১০ বছর
জীবদ্দশায় একজনের ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা উচিত না: জামায়াত
কোনো এক ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা উচিত না বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী। রবিবার (২২জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এমন কথা বলেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, ‘বার ও মেয়াদ নিয়ে ঝামেলার মধ্যে প্রস্তাব করেছিলাম—একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়্ত্বি পালন করতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: ঐকমত্য কমিশন: প্রথম দিনের বৈঠক বর্জন ছিল জামায়াতের ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’
এ বিষয়ে সবাইকে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বার ও মেয়াদের ব্যাখ্যায় যাওয়ার দরকার নেই। তিনটি দল ছাড়া সবাই এই প্রশ্নে এক জায়গায় এসেছি।’
‘অর্থাৎ একজন ব্যক্তি তার জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সেটা যত বারই হোক। এটা জাতির আকাঙ্ক্ষা, আমি মনে করি। এটিই আমাদের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে, বলেন জামায়াতের এই নায়েবে আমির।
তিনি বলেন, ‘এমন নজির বহুদেশে আছে। এটা বাংলাদেশেও জরুরি বলে আমরা মনে করি। এ নিয়ে আমরা প্রায় ঐকমত্যে এসেছি। বিকালে আরও দুটো পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হবে।’
বৈঠকে আলী রীয়াজ ছাড়াও আরও উপস্থিত রয়েছেন, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
এরআগে গেল ১৭ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের অসমাপ্ত আলোচনায় অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগের পর পরেরদিন অবশ্য অংশ নিয়েছিল তারা।
আরও পড়ুন: জামায়াত আমিরের সঙ্গে বিদায়ী জার্মান রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
এদিকে সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো কাছাকাছি আসতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতেই এনসিসি গঠনের কথা বলা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন নিয়েও দলগুলোর ঐকমত্য হয়নি গত সপ্তাহে হওয়া চার দিনের সংলাপে। এ পর্যায়ে ঐকমত্যের সংজ্ঞা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য প্রকাশ পেয়েছে। কমিশন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথাও ভাবছে।
১৬৬ দিন আগে
অটোরিকশাচালককে হত্যা, কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ
নাটোরে আসাদ মোল্লা নামের এক চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই মামলায় এক কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোহম্মদ হাসিবুল ওরফে মোহম্মদ আলী সদর উপজেলার হালসা এলাকার কামাল জোয়াদ্দারের ছেলে।
২০১৮ সালে ঘটনার সময় আসামির বয়স ছিল ১৬ বছর আর বর্তমানে ২২। রায় ঘোষণার সময় মোহম্মদ আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: বন্ধুকে হত্যা মামলার প্রায় ১০ বছর পর যুবককে আটকাদেশ
নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ২০১৮ সালের ১১ মে রাতে আসাদ অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন উপজেলার হালসা এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে আসাদের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সিরাজ বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ওই মামলায় প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আজ (রবিবার) এ রায় দেন।
২৬৩ দিন আগে
ঘুষ গ্রহণের দায়ে খুলনা জজ আদালতের হিসাব সহকারীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড
খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের হিসাব সহকারী কাম ক্যাশিয়ার অলোক কুমার নন্দীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম ঘুষ গ্রহণের দায়ে তার বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় অলোক কুমার নন্দী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ইয়াসিন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত জানায়, খুলনা বিভাগীয় জজ আদালতে মো. জহুর ই আলমের বিরুদ্ধে বিশেষ মামলা বিচারাধীন ছিল। মামলার আসামির স্ত্রী হাসিনা আলম খোঁজখবর নিতে আদালতে আসেন। তখন অলোক কুমার নন্দী আসামি জহুর ই আলমকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে খালাস করিয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দেন। ১৯৯৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অলোক কুমার নন্দীকে দেড় লাখ টাকা সিঅ্যান্ডবি কলোনির সামনে দেওয়া হবে বলে হাসিনা আলম আশ্বাস দেন, কিন্তু ওই দিন তিনি কোনো টাকা তাকে দেননি বা দেখাও করেননি। পরে একই বছরের ১৪ মে অলোক কুমার নন্দী মাগুরায় হাসিনা আলমের বাড়িতে যান এবং প্রতারণার আশ্রায় নেন। এরপর জানানো হয়, দেড় লাখ টাকা না দেওয়ায় আদালতের বিচারক আসামি জহুর ই আলমকে বিচারে সাজা দিয়েছেন। হাসিনা আলম তখন নন্দীর কাছে করণীয় জানতে চাইলে তিনি জানান, দেড় লাখ টাকা দিলে মামলার নথি পুড়িয়ে ফেলকেন তিনি।
এরপর ১৯৯৪ সালের ২৫ মে হাসিনা আলম ৬ শতক জমি ও গরু বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা যোগাড় করে দুজনের উপস্থিতে নন্দীকে ওই টাকা দেন।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতি: সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ভাইয়ের কারাদণ্ড
পরবর্তীতে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জহুর ই আলমের বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের সাজা সংক্রান্ত চিঠি পেয়ে আদালতে আত্মসর্ম্পণ করলে তাকে কারগারে প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে জহুর ই আলমের স্ত্রী হাসিনা আলম অলোক কুমার নন্দীর কাছে টাকা ফেরত চান। অলোক কুমার নন্দী বিভিন্ন সময়ে হাসিনা আলমকে ২৩ হাজার টাকা দিলেও আর কোনো টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান।
এ ঘটনায় হাসিনা আলম খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে ১৯৯৯ সালের ১৭ জুন একটি নালিশি দরখাস্ত করেন, যার পর বিভাগীয় জজ আদালত থেকে একই বছরের ২২ জুন এ বিষয়ে একটি স্মারক খুলনা দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে প্রেরণ করেন।
২০০০ সালের ৩০ মে যাবতীয় প্রমাণাদি গ্রহণ শেষে জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো পরিদর্শক মিছবাহ উদ্দিন বাদী হয়ে খুলনা থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র দত্ত। সেই মামলায় সাজা পেলেন অলোক কুমার নন্দী।
২৮২ দিন আগে
১০ বছর ধরে নেই কোনো মুসলিম শিক্ষক, ইসলাম শিক্ষা পড়াচ্ছেন হিন্দু শিক্ষকরা
ফেনী সদর উপজেলার তুলাবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১০ বছর কোনো মুসলিম শিক্ষক না থাকায় বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের ইসলাম শিক্ষা পড়াচ্ছেন হিন্দু শিক্ষকরা। ফলে তাদের পক্ষে ইসলাম ধর্মের আরবি ভাষার সূরা, কালাম পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। শুধুমাত্র বাংলা অর্থটুকুই পড়াচ্ছেন তারা। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ে ৯ জন শিক্ষক থাকলেও মুসলিম কোনো শিক্ষক নেই। ফলে সব বিষয়ের ক্লাস তারাই নিয়ে থাকেন।
বিদ্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯৪৪ প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে ৩২৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মুসলমান শিক্ষার্থী রয়েছে ২৮ জন। এদের মধ্যে পাক-প্রাথমিকে ২ জন, প্রথম শ্রেণিতে ৩ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৫ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ১০ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৬ জন, পঞ্চম শ্রেণিতে ২ জন মুসলিম শিক্ষার্থী বর্তমানে পড়াশোনা করছে।
এদিকে, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে একজনও মুসলিম শিক্ষক না থাকায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। ইসলাম ধর্ম বিষয়ের জন্য মুসলিম শিক্ষক না থাকায় স্থানীয় মুসল্লিদের অনেকেই তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। অনেকে আবার পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসায় সন্তানদের ভর্তি করাচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রিপ্রা রানী পাল বলেন, ‘মুসলমান শিক্ষক না থাকায় হিন্দু শিক্ষক দিয়েই ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে করে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, আমাদেরও যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা নাসরিন কান্তা বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। শিক্ষা অফিসে আলোচনা করে শুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান করা হবে।’
আরও পড়ুন: কুয়েটের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা
তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল গনি বলেন, ‘নীতিমালায় হিন্দু ও মুসলমান আলাদা করে শিক্ষকদের পদায়ন করা না থাকায় বিষয়টি সুরাহা করা যাচ্ছে না। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টির সমাধান করার চেষ্টা করব।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) ফিরোজ আহাম্মদ বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। সব উপজেলা থেকে শিক্ষকদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। রমজানের পর এ বিষয়ে সমাধানের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ঢাকার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মহি উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘আমাদের দেশের সব মুসলমান মা-বাবারই ইচ্ছা থাকে, তার সন্তান পবিত্র কোরআন শিখবে ও পড়বে। কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ভালো শিক্ষক না থাকায় অনেকে তাদের সন্তানকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে মাদ্রাসায় পাঠান। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি আশঙ্কাজনক ভাবে কমছে। তাই ছাত্র-ছাত্রী ধরে রাখার স্বার্থে এবং দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জীবন-জীবিকার ও শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়া আবশ্যক।’
২৮২ দিন আগে
বিএনপি নেতা হত্যার ১০ বছর পর আ.লীগের ৩৪ জনের নামে মামলা
১০ বছর আগে বিএনপি নেতা হত্যার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নবীদুল ইসলামসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে ৩৪ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জ সদর থানা আমলি আদালতে নিহত বিএনপি নেতার বড় ভাই আব্দুল হামিদ মামলাটি করেন।
নিহত বিএনপি নেতা জবান আলী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব বাঐতাঁরা গ্রামের মৃত আজিজল হকের ছেলে।
মামলায় সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবীদুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মন্ডল, ইউপি সদস্য আব্দুল মমিন, সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম হাজী, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বেলাল হোসেন ও যুবলীগ নেতা রিগেনসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণহত্যা মামলায় আমু-কামরুল কারাগারে
আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেছেন যে মামলার বাদী ও তার ছোট ভাই জবান আলী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা।
বাদী উল্লেখ করেছেন, আসামিরা মাঝেমধ্যেই জবান আলীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এর জেরে ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি জবান আলীকে অপহরণ করেন আসামিরা। তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার ৩ দিন পর ১৯ জানুয়ারি সকালে প্রধান আসামি নবীদুল ইসলাম ফোন দিয়ে জবানকে অপহরণের করার কথা জানান। তাকে জীবিত ফিরে পেতে হলে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এর পরদিন ২০ জানুয়ারি আসামিদের ১০ লাখ টাকা দিয়ে তার ভাইকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা ১০ লাখ টাকা নেওয়ার পরও জবান আলীকে ছেড়ে দেননি।
পরে ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় সিরাজগঞ্জ-কড্ডা আঞ্চলিক সড়কের কোনাগাঁতী সেতুর উত্তরে রাস্তার পাশে জবান আলীর গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সেদিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে। সে সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও ছিল।
সদর থানা আমলি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ চুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বিল্লাল হোসেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর হিসেবে গণ্য করে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিন্ময় কাণ্ডে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন নেত্রীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
৩৬৫ দিন আগে
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ১০ বছরের কর ছাড় দিচ্ছে সরকার
দেশের সবুজ জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য কর ছাড় দিচ্ছে সরকার। নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলো দীর্ঘমেয়াদী করতে এবং উন্নয়নে সহায়তা করতে কোম্পানিগুলোকে ১০ বছরের জন্য কর সুবিধা দেওয়া হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের সই করা আয়কর ছাড়ের শর্ত নিয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
আদেশে বলা হয়, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উৎপাদন শুরু করা কোম্পানিগুলোকে কর ছাড় দেওয়া হবে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, যোগ্য কোম্পানিগুলো উৎপাদন শুরুর পর প্রথম পাঁচ বছর শতভাগ কর অব্যাহতি সুবিধা ভোগ করবে। পরবর্তী তিন বছরের জন্য, ছাড়ের হার ৫০ শতাংশ হবে এবং শেষ দুই বছরে এটি ২৫ শতাংশ হবে। ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে এই কর ছাড় কার্যকর হবে।
এই কর ছাড় সুবিধা পেতে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিতে নির্ধারিত বিল্ড ওন অপারেট (বিওও) মডেলের অধীনে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।
বর্তমানে কৃষি যন্ত্রপাতি, স্বয়ংক্রিয় ইট উৎপাদন, অটোমোবাইল, বাইসাইকেল, আসবাবপত্র, চামড়াজাত পণ্য, গৃহস্থালি ইলেকট্রনিক্স যেমন এলইডি টিভি ও রেফ্রিজারেটর, খেলনা, মোবাইল ফোন, ওষুধপত্র, টায়ার, টেক্সটাইল যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন খাতে কর ছাড় সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও আইটি সেক্টর সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, ওয়েবসাইট পরিষেবা, কল সেন্টার অপারেশন এবং বিদেশি মেডিকেল ট্রান্সমিশন পরিষেবার ক্ষেত্রে কর ছাড় উপভোগ করে। বড় আকারের প্রকল্পগুলোতেও শর্তানুযায়ী কর ছাড় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী এক্সিলারেট এনার্জি
৪০০ দিন আগে
অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমে ১০ বছরের কারাদণ্ড
রাজধানীর গুলশান থানার অর্থপাচার আইনের মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া মামলার সাত আসামিকে চারবছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন -মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় হাইকোর্টে জি কে শামীমের জামিন আবেদন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থপাচারকারীদে কোনো আদর্শ নেই। তারা কোনো আদর্শকে লালন করে না। তবে আদর্শকে ব্যবহার করে রাতারাতিভাবে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের চলমান উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থে তাদেরকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
গত ২৫ জুন মামলাটি অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ে জন্য ধার্য ছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবী অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেননি।
এদিকে রায়ও প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত তারিখ পিছিয়ে ১৭ জুলাই ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ: জি কে শামীম ও তার মায়ের বিচার শুরু
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।
এরপর, গত ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করে। ৬ মার্চ শেষ করে।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
গত ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে অভিযোগপত্রভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে শামীমকে আটক করা হয়।
এসময় জিকে শামীমের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি টাকা জব্দ করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অস্ত্রও পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পর র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহ রক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় ২৫ সেপ্টেম্বর
২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
৮৭২ দিন আগে
বাংলাদেশে আগামী ১০ বছরে বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হবে
দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, প্রসারিত অর্থনীতি ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির দ্বারা চালিত আগামী দশকে বাংলাদেশে বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বোয়িং (এনওয়াইএসই:বিএ)।
বুধবার (১০ মে) উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে বিমান ভ্রমণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও সক্ষমতাবিষয়ক তাদের কমার্শিয়াল মার্কেট আউটলুক (সিএমও) প্রকাশ করেছে।
এটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিমানের চাহিদাবিষয়ক একটি বার্ষিক পূর্বাভাস।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু বিমানের
বোয়িংয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী-২০৩২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বার্ষিক জিডিপি পাঁচ শতাধিক বেশি হারে বাড়বে, যা বৈশ্বিক জিডিপি প্রবিদ্ধির গড়ের দ্বিগুণেরও বেশি।
পাশাপাশি বিমান ভ্রমণের বার্ষিক বৃদ্ধির হার হবে প্রায় আট দশমিক পাঁচ শতাংশ।
এশিয়া প্যাসিফিক ও ভারতের বোয়িং কমার্শিয়াল মার্কেটিং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেড শাল্টে বলেন, ‘গত বছর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করায় বাংলাদেশে সক্ষমতা বছরে ১১ শতাংশ বেড়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতে আঞ্চলিক ট্র্যাফিক বিবেচনায় আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হবে বলে আমরা মনে করি’।
সিএমও’র পূর্বাভাস অনুযায়ী, যাত্রী ভ্রমণ ও এয়ার কার্গোর জোরালো চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ এশিয়ার বাহক বা ক্যারিয়ারদের আগামী ২০ বছরে দুই হাজার ৩০০টির বেশি নতুন বাণিজ্যিক বিমানের প্রয়োজন হবে।
ফলে দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান ইন-সার্ভিস বিমান বহরের (৭০০টি) তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি হবে বলে জানানো হচ্ছে।
শাস্টে আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা দারুণ সুযোগ দেখতে পাচ্ছি। যেখানে ভবিষ্যতে বিমান বহরের ৮০ শতাংশের বেশি প্রয়োজন হবে।
বাকি ২০ শতাংশ ব্যবহৃত হবে পুরোনো অকার্যকর বিমান প্রতিস্থাপনের জন্য।
আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে ডলারের পরিবর্তে টাকায় বিমান ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে
৭৩৭-এর মতো সিঙ্গেল-আইল বিমানগুলো দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ বিমান বহরের প্রায় ৯০ শতাংশ ব্যবস্থা করবে, যেখানে এ অঞ্চলের বিমান বহরের ১০ শতাংশ গঠিত হবে ৭৮৭-এর মতো প্রশস্ত বা ওয়াইড বডি বিমান দ্বারা।
এ দুইটি বিমানের মডেলই বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে চালু রয়েছে।
শাল্টে আরও বলেন, ‘এ বাজারে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের দ্রুত বৃদ্ধিতে বোয়িং বিমানগুলো চমৎকার ভূমিকা পালন করেছে। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে বিমান বহরের সাদৃশ্য প্রধান ভূমিকা পালন করবে, বিশেষ করে যেহেতু এটি আমাদের এয়ারলাইন্সে গ্রাহকদের প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিচালনার খরচ কমায়’।
বোয়িং
শীর্ষস্থানীয় অ্যারোস্পেস কোম্পানি বোয়িং বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে তাদের গ্রাহকদের পণ্য এবং সেবা সরবরাহ করে থাকে। শীর্ষ মার্কিন রপ্তানিকারক হিসাবে কোম্পানিটি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সুবিধা, সক্ষমতা এবং কমিউনিটি প্রভাবকে এগিয়ে নিতে সাপ্লায়ার বেইজের দক্ষতাকে কাজে লাগায়।
এছাড়া আগামীর জন্য উদ্ভাবন এবং কোম্পানির নিরাপত্তা, গুণগতমান ও মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বোয়িং-এর বৈচিত্র্যময় টিম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আরও পড়ুন: ড্রিমলাইনারে বিদেশি পাইলটদের 'লাইন ট্রেনিং' দিচ্ছে বিমান
৯৩৯ দিন আগে
ফরিদপুরে শিক্ষক হত্যার ১০ বছর পর ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ১০ বছর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলামকে (৩৮) হত্যার দায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: তহসিলদার হত্যার ২৫ বছর পর দুইজনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল গ্রামের বকুল মোল্লা (৩২), সুজা মোল্লা (৩৩), নজরুল মোল্লা (৫৫) এবং দুই সহোদর ফিরোজ মোল্লা (৩৫) ও মঞ্জু মোল্লা (৩২)।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। পরে পুলিশ প্রহরায় তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে শিক্ষক কামরুল বাড়ি থেকে একটি বাইসাইকেলে করে বোয়ালমারী বাজারের দিকে যাচ্ছেলেন। তিনি চতুল চিতা ঘাটা এলাকায় মঞ্জু মোল্লার দোকানের সামনে পৌঁছালে পাঁচ আসামিসহ মোট ১২ জন স্থানীয় গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে কাঠের লাঠি, বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ সময় ওই শিক্ষকের কাছে থাকা নগদ সাড়ে সাত হাজার টাকা ও ১৮ হাজার টাকা দামের একটি মুঠোফোন নিয়ে যায়।
আহত শিক্ষক কামরুলকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ঢাকা নেয়ার পথে ওইদিন (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই এস এম খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিপুণ মজুমদার এহাজারভুক্ত ১২ জন আসামিকে অভিযুক্ত আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর এপিপি সানোয়ার হোসেন জানান, আদালত এ হত্যা মামলার ১২ জন আসামির মধ্যে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। বাকি সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালতকে বেআইনিভাবে বাধা দওয়ার দায়ে প্রত্যেক আসামিকে এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোনাগাজীতে ১৬ বছর পর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১০১৮ দিন আগে