মঈন খান
গত ৫ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক পরিসরে পরিবর্তন দেখছেন মঈন খান
এক বছর আগের ৫ আগস্ট ও এবার ৫ আগস্টের রাজনৈতিক বিশ্লেষণে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তিত বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।
শনিবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানব গবেষণা ও বিশ্লেষণ ফাউন্ডেশন (এইচইউআরএফ) আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব: গণতন্ত্রের অগ্রগতি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ড. মঈন খান বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ১৯৭৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে টিকে রয়েছে।
মুঘল সাম্রাজ্যের উদাহরণ ও পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের প্রতি বৈষম্যের ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদিও পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে, দেশে এখনও সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি, পাকিস্তানেও না।
শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে সতর্ক করে মঈন খান বলেন, আজকের শাসকরা আগামীকালের নিপীড়ক হয়ে উঠবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে দায়বদ্ধতা থাকতে হয় এবং জাতির সামাজিক ও রাজনৈতিক সত্য আবিষ্কারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
পড়ুন: নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি: সিইসি নাসির
গত এক বছরের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে এবং শাসন কাঠামো আবারও গভীর রাজনৈতিক বৈষম্যের ছাপ দেখিয়েছে— যা মুঘল ও পাকিস্তানের শাসনের মতোই ছিল এবং ২০২৪ সালে আবারও পুনরুত্থিত হয়েছে।
বিএনপির নেতা একদলীয় রাজনীতির বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, যখন একটি দল সংসদের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ আসন দখল করে তখন শাসন ব্যবস্থায় সংকট সৃষ্টি হয়, যা অতীতে দেখা গেছে।
তিনি হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমরা আজ তাদের আত্মত্যাগের কারণে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি।’
মুক্ত, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের ডাক দিয়ে ডা. মঈন খান বলেন, সব প্রধান রাজনৈতিক শক্তির অংশগ্রহণ ছাড়া সংসদে গণতন্ত্র কার্যকর করা সম্ভব নয়।
তিনি দাবি করেন, ১৯৭৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৫০ লাখের বেশি বিএনপি নেতা, কর্মী ও গ্রামীণ ছাত্র রাজনৈতিক মামলার মোকাবিলা করেছে।
ঢাকা কলেজের অধ্যাপক আনোয়ার মাহমুদ মূল বক্তৃতা দেন। এইচইউআরএফের আহ্বায়ক আহমেদ হুসাইন আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এবং আহত জুলাই যোদ্ধা ফাহিম হোসেন জুলাই বিপ্লবের অভিজ্ঞতা জানান।
১১৭ দিন আগে
আ. লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আমাদের নয়, সরকার-নির্বাচন কমিশনের: মঈন খান
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে নাকি, নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করা হবে—সে বিষয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা—তা বিএনপির সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের উপর।’
শুক্রবার (৯ মে) যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কার্টার সেন্টারের ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. মঈন এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার বিএনপির নেই। ‘আমাদের মহাসচিব ইতোমধ্যেই বলেছেন, এটি জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয়। নির্বাচনে কে অংশ নিতে পারবে কি পারবে না—তা জনগণই নির্ধারণ করবে।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
বিএনপি নেতা আরও প্রশ্ন তোলেন যে, আওয়ামী লীগ আসলেই গণতন্ত্র এবং নির্বাচন চায় কিনা। ‘আওয়ামী লীগকে এটি স্পষ্ট করতে হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ৯ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে, তবুও ১৫ বছর ধরে জনগণের উপর দমন-নিপীড়ন চালানো ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশকে ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগের একজন সদস্যও অনুশোচনা করেননি।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতা তাদের ভুল স্বীকার করেননি বা বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাননি। ‘সুতরাং, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত কিনা বা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া উচিত কিনা—এই প্রশ্ন আমাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়। দেশের ১৮ কোটি মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গণঅভ্যুত্থান এবং সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন পরিস্থিতি অতিক্রম করে জনগণের সামগ্রিক কল্যাণের জন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে চাই।’
এদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজ বলেছে, তারা স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং জনগণের উত্থাপিত দাবির প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সরকার ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।’
২০৯ দিন আগে
আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: মঈন খান
আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীদের পুনরুত্থান ঠেকাতে ছাত্র-জনতাকে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যে ফ্যাসিবাদী চেহারা উন্মোচিত হয়েছে, তা অবশ্যই উন্মোচিত রাখতে হবে। তাদের দোসরদের সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা বা পুনরায় উত্থান ঠেকাতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসরদেরকে প্রতিহত করতে হলে মুক্তিকামী ছাত্র ও জনতাকে সজাগ থাকতে হবে। এ ধরনের অপচেষ্টা প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে।’
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় আহত শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবে যুবদল: মঈন খান
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী সরকারের পতনের ক্ষেত্র তৈরিতে দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'পরবর্তীকালে, ছাত্র-জনগণ আন্দোলনে যোগ দেয় এবং এই গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী সরকার শুধু পরাজিতই হয়নি, কাপুরুষের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন প্রমাণ করেছে সত্য ও ন্যায় শেষ পর্যন্ত অন্যায়, দমন ও নীপিড়নের ওপর জয়ী হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে গণআন্দোলনের প্রথম ধাপ ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও তাদের শপথ গ্রহণ।
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা, যা আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। বিএনপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। সেটা অনুষ্ঠিত হলে এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরা দেশের শাসনভার নিলে এই আন্দোলনের সফলতা অর্জিত হবে।’
পরে ড. মঈন হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন আহত রোগীদের দেখেন এবং তাদের মধ্যে ৫১ জনকে আর্থিক সহায়তা দেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের সংস্কার অনুসরণ করে হবে ভবিষ্যৎ সংস্কার: ডা. মঈন খান
৩৮৮ দিন আগে
ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবে যুবদল: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ছাত্র-জনতা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, তা কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবে যুবদল।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের সংস্কার অনুসরণ করে হবে ভবিষ্যৎ সংস্কার: ডা. মঈন খান
মঈন খান বলেন, লুটপাট-চুরি নয়, শৃঙ্খলা-সততা আর দেশপ্রেমিক রাজনীতি করে বাংলাদেশকে সম্মানের দেশ হিসেবে পরিচিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এজন্য যুবদলের সদস্যদের প্রশিক্ষিত হবার পাশাপাশি ন্যায়-নীতি আর নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করতে হবে।
পলাশ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নিছার আহমদে খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সাত্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শাহেন শাহ শানু, সদস্য সচিব হাসানুজ্জামান হাসান,উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বখতিয়ার হোসেন ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকারের একমাত্র সাফল্য অর্থ পাচার: মঈন খান
৪০২ দিন আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের একমাত্র সাফল্য অর্থ পাচার: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের গল্প মাত্র দুটি- বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতন এবং গরিব মানুষের অর্থ বিদেশে পাচার। ‘অন্য সব সেক্টরে ব্যর্থ হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের পরিবারের সঙ্গে তার সার্কিট হাউজ রোডের বাসভবনে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির প্রায় ১৮ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা এবং আরও অনেককে গুম করা হয়েছে বলে দাবি করেন ড. মঈন।
সরকার কীভাবে হাবিব উন নবীর বিরুদ্ধে চার শতাধিক মামলা করতে পারে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: মঈন খান
মঈন অভিযোগ করেন, ‘যারা সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করে এবং সমালোচনা করে তাদের প্রায়শই মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয় এবং কারাদণ্ড ও অমানবিক নির্যাতন করা হয়।’
জাতীয় নির্বাচন তদারকিতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিরোধী দলের মহাসমাবেশ বানচাল করার পর সরকার বিএনপির ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত সংসদের নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংসদ একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। এটা দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগ, সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, এমনকি নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি করেন মঈন।
তিনি বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন ছাড়া আইনের শাসন ও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সম্ভব হবে না। এই রকম সহিংস পরিবেশে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।’
মঈন খান আরও বলেন, সরকার শুধু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই ধ্বংস করেনি, দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করেছে।
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হওয়ায় ব্যাংকিং খাত তারল্য সংকটে ভুগছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মঈন খান বলেন, ‘তারা গরিব মানুষের টাকা লুটপাট করে কানাডায় বেগম পাড়া, দুবাইয়ে গুলশান ৩, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম প্রতিষ্ঠা করেছে।’
তিনি বলেন, টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংক ম্যানেজাররা এখন গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছেন।
তিনি আরও বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তথাকথিত সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার নামে সরকার নতুন খেলা শুরু করেছে।
ড. মঈন বলেন, সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে কারণ তারা একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সফল হয়নি। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠাতে পারত।
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
৬০৯ দিন আগে
বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপি কখনো বলেনি তারা নির্বাচনে যাবে না, বরং আমরা বলেছি বর্তমান সরকারের অধীনে 'সাজানো, একতরফা, প্রহসন ও প্রতারণামূলক' নির্বাচনে অংশ নেবো না।
তিনি বলেন, ‘এবারের উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে আগের নির্বাচনের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য হবে না। তাই উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের কোনো সম্ভাবনা নেই।’
বুধবার (৩ এপ্রিল) সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরের উত্তরার বাসায় দেখা করতে যাওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে: মঈন খান
মঈন খান বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না রাখার সিদ্ধান্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ নিজেই স্বীকার করে যে দেশের জনগণ নৌকা প্রতীককে প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, উপজেলা নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে আওয়ামী লীগ নিজেই নৌকা ডুবিয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, 'আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে জিতে একাধিকবার সরকার গঠন করেছে। আমরা জনগণকে শাসন করায় বিশ্বাস করি না, তাদের সেবা করার জন্য রাজনীতি করি।’
তিনি বলেন, জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে কি দেবে না, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
বিএনপির আন্দোলনের ফলাফল সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন বলেন, 'বিএনপির সংগ্রামের ফল না পেলে ৯৫ শতাংশ মানুষ ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করল কেন?’
আওয়ামী লীগ রাজনীতি করছে ক্ষমতায় থাকার জন্য আর বিএনপি রাজনীতি করছে মানুষের সেবা করার জন্য। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখল করেছে, বিএনপি কখনো তা চিন্তাও করে না।
বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে ড. মঈন আরও বলেন, তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার জন্য দেশের জনগণকে অনুরোধ করেছিলেন এবং তারা (জনগণ) প্রহসন, সাজানো ও একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করে তা বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে ৫০ লাখ আসামির বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা দেওয়ার নজির পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। তিনি বলেন, আমরা অল্প কিছু স্বৈরাচারী দেশকে চিনি, যেখানে বিরোধী দলের দমন বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ নয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
৬১০ দিন আগে
পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। টাকা না থাকায় মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছে না। অথচ স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্রের পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল বলে দাবি করলেও তারা জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তিকে অস্বীকার করে দেশে ধনীশ্রেণি প্রতিষ্ঠা করেছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
তিনি বলেন, দেশ নিয়ন্ত্রণে ২২০টি পরিবারকে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে তারা। অথচ পাকিস্তান আমলে এ ধরনের পরিবারের সংখ্যা ছিল ২২টি।
৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করে আওয়ামী লীগ দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে ড. মঈন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো শক্তিধর দেশগুলো বলেছে, অবাধ নির্বাচনের ন্যূনতম মানদণ্ড রক্ষা করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে বুঝতে হবে, কেউ অস্ত্র হাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না, ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় স্বৈরাচারীদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামায় জনগণ।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
৬২২ দিন আগে
আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বন্দুকের জোরে’ সরকারের ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণ তাদের সঙ্গে না থাকায় এই সরকারের কোনো ভিত্তি নেই। সরকার নিজেও জানে না কখন তারা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।’
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে আ. লীগ: মঈন খান
বন্দুকের জোর জনগণের ঐক্য ও ন্যায়বিচারের শক্তির সামনে দাঁড়াতে পারে না উল্লেখ করে তিনি সরকারকে গণতন্ত্রের পথে এসে নতুন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
ড. মঈন বলেন, ‘তা না হলে পরিণতি ভালো হবে না। গুলি, বন্দুক ও কাঁদানে গ্যাস দিয়ে জনগণকে পরাজিত করা যায়। কিন্তু মানুষের ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া যায় না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। যা বিশ্বের সব গণমাধ্যমে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া বর্তমান সরকার ক্ষমতা দখল করায় গণতান্ত্রিক বিশ্ব স্বীকার করেছে বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই। তারা বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। তাদের এ প্রচেষ্টা কখনোই সফল হবে না।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘নতুন বাকশাল নির্মূলে শহীদ জিয়ার রাষ্ট্রীয় দর্শন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে না, তারা একদলীয় শাসন ও লগি-বইঠার রাজনীতি করে। তারা দেশের সব প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে রেখেছে। তারা সংবিধানের কথা বলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।’
তিনি গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শিক্ষকসহ সব পেশাজীবীদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র না থাকলে কেউ বসে থাকতে পারে না। আমরা নতুন বাকশাল-২ প্রথার অবসান চাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার চায় এ দেশে কেউ তাদের সমালোচনা না করুক, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলুক, কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতার লিপ্সায় অন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণসহ একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন সরকারের বিরুদ্ধে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছি। কিন্তু হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমরা যদি কালো পতাকা মিছিল করি, তাহলে ২৮ অক্টোবরের মতো আবারও আমাদের উপর দমন-পীড়ন চালানো হবে।’
আরও পড়ুন: জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
৬৮২ দিন আগে
জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো ‘ভিত্তি’ ও জনসমর্থন নেই বলেই যেকোনো মুহূর্তে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকার চরমভাবে পরাজিত হয়েছে। তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সরকার ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কৃত্রিম উপস্থিতি দেখাতে চায়: মঈন খান
আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, অনেকে তাকে প্রশ্ন করেন এমন একটি নির্বাচন করার পর এই সরকার আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবে কি না।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলতে চাই- ১৯৯০ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার একদিন আগেও এরশাদ সরকার জানত না তাদের এভাবে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, জনগণই একটি দেশের সরকারের ভিত্তি। এই ভিত আস্তে আস্তে সরে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ এখন শূন্যতার উপর দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। যেকোনো মুহূর্তে এই সরকার চলে যেতে বাধ্য হবে।
ড. মঈন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল করতে দেশবাসী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের আরও ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের একটা কথা বলতে চাই- হ্যাঁ, আমরা রক্ত দিয়েছি, রক্ত আরও দিতে হবে। আমরা রাজপথে আন্দোলন করছি এবং আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। তবে এই আন্দোলন হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে তারা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়ম ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করি। বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে আ. লীগ: মঈন খান
৬৮৩ দিন আগে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। গণতন্ত্র বলতে শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে বোঝায়। তাই নীতিগতভাবে সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক।
এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, রাস্তায় সরকারের বন্দুক ও গুলি মোকাবিলায় নিরস্ত্র জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে আ. লীগ: মঈন খান
তিনি বলেন, এভাবে আমরা এই সরকারকে পরাজিত করব। আজকের এই দিনে আমরা এই শপথ নিই। আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব এবং এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
জনগণই বিএনপির শক্তি উল্লেখ করে ড. মঈন খান বলেন, বন্দুকের নল, বুলেটের শক্তি, কাঁদানে গ্যাসের শক্তি, জলকামানের শক্তি বা এই সরকারের যত ক্ষমতাই থাকুক না কেন জনগণের সেই শক্তি দিয়ে বিএনপি বর্তমান অবৈধ দ্বিতীয় বাকশাল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘তাদের দল লগি-বৈঠা দিয়ে রাজনীতি করে না। তিনি বলেন, সভ্য মানুষই বিএনপির রাজনীতি করে। এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।’
বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই দাবি করে তিনি বলেন, চূড়ান্ত সফলতা পেতে হয়তো দীর্ঘ সময় লাগতে পারে, কিন্তু তারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটাধিকার ও অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথের আন্দোলন থেকে বিচ্যুত হবে না।
জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্দোলনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ড. মঈন।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতি দেখেই জনগণের ইচ্ছা বোঝা যায়: রিজভী
৬৮৬ দিন আগে