ইসলামী ছাত্রশিবির
এক নজরে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় শেষ হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে ৫৬৫টি ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ১২২৬টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন পদপ্রার্থীরা।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেলা তিনটা। যাচাই-বাছাই শেষে ২১ আগস্ট বেলা একটায় চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে গত ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করা হয়।
ডাকসুর মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৫৬৫ জন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য মোট ৫৬৫টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। শেষ দিনে ৪৪২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকাল ছয়টায় চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া, ১৮টি হল সংসদ নির্বাচনে মোট ১২২৬টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
এখনও প্যানেল ঘোষণা করেনি ছাত্রদল
ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহের শেষ দিন হলেও সাংগঠনিকভাবে চূড়ান্ত প্যানেল ঘোষণা করেনি ছাত্রদল। তবে ছাত্রদলের নেতারা পৃথকভাবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। সূত্র অনুযায়ী, সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
ডাকসু সহসভাপতি (ভিপি) পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান। এছাড়া মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ঢাবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান, কবি জসিমউদ্দীন হল শাখার আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিম, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদসহ অন্যান্য ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।
শিবিরের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল
ডাকসু নির্বাচনে ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। প্যানেলে সহসভাপতি (ভিপি) পদে আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খান মনোনয়ন পেয়েছেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইকবাল হায়দার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক খান জসিম, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসাইন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতেমা তাসনিম জুমা, কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম সাব্বির, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে এম এম আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক সাখাওয়াত জাকারিয়া, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন।
পড়ুন: দীর্ঘ অপেক্ষার পর ডাকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন ও আনাস বিন মনির মনোনয়ন পেয়েছেন।
ইমি ও বসুর নেতৃত্বে বাম জোট
ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাম জোট প্যানেল ঘোষণা করেছে। সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী হয়েছেন শেখ ইতি আফরোজ ইমি। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে লড়বেন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু। সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী জাবির আহমেদ জুবেল।
ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র মঞ্চ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই প্যানেলে রয়েছেন।
বামজোট থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক। অন্যান্য পদে কারা লড়বেন তা মঙ্গলবার প্রকাশ করা হবে।
প্যানেল ঘোষণা করেনি বাগছাসও
ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে লড়বে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। তবে কে কোন পদে নির্বাচন করবেন তা এখনও ঘোষণা হয়নি।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তবে বাগছাসের প্যানেল থেকে ভিপি পদে আব্দুল কাদের, জিএস পদে আবু বাকের মজুমদার এবং এজিএস পদে আশরেফা খাতুন নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ প্যানেল
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। ভিপি পদে বিন ইয়ামিন মোল্লা, সহ-সভাপতি পদে সাবিনা ইয়াসমিন, এজিএস পদে রাকিবুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহ শুরু আজ
বিজ্ঞানের ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. শাকিব খান, সমাজসেবা সম্পাদক পদে আরিফুর রহমান, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে রাশেদ আন আদিব, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মুক্তার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আশিক হৃদয় আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে রাকিব হোসেন গাজী, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ইশতিয়াক আহমেদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সিয়াম ফেরদৌস ইমন মনোনয়ন পেয়েছেন।
উমামার স্বতন্ত্র প্যানেল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল হচ্ছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উমামা ফাতেমা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এই স্বতন্ত্র প্যানেলে ভিপি পদে উমামা ফাতেমা, জিএস পদে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূইয়া এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহী থাকতে পারেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হবে।
জামালুদ্দীন ও এনসিপির মাহিন সরকার প্যানেল
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদের নেতৃত্বে ভিপি ও জিএস পদে নির্বাচন করবেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার। এজিএস পদে ফাতেহা শারমিন এ্যানি নির্বাচন করবেন।
পরবর্তী প্রক্রিয়া
আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত প্রার্থীদের বাছাই প্রক্রিয়া চলবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন; ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭১ জন ও ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। তফসিল অনুযায়ী, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর। ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চলবে। একই দিনে ফলাফলও ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, দীর্ঘ ২৮ বছর পর সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ১১ মার্চ। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন নুরুল হক নুর, জিএস ছিলেন গোলাম রাব্বানী এবং এজিএস পদে নির্বাচিত হন সাদ্দাম হোসেন।
পড়ুন: সাম্য হত্যা নিয়ে ধোঁয়াশা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার না হলেও পুরস্কৃত পুলিশ
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে মোট ২৫টি পদের বিপরীতে ভোট দিয়েছিলেন ভোটাররা। তবে এবার পদসংখ্যা বেড়েছে। ফলে এবার মোট ২৮টি পদের বিপরীতে লড়বেন প্রার্থীরা।
বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ৪টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব পদ হচ্ছে-গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক; ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক।
১০৯ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থানে শিবিরের নির্দেশে কাজ করার তথ্য মিথ্যা: নাহিদ ইসলাম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা থেকে একক নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময়ে শিবিরের নেতৃত্বে কাজ করার তথ্যকেও ‘মিথ্যাচার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শিবির নেতা সাদিক কায়েম সম্প্রতি একটি টকশোতে বলেছেন, ছাত্রশক্তির গঠনপ্রক্রিয়ায় শিবির যুক্ত ছিল। শিবিরের নির্দেশে আমরা কাজ করতাম— এটা মিথ্যাচার।
‘সাদিক কায়েম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিলেন না। কিন্তু ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় তিনি ব্যবহার করেছেন। অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে সাদিক কায়েমকে প্রেস ব্রিফিংয়ে বসার সুযোগ দেওয়া হয়।’
অভ্যুত্থান শিবিরের একক ছিল না দাবি করে তিনি বলেন, ‘সাদিক কায়েমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ঢালাও প্রচারণা চালিয়েছে যে, এই অভ্যুত্থানে ঢাবি শিবিরই নেতৃত্ব দিয়েছে, আমরা শুধু সামনে পোস্টার ছিলাম। অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করেনি। কিন্তু এই অভ্যুত্থান শিবিরের একক ছিল না, শিবিরের নির্দেশ বা নেতৃত্বও ছিল না। আমরা সব পক্ষের সাথে যোগাযোগ করেই সিদ্ধান্ত নিতাম। আর কারা ক্ষমতার ভাগ–বাঁটোয়ারা করতে চাইছে, গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে— সে বিষয়ে অন্যদিন বলব।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্রের সাথে জড়িত একটি অংশ এবং ঢাবি ছাত্র অধিকার থেকে পদত্যাগ করা একটি অংশ মিলে ছাত্রশক্তি গঠিত হয়। সঙ্গে জাবির একটি স্টাডি সার্কেলও যুক্ত হয়। একটি নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুবার আড্ডা পাঠচক্রে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা হয়েছে।
‘আমরা ক্যাম্পাসে আট বছর রাজনীতি করেছি। ফলে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব সংগঠন ও নেতৃত্বকে আমরা চিনতাম এবং সব পক্ষের সাথেই আমাদের যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল। সেই কারণে ঢাবি শিবিরের সাথেও যোগাযোগ ছিল। তবে যোগাযোগ, সম্পর্ক বা কখনো সহযোগিতা করা মানেই এই নয় যে তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল।’
আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি ইসলামী ছাত্রশিবির। তবে জামায়াতে ইসলামীর এ ছাত্র সংগঠন যে গোপনে সক্রিয় ছিল, তা প্রকাশ্যে আসে চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিক কায়েম ২১ সেপ্টেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে জানান, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি।
সমন্বয়কের তালিকায় নাম না থাকলেও জুলাই মাসে চলা ছাত্র আন্দোলনে সামনের কাতারেই ছিলেন সাদিক কায়েম। তালিকাভুক্ত সমন্বয়কদের সঙ্গে বিভিন্ন ছবিতেও তাকে সে সময় দেখা যায়।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠানে সাদিক কায়েম বলেন, ২০১৭ সাল থেকে লম্বা সময় ধরে যখন তার যে পদ ছিল, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমরা তা জানতেন।
সাদিক কায়েম বলেন, পরিচয় জেনে কো-অর্ডিনেশন করে আমরা সবাই মিলে একসাথে কাজ করেছি। সুতরাং এখানে পরিচয় গোপন করার কিছু নেই। ওই সময়ে পরিচয় ঘোষণা দিয়ে কাজ করার মতো পরিস্থিতি ছিল না। সে কারণে শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে ছিলাম, কিন্তু ঘোষণা দিয়ে কাজ করার মতো অবস্থা ছিল না। কারণ, আমাদের মেরে ফেলা বৈধ ছিল।
১২৭ দিন আগে
সাঈদীর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে সমর্থকদের বিক্ষোভ: শাহবাগে মোটরসাইকেলে আগুন
রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) সামনের সড়কে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ভোরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা অন্তত দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে ঘিরে বিক্ষোভ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন
এ সময় তারা সাঈদীর জানাজা ঢাকায় করার দাবি জানান।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
এর আগে সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন দেলোয়ার হোসেন সাঈদী।
আরও পড়ুন: বুকে ব্যথা নিয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে সাঈদী
চট্টগ্রামে সাঈদীর মুক্তি চেয়ে স্ট্যাটাস, মাদরাসা অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার
৮৪৩ দিন আগে