আপস
আ. লীগের সঙ্গে আপস করবে না বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বিএনপি—এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি কোনো অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বেঁচে থাকতে কি কেউ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করবে? আমরা তো করব না...। যদি অন্য কেউ চেষ্টা করে—আমরা তাদেরও প্রতিহত করব। এমন অযৌক্তিক কাজ (অবজ্ঞাপূর্ণ প্রচারণা) করার কোনো মানে নেই।’
সোমবার (১৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন ও তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে বাধা দূর করুন’ শীর্ষক আলোচনার সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।
নজরুল বলেন, কেউ কেউ প্রচার-প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করছে যে, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায় বিএনপি। ‘একবার ভাবুন তো, এই সেই দল (আওয়ামী লীগ), যাদের সরকারই বিএনপির নেতা-কর্মীদের সবচেয়ে বেশি গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৬ বছর কারাগারে আটকে রেখেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা আটকে দিয়েছে। তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে ও তার ভাই মালয়েশিয়ায় বিনা চিকিৎসা মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মহাসচিবসহ কি এমন একজন বিএনপি নেতা আছেন—যার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৫০টি মামলা নেই?’
নজরুল প্রশ্ন তোলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন পেছানোর কারণ কী? যখন সংস্কার সনদ আগামী দেড় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আলী রীয়াজকে উদ্বৃত করে নজরুল বলেন, তিনি বলেছেন সংলাপের প্রাথমিক দফা প্রায় সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা এই মাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে চলে যাবে। বিএনপি নেতা প্রশ্ন তুলে বলেন, ঐকমত্যের বিষয়গুললো তালিকাভুক্ত করে একটি সনদ প্রস্তুত করতে কত সময় লাগবে। ‘জুলাই সনদ প্রস্তুত করতে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। এর বেশি নয়।’
নজরুল ইসলাম বলেন, অধ্যাদেশের মাধ্যমে যেসব সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব তা দ্রুত করা যেতে পারে এবং বাকি সংস্কার সুপারিশগুলো পরবর্তী সংসদের জন্য ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। ‘তাহলে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আপনার (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের) বাধা কী?’ৎ
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার: সালাহউদ্দিন আহমদ
নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় এবং সম্ভব সংস্কারগুলো চাই। সেই সঙ্গে এমন সব সংস্কারও চাই—যা ছাড়া একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।’
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই জনগণের ক্ষমতা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। যাতে জনগণের নির্বাচিত একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়— যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহি করবে।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী এবং জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মুস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন একরাম বক্তব্য দেন।
২০০ দিন আগে
বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না। মান ঠিক রেখে, সঠিকভাবে শতভাগ চাল সংগ্রহ সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
রবিবার সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান-২০২৩ এর ভার্চুয়াল উদ্বোধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সরকার চায় কৃষক তার ফসলের ভালো দাম পাক। কৃষক ভালো দাম পেলেই আমরা খুশি। আর সেটা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, অনেকে মনে করেছিল দেশে দুর্ভিক্ষ হবে, অনেক কামাই করবে। এজন্য আমন মৌসুমে তারা মজুদ করেছিল। কিন্তু তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার চার লাখ টন বোরো ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কৃষক ধানের সঠিক দাম না পেলে সরকার প্রয়োজনে সাত থেকে লাখ টন ধান কিনবে। আর চাল কেনা হবে সাড়ে ১২ লাখ টন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে কৃষকের সব ধান কেটে ফেলা উচিত। কেননা, এরই মধ্যে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসনও কৃষকদের এ বিষয়ে সচতেন করতে ভূমিকা রাখত পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সরকার এবার বেশি দামে ধান কিনছে। কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনায় এটা করা হয়েছে। কৃষকরা ধান দিতে এসে যেন কষ্ট না পায়। ধান দিতে এসে যেন ফেরত না যায়। সেটা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে ভূমিকা রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তবে ধানের আদ্রতার পরিমাণ ১৪ ভাগের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যাবে না। আদ্রতা ঠিক থাকলে ধান ফেরত দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, গত মৌসুমে যে সকল মিল মালিক চাল দেওয়ার জন্য চুক্তি করেনি তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ফিট লিস্টে নাম না পাঠানোর জন্য খাদ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, যারা চুক্তি করে সরকারকে সহায়তা করেছে তারা সরকারের সুনজরে আছে। যারা আংশিক শর্ত পূরণ করেছ তারাও এ বছর চুক্তি করতে পারবে।
একই সঙ্গে কেউ যেন অবৈধ মজুত করতে না পারে-এ বিষয়েও কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল মন্ত্রীপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় বোরো ধান, চাল ও গমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
সভায় আসন্ন বোরো সংগ্রহ ২০২৩ মৌসুমে চার লাখ টন ধান, ১২ দশমিক ৫০ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া আভ্যন্তরীণ সংগ্রহ রবিবার (৭ মে) থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত চলবে।
প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা।
২০২২ সালে ধান-চালের দাম ছিল যথাক্রমে ধান ২৭ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং গম ২৮ টাকা।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে জনগণ: খাদ্যমন্ত্রী
৯৪৩ দিন আগে