চীন সফর
চীন থেকে ফিরেই নুরের খোঁজ নিতে ঢামেকে নাহিদ-সার্জিস
সম্প্রতি চীন সফর শেষে দেশে ফিরেই গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সার্জিস আলমসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরের খোঁজ নিতে যান এনসিপি নেতারা। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছান তারা।
এনসিপি নেতারা নুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন রাষ্ট্রপতি
এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিবসহ আরও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষের পর আল রাজী টাওয়ারের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। ঘটনাস্থল থেকে নুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
৯৫ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যে চীন সফরে যাচ্ছেন মোদি
শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই চীন সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিতব্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার চীনে অবস্থান করার কথা রয়েছে।
এর মাধ্যমে সাত বছর পর চীন সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতেই ২০১৮ সালে সর্বশেষ চীন সফর করেছিরেন তিনি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবারের সম্মেলনের আয়োজক। সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও অংশ নিতে পারেন। চীন সফরের পর ভারত-জাপান সম্মেলনে অংশ নিতে টোকিও সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি ভারত সরকার।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার পর দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে ভারত সফর করবেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। একইসঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনাও করবেন ই।
এসসিও সম্মেলনে ১০ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যদিও ইউরেশীয় এই জোটকে পুরোপুরি সমর্থন করে না ভারত, তবে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার এবং আফগানিস্তানে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ মোকাবিলায়ে এটিকে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে নয়াদিল্লি। তাছাড়া ভারতকে তার কৌশলগত স্বাতন্ত্র্য তুলে ধরারও সুযোগ দেয় এসসিও।
এমন একটি সময়ে এই সফর হতে যাচ্ছে যখন চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে ভারতের টানাপোড়েন চলছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেল আমদানি করায় যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’: ভারত
রাশিয়ার থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শুল্কারোপ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর ফলে আগের ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কসহ ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার মতে, মোদি যদি চীন সফর করেন, তাহলে সেখানে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার সম্ভাবনাও প্রবল। তাছাড়া এবার ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনের জন্য মোদি নিজেই রুশ প্রেসিডেন্টকে ভারতে স্বাগত জানাতে পারেন।
এদিকে, গালওয়ান উপত্যকায় চীন-ভারত সংঘর্ষের পর এটি হবে মোদির প্রথম চীন সফর। তবে ২০২৪ সালের অক্টোবরে কাজানে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি।
১২০ দিন আগে
তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সুবিধাজনক সময়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)।
সোমবার (২৩ জুন) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরো সদস্য ও জাতীয় গণকংগ্রেস স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝং।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লি হংঝং ও অন্যান্য সিনিয়র সিপিসি নেতাদের সঙ্গে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এই বৈঠক হয়। বৈঠকের শুরুতে সিপিসি নেতারা বিএনপি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।
শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বৈঠককালে লি হংঝং আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভবিষ্যতে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, সিপিসি নেতারা আশা করেন যে, এই বৈঠক চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
পড়ুন: সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন
তারা সিপিসি ও বিএনপির মধ্যে নিয়মিত আলোচনা এবং অব্যাহত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন বলে জানান শায়রুল কবির।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। চীন বৃহত্তর বহুপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে তার ইতিবাচক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে, দিনের শুরুতে বিএনপির প্রতিনিধিদল চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং তারা অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের কাজ সম্পর্কে জানতে পারেন।
এই সফরকে বিএনপি ও সিপিসির মধ্যে শক্তিশালী রাজনৈতিক সম্পর্কের লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, উভয় দল ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার আশা করছে।
এর আগে রবিবার রাতে সিপিসির আমন্ত্রণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিএনপির প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।
তারা বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (বেইজিং সময়) ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে পৌঁছান।
পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য আট সদস্য হলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরউদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।
১৬৪ দিন আগে
মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে আগামী রবিবার (২২ জুন) চীন সফরে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য সৈয়দ সায়রুল কবীর খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই সফরের জন্য বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিপিসি।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও দলীয় পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ই এই সফরের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। সায়রুল কবীর আরও জানান, মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির চার সদস্য— মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া, চেয়ারপারসনের তিন উপদেষ্টা— জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জাবিউল্লাহ ও অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া এবং দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলও প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।
সফর শুরুর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে চীনা দূতাবাসে সাক্ষাৎ করে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিবেচিত চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক গভীর করার প্রত্যাশারই প্রতিফলনই এই সফর। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপিকে একটি ‘প্রতীক্ষমাণ সরকার’ হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেক পর্যবেক্ষক, যার অপেক্ষা চলছে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত।
এই সফরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চীনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতারা। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপি, সদ্য-গঠিত এনসিপি ও কিছু ইসলামপন্থী দল।
এর আগে, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আটটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি ২১ সদস্যের ‘অনন্য’ প্রতিনিধিদল ১১ দিনের সফরে চীন যায়।
ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। চীনা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে বহুদলীয় সম্পর্ক জোরদারের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই সফর আয়োজন করা হয়।
১১ দিনের সফরে প্রতিনিধিদলটি বেইজিং, শানশি এবং ইউনান প্রদেশে সিপিসির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
১৬৮ দিন আগে
চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চীনে চার দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে ‘মাইলফলক’ ও ‘অত্যন্ত সফল’ আখ্যায়িত করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে, এদিন বিকালে দেশের উদ্দেশে চীন ছাড়েন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান। এ সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চিফ প্রটোকল অফিসার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী হং লেই বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে বিদায় দেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
আরও পড়ুন: ‘অত্যন্ত সফল’ চীন সফর শেষে রাতে দেশে ফিরছেন প্রধান উপদেষ্টা
এর আগে, চার দিনের সফরে ২৬ মার্চ চীন পৌঁছান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) মহাসচিবের আমন্ত্রণে ২৬ ও ২৭ মার্চ দেশটির হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত বিএফএ বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এ যোগ দেন তিনি। সম্মেলনের সাইডলাইনে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চীনের স্টেট কাউন্সিলের ভাইস প্রিমিয়ার ডিং জুয়েশিয়াং।
তারপর চীন সরকারের আমন্ত্রণে ২৭ থেকে ২৯ মার্চ বেইজিং সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা। এর মধ্যে গতকাল (শুক্রবার) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস। সেখানে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের।
বৈঠককালে উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে মতবিনিময় করে উভয় পক্ষ। আলোচনাগুলোতে দুপক্ষ ব্যাপকভাবে ঐকমত্যেও পৌঁছায়।
আজ (শনিবার) সকালে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের চেয়ারম্যান হে গুয়াংচাইসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, পরিষদ চেয়ারম্যান ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি ছোট্ট দল তাকে স্বাগত জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠকও করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
২৫০ দিন আগে
চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
চীনে ৩ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বুধবার দিবাগত রাত ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
চীনে ৮ থেকে ১০ জুলাই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৃথক বৈঠক করেন।
বুধবার সকালে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন ২১টি সহযোগিতা নথিতে সই করেছে, যার বেশিরভাগই সমঝোতা স্মারক। এসব নথিতে এশিয়ার এই ২ দেশের মধ্যে শক্তিশালী উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, বাংলাদেশ-চীন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পর্কিত যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাই শেষসহ ৭টি ফলাফল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি'র আমন্ত্রণে সরকারি সফরে সোমবার সকালে বেইজিং যান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদারে ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ২১টি সহযোগিতা নথি সই
৫১২ দিন আগে
চীন সফর শেষে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
চীনে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫ মিনিটে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট।
ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় বুধবার(১০ জুলাই) দিবাগত রাত ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বুধবার গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শি-হাসিনার বৈঠক: বাংলাদেশকে অনুদান ও ঋণ সহায়তা দেবে চীন
এদিন সকালে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এশিয়ার দুই দেশ বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে শক্তিশালী উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রায় ২১টি সহযোগিতা নথি সই ও নবায়ন করা হয়। এর বেশিরভাগই সমঝোতা স্মারক।
এছাড়া দেশ দুটির মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) ওপর যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদনসহ সাতটি ফলাফল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে চীনের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া স্বাগত ভোজে অংশ নেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছালে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং তাকে স্বাগত জানান এবং উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
মঙ্গলবার চীনের বেইজিংয়ের শাংগ্রি-লা সার্কেলে চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা একই দিনে চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিং এবং এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনা বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সোমবার বিকালে সরকারি সফরে বেইজিং পৌঁছান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার চীন সফর করেছেন।
২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফর করেন। তার ওই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা চীনা প্রধানমন্ত্রীর: হাছান মাহমুদ
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সংক্ষিপ্ত হয়নি, কর্মসূচি অপরিবর্তিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫১২ দিন আগে
তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনা বীরদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনের বীরদের স্মৃতিস্তম্ভ হিরোস মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশটিতে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকালে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী চীনের বিপ্লবী বীরদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।
এ সময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর শহীদদের স্মরণে বিউগল বাজানো হয়।
অনুষ্ঠানে চীনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়।
এর আগে, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে সোমবার চীন পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৫১৩ দিন আগে
চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে চার দিনের সরকারি সফরে বেইজিং পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৮ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা) বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট। এর আগে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
চীনে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে (১০ জুলাই) পৃথক বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে সই হতে পারে ২০ সমঝোতা স্মারক
এছাড়া বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ বিষয়ে একটি শীর্ষ বৈঠকে (৯ জুলাই) যোগ দেবেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে ২০টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে এবং কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণাও আসতে পারে।
গ্রেট হল অব দ্য পিপলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
সেখানে ১০ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত অভ্যর্থনা ভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
এর আগে ৯ জুলাই ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিং ও এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এছাড়াও তিয়েনআনমেন স্কয়ারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
আগামী ১১ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে চীন থেকে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: চার দিনের সরকারি সফরে বেইজিং যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
৫১৪ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে সই হতে পারে ২০ সমঝোতা স্মারক
চার দিনের সরকারি সফরে আগামীকাল সোমবার (৮ জুলাই) চীনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে প্রায় ২০টির মতো সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে। এছাড়াও কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের ঘোষণাও আসতে পারে।
রবিবার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা আছে।’
প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত ব্যাংকুয়েটের (ভোজের) মাধ্যমে গ্রেট হলে এসবের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব ও অন্যান্য সচিবসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।
সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট যোগে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। একই দিন চীনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার এবং যথাযথ সম্মানের সঙ্গে অভ্যর্থনা জানানো হবে।।
পরদিন (৯ জুলাই) সকালে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
একই দিন সাংগ্রিলা সার্কেলে ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেবেন। সম্মেলনটিতে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল চীন সফর করবে।
ওইদিন দুপুরে চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসাল্টেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হিউনিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিকালে ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর রাতে বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
মঙ্গলবার (১০ জুলাই) সফরের তৃতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল লি ছিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: সবার সঙ্গে দেশের সুসম্পর্ক দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপির : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের পর শেখ হাসিনা ও লি ছিয়াং দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন।
এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে এবং কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।
এদিন বিকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ বিবৃতি দেবে।
বুধবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী চীন ত্যাগ করবেন এবং দুপুর ২টায় ঢাকায় পৌঁছাবেন।
সফরে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা কামনা করবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ চীনের প্রতি সমর্থন দেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৯৫২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা হয়। সে সময় চীনের তৎকালীন নেতা মাও সে-তুংয়ের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বঙ্গবন্ধু রচনা করেন “আমার দেখা নয়াচীন” বইটি।
ড. হাছান বলেন, চীন ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, যার ধারাবাহিকতায় দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক “কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারিত্ব”পর্যায়ে উন্নীত হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর চীনের পক্ষ থেকে সরকারি সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
চীন বাংলাদেশের অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের অগ্রাধিকার
এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা অগ্রাধিকার পাবে।
তিনি আরও জানান, কোনো চুক্তি হবে না, দুই দেশের মধ্যে শুধু সমঝোতা স্মারক সই হবে।
চীনের বিভিন্ন প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের চাহিদা ও নির্ধারিত প্যারামিটারগুলো পূরণ হলে যেকোনো প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, 'চীনের যেকোনো প্রস্তাব অবশ্যই আমাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক, তবে আমরা যাচাই-বাছাই করে পরে সিদ্ধান্ত নেব।’
অফশোর ব্যাংকিং সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি সবার জন্য উন্মুক্ত এবং যেকোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি বাংলাদেশে এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে।
তিনি বলেন, 'কোনো দেশ যদি আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা রাখতে চায়, তারা রাখতে পারে, তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কাদের সঙ্গে আমরা স্বস্তি পাই।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক নবায়ন এই সফরের সময় নয়, পরে হতে পারে।
সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা গেলে প্রেসিডিয়াম সদস্যের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পরে চীন যাবে বলে জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ব্যবধান রয়েছে এবং দুই দেশ অ-শুল্ক বাধা দূর করে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি রপ্তানির উপায় খুঁজে বের করবে।
তিনি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সফর এই সম্পর্ক জোরদার ও সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।
তিস্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিস্তা ভারতের সঙ্গে যৌথ নদী এবং তারা একটি ভালো প্রস্তাব দিয়েছে।
এর আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১০ জুলাই চীনে সরকারি সফর করবেন। নতুন মেয়াদ শুরু হওয়ার পর এবং চীনে তার শেষ সফরের পাঁচ বছর পর এটি হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম চীন সফর।
মুখপাত্র বলেন, 'দুই দেশের নেতারা কীভাবে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব গভীর করা যায় এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সহযোগিতা প্রসারিত করা যায়। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে গভীরভাবে মত বিনিময় করবেন।’
মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই সফরের মাধ্যমে পাঁচটি মূলনীতির চেতনা সামনে রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন। মূলনীতিগুলো হলো- শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা গভীর করা, উন্নয়ন কৌশল আরও সমন্বয় করা, উচ্চমানের বেল্ট-রোড সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়া, বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ, বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ-বৈশ্বিক সভ্যতা উদ্যোগ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করা এবং আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন স্তরে উন্নীত করা।'
আরও পড়ুন: বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫১৫ দিন আগে