জাতিসংঘ মহাসচিব
আসন্ন নির্বাচন ঘিরে জাতিসংঘ মহাসচিবের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আগামী কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার উদ্যোগে পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ সংহতি প্রকাশ করেন।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আগামী কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন আয়োজনে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাচ্যুত শাসকগোষ্ঠী ও তাদের দোসররা চুরি করা অর্থ ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এর জবাবে মহাসচিব গুতেরেস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার উদ্যোগের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক পর্যায়ে জাতিসংঘের ধারাবাহিক ভূমিকারও প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: সম্পদ তার প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দিন: প্রধান উপদেষ্টা
বৈঠকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
বৈঠকে রাজনৈতিক সংস্কার, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত নৃশংসতার দায় নিরূপণ, সংরক্ষণবাদী শুল্ক নীতির কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য উদ্বেগ এবং আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা মহাসচিবকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে যেসব সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে এবং তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার ১৪ মাসের প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বের প্রশংসা করে গুতেরেস বলেন, বাংলাদেশের এ কঠিন উত্তরণ প্রক্রিয়ায় অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বকে তিনি সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখছেন।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন আহ্বান করার জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, এ সম্মেলন রোহিঙ্গা সংকটকে বৈশ্বিক আলোচনায় অগ্রাধিকারে এবং আশ্রয় শিবিরে মানবিক সহায়তার জন্য জরুরি তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রাখবে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন ও সংহতি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
৬৬ দিন আগে
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ ঘটনাকে একটি ‘বিপজ্জনক উত্তেজনার বিস্তার’ আখ্যা দিয়ে এটি মধ্যপ্রাচের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
রবিবার (২২ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বলপ্রয়োগে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। চরম অস্থিতিশীলতায় থাকা একটি অঞ্চলে এই হামলা উত্তেজনা আরও বাড়াবে। এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।’
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এবং তার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে যুদ্ধে যোগ দিল যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এই সংঘাত দ্রুতই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে সাধারণ নাগরিক, পুরো (মধ্যপ্রাচ্য) অঞ্চল ও বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ দুর্ভোগ নেমে আসতে পারে।’
গুতেরেস জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সংঘাত থেকে সরে আসার এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘উত্তেজনা প্রশমন এবং জাতিসংঘ সনদসহ আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বিধান অনুযায়ী নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে আমি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
সংঘাত এড়িয়ে কূটনীতির মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে স্থানীয় সময় রবিবার (২২ জুন) ভোরে ফোরদো, ইসফাহান ও নাতানজের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় অত্যন্ত সফলভাবে হামলা পরিচালনা করেছি, যার মধ্যে রয়েছে ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলার প্রথম দিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র জড়িত: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তবে হামলা সত্ত্বেও ওই স্থাপনাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ না করে বরং চালিয়ে যাওয়া হবে বলে দাবি করেছে ইরান।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত করার অজুহাতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এবার তেল আবিবের সঙ্গে যুক্ত হলো ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র।
তবে ট্রাম্পের এই হামলার সিদ্ধান্ত তার নিজ রাজনৈতিক দলের ভেতর থেকেই সমালোচিত হয়েছে। এই সংঘাতে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়া ট্রাম্পের যুদ্ধবিমুখ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করবে বলেও সতর্ক করেছেন অনেকে।
১৬৬ দিন আগে
গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী জাতিসংঘ মহাসচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আরও বেশি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ যেহেতু উল্লেখযোগ্য একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই আমি আরও বেশি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের বিষয়ে আশাবাদী।’
শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর এক হোটেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গুতেরেস বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জন্য এক সন্ধিক্ষণ, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আপনাদের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করা।’
বাংলাদেশের জনগণের পাশে থেকে একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সংস্কার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে মনে করে জাতিসংঘ: বিএনপি
এ বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, জাতিসংঘ শান্তি, জাতীয় সংলাপ, আস্থা ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে আমরা একত্রিত হয়েছি। এই সময়ে সংহতি ও মানবতার ওপর গুরুত্বারোপ করা আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
‘এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখব, যাতে আপনারাই সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা ও সুযোগগুলো গ্রহণ করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমি সম্মানিত। এই রমজান সবার জন্য শান্তি, আশীর্বাদ ও নতুন আশা নিয়ে আসুক।’
২৬৫ দিন আগে
জাতিসংঘ মহাসচিবের ইফতার মাহফিলে পদপিষ্ট হয়ে ১ রোহিঙ্গা নিহত
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের অংশগ্রহণে লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে পদপিষ্ট হয়ে এক রোহিঙ্গা বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত দুজন।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেলিপ্যাড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নেয়ামত উল্লাহ ৪ নম্বর ক্যাম্পের মৃত সবি মিয়ার ছেলে। আহতরা ওই ক্যাম্পের আসাদ উল্লাহর ছেলে আসমত উল্লাহ ও বসির আহমেদের ছেলে কলিম উল্লাহ।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আসমত উল্লাহকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি জানান, ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়ে করে পাহাড়ের ঢাল থেকে পড়ে পদপিষ্ট হয়ে তিনজন আহত হন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক নেয়ামতুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৬৬ দিন আগে
রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল নিশ্চিতে সবকিছু করবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগণের দুর্ভোগ এড়াতে প্রয়োজনীয় তহবিল নিশ্চিতে সংস্থাটি সম্ভাব্য সবকিছু করবে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের বালুখালী-১৮ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিতে পারি যে, এটি (সংকট) এড়াতে আমরা সবকিছু করব এবং তহবিল প্রাপ্তির ব্যাপারে আমাদের সহায়তা করতে পারে—এমন সব দেশের সঙ্গে আমি কথা বলে যাব।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের কথা ভুলে যাবে—এটা মেনে নেওয়া যায় না মন্তব্য করে তিনি জানান, (রোহিঙ্গাদের বিষয়ে) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তিনি সোচ্চার হয়ে কথা বলবেন।
গুতেরেস বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জরুরি-ভিত্তিতে আরও সহায়তা প্রয়োজন। (শরণার্থী শিবিরে) এই জনগোষ্ঠীর মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করার জন্য এই সহায়তার খুবই প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: সবার টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে জাতিসংঘকে পাশে পাবে বাংলাদেশ: গুতেরেস
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারে শান্তি পুনর্প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে এবং রোহিঙ্গাদের অধিকারকে সম্মান জানাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সবকিছু করা জরুরি।’
এদিন কক্সবাজারে উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন গুতেরেস।
এর আগে, আজ (শুক্রবার) বিকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
সফরের অংশ হিসেবে কক্সবাজার বিমানবন্দরের একটি প্রকল্প উদ্বোধন এবং খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। এরপর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে সঙ্গে নিয়ে উখিয়ায় প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সবশেষে সন্ধ্যায় একসঙ্গে ঢাকায় ফেরার কথা তাদের।
২৬৬ দিন আগে
কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব
কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স যোগে তারা কক্সবাজারে পৌঁছান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানান। আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
কক্সবাজার সফরে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: ব্যস্ত সূচি নিয়ে ঢাকায় জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস
২৬৬ দিন আগে
ব্যস্ত সূচি নিয়ে ঢাকায় জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস
ব্যস্ত সফর সূচি নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে অবতরণ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. তৌহিদ হোসেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনসহ একাধিক বৈঠক করতে শুক্রবার ও শনিবারের ব্যস্ত কর্মসূচি নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। তিনি রবিবার সকালে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
গুতেরেস শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান একসঙ্গে রাজধানীর একটি হোটেলে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
পৃথক দুটি বৈঠকের পর জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টাকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজার যাবেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম শুক্রবার দুপুর ১২টায় কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানাবেন।
ইউএনআরসি, আরআরআরসি, আইএসসিজির প্রধান সমন্বয়কালী এবং আইওএম-ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধির নেতৃত্বে ওয়াচ টাওয়ারে এক ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও মিয়ানমার সীমান্তের দৃশ্য দেখানো হবে।
বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্রিফিং করা হবে। এতে শরণার্থীদের মধ্যে অবকাঠামো এবং মানব পুঁজি বিনিয়োগ জোরদারে আইএফআইগুলোর ভূমিকা তুলে ধরা হবে।
ব্রিফিংয়ে দুর্যোগ প্রশমন ও সেবা প্রদানের সমন্বিত পন্থা তুলে ধরা হবে।
আরও পড়ুন: ‘জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্বের নজরে আনবে’
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, তারা আশা করছেন রোহিঙ্গা শিবিরে তাদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে ইফতার করবেন।
মিয়ানমারে নিপীড়ন ও সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের উদারতার স্বীকৃতি হিসেবে শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নেবেন গুতেরেস ও ড. ইউনূস।
শুক্রবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার থেকে তাদের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিব জাতিসংঘের নতুন সাধারণ ভবন প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করবেন এবং ৫০ বছর পূর্তির আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখবেন। এ সময় উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন উপস্থিত থাকতে পারেন।
গুতেরেস জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমের সদস্য এবং জাতিসংঘের সকল কর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠকেও যোগ দেবেন।
তিনি সংস্কার সম্পর্কিত একটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে পারেন এবং শনিবার তরুণদের সঙ্গে পৃথক সংলাপে অংশ নেবেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঞ্চালনায় সুশীল সমাজের সঙ্গেও বৈঠক করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস আয়োজিত ইফতার ও নৈশভোজে যোগদানের আগে জাতিসংঘ মহাসচিব ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হোসেনের একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফর শেষে রবিবার সকালে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মন্তব্য অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল: রফিকুল আলম
২৬৭ দিন আগে
মার্চেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও ড. ইউনূস
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সফরকালে বার্ষিক রমজান সংহতি সফরের অংশ হিসেবে আগামী ১৪ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিবের এই পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
পরিদর্শনকালে গুতেরেস স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী ও মিয়ানমারে নিপীড়ন ও সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ইফতার করবেন। যা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার বাংলাদেশের উদারতার স্বীকৃতি।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা ১৪ মার্চ সকালে কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
আরও পড়ুন: চুরির কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
রমজানের প্রতি সংহতি সফরের অংশ হিসেবে অ্যান্তোনিও গুতেরেস ১৩ থেকে ১৬ মার্চ ঢাকা সফর করবেন। এসময় তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছেন গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
বাংলাদেশ সফরকালে তিনি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি সুশীল সমাজের তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে এক দশকের দীর্ঘ মেয়াদে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাস্তুচ্যুত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে নিয়মিত রমজান পালন করার জন্য সংহতি সফরকে একটি বার্ষিক ঐতিহ্যে পরিণত করেছেন গুতেরস।
গুতেরেস এক বার্তায় বলেন, 'প্রতি রমজানে আমি বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি সফর করি এবং রোজা রাখি। এই মিশন বিশ্বকে ইসলামের আসল চেহারা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান করুণা, সহানুভূতি এবং উদারতার মূল্যবোধকে তুলে ধরে। এটি পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে পুনর্মিলনের একটি সুযোগ...। আমি সবসময় এই মৌসুমে অসাধারণ শান্তির অনুভূতিতে আরও অনুপ্রাণিত হই।
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস সম্প্রতি ড. ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে আশা প্রকাশ করেন যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বৈশ্বিক অগ্রাধিকারকে নবায়ন করবে এবং তাদের দুর্দশার বৃহত্তর সমাধানকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে তার তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি লিখেছেন, 'রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিসহ মিয়ানমারের সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে আমি আমার সদিচ্ছা অব্যাহত রাখব। সেই লক্ষে আঞ্চলিক পক্ষ, অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব রাখাইনের জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা ও জীবিকার সহায়তা কীভাবে সর্বোচ্চ করা যায়—সে বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে দিকনির্দেশনা দিতে তার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকদের অনুরোধ করেছেন।
জাতিসংঘ মিয়ানমারের সমন্বয়কারী এবং আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিখার দেবে। যার মাধ্যমে রাখাইন এবং পুরো মিয়ানমারে অভাবী লোকদের জন্য জরুরি ত্রাণ, নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই এবং অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফরে যাবেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তমভাবে সমর্থন করতে পারে—তা বোঝার জন্য আমরা সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শের পরে সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি।’
তিনি চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসকে তার চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানান। যেটি ৭ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান তার কাছে পৌঁছে দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় তাদের সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব এবং রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তিনি।
২৭০ দিন আগে
ড. ইউনূসকে জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি, সংহতি প্রকাশ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। চিঠিতে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের উত্তরণ প্রক্রিয়ার প্রতি জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন গুতেরেস।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘ মহাসচিবের লেখা চিঠির একটি অনুলিপি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাবের পাশাপাশি রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগের সঙ্গে আমি একমত। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশকে সমর্থনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস অব্যাহত রাখবে জাতিসংঘ।’
রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিসহ মিয়ানমারে সৃষ্ট সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংস্থা আসিয়ান এবং অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে দেশটিতে অবস্থানরত জাতিসংঘের বিশেষ দূতের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন গুতেরেস।
তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল কীভাবে রাখাইনের জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে পারে, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করতে আমি আমার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। রাখাইনসহ পুরো মিয়ানমারের সংকটপূর্ণ এলাকায় মানবিক সহায়তা যেন নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই ও নির্বিঘ্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ বদ্ধপরিকর। এ জন্য জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী এবং মিয়ানমারে অবস্থিত জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ১৩ মার্চ বাংলাদেশ সফরে আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
আসিয়ান সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব লিখেছেন, ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের এই সম্মেলন নতুন করে সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে ভূমিকা রাখবে। এই প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ সমর্থনের জন্য (আসিয়ানের) সদস্য দেশগুলোর পরামর্শের পর সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনার জন্য আমরা অপেক্ষায় রয়েছি।’
আগামী ১৩ মার্চ চার দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে তার এই সফরে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কার্যকর আলোচনা হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ও অগ্রাধিকার-বিষয়ক বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান ড. ইউনূসের পাঠানো আমন্ত্রণপত্রটি হস্তান্তর করেন।
২৮২ দিন আগে
'অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্র' অর্জনে সরকারের প্রচেষ্টা সমর্থন করে জাতিসংঘ: অধ্যাপক ইউনূসকে গুতেরেস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, 'অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্র' অর্জনে তার সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি জাতিসংঘের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে এবং বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার্থে আবাসিক সমন্বয়কারী ও জাতিসংঘ কান্ট্রি টিমের মাধ্যমে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সোমবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং চিঠিটি গণমাধ্যমের সঙ্গে শেয়ার করে।
অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করায় শুভেচ্ছা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
গুতেরেস বলেন, 'আমি বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।’
অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্ব সহিংসতা বন্ধ, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, আইন-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
আরও পড়ুন: আমাদের কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণ ও শিক্ষার্থীদের স্থান দিতে হবে: অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, 'আমি আশা করি আপনার সরকার তরুণ ও নারীদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোকেও বিবেচনায় নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগ নেবে।’
গুতেরেস জানান, তিনি সব নাগরিক, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের ওপর নির্ভর করেন।
তিনি বলেন, 'বিশেষ করে মিয়ানমারে অবনতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য আমি আপনাদের প্রতি জোরালোভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেন গুতেরেস।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবে জাতিসংঘ: মুখপাত্র
৪৭২ দিন আগে