙ্গে প্রেমের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কে লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও ২ ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
৭৭৮ দিন আগে
কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে ৫০টি বাড়ি বিলীন
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
তিস্তা নদীর পানি শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
রবিবার (২৭ আগস্ট) সকালে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া রেল ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পদ্মা-মধুমতির ভাঙন, বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ও ফসলি জমি
বৃষ্টি ও বন্যার ফলে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় দেড় কিলোমিটার এলাকাব্যাপী নদী ভেঙেছে। এই ভাঙনে সর্বশেষ বুড়িরহাট বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার নদী গর্ভে চলে গেছে।
এ ছাড়াও উপজেলার বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে প্রায় ৫০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পানি বাড়ার ফলে এই উপজেলার দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৫ শতাধিক বাড়িঘরে পানি উঠেছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে।
এ ছাড়াও রান্নাবান্না, খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে গরু, ছাগল ও হাসঁ, মুরগির খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে বন্যায় ৭০৫ হেক্টর আমন ধান, ৮ হেক্টর বীজতলা ও ১১০ হেক্টর সবজিখেত বন্যায় নিমজ্জিত হয়েছে বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের মেম্বার মিনহাজুল বলেন, আমার ইউনিয়নের সরিষাবাড়ী এলাকার বাড়িগুলোতে পানি উঠেছে। এখানে ২ শতাধিক বাড়িঘর তলিয়ে গেছে।
জোলাপাড়ার আবুল জানান, এই গ্রামের ৭৫টি বাড়ির মধ্যে ৪৫টি বাড়িতে পানি উঠেছে।
এই গ্রামের মাহমুদা বলেন, আমার ছোট পুকুরে ৪/৫ হাজার টাকায় প্রায় ১৮ কেজি মাছের পোনা ছেড়েছিলাম, সব মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় ভাঙন, বিলীন হচ্ছে বসতঘরসহ আবাদি জমি
৮৩০ দিন আগে
বান্দরবানে বন্যা: আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ, ১৫,৬০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, বান্দরবানে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলো তাদের বাড়িতে ফিরে গেছেন।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকালে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি সাম্প্রতিক বৃষ্টি ও বন্যায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের বিস্তারিত বিবরণ ও জেলার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
বিপর্যয়টি ধ্বংসের একটি ক্ষত রেখে গেছে। পরিবারগুলোকে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং অবকাঠামোর যথেষ্ট ক্ষতি করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন
তিনি বলেন, বর্তমানে দুর্যোগকবলিত প্রায় ৩৪০ জন মানুষ জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। এছাড়া দুর্যোগের প্রভাবটি মারাত্মক হয়েছে। বন্যায় ১৫ হাজার ৮০০ পরিবার আক্রান্ত হয়েছে এবং ১৫ হাজার ৬০০টি বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষি বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেছেন, কৃষি খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ৮ হাজার ২৫৩ হেক্টর ফসলি জমি বন্যায় তলিয়ে গেছে।
বন্যা ও ভূমিধসের ফলে ১০ জনের মৃত্যুর কথাও জানান তিনি।
এছাড়া অবিরাম বর্ষণে থানচি ও রুমা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দু’টি ভ্রাম্যমাণ পানি পরিশোধন ইউনিট স্থাপন করে পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইতোমধ্যেই এই উদ্যোগের মাধ্যমে ২ লাখ লিটার পানি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও ত্রাণ তৎপরতায় যোগ দিয়েছেন এবং অতিরিক্ত ৫৩ হাজার ৮০০ লিটার সুপেয় পানি বিতরণ করেছেন।
উপরন্তু, ৯৬২ জনকে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৮৫০টি পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরকার দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৬৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য এবং ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ৭টি উপজেলার প্রতিটির জন্য ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে এবং পুনর্বাসন কাজে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ করেছে।
বান্দরবান শহরে চারদিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার পর শুক্রবার থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে।
এছাড়া, পানি শোধনাগার থেকে ধ্বংসাবশেষ এবং পলি অপসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকায় পানি সরবরাহ ব্যাহত রয়েছে। জেলায় ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
বান্দরবানে ভূমিধসে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
৮৪৬ দিন আগে
পাবনার ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে বাড়ি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
৯০ বছর বয়সে সুন্দরী বেগম ঘুরে বেড়ান কাঠের লাঠির সাহায্যে। গত বছর পর্যন্ত সুন্দরীর এমন কোনো বাড়ি ছিল না যাকে তিনি নিজের বলতে পারবেন। তার এক ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে প্রতিবেশির একটি ভাঙা বাড়িতে থাকতেন।
পাবনা সদর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় গত বছর তাকে একটি বাড়ি ও এক টুকরো জমি দেওয়া হলে তার পরিবারের সংকটের অবসান ঘটে।
সুন্দরী বেগম বলেন, ‘যেহেতু আমি বাড়ি পেয়েছি, তাই কেউ আমাকে গৃহহীন বা নিঃস্ব বলতে পারবে না। (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমাকে বাড়িটি দিয়েছেন বলে আমি অনেক খুশি’। আল্লাহ তাকে দীর্ঘায়ু দান করুন।
২০২০-২১ অর্থবছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষ উদযাপনের পর থেকে প্রকল্পটি হাজার হাজার দরিদ্র মানুষকে জমি ও আশ্রয় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ২২ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে বাড়ি-জমি দেবেন বুধবার
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরও ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করার পর আরও ২২ হাজার ১০১ জন এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে আধা-পাকা ঘর বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
দেশের ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলা নিয়ে এ পর্যন্ত ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারমুক্ত হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি ও দুই শতক জমির মালিকানার দলিল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব বাড়িতে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
মুজিববর্ষের পর ষষ্ঠবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী তিনটি স্থানের উপকারভোগী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এই তিনটি স্থান হলো- খুলনার তেরোখাদা উপজেলার বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট, পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সাইট এবং নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট।
মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি এই ১২টি জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারমুক্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
৮৪৮ দিন আগে
রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ
রাজধানীর ধামরাইয়ে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ধামরাইয়ের কুমরাল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন-গার্মেন্টস শ্রমিক মো. মঞ্জুরুল (৩২), তার স্ত্রী জোসনা বেগম (২৫), তাদের দুই বছরের মেয়ে মরিয়ম, জোসনার বড় বোন হোসনা বেগম (৩০) ও তার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৮)। সবার স্থায়ী ঠিকানা নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩জন দগ্ধ
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, মঞ্জুরুলের শরীরের ৩৩ শতাংশ, জোসনার ৪০ শতাংশ, মরিয়মের ১৫ শতাংশ, হোসনার ২৫ শতাংশ ও সাদিয়ার ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এক প্রতিবেশি সুফিয়ান বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ধামরাইয়ের কুমরাল গ্রামের বাসিন্দা জোসনা তাদের ভাড়া বাড়ির দ্বিতীয় তলায় গ্যাসের চুলা জ্বালানোর চেষ্টা করলে বিস্ফোরণটি ঘটে।
রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে সবাই সন্দেহ করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কম্বোডিয়ায় হোটেল-ক্যাসিনোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৯
১০৬২ দিন আগে