নির্যাতন
লালমনিরহাটে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে স্বামীর নির্যাতনে তাহমিনা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গৃহবধূ তাহমিনা কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের নিথক শিয়ালখোওয়া এলাকার তাহের আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগে সহকারী শিক্ষক বরখাস্ত
তাহমিনার স্বামী আলমগীর হোসেনে একই উপজেলার মহিশামুড়ি (মাস্টার মোড়) এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, তাহমিনা আলমগীরের তৃতীয় স্ত্রী। তাহমিনা তার বাবার বাড়িতে থাকায় আলমগীর শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আলমগীর গাছের ডাল দিয়ে তাহমিনাকে আঘাত করেন। এ সময় তার মাথা ফেটে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করেন। মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তখন থেকে আলমগীর হোসেন পলাতক রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাইকে ৭ মার্চের ভাষণ বন্ধ, কটূক্তির অভিযোগে শিক্ষক আটক
খুলনায় তরুণীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্ত্রীকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগ, স্বামী আটক
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় স্বামীকে জমি লিখে না দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মছের সরকারকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যশোরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ফাগুয়ারদিয়াড় ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পপি খাতুন বলেন, ‘পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমি লিখে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন থেকে চাপ দিচ্ছিলেন আমার স্বামী। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে কথা কাটাকাটি হলে মছের আমার হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার পর ব্লেড দিয়ে আমার মাথা ন্যাড়া করে দেন।’
খবর পেয়ে পপির পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পরিবার।
বাগাতিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা হয়েছে। মামলা নথিভুক্তির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৪ দিনের মাথায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
বগুড়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ
ইবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে আবারও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী
কুষ্টিয়ায় বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী আবু জাহেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে জাহেদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রতন রায় ও রিহাব রেদোয়ানের।
তারা ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সমর্থক।
এ নিয়ে একপর্যায়ে তারা তাকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বসে থাকা অবস্থায় রতন ও রিহাব তাকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: অতিথি পাখির কলরবে মুখর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে রিহাব রেদোয়ান বলেন, এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ছাত্রলীগ কারো দায় নেয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের এক নবীনকে নির্যাতন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সমর্থক শারীরিক শিক্ষা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুদাসসির খান কাফি ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাগরের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী তাকে লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে য়ে নির্যাতন করে।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৪৫ আসন খালি
লালমনিরহাটে চুরির অপবাদে নির্যাতন করায় যুবকের আত্নহত্যা
লালমনিরহাট কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল চুরির অপবাদে নির্যাতনের শিকার হওয়ায় অভিমানে বিষপানে নুর আলম নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের কাঞ্চনশ্বর দুল্লার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুর আলম ওই এলাকার মৃত নওশের আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সেলুনের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির পাশে দুল্লারবাজারে একটি মোটরসাইকেল দেখতে পান। সেখানে কাউকে না পেয়ে গাড়িটি তার বাড়ির সামনে এনে রাখেন।
আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস দিয়ে রাজশাহীতে তরুণীর ‘আত্নহত্যা’
পরে রবিবার সকালে মোটরসাইকেলের মালিক আসাদুল মোটরসাইকেল রক্ষা করার জন্য তাকে মিষ্টি খেতে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল নেয়। মোটরসাইকেল পাওয়ার পর নুর আলমকে কৌশলে দুল্লারবাজার ক্লিনিকের সামনে নিয়ে মোটরসাইকেল চুরির অপবাদে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এসময় আসাদুলের পিতা আজিজুল, চাচা নাজুল্লা কিল-ঘুষিসহ বুকের উপর উঠে মারধর করেন। একপর্যায়ে অভিমানে ওই যুবক বাজার থেকে বিষ নিয়ে বাড়িতে এসে সবার অজান্তে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।
নিহত যুবকের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী রাতে মোটরসাইকেল বাজারে পেয়ে বাড়ির সামনে এনে রেখেছিল। সে মোটরসাইকেল চালাতেও পারে না। রবিবার সকালে তাকে টাকার লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে চুরির অপবাদে মারধর করে। সেই অভিমানে আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবীর বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আমাদের পুলিশ সেখানে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ শুনে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নানা-নানীর নির্যাতন সইতে না পেরে নাতনীর আত্নহত্যা!
নানা-নানীর নির্যাতন সইতে না পেরে নাতনীর আত্নহত্যা!
ভাইকে হাত পা বেঁধে নির্যাতন, মায়ের অভিযোগে তিন ভাই আটক
বগুড়ার শিবগঞ্জে বসতবাড়ির জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইকে আম গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বড় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার তেঘরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের মা জামিলা বেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- নির্যাতনের শিকার মিলন, ওই এলাকার জাহিদুল ইসলাম ও মিনহাজুল ইসলাম। তারা তেঘরী এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার তেঘরী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের মৃত্যুর পর থেকে বসত বাড়ির ২৭ শতক জায়গা নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধের জেরে সোমবার সকালে ছোট ভাই মিলন বাঁশের বেড়া দিয়ে তার সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে অপর সহদর ভাই জাহিদুল ইসলাম ও মিনহাজুল ইসলাম তাকে বাধা প্রদান করে ও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে ছোট ভাই মিলনকে আম গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মা জামিলা বেওয়া ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মা জামিলা বেওয়া বলেন, বাড়ির পার্শ্বে ফাঁকা জায়গায় মিলন বেড়া দিতে গেলে আমার বড় দুই ছেলে তাকে বাধা দিয়ে ও ছোট ছেলেকে আম গাছের সঙ্গে হাত পা বেঁধে রেখে নির্যাতন করে।
এ ব্যাপারে বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছোট ভাই মিলন একজন মাদক সেবনকারী। সে যেকোনো সময় মারধরসহ খুন জখমের ঘটনা ঘটাতে পারে। সেজন্য তাকে আম গাছের সঙ্গে হাত, পা বেঁধে রাখা হয়েছিল।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে তিন ভাইকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: কেরানীগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রুবেল দে নামে এক বন্দিকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রুবেল দে জেলার বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জ্যৈষ্টপুরার বাসিন্দা সুনীল দের ছেলে। তিনি কারাগারের ৩ নম্বর পদ্মা ওয়ার্ডে বন্দি ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
রুবেলের দুই মেয়ে রয়েছে এবং তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। বড় মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে এবং ছোট মেয়ের বয়স প্রায় ১০ বছর, সে স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষার্থী।
রুবেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে তার স্বজন অভিযোগ তুলেছে, কারাগারের ভেতরে কারারক্ষী বা অন্য কয়েদিরা তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে কারাগার কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি রুবেল মাদকাসক্ত ছিল। তার মানসিক সমস্যা ছিল। অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
রুবেলের পরিবারের সদস্যরা জানায়, সম্প্রতি চোলাই মদসহ পুলিশ রুবেলকে গ্রেপ্তার করে। রুবেল কৃষক, মাদক বিক্রেতা নন। তবে মাঝে মাঝে তিনি মদ পান করতেন।
রুবেলের খালাতো ভাই রাজীব দে বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পরে আদালত ভবনের হাজতখানায় আমরা দেখা করেছিলাম। ২৮ জানুয়ারি বিকালে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় রুবেল সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর ২ ফেব্রুয়ারি তার সঙ্গে দেখা করতে আমরা চট্টগ্রাম কারাগারে গিয়েছিলাম। সেদিন আমরা দেখেছি, চারজন কারারক্ষী তাকে হুইলচেয়ারে করে ধরে ধরে নিয়ে আসছেন। রুবেল তাকাতে পারছিল না, মুখ থেকে লালা ঝরছিল। কারারক্ষীদের কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম ওই অবস্থা কীভাবে হয়েছে কিন্তু তারা কোনো সদুত্তর দেননি।’
রাজীব বলেন, ‘আমরা রুবেলের ডান ভ্রু ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। সে সময় রুবেল এক রকম অচেতন অবস্থায় ছিল, আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সে কোনো কথা বলতে পারেনি।’
চট্টগ্রাম কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘মাদক নেওয়ার কারণে হাজতি রুবেলের মানসিক সমস্যা উইথড্রল সিন্ড্রোম ছিল। আমরা প্রথমে তাকে আলাদা ওয়ার্ডে রেখেছিলাম। পরে তাকে পদ্মা ৩ নম্বর ওয়ার্ডে অন্য বন্দিদের সঙ্গে রাখা হয়।’
তিনি আরও বলেন, সেখানে মানসিক সমস্যা আছে এমন একাধিক বন্দিদের রাখা হয়েছে। ভোর রাতে বুকে ব্যথার কথা বললে আমরা তাকে কারা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। কারাগারে কারারক্ষী বা অন্য বন্দি তাকে নির্যাতন করেনি।’
আরও পড়ুন: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দির মৃত্যু
এদিকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা বোয়ালখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুসা বলেন, ‘গ্রেপ্তারের সময় রুবেল শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন। আমাদের হেফাজতে থাকাকালে তার কোনো ধরনের অস্বাভাবিক উপসর্গ খুঁজে পাইনি।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আলামিন বলেন, ‘সুরতহাল করার সময় চোখের উপরে কপালে একটি আঘাতের চিহ্ন, শরীরের কয়েকটি স্থানে ও দুই হাতের কব্জিতে দাগ পেয়েছি। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
বোয়ালখালী থানার মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি বাড়ির পাশের এলাকা নন্দীপাড়া হরিমোহন এলাকায় চোলাই মদ বিক্রির সময় রাতে রুবেলকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ২০০ লিটার মদ জব্দ করা হয়। বোয়ালখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম আবু মুসা বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরের দিন বিকালে আদালত রুবেলকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার আদেশ দেন। এরপর থেকে রুবেল কারাগারেই ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি যশোর কারাগারের বন্দিরা
বিএনপি নেতা-কর্মীরা কারাগারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিরোধী দলের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের দমন করতে কারাগারের ভেতরে ও বাইরে নানাভাবে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। কারাবন্দিদের ওপর অবর্ণনীয় ও নৃশংস নির্যাতন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, কারাবন্দি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে হত্যা করা হচ্ছে। অসুস্থ বন্দিদের হাসপাতালে না পাঠিয়ে হাত-পায়ে শিকল দিয়ে কারাগারে রেখে দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বিএনপির কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের দিন-রাত কারাগারে দমবন্ধ কক্ষে আটকে রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে... বন্দিদের মৃত্যুর পর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায় এড়াতে গল্প তৈরি করছে।’
রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কারা হেফাজতে মৃত্যুর দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কারা কর্মকর্তারা এড়াতে পারবেন না। প্রতিটি মৃত্যু ও হত্যার জন্য তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানের সাম্প্রতিক ‘Full prison and false charges: Bangladesh opposition faces pre-election crackdown' শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, সরকার কীভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম ও কারারুদ্ধ করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের ৬৮টি কারাগারে ৪৩ হাজারেরও কম বন্দি রাখার সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে এসব কারাগারে প্রায় ৮৮ হাজার বন্দি রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ দখলদার সরকার পুরো দেশকে নরকে পরিণত করেছে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য। বাড়ির বাইরে কোথাও মানুষের নিরাপত্তা নেই। দেশের মানুষ অজানা ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।’
রিজভী বলেন, কারাগারগুলো মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে এবং কারাগারগুলো হিটলারের গ্যাস চেম্বারের মতো শেখ হাসিনার গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের ৬৮টি কারাগারের প্রতিটিই টর্চার সেলের মতো, যেখানে রাজনৈতিক বন্দিরা প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ভয় পায়। সুস্থ নেতা-কর্মীদের মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় নির্যাতন করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে এবং লাশের মতো বের করে আনা হচ্ছে।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, এ বছর বিএনপি নেতা-কর্মীসহ প্রায় ১০০ জন কারাগারে মারা গেছেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল ও চালের দাম নিয়ে দেশে নৈরাজ্য চলছে।
তিনি বলেন, সরকারি কর্তৃপক্ষের কোনো তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা সব নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করে তাদের ইচ্ছানুযায়ী পণ্যের দাম নির্ধারণ করছেন। সরকারের যদি জনগণের ভোটের প্রয়োজন হতো, তাহলে তারা বাজারের নিয়ন্ত্রণ তার দলের ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দিত না।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
ববি শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন, ভেঙে দিয়েছে হাত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে কক্ষে আটকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মুকুল আহমেদ। তিনি ইংরেজি বিভাগের দশম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বেদম মারধর করে তার একটি হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
ইংরেজি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিদ মঞ্জু ও সিহাব উদ্দিন এই নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা মুকুলকে বঙ্গবন্ধু হলের ৪০১৮ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করেন।
মুকুল বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টিউশনি শেষে তিনি হলে ফেরার পথে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের কয়েকজন ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কারাগারে
এত রাতে ক্যাম্পাসে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা মুকুলকে বলেন, দশম ব্যাচের (দ্বিতীয় বর্ষ) বড় ভাইয়েরা বঙ্গবন্ধু হলে ডেকেছেন। এই কথা শোনার পর মুকুল হলে ফিরে দশম ব্যাচের মেসেঞ্জার গ্রুপে এই খবর জানান।
সেই বার্তায় মুকুল উল্লেখ করেন, আমাদের ব্যাচের নামে ছোট ভাইদের ডাকা হয়েছে, অথচ আমরা জানি না। আগেও এভাবে ডেকে র্যাগিং করা হয়েছে অনেককে। তখন বিভাগের শিক্ষকদের কাছে আমাদের কৈফিয়ত দিতে হয়েছে। এখন আবার ডাকা হয়েছে, আমরা জানি না, এটা বাড়াবাড়ি ছাড়া কিছুই না।
মুকুল আরও বলেন, এই কথা লেখার এক মিনিটের মধ্যে তানজিদ মঞ্জু ফোন করে শেরেবাংলা হলের দিকে যেতে বলেন। রাত ৮টার দিকে মঞ্জু তাকে নিয়ে যায় চতুর্থ তলার ৪০১৮ নম্বর কক্ষে। কক্ষ থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে দরজা আটকে মেসেঞ্জার গ্রুপে ওই কথা কেন লেখা হয়েছে তা জানতে চান মঞ্জু।
এরপরই মঞ্জু ও তার সহযোগী সিহাব কিলঘুষি, লাথি মারতে শুরু করে। এর একপর্যায়ে জিআই পাইপ ও কাঠ দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়।
তারপর অজ্ঞান হয়ে পড়লে রাত ৩টার দিকে ওই কক্ষে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে তারা চলে যায়। শুক্রবার সকালে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুকুল বলেন, ‘আমি কোনো রাজনীতি করি না। আমাকে মেরে পঙ্গু করে দেওয়া হলো। এই ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে তানজিদ মঞ্জুকে একাধিকবার কল দেওয়ার পর কাজিন পরিচয়ে এক ব্যক্তি তা রিসিভ করে বলেন, মঞ্জু এলে কল দিতে বলব। তারপর আর কল করেনি। অন্যদিকে সিহাব উদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে ‘রং নম্বর’ বলে কেটে দেন। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনিই সিহাব।
শেবাচিম হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক মো. নাহিদ জানান, রোগীর (মুকুল) বাঁ হাতের হাড় ভেঙে যাওয়ায় ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে। ২১ দিন পর ব্যান্ডেজ খোলা হবে। এরপরও যদি হাড় জোড়া না লাগে তবে অস্ত্রোপচারের দরকার হবে।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট আরিফ হোসেন বলেন, আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। তার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রক্টর মো. খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তাকে হাসপাতালে দেখে এসেছি। এই বিষয়ে ববি প্রশাসনের এখতিয়ার অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরের সিংড়ায় শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
শাহবাগ থানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (রমনা জোন) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার বিকালে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপির উপকমিশনারের (ডিসি-অপারেশন) নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবিতে হলের ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে এডিসি হারুনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। তবে এডিসি হারুন সেখান থেকে সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর আরও পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর নাঈম ও শরীফকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন। রাত ১টার দিকে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন এডিসি হারুন। নারী কর্মকর্তার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে যান। ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং তারা সবাই গাজীপুরের বাসিন্দা।
রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর এডিসি হারুনকে ডিএমপি থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করেছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কারাগারে
যৌতুক দাবি, প্রথম বিয়ের কথা গোপন এবং নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মাদারীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াদুদ আকন্দ (৩৭) নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কূটনৈতিক অফিসে কর্মরত। সমন জারির পর বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিতে এসে তিনি জামিন আবেদন করেন।
মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জানান, মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে এএসআই স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
বাদী জারিন রাফা নীলান্তির (২৬) তথ্যমতে, তারা ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল বিয়ে করেন এবং তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন তার স্বামীর আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছিল এবং তিনি বিষয়টি তার কাছে গোপন রেখেছিলেন।
২০২২ সালের ৭ অক্টোবর বাদীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে বসে আসামি জারিনের কাছে ৪০ লাখ টাকা ও ৫ কাঠা জমি যৌতুক হিসেবে দাবি করেন বলে মামলায় বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
চট্টগ্রামে দুদকের মামলায় দুই রাজস্ব কর্মকর্তা কারাগারে