স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নামে ভুয়া অডিও রেকর্ড, মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নামে তৈরি একটি ভুয়া বা এআই-জেনারেটেড অডিও কল রেকর্ড সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এটি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কণ্ঠ নয়; কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট বা বিকৃত করা একটি কণ্ঠস্বর। যেকোনো সচেতন ব্যক্তি, যিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কণ্ঠ সম্পর্কে অবগত, সহজেই বুঝতে পারবেন যে এটি তার কণ্ঠস্বর নয়।
‘ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট’ নামের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডিসহ বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত ২৫ সেকেন্ডের ওই অডিওতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ভিপি নুরের বিষয়ে এক অজ্ঞাতনামা পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিতে শোনা যায় বলে দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আজ সারা দেশে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ, ঢাকায় সমাবেশ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের ভুয়া অডিও কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও বেআইনি। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে গুজব ছড়াচ্ছে এবং তারা প্রকৃত তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে ভুয়া অডিও রেকর্ড বা অন্য যেকোনো বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। অন্যথায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯৬ দিন আগে
মব জাস্টিস কমাতে কাজ করছি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মব জাস্টিস যত কমিয়ে আনা যায় এ লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২তম সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মব জাস্টিস যত কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি বলবো না যে মব জাস্টিস ইলিমিনেট (দূর) হয়ে গেছে। এখনও হচ্ছে, যেমন রংপুরে একটি মব জাস্টিস হয়েছে। ঢাকায় তুলনামূলক কমেছে, তবে আশেপাশে মব জাস্টিস দু-একটি হয়েই যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি এটি যতটা কমিয়ে আনা যায়।’
গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে একজন রিকশাচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেখানে (ধানমন্ডি ৩২ নম্বর) যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, এ ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা ছিল।’
পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ নেই: ইসি সচিব
সভায় কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকায় ১৮ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আগামীতে এমন আরও পরিকল্পনা আছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ছুটি নেওয়া ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিতির ৬০ দিন হলে বরখাস্ত হয়। এটি চলতেই থাকবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি সাধারণ জনগণ বা নির্দোষ জনগণ যাতে কোনো অবস্থায় শাস্তির আওতায় না আসে। যে দোষী সে কোনো অবস্থায় ছাড়া পাবে না। আমরা সব সময় চুনোপুঁটি ধরি। রুই–কাতলা ধরা পড়ে না। রাঘব বোয়ালদের ধরার চেষ্টা চলছে।’
১০৮ দিন আগে
নির্বাচনের সব প্রস্তুতি আছে, মব মোকাবিলায় সচেষ্ট সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি এবং সক্ষমতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আছে। পাশাপাশি আগামী কয়েকদিনে ঘটে যাওয়া মব ভায়োলেন্স মোকাবিলায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
রবিবার (৬ জুলাই) শিল্প পুলিশ সদর দপ্তর এবং উত্তরা পূর্ব থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না। যারা নির্বাচনের অংশ নেবেন সেসব রাজনৈতিক দলেরও একটি প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। আবার নির্বাচন কমিশনেরও আলাদা প্রস্তুতি আছে। তবে আইনশৃঙ্খলার জায়গা থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের এখনো পাঁচ-ছয় মাস বাকি। এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। যারা বলছেন নির্বাচনের পরিবেশ নেই, তারা কেন এমন কথা বলছেন, সেটি তারাই ভালো জানেন।’
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি মব ভায়োলেন্স প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মব ভায়োলেন্স প্রায় বন্ধ হয়ে আসলেও আবার নতুন করে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর ও রংপুরে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মব ঠেকাতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
থানার ওসিদের দখল বাণিজ্যের অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। ওসিদের দখল বাণিজ্য নিয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য বা অভিযোগ আসেনি।’
শিল্প পুলিশ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, দেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাড়লেও শিল্প পুলিশের জনবল বাড়েনি। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিল্প পুলিশের জনবলের পরিধি বাড়ানোর ওপরও এ সময় গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া ফেরত ৩ বাংলাদেশি জঙ্গি নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৫১ দিন আগে
কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত
দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় পুলিশের ১৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(গ) অনুসারে ‘পলায়নের অপরাধে’ অভিযুক্ত হওয়ায় বিধি ১২ উপবিধি (১) অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন সময়ে তারা খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এসব কর্মকর্তার মধ্যে তিনজন পুলিশ সুপার, আটজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও দুজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।আরও পড়ুন: পুলিশের উপপরিদর্শক সুশান্তকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে কেএমপি ঘেরাও ছাত্র-জনতার
বরখাস্ত হওয়া ১৪ কর্মকর্তা হলেন, বরিশালে র্যাব-৮ এর সিপিএসসির ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনির, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস. এম. শামীম, সুনামগঞ্জের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুবাইয়াত জামান, উখিয়ায় ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমরুল, রাঙ্গামাটির ডিআইজি এপিবিএনের (পার্বত্য জেলাসমূহ) কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্ল্যা, নারায়ণগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, রাজারবাগের পুলিশ টেলিকম সংস্থার টেলিকম অফিসার (এএসপি) মাহমুদুল হাসান, কক্সবাজার ১৬ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখারুল ইসলাম, ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার এটিইউ মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, সিলেটের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখতারুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস. এম জাহাঙ্গীর হাছান, জামালপুরের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিশু বিশ্বাস ও রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন।
১৫৮ দিন আগে
সচিবালয়ে সপ্তাহে দুইদিন দর্শনার্থী প্রবেশ নিষেধ
সপ্তাহে দুদিন সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না।
বুধবার (২৮ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ তথ্য ইউএনবিকে জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা যায়, আগে সচিবালয়ে সপ্তাহে একদিন (সোমবার) দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ ছিল। এখন থেকে সপ্তাহে দুইদিন (সোমবার ও বৃহস্পতিবার) দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: সচিবালয় এলাকায় সব ধরণের সভা সমাবেশ-জমায়েতে নিষিদ্ধ করল ডিএমপি
আগামীকাল বৃহস্পতিবার জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে, সরকারি কর্মকর্তাদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গত ২৭ মে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১৯০ দিন আগে
পুলিশ একটি খুনে বাহিনী হতে পারে না: আইজিপি
পুলিশকে আর কোনো প্রাণঘাতী না দিতে সরকারি সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করেন বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা অন প্রিন্সিপাল এটা মনে করি, পুলিশ ক্যান নট বি এ কিলার ফোর্স (পুলিশ একটি খুনে বাহিনী হতে পারে না)। আমার কাছে বড়জোড় শটগান থাকবে, এটাই একটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা সবার।’
মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজের পুলিশ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাহারুল আলম বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেটা মিন করেছে, যে অস্ত্রের গুলির ফলে নিশ্চিত মৃত্যু হয়, যেমন রাইফেল, যেগুলো থেকে বুলেট নির্গত হয়, এগুলা অ্যাভয়েড করব।’
‘আমরা এটা নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করে ঠিক করব,’ যোগ করেন তিনি।আরও পড়ুন: র্যাব হবে পুনর্গঠন, পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এরআগে সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না, জমা দিয়ে দিতে হবে।’
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুলিশের হাতে যাতে আর কোনো মারণাস্ত্র না থাকে। এগুলো তাদের জমা দিয়ে দিতে হবে। কোনো মারণাস্ত্র পুলিশের হাতে থাকবে না। অস্ত্র থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের হাতে। তাদের কাজ অন্য পুলিশের থেকে একটু ভিন্ন।’
কবে থেকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে কেবল মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলো। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তো একটু সময় লাগে। পুলিশের কাছে রাইফেলও থাকবে না; তা নয়। তাদের কাছে রাইফেল থাকবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে পুলিশকে মারণাস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি দেখবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
২০৫ দিন আগে
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা, গুম, নিপীড়নসহ বিভিন্ন অভিযোগে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের নাসিমুল গনির সই করা প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
‘তাদের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম-খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।’
এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বলে প্রজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এসব অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও দলটির সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহুসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাব হবে পুনর্গঠন, পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
‘এ সব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল আয়োজন, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং ভিনদেশে পলাতক তাদের নেত্রীসহ অন্য নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধমূলক বক্তব্য দেওয়া, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের চেষ্টাসহ আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।’
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘যেহেতু এসব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। দলটি ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।’
‘এছাড়া, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি ছড়াতে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে,’ বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরকারি গেজেটের অপেক্ষায় ইসি: সিইসি
‘সরকার যুক্তিসঙ্গততভাবে মনে করে, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা-১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না-হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সমীচীন।’
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সে কারণে তাদের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা করা হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগকে গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
২০৬ দিন আগে
শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার শ্রমিকদের পাওনা বেতন-ভাতাসহ যৌক্তিক দাবির ব্যাপারে সরকার আন্তরিক ও একমত বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার শ্রমিকদের পাওনা বেতনভাতাদিসহ যৌক্তিক দাবির ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক ও একমত। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এবং তাদের কর্মকাণ্ড মনিটর করা হচ্ছে।আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকেদর সংঘর্ষে নারী শ্রমিক নিহত
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তবে অন্যায্য ও অযৌক্তিক দাবির নামে গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি, অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ, নৈরাজ্য ও সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং তা কখনোই মেনে নেয়া হবে না।
‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় সরকার তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানায় সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সরকার এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষ উভয়ের সহযোগিতা কামনা করছে,’ বিবৃতিতে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২৫২ দিন আগে
অনলাইনে আবেদন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া ই-পাসপোর্ট পাওয়ার উপায়
ই-পাসপোর্ট পরিষেবায় বাতিল করা হয়েছে পুলিশ ভেরিফিকেশন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে পরিপত্র জারির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল আইডি (এনআইডি) কার্ড-এ বিদ্যমান তথ্যের ভিত্তিতে সরবরাহ করা হবে ই-পাসপোর্ট। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও প্রবাসি বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় এনআইডি কার্ড করার সুযোগ থাকে। তাই এই দুই শ্রেণীর নাগরিকদের পাসপোর্টের আবেদন নিরীক্ষার মাপকাঠি ধরা হবে অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ। চলুন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ব্যতীত ই-পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদনের সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি দেখে নেওয়া যাক।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
• অনুর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী প্রার্থীর জন্য অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম সনদপত্র (BRC English Version)
• প্রার্থী ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী হলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম সনদ (BRC English Version)
• ২০ বছরের অধিক আবেদনকারীদের জন্য এনআইডি কার্ড অত্যাবশ্যক। তবে অন্যান্য দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন থেকে আবেদনকারীরা তাদের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC English Version) দিতে পারবেন।
• শিশুদের ক্ষেত্রে পিতামাতা প্রত্যেকের এনআইডি কার্ড
• বসবাসরত ঠিকানার সাম্প্রতিক ইউটিলিটির (গ্যাস, বিদ্যুৎ বা পানি) বিল প্রদানের রশিদ
• দত্তক কিংবা অভিভাবকত্ব গ্রহণকারীদের জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগ (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) কর্তৃক জারিকৃত আদেশ
• বিবাহ সনদ অথবা নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
আরো পড়ুন: পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা শিথিল করে পরিপত্র
বিভিন্ন পেশাজীবী আবেদনকারীরা যে নথিপত্র দেখাবেন
• ড্রাইভার, ইঞ্জিনিয়ার, ও ডাক্তারের মতো কারীগরি কিংবা প্রযুক্তিগত পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কারীগরি সনদপত্র
• শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তার সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদানকৃত প্রত্যয়নপত্র বা নিদেনপক্ষে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড
• বেসরকারী কর্মকর্তার জন্য তার প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহকৃত আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র
• সরকারী চাকরিজীবিদের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত যে কোনো একটি নথি (ইস্যূকারী কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নোটিশ হিসেবে প্রকাশিত হতে হবে):
o সরকারী আদেশ (জিও)
o অনাপত্তি পত্র (এনওসি)
o প্রত্যয়নপত্র
o অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (পিআরএল অর্ডার)
o পেনশন বই
· কৃষক বা কৃষি কাজে নিযুক্ত থাকলে তার জমির পর্চা (অনুলিপি)
· ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স (অনুলিপি)
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
আবেদন জমা দেওয়ার সময় উপরোক্ত নথিপত্রের সাথে আরও যা যা যুক্ত করতে হবে:
· বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের নির্ধারিত সময়সহ আবেদনপত্রের সারাংশ (মুদ্রিত কপি)
· অনলাইন নিবন্ধিত পূর্ণ আবেদনপত্র (মুদ্রিত কপি)
· পাসপোর্টের ফি জমা প্রদানের রশিদ
· অনুর্ধ্ব ৬ বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে ল্যাবে মুদ্রিত সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
· ৬ বছরের অধিক প্রার্থীর পৃথক ভাবে কোনো ছবি দেওয়ার দরকার নেই। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় এই সকল নথিগুলো সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই।
আরো পড়ুন: আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট করবেন যেভাবে
ধাপে ধাপে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনের নিয়ম
.
অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ
সর্বপ্রথম ইন্টারনেটের ব্রাউজার ওপেন করে সরাসরি চলে যেতে হবে www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে। অতঃপর ‘অ্যাপ্লাই অনলাইন’ ট্যাবে ক্লিক করলে প্রথমে আসবে আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট কার্যালয় নির্ধারণের পালা। স্ক্রিনে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে প্রার্থীর অবস্থানরত জেলা ও থানার নাম বাছাই করতে হবে। এতে করে স্বয়ংক্রিয় ভাবে অধিভূক্ত ই-পাসপোর্ট কার্যালয়ের নামটি নির্ধারিত হয়ে যাবে।
এছাড়া আলাদাভাবে নিজের নিকটস্থ ই-পাসপোর্ট কার্যালয়ের চেনার জন্য এই লিঙ্কে যাওয়া যেতে পারে- https://dip.gov.bd/site/page/4d4ea063-50df-46ee-a326-492d8ef2dbb0/-।
পাসপোর্ট অফিস নির্ধারণের পরের কাজ হলো ই-পাসপোর্ট অনলাইন নিবন্ধন পোর্টালে অ্যাকাউন্ট খোলা। এর জন্য ই-মেইল ঠিকানা, এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে একটি অনন্য পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। এভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে গেলে পরবর্তীতে এই ই-মেইল বা মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা যাবে।
আবেদন ফর্মের প্রত্যেকটি তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী হতে হবে। ন্যূনতম তারকা চিহ্নিত তথ্যগুলো সফলভাবে প্রদানের পর আসবে পাসপোর্ট ফি প্রদানের অপশন। ফি তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে পরিশোধ করা হলে রশিদ নাম্বার স্বয়ংক্রিয় ভাবে সংযুক্ত হয়ে যাবে।
এরপরের সেকশনে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য দিনক্ষণ ঠিক করতে হবে। স্ক্রিনে প্রদর্শিত ক্যালেন্ডার থেকে উপলব্ধ তারিখগুলো থেকে প্রার্থী নিজের পছন্দসই একটি তারিখ বাছাই করতে পারবেন।
তারপরেই চূড়ান্ত পর্যায়, যেখানে সাবমিট সম্পন্ন করার পর অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ পুরো আবেদনের একটি সামারি দেখা যাবে। এই সামারি এবং সাবমিটকৃত পুরো অনলাইন নিবন্ধনের প্রিন্ট কপি অন্যান্য নথিগুলোর সাথে সংযুক্তি হিসেবে দিতে হবে।
ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধ
ফি পরিশোধের জন্য পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অনুমোদিত কিছু পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। এগুলো হলো- ভিসা, মাস্টার, ও অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউপে, ডিমানি, ওকে ওয়ালেট, এবং এমবিএল রেইন্বো। অনুমোদিত ব্যাঙ্কগুলো হলো- ব্যাঙ্ক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাঙ্ক, ইস্টার্ন ব্যাঙ্ক, সিটি ব্যাঙ্ক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক, আরব-বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক, ডাচ-বাংলা ব্যাঙ্ক, এবং মিডল্যান্ড ব্যাঙ্ক।
আরো পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
৫ বছর / ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদনের খরচ
পাসপোর্ট বইয়ের পৃষ্ঠা, পাসপোর্টের মেয়াদ, এবং বিতরণের সময়সীমার ভিত্তিতে ফি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। প্রধানত রেগুলার, এক্সপ্রেস এবং সুপার এক্সপ্রেস- এই তিন ক্যাটাগরিতে ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয়।
সবচেয়ে দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট পাওয়া যায় সুপার এক্সপ্রেসের মাধ্যমে, যার সময়সীমা বায়োমেট্রিক সংগ্রহের তারিখ থেকে মাত্র ২ কার্যদিবস। এক্সপ্রেস ক্যাটাগরিতে প্রক্রিয়াকরণের সময়কাল বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের তারিখ থেকে ৭ কার্যদিবস থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিন। সর্বাধিক সময়সীমা রেগুলার ক্যাটাগরিতে, যেখানে বায়োমেট্রিক প্রদানের তারিখ থেকে ন্যূনতম ১৫ কার্যদিবস বা ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়।
৫ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৪৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত ই-পাসপোর্ট
· ৫ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৪৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত ই-পাসপোর্ট
· রেগুলার: ৪ হাজার ২৫ টাকা
· এক্সপ্রেস: ৬ হাজার ৩২৫ টাকা
· সুপার এক্সপ্রেস: ৮ হাজার ৬২৫ টাকা
৫ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৬৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত পাসপোর্ট
· রেগুলার: ৬ হাজার ৩২৫ টাকা
· এক্সপ্রেস: ৮ হাজার ৬২৫ টাকা
· সুপার এক্সপ্রেস: ১২ হাজার ৭৫ টাকা
১০ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৪৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত ই-পাসপোর্ট
· রেগুলার: ৫ হাজার ৭৫০ টাকা
· এক্সপ্রেস: ৮ হাজার ৫০ টাকা
· সুপার এক্সপ্রেস: ১০ হাজার ৩৫০ টাকা
১০ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৬৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত পাসপোর্ট
· রেগুলার: ৮ হাজার ৫০ টাকা
· এক্সপ্রেস: ১০ হাজার ৩৫০ টাকা
· সুপার এক্সপ্রেস: ১৩ হাজার ৮০০ টাকা
আরো পড়ুন: ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি
আবেদন পত্রসহ নথিপত্র জমা ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন পদ্ধতি
উপরোল্লিখিত যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে পূর্বনির্ধারিত দিনে উপস্থিত হতে হবে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে। এই দিন আবেদনকারীর ছবি তোলা এবং হাতের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার সুবিধার্তে ছবি উঠানোর জন্য অবশ্যই রঙ্গিন পোশাক পরে পাসপোর্ট কেন্দ্রে যেতে হবে।
যাবতীয় কাজ শেষে প্রার্থীকে বিতরণের সম্ভাব্য তারিখ সম্বলিত একটি স্লিপ দেওয়া হবে। এই স্লিপটি প্রার্থীর বায়ো নিবন্ধনের প্রমাণপত্র, তাই এটি পাসপোর্ট সংগ্রহের দিন অবশ্যই সাথে রাখতে হবে।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাই করবেন যেভাবে
বায়ো নিবন্ধনের দিন থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সম্ভাব্য দিনটির আগে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের অবস্থা যাচাই করা যায়। এর জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে-
https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status- লিঙ্কে।
পাসপোর্ট অফিস থেকে দেয়া সেই বিতরণ স্লিপে ১৩ অঙ্ক বিশিষ্ট একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি পাওয়া যাবে। আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের জন্য এই আইডি অথবা আবেদন ফর্মে থাকা ওআইডি (অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি) ব্যবহার করতে হবে।
আরো পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ
পূর্বে বায়োমেট্রিক নেয়ার কিছুদিনের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য কল করা হতো। এখন থেকে এই কার্যক্রমটি আর সম্পন্ন হবে না। ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে গেলে যথারীতি আবেদনপত্রে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বার ও ই-মেইল ঠিকানায় নির্দিষ্ট তারিখ সম্বলিত বার্তা পাঠানো হবে। তদানুসারে বিতরণ স্লিপ ও এনআইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট কার্যালয়ে হাজির হতে হবে।
পরিশিষ্ট
অনলাইনে আবেদন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া ই-পাসপোর্ট করার এই পদ্ধতি পাসপোর্ট প্রাপ্তির সময়কে আরো কমিয়ে আনবে। এতদিন আবেদন ফর্ম পূরণ থেকে বায়োমেট্রিক পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ বেশ সাবলীল ভাবে উতড়ে যাওয়া যেতো। কিন্তু বিড়ম্বনায় পড়তে হতো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পর্যায়ে এসে। এবার প্রতিটি স্তরের নাগরিকদের রেহাই মিলবে এই পুলিশি হয়রানি থেকে। উপরন্তু, পুরো প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে এনআইডি কার্ডকে রাখার ফলে নথিটি আপ-টু-ডেট রাখার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি হবে জনসাধারণের মাঝে। সর্বসাকূল্যে, এটি পাসপোর্ট পরিষেবা তুলনামূলক সহজীকরণের অভিমুখে এক বিরাট পদক্ষেপ।
আরো পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
২৭৫ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সেগুলো বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। রবিবার (২ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনাটি সঠিক নয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তগুলো হলো:
* চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী এবং মাদক ও চোরা কারবারিদের ধরতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে বিশেষ অপারেশন শুরু হয়েছে।
* পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল বাড়ানো ও দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের অংশগ্রহণে সারাদেশে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
* পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপপুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেড প্রধান ও অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা প্রতিটি ঘটনার বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে গণমাধ্যমে ব্রিফ করেছেন।
* রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশিচৌকি/চেকপোস্ট ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথবাহিনী টার্গেট এলাকাগুলোতে জোরদার অপারেশন পরিচালনা করছে।
* রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত টহল নিয়োজিত করা হয়েছে।
* ছিনতাইকারী, ডাকাত, কিশোর গ্যাং ও অন্যান্য অপরাধপ্রবণ স্থানগুলোতে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
* থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
* ঢাকা শহরের আশপাশে বিশেষ করে টঙ্গী, বসিলা, কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে।
* ডিএমপির পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয়ের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যাতে করে তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের ধরা সম্ভব হয়।
* মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগাণ্ডার বিপরীতে সত্য তথ্য প্রচারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
* স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভোর ও গভীর রাতে ঝটিকা সফরে থানা, চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম পরিদর্শন ও মনিটরিং করছেন।
* স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে দেশের সকল প্রশাসনিক বিভাগে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা বাধার মুখে
* ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কার্যকর উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন চেকপোস্ট এবং টহল দলের রাত্রিকালীন কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে নিয়মিত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
* মামলা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তকরণে জেলা ও মেট্রোপলিটন পর্যায়ে মামলা মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে করে নিরপরাধ ব্যক্তিরা মামলার হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছেন।
* জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারের মামলাগুলো নিয়মিতভাবে গুরুত্বের সঙ্গে মনিটরিং করা হচ্ছে, যাতে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবস্থানরত অবৈধ বিদেশিদের আবারও সতর্ক করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
* আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রতিটি ঘটনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
২৭৭ দিন আগে