মারামারি
ঠাকুরগাঁওয়ে সার বিতরণকালে মারধরের শিকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় সার বিতরণের সময় মারধরের শিকার হয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার উমরাডাঙ্গী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, মল্লিক ট্রেডার্সের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হোসেনের তত্ত্বাবধানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকতারুল ইসলামের উপস্থিতিতে কৃষকদের মধ্যে সার বিতরণ চলছিল। এ সময় তিনটি ভ্যানে করে ৩৩ বস্তা সার নিয়ে যাচ্ছিলেন পাঁচজন কৃষক। এতে সার নিতে আসা অন্য কৃষকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে একপর্যায়ে আকতারুল ইসলাম দুপুরের খাবার খাওয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম তাকে সঙ্গে নিয়ে ফের বিতরণস্থলে এলে উপস্থিত লোকজন আকতারুল ইসলামের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন। এতে তার দাঁত ভেঙে যায় এবং মাথায়ও গুরুতর আঘাত লাগে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সার বিতরণের শুরু থেকেই বাজার এলাকায় অস্বাভাবিক চাপ ছিল। সকাল থেকে কৃষকরা সার নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দেখা যায়, ভ্যানে করে কয়েকজন কৃষক একসঙ্গে অনেক বস্তা সার নিয়ে চলে যাচ্ছেন। এতে লাইনে দাঁড়ানো লোকজনের মনে হয়, সার বুঝি শেষ হয়ে যাবে বা কাউকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এই চিন্তা থেকেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় উমরাডাঙ্গী বাজারের ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, সকালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই সার বিতরণ চলছিল। পরে দেখি কয়েকজন একসঙ্গে অনেক বস্তা সার তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তখন লাইনে থাকা লোকজন চেঁচামেচি শুরু করে। কে আগে সার পেল, কে পেল না—এ নিয়ে সবাই রেগে যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা মোতালেব আলী বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু ভিড় এত বেশি, আর মানুষের রাগ এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, কেউ একজন কথা কাটাকাটি করতে গিয়েই মারামারি লেগে যায়।
ঘটনাস্থলের পাশের বাসিন্দা মিজান বলেন, কেউ ইচ্ছা করে মারধর করবে—এমন মনে হয় না। কিন্তু যে ভিড়টা তৈরি হয়েছিল, তাতে ঠেলা-ধাক্কা-উত্তেজনা মিলেই পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কর্মকর্তার দাঁত ভেঙে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। এটা না হলেই ভালো ছিল।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, রোগীর অবস্থা ভালো নয়। মাথায় জখম হয়েছে, দাঁত ভেঙে গেছে। চিকিৎসা শেষে ভুক্তভোগীর মতামত অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ দিন আগে
নওগাঁয় দুপক্ষের মারামারি, ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারির মৃত্যু
নওগাঁর পোরশায় পুকুরের পানি সেচকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আফজাল হোসেনের (৫৫) মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (৩০ মার্চ) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত আফজাল পোরশা উপজেলার গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি ও বড়গুন্দইল নওয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ মার্চ বিকালে বড়গুন্দইল নওয়াপাড়া মালতিপুর ও কাদিপুর জামে মসজিদের লিজ নেয়া পুকুরের পানি সেচকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুপক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘঠিত হয়। এতে প্রতিপক্ষের লোকজনের মারপিটে আফজাল হোসেন গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাসচাপায় মা ও ২ মেয়েসহ নিহত ৪, আহত ২
পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘এ ঘটনায় ২৮ মার্চ নিহতের ছোট ভাই আলফাজ হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন। ‘পরে গুন্দইল গ্রামের ইমামুল হাসান, একই গ্রামের বাবুল হোসেন ও সাপাহার উপজেলার পদলপাড়া গ্রামে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। ওসি আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘বিষয়টি পোরশা ও সাপাহার থানার সীমানা এলাকায়। এজন্য দুই থানার কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’
২৪৯ দিন আগে
আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মারামারি: যুথীসহ ৪ জনের আগাম জামিন
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে মারামারির ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথীসহ ৪ আইনজীবীর আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২০ মার্চ) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় ড. ইউনূসসহ ৮ জনের জামিন
এদিকে গত ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের জামিনের আবেদন দায়ের করা হয়। জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান বুলু আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
জামিন পাওয়া অপর তিন আসামি হলেন- আইনজীবী শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা ও মারামারি ঘটনার প্রেক্ষাপটে বরখাস্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন মো. জাকির হোসেন।
এর আগে সোমবার বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের বিচারপতি যুথীর জামিন আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেন।
পরে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে গেলে তিনি বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দেন।
যুথী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি।
এর আগে গত ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সমিতির নির্বাচনে সম্পাদক প্রার্থী যুথী, বিএনপি সমর্থক প্যানেলের সম্পাদক প্রর্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মামলায় ৩০/৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ধারা জামিন অযোগ্য করার সুপারিশ হাইকোর্টের
নাটোরের আদালতে জামিন পেয়েছেন বিএনপি নেতা চাঁদ
৬২৪ দিন আগে
সিলেটে মারামারি থামাতে গিয়ে আ. লীগ নেতার মৃত্যু
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার পূর্ণাছগাম গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আব্দুল্লাহ মিয়া (৩৮) সুন্দাউরা গ্রামের মৃত আয়াত উল্লার ছেলে। তিনি উপজেলার ৬নং দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে লাশ দেখতে এসে প্রতিবেশী নারীর মৃত্যু!
জানা যায়, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাতায়াত নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে দুপক্ষের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার অটোরিকশা করে হায়দরী বাজারের দিকে যাতায়াতের সময় স্থানীয় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটে। এক পর্যায়ে বিষয়টি গ্রামভিত্তিক চলে যায় এবং রবিবার সকাল ৮টার দিকে পূর্ণাছগাম ও সুন্দাউরা গ্রামের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ মারামারি থামাতে যান আব্দুল্লাহ।
সেখানে তিনি গুরুতর আহত হলে তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ'র মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৭৪২
পিকআপের ধাক্কায় মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু
৭৩২ দিন আগে
৫০০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারামারিতে নিহত ১
৫০০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে কুমিল্লার চান্দিনায় মারামারিতে একজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৭ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর নতুন বাংলা বাজারে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মো. হোসেন (৭৫)। তিমি চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের পশ্চিম কৈলাইন গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মো. হোসেন বাজারে দুটি রাজহাঁস বিক্রি করেন। এসময় স্থানীয় সবুর নামে এক ব্যক্তি হাঁস বিক্রির টাকা থেকে ৫০০ টাকা জোর দালালি হিসেবে রেখে দেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাইভেটকার পুকুরে পড়ে নিহত ২, আহত ৪
এই ঘটনার দুই-তিন দিন পর বিক্রেতা হোসেনের ছেলে বোরহান ওই সবুরকে বাজারে পেয়ে ৫০০ টাকা ফেরত দিতে বলে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর নতুন বাংলা বাজারের একটি মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল বোরহান। এসময় কৈলাইন গ্রামের আমান আলীর ছেলে ইদ্রিস মিয়া ও জামালের ছেলে মোক্তার হোসেন, লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে মনির হোসেন মিলে পুরোনো ঘটনার জের ধরে বোরহানকে মারধর শুরু করে।
উভয় পক্ষের আরও লোকজন এসে মারামারিতে জড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে মো. হোসেনও ঘটনাস্থলে আসে। এসময় মো. হোসেন মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
স্থানীয়রা মো. হোসেনকে পার্শ্ববর্তী কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. বোরহান ও মো. হানিফসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। অপরদিকে খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে চান্দিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
চান্দিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি দালালির ৫০০ টাকা নিয়েই ঝামেলা পাকিয়ে মারামারি হয়।
তিনি আরও বলেন, তবে নিহত মো. হোসেনের গায়ে কোনো আঘাতের দাগ নেই। আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাচ্ছি।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তারা প্রাথমিক তদন্ত করছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গাছের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা, চালক নিহত
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩
৭৩৮ দিন আগে
চমেকে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মারামারি, ১ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারামারির ঘটনায় আহত এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় অপর কর্মচারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. ইলিয়াছ (৪৭) খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানার বাবুর্চি শাহজাহানের বাড়ির মৃত মো. আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
গ্রেপ্তার সমীরণ নাথ (৪৩) পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামের দিলীপ কানঙ্গের বাড়ির মৃত প্রফুল্ল নাথের ছেলে।
এর আগে, রবিবার বিকাল ৫টার দিকে ফরেনসিক বিভাগে টাকা-পয়সা ভাগাভাগি নিয়ে প্রবর্তক মোড় হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় গুরুতর আহত হন ইলিয়াছ।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মধ্যে মারামারিতে আহত একজন মারা গেছেন। অভিযুক্ত সমীরণ নাথকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
চমেক ফরেনসিক বিভাগের অফিস সহায়ক শাহীন আলম বলেন, প্রায়ই টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে সমীরণের সঙ্গে ইলিয়াছের বাড়াবাড়ি হত। সমীরণ মা-বাবা তুলে ইলিয়াছকে গালাগাল দিত। তাই রাগ করে অনেকদিন ইলিয়াছ অফিসেও আসেনি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের মিলিয়ে দিয়েছিল।
এরইমধ্যে রবিবার সমীরণ লাঠি দিয়ে ইলিয়াছের মাথায় বাড়ি দিলে তাকে মেডিকেল নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ইলিয়াছের ছেলে মো. ইমতিয়াজ বলেন, আমার বাবাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা খুবই মর্মান্তিক। আমার বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন। এভাবে বাবাকে হারাব কল্পনাও করিনি। আমি আমার বাবা হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
আরও পড়ুন: মগবাজারে নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসচাপায় নিহত ১, আহত ১
রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
৭৫৯ দিন আগে
সাভারে ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী পরিচয়ে হাসপাতালে মারামারি, আহত ৪
সাভারে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনদের চারজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে সাভার থানা স্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চতুর্থ তলায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মাদরাসা শিক্ষক মোশাররফ হোসেন, তার স্ত্রী রূপালী বেগম ও ছেলে শিবলী আহম্মেদ। এ ছাড়াও আহত আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসেন ব্যাংক কলোনি এলাকার আঁখি নামে এক নারী। তিনি সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পরে এসে আগে সিরিয়াল চাওয়ায় বাধা দেন কয়েক রোগী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রোগীকে মারধর শুরু করেন আঁখি।
আঁখি রোগীকে মারধর করলে বাধা দেন মাদরাসা শিক্ষক মোশাররফ হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আঁখি ছাত্রলীগ নেতা আতিককে ফোন করলে ঘটনাস্থলে আসেন আতিকের ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জামানসহ ১০-১৫ জন।
আরও পড়ুন: সাভারে ১৬ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
পরে মোশাররফ হোসেন নিজেকে মাদরাসার শিক্ষক ও ব্যাংক কলোনি মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল্লাহর আপন ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে সবাইকে শান্ত হতে বলেন।
এ সময় মোশারফকে মারধর ও হুমকি দিয়ে একজন বলেন, ‘তুই জানিস না, আঁখি আপা আতিক ভাইয়ের কী হয়?’
এই কথা শুনে শিক্ষক মোশাররফ হোসেনের ছেলে শিবলী আহম্মেদ এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। তাকে ধাক্কা দিয়ে কিল ঘুষি মারেন নজরুল। এসময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এলোপাথাড়ি শিবলীকে পেটানো শুরু করেন।
চোখের সামনে ছেলেকে মারতে দেখে শিবলীর মা রূপালী বেগম এগিয়ে আসার পর তাকেও সজরে ধাক্কা দিলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে হাসপাতালের ম্যানেজার আবদুল খালেক এসে শিবলী আহমেদকে উদ্ধার করেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান। তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
এদিকে এর আগে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই বিষয়টি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ হামলায় দোষীদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আঁখি ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাভারের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীকে পেটানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেয়ে ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সরকারি খাদ্যগুদামে দুই প্রহরীর মারামারি, নিহত ১
সিলেটে দুই অটোরিকশাচালকের মারামারিতে একজনের মৃত্যু
৭৭৬ দিন আগে
সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে মারামারির ঘটনা
আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে উৎসাহ দিতে আয়োজন করা হয় ‘সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগ’। যেখানে দেশের শোবিজ অঙ্গনের তারকারা অংশ নেন।
আয়োজন ঠিকভাবে চলে আসলেও শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার ম্যাচে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: অ্যাডিলেড ও পার্থে সোলসের জমাজমাট কনসার্ট
অভিযোগ উঠেছে- মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলমান সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ চলাকালীন দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।
দল দু’টির অধিনায়ক ছিলেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপঙ্কর দীপন। প্রথম দিকে শুধু হাতাহাতিতে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে তা মারামারিতে রূপ নেয়।
চিত্রনায়িকা রাজ রিপা গণমাধ্যমে জানান, নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ ও অভিনেতা শরিফুল রাজ অপর পক্ষের খেলোয়ারদের গায়ে হাত তোলেন।
দীপঙ্কর দীপনের দলের চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী জানান, মোস্তফা কামাল রাজের দল থেকে শুরুতে আক্রমণ করা হয়। এমনকি তারা নাকি বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসেছেন।
গতকাল এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে মোস্তফা কামাল রাজের দল। নির্ধারিত ৬ ওভারে তাদের সংগ্রহ ১১৯ রান।
পরে দীপঙ্কর দীপনের দল ব্যাট করতে নামে। তবে শেষ পর্যন্ত ৭ রানে হেরে যায় তারা। তারা নির্ধারিত ৬ ওভারে সংগ্রহ করেন ১১২ রান।
আরও পড়ুন: ৮ দল নিয়ে শুরু হয়েছে ‘সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগ’
‘সরি, একজন খেলোয়ার তামিম ইকবাল’
৭৯৬ দিন আগে
সিলেটে দুই অটোরিকশাচালকের মারামারিতে একজনের মৃত্যু
সিলেট নগরে সিএনজিচালিত দুই অটোরিকশাচালকের মারামারিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (০১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে নগরের বন্দরবাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। অপর অটোচালক আলমগীর হোসেনের (৩৫) বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার কালিকুচ্চ গ্রামে।
মারামারিতে একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে মৃত্যু নেই, শনাক্ত ১১
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাত ১০টার দিকে সিলেটের প্রধান ডাকঘরের সামনে রাস্তায় ওই দুই অটোচালকের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হলে একে অপরকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। এ সময় একজন অটোচালক অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান।
খবর পেয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির পুলিশ এসে অজ্ঞান অটোচালককে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, পুলিশ আলমগীর হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে মারামারি কী কারণে হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
১০০৮ দিন আগে
সাফারি পার্কে মারামারিতে আঘাত পেয়ে হাতির মৃত্যু
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দুই হাতির মারামারিতে মাথায় আঘাত পেয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মারা যাওয়া পুরুষ হাতিটির আনুমানিক বয়স ৪৭ বছর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
পার্কের প্রকল্প পরিচালক ও বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
হাতি মৃত্যুর ঘটনায় পার্ক কর্তৃপক্ষের কোন অবহেলা আছে কিনা জানতে চেয়ে ঢাকার বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বন বিভাগ।
ইমরান আহমেদ জানান, পার্কের অভ্যন্তরে হাতিশালায় গত ২১ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় পার্কের অন্য হাতির আক্রমণে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পায় হাতিটি এবং তাৎক্ষণিক ব্রেন স্ট্রোক করে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, পার্কের বন্যপ্রাণী হাসপাতালের দায়িত্বে নিয়োজিত ভেটেরিনারি সার্জন মারা যাওয়া হাতিটির ময়নাতদন্ত করেন এবং ওই হাতিটি ব্রেন স্টোকের কারণে মারা গেছে বলে অবহিত করেন।
হাতিটি ২১ ডিসেম্বর পার্কের ভেতরের হাতিশালায় মারা গেলেও কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে বিষয়টি জানায়নি।
তবে ২২ ডিসেম্বর থানায় জিডি করেন তারা।
এর আগেও ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ১১টি জেব্রা ও বাঘের রহস্যময় মৃত্যু হয়েছিলো।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডোবায় পড়ে বাচ্চা হাতির মৃত্যু
নেত্রকোণায় কাদায় আটকে বন্য হাতির মৃত্যু
১০৬৭ দিন আগে