বিমান ভাড়া
হজ প্যাকেজ ঘোষণা রবিবার: এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩টি প্যাকেজ, কমছে খরচ
আগামী বছরের হজযাত্রীদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বিমান ভাড়া কিছুটা কমায় চলতি বছরের তুলনায় খরচও কমবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নির্বাহী কমিটির সভা শেষে প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে চলতি বছর ২টি হজ প্যাকেজ ছিল। অন্যদিকে চলতি বছরের মতো আগামী বছরও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য একটি প্যাকেজ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। হজ এজেন্সিগুলো এর নিচে কোন প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে না।
রবিবার বিকালে সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এই কমিটির সভাপতি হিসেবে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে রয়েছেন। এ সভায় হজ প্যাকেজ অনুমোদিত হলে ঘোষণা দেওয়া হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চলতি বছরের হজে বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা। বহু দেন-দরবারের পরও হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমোদিত পেলো ৩৩ ব্যাংক
জানা গেছে, গত কিছুদিন ধরেই হজের বিমান ভাড়া নির্ধারণের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছিল। দুই উপদেষ্টা একসঙ্গে সভায় ছিলেন। কিন্তু, ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে ঐক্যমত হয়নি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়, বিমান ভাড়া এক হাজার ডলার (এক লাখ ২২ হাজার টাকা-শুল্ক ছাড়া) নির্ধারণের বিষয়ে অনড় অবস্থান নেয়।
অন্যদিকে, বিমান মন্ত্রণালয় গত হজের বিমান ভাড়া (এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা) ধরে প্যাকেজ ঘোষণার অনুরোধ জানায়। পরবর্তী সময়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে ভাড়া কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে তা জানানো হবে।
গত বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বিমান ও উপর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের দপ্তরে বৈঠকে বসেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। বৈঠকে দুই উপদেষ্টা ছাড়াও ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি সৈয়দ গোলাম সারওয়ার ও মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শেষ পর্যন্ত আগামী হজের বিমান ভাড়া এক হাজার ১০০ ডলার নির্ধারণের (এক লাখ ৩৪ হাজার ২০০ টাকা-শুল্ক ছাড়া) বিষয়ে অনড় থাকে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
কিন্তু বিমান মন্ত্রণালয় ভাড়া এক হাজার ২০০ ডলার ধরে হজ প্যাকেজ ঘোষণার অনুরোধ জানায়। তারা আরও কিছুটা সময় নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে ভাড়া আরও কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তখন যাতে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া সমন্বয় করে নেওয়া হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী হজের বিমান ভাড়া এক লাখ ৫৫ হাজার থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকায় দাঁড়াবে। সেক্ষেত্রে চলতি বছরের থেকে ভাড়া ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কমতে পারে।
এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘বিমান ভাড়া নিয়ে একটা আলোচনা হয়েছে। বিমান ভাড়ার ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক ও সিভিল এভিয়েশনের ফি কমানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। রবিবার প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা হজের বিমান ভাড়া চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছি। একটা নির্ধারিত হয়েছে তবে সেটা আমরা এই মুহূর্তে বলতে চাচ্ছি না।
আগামী হজ কার্যক্রম আগেভাগে শেষ করতে হবে: কোটাসহ সময়সীমা দিল সৌদি সরকার
ধর্ম মন্ত্রণালয় এক হাজার ১০০ ডলার প্রস্তাব করেছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেখেন, আমার প্রচেষ্টার কোনো অন্ত নেই। আমরা চেষ্টা করছি যতটা কমানো যায়। কিন্তু আমরা যদি এখন এমন একটা সংখ্যা বলি, যেটা যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি, সেটা তো ভালো হবে না। প্রাথমিকভাবে একটা চূড়ান্ত হিসাব আমরা তাদেরকে দিয়ে দিয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি সেখান থেকে যদি আরও ভালো কিছু করা যায়।’
চলতি বছর হজে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ মাধ্যমে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। আর প্যাকেজ-২ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। আর বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। এর ভিত্তিতে প্যাকেজ নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিগুলো।
আগামী বছর হারাম শরীফের একেবারে কাছাকাছি ৫০০ থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে হোটেলের সুবিধা দিয়ে একটি প্যাকেজ হবে। গত বছরের প্যাকেজ-২ এ আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে এই প্যাকেজটি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে খরচও পড়বে সবচেয়ে বেশি।
আরেকটি প্যাকেজ হবে হারাম শরীফের ২ কিলোমিটারের মধ্যে। যেটি এবার প্যাকেজ-১ ছিল। এবার এ প্যাকেজের খরচ গতবারের থেকে কিছুটা কমবে।
আরেকটি প্যাকেজ হবে হারাম শরীফ থেকে দূরবর্তী আজিজিয়া এলাকায় আবাসন সুবিধা সম্বলিত। এটি হবে সাশ্রয়ী প্যাকেজ। এই প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে সাড়ে চার লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে এজেন্সিগুলোর জন্য যে প্যাকেজ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে, সেক্ষেত্রে চলতি বছরের তুলনায় খরচ কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আগামী বছর খাবার খরচ ও কোরবানি প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত থাকবে নাকি বাইরে থাকবে সেই বিষয়ে শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে হজ অনুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
আগামী হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেল ১৫৫ এজেন্সি
সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী বছরের (২০২৬) হজের কার্যক্রম বেশ আগেভাগেই সম্পন্ন করতে হবে। গত কয়েক বছরের মতো আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। যদিও গত দুই হজে বাংলাদেশের কোটা পূরণ হয়নি।
আগামী বছর হজে যেতে চার লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন গত ২৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। হজ প্যাকেজ ঘোষণার পর বাকি টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধন চললেও রোডম্যাপ অনুযায়ী, এবার ১২ অক্টোবরের মধ্যে প্যাকেজের পুরো টাকা নিয়ে হজের নিবন্ধন শেষ করতে হবে।
শনিবার সকাল পর্যন্ত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯৫৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক হাজার ১৩৫ জন হজযাত্রী প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন। হজ প্যাকেজ ঘোষণা না হওয়ায় অর্থাৎ কত খরচ হবে সেটি নির্ধারিত না হওয়ায় হজযাত্রীরা নিবন্ধনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছর হজ হয়েছিল ৫ জুন। গত বছরের ৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল সরকার।
হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, বর্তমানে হজ নিবন্ধনের গতি কম। আমরা চাই হজ প্যাকেজ দ্রুত ঘোষণা করা হোক। প্যাকেজ ঘোষণা দেরি হওয়ার কারণে নিবন্ধনে গতি অনেক কম। প্যাকেজ ঘোষণা হলে আশা করি নিবন্ধনে গতি বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি হজযাত্রীদের স্বার্থে হজের বিমান ভাড়া যৌক্তিকভাবেই নির্ধারণ করা হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
৬৮ দিন আগে
ওমরাহ ভিসার জটিলতা নিরসনে সৌদিকে চিঠি, বিমান ভাড়া ফেরতের আশ্বাস
কোনোপ্রকার পূর্ব-ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি সরকার। বাংলাদেশ থেকে রমজান মাসে অনেক মুসল্লি ওমরাহ করতে যান। সেই অনুযায়ী এবারও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন অনেকে, এজেন্সিগুলো তাদের জন্য টিকিটও বুকিং দিয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ ভিসা বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন ওমরাহ যাত্রী ও এজেন্সিগুলো।
ভিসা বন্ধ হলেও আগেভাগে বুকিং দেওয়া বিমান টিকিটের মূল্য ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে টিকিট-মূল্য সবাই ফেরত পাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধে উদ্বেগ জানিয়ে সংকট নিরসনে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জটিলতা কাটিয়ে বিষয়টি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হজ পালনকারীর সর্বনিম্ন বয়স ১৫ বছর নির্ধারণ
এছাড়া, বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা এজেন্সিগুলোর অগ্রিম ভাড়ার অর্থ ফেরত দেবে বলে নিশ্চিত করেছে বলেও জানিয়েছেন আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ইউএনবিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকার নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে ওমরাহ ভিসা ওপেন করে (খুলে) দিয়েছিল, অথচ (কাজের উদ্দেশ্যে) লাখ লাখ মানুষ এখন সৌদি আরবে হাজির। হজের চেয়েও বেশি মানুষ এখন মক্কা-মদিনায়। মানুষ যে এবাদত করবে সেই পরিবেশ নেই। এই পরিস্থিতিতে সৌদি সরকার ওমরাহ ভিসা ইস্যু প্রায় বাতিল করে দিয়েছে। (বাংলাদেশিদের জন্য) তারা এখন ভিসা ইস্যুর হার ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।’
তিনি বলেন, ‘ওমরাহ ভিসা ইস্যু করা কমিয়ে দেওয়ার কারণে আমরা উদ্বিগ্ন, সেই উদ্বেগ আমরা তাদের জানিয়েছি। ভিসা আগের মতো ওপেন করার অনুরোধও করেছি। আমরা শনিবার (১৫ মার্চ) সৌদি রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়েছি। তারা আমাদের এখনও কোনো উত্তর দেয়নি।’
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘চিঠিতে আমরা বলেছি, আকস্মিকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আমাদের ওমরাহ যাত্রীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা এজেন্সিগুলোকে টাকা দিয়েছেন, এজেন্সিগুলো বিমানের টিকিটও বুকিং দিয়ে দিয়েছে। এখন এজেন্সিগুলোকে টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সৌদি সরকারকে বাংলাদেশের জন্য ওমরাহ ভিসা ইস্যু স্বাভাবিক করার অনুরোধ করেছি। আমি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ফোনেও কথাও বলব। দেখি তারা কী সিদ্ধান্ত নেয়!’
‘বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গেও আমরা আলাপ করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে, টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে নিয়ম আছে, বুকিং দিলে পরে টাকা ফিরিয়ে নিলে একটা ফি কাটে। সামান্য একটা ফি কেটে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এ বিষয়ে তারা রাজি হয়েছে।’
শুধু বাংলাদেশিদের জন্যই কি এ সমস্যা হয়েছে—জানতে চাইলেন তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি, ওমরাহ ভিসা বন্ধ শুধু বাংলাদেশিদের জন্য নয়। এ বিষয়ে আমরা অফিশিয়াল কোনো কারণ এখনও জানতে পারিনি। তবে শুনেছি, রমজানে বেশি লোকের চাপ, একসঙ্গে এত লোকের চাপ সামলাতে একটু সমস্যা হচ্ছে, তাই হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য সৌদি সরকার ওমরাহ ভিসা বন্ধ করেছে।’
‘সৌদি সরকার ঘোষণা দিয়ে ভিসা ইস্যু বন্ধ করলে এজেন্সিগুলো ওমরাহ যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিতেন না; কিন্তু তারা হঠাৎ করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আশা করছি, খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’
এদিকে, এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব ফরিদ আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আজকে আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিষয়টির সমাধান কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
‘সৌদি আরবে ওমরাহ ভিসা ইস্যু এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে একটি অনুরোধপত্র সৌদি রাষ্ট্রদূতকে দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। দেখি কী সিদ্ধান্ত আসে!’
তিনি বলেন, ‘যারা অগ্রিম টাকা জমা দিয়েছেন, তারা যেন দ্রুত টাকা (ফেরত) পায়, সে বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা থাকবে। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে; টিকিটের অগ্রিম টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ওমরাহ নিয়ে এজেন্সির বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ
ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক ইউএনবিকে বলেন, ‘হজের মতো ওমরাহ নিয়ে আমাদের দুদেশের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ কোনোকিছু নেই। তারপরও আমরা সৌদি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। যারা ওমরাহয় যাওয়ার উদ্দেশ্যে টিকিটের জন্য বিভিন্ন এজেন্সিতে টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ওমরাহ যাত্রী পরিবহন করে থাকে ১০-১২টি এয়ারলাইন্স। রমজানে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ ওমরাহ যাত্রী পরিবহন করার কথা। তবে ভিসা বন্ধ করায় যাত্রীরা এখন যেতে পারছেন না। অবশ্য এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ওমরাহ যাত্রীদের (সৌদি) যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
২৬৩ দিন আগে
রমজানে বিমান ভাড়া ও মহাসড়কে টোল কমাল ইন্দোনেশিয়া
পবিত্র রমজান মাসে অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানো ও বেশ কয়েকটি প্রধান মহাসড়কে টোল কমানোর জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো।-খবর সিনহুয়া
বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়ায় শনিবার (১ মার্চ) থেকে রমজান শুরু হচ্ছে। রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইন্দোনেশীয়রা তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যান। তখন বিমান ভ্রমণ বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এটি তাদের ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে, স্থানীয় ভাষায় যেটিকে মুদিক বলা হয়।
জাকার্তা এবং সুরাবায়ার মতো প্রধান শহরগুলোতে ঈদের আগে বাড়ি ফেরার ভিড় বিশেষত তীব্র হয়। পরিবারের টানে দেশের মাটিতে ফিরে যান ভ্রমণকারীরা। এ সময় ট্রেন স্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলোতে উপচেপড়া ভিড় থাকে, একই সঙ্গে মহাসড়কগুলোতেও যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ‘বিমানের আগাম সিট বুকিং ও টিকিট ব্লকিং শূন্যের কোটায়’
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য বিমান ভাড়া কমানো হবে এবং প্রধান মহাসড়কের টোল কমানো হবে।
লোকজনের মুদিক অভিজ্ঞতা সহজ ও আরামদায়ক করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মুসলিম সম্প্রদায়কে রোজা রাখতে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে ছুটি উদযাপনে সহায়তা করার জন্য সরকারের চেষ্টার কমতি নেই।’
২৭৮ দিন আগে
হজের বিমান ভাড়া পুনর্নির্ধারণের দাবি হাবের
আগামী বছর হজযাত্রীদের বিমানভাড়া কারিগরি কমিটির মাধ্যমে পুনর্নির্ধারণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
রবিবার (৫ নভেম্বর) হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমের সই করা আবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২ নভেম্বর ‘হজ প্যাকেজ-২০২৪’ ঘোষণা করেন ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
হাবের আবেদনপত্রে বলা হয়, এ বছরের বিমান ভাড়া এক লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত ভাড়া বিগত বছরের থেকে ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কম হলেও, বিভিন্ন বিষয়াদি বিবেচনায় আরও কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: সফলভাবে সম্পন্ন হলো বিমানের প্রি-হজ কার্যক্রম
যেহেতু বিমান একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, তাই তাদের একক কর্তৃত্বে ভাড়া নির্ধারণ যথাযথ হয়নি বলে হাব কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ মনে করে।
বর্তমানে এয়ারলাইন্সগুলো প্রায় ৭৫ হাজার টাকায় ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রিটার্ন টিকিট বিক্রি করছে জানিয়ে আবেদনে বলা হয়, সেগুলো প্রায় ২০ শতাংশ আসন খালি রেখে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। হজের সময় প্রায় শতভাগ যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট গমন করে। তা ছাড়া খালি ফিরতি ফ্লাইটের পরিচালনা ব্যয়ও কম। সাধারণ ফ্লাইটের বিপণন ও সিস্টেম পরিচালনায় অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়, যা হজের ফ্লাইটে করতে হয় না। সে হিসেবে ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটের সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিমান ভাড়া হতে পারত।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে করে চিঠিতে আরও বলা হয়, আপনি হজযাত্রীদের কল্যাণে সর্বদাই নিবেদিত এবং আধুনিক ও কল্যাণমুখী হজ ব্যবস্থাপনায় আপনার ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা কেবল আপনার দিক তাকিয়ে আছে। অতএব বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় একটি স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমিয়ে হজ প্যাকেজ পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ সাশ্রয়ী হবে
সৌদি আরবে ১১৭ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
৭৬০ দিন আগে
১ জুলাই থেকে ডলারের পরিবর্তে টাকায় বিমান ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে
বাংলাদেশ সরকার দেশ থেকে বিদেশে যাত্রী বহন এবং পণ্য পরিবহনের জন্য বিমান ভাড়া নির্ধারণের জন্য মার্কিন ডলারের পরিবর্তে স্থানীয় মুদ্রা টাকা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে - যা এই বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এ নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে চলাচলকারী সব দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সকে ডলারের পরিবর্তে টাকায় বিমান ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশি এয়ারলাইন্সগুলো ওইসব দেশের মুদ্রায় বিমান ভাড়া নির্ধারণ করছে, তাই বাংলাদেশেও বিমান ভাড়া হতে হবে টাকায়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
৯৪৫ দিন আগে
হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর নির্দেশ সরকারের
চলতি বছর প্রত্যেক হজযাত্রীর বিপরীতে প্রায় দুই লাখ টাকা ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর বিমান ভাড়া যৌক্তিকভাবে কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় প্রতি হজযাত্রীর জন্য বিমান ভাড়া এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা নির্ধারণ করার পর অনলাইনে ও অফলাইনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
ভাড়া বেশি থাকায় হজযাত্রীদের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি।
আরও পড়ুন: হজের খরচ কমানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি: ধর্ম মন্ত্রণালয়
মঙ্গলবার ও বুধবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে ভাড়া কমানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ভাড়া কমানোর সুপারিশ করা হয়।
অন্যদিকে হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ২১ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত ১৫ মার্চ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৫৬৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ২৪৬ জন হজে নিবন্ধন করেন। নিবন্ধনের জন্য এখনও ২৫ হাজার ৪৮০টি কোটা খালি রয়েছে।
আরও পড়ুন: এত টাকা লাগলে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজে যাবে: প্রশ্ন হাইকোর্টের
৯৯৪ দিন আগে