ইএমকে সেন্টার
ইএমকে সেন্টারে শিক্ষা মেলার আয়োজন করেছে এডুকেশন ইউএসএ বাংলাদেশ
এডুকেশনইউএসএ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ইএমকে সেন্টারের নতুন কার্যালয়ের এডপ্রোগ্রামসের সঙ্গে যৌথভাবে ইউএস ইউনিভার্সিটি ফেয়ারের আয়োজন করেছে মার্কিন দূতাবাস।
মঙ্গলবার(৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই বিশেষ শিক্ষাবিষয়ক কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষাবিদরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অন্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো শিকাগো স্কুল, প্যাসিফিক ওকস কলেজ, ডিপাউ বিশ্ববিদ্যালয়, এমব্রি-রিডল অ্যারোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটি, স্লিপাররক ইউনিভার্সিটি, আইওডব্লিউএ স্টেট ইউনিভার্সিটি, ভার্জিনিয়া টেক, ট্যান্ডন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, পেস ইউনিভার্সিটি, মন্টক্লেয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটি, জিডব্লিউ ইঞ্জিনিয়ারিং, নিউ জার্সি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, দি ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনা, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ডাকোটা এবং ইউনিভার্সিটি অব টেনেসি, নক্সভিল।
অনুষ্ঠানে মার্কিন দূতাবাস ও এডুকেশনইউএসএ বাংলাদেশের কর্মকর্তারা, পাবলিক এনগেজমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর ব্রেনান ফ্ল্যানিগান ও পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর স্টিফেন এফ আইবেলি উপস্থিত ছিলেন।
ব্রেনান ফ্ল্যানিগান বলেন, ‘মেলায় অংশগ্রহণকারী সব বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানাই, যাদের মধ্যে কয়েকটি প্রথমবারের মতো এই ধরনের ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪ হাজারেরও বেশি স্বীকৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের পাঠদান করে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।’
তিনি বলেন, 'মার্কিন দূতাবাস ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ অবশ্যই কৃতজ্ঞ যে, বাংলাদেশের অনেক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
যথাযথভাবে আবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ পাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যের পাশাপাশি বৃত্তির সম্ভাবনা এবং ভর্তির মান সম্পর্কে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: চলমান রাজনৈতিক সংকটে উৎকণ্ঠায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা
পিএইচডি করতে আগ্রহী হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত গন্তব্য ও প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করার সময় আমরা প্রায়শই অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্বেগ ও চাপে ভুগে থাকি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এই ধরনের মেলা আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পরামর্শ ও সহায়তা করতে পারে।’
এনওয়াইইউ ট্যান্ডন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাডমিশন অ্যাম্বাসেডর অভ্যুদয় পাই ইউএনবিকে বলেন, ‘এই মেলায় একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হচ্ছে, কারণ আমরা অনেক উৎসাহী ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছি। ‘বর্তমান সময় হলো প্রযুক্তির স্বর্ণযুগ, তাই এই মেলায় যোগদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থী উভয়ই সবার জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।’
এডুকেশনইউএসএ হলো মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের একটি নেটওয়ার্ক, যা ১৭৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ৪৩০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরামর্শ কেন্দ্র রয়েছে। নেটওয়ার্কটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নের সুযোগ সম্পর্কে সঠিক, বিস্তৃত ও বর্তমান তথ্য সরবরাহ করে বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষাকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি
সনদ প্রদানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিজেএস-ইএমকে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম
সনদ প্রদানের মধ্য দিয়ে ইএমকে সেন্টারের পৃষ্ঠপোষকতায় সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত ফেলোশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার (বিজেআইএম) অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিল্ডিংঅ্যাসেটস জার্নালিজম স্কুল (বিজেএস) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ৪০ জন সাংবাদিক নিয়ে গত ৫ জুন এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামটি শুরু করে।
শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ইএমকে সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৪০ জন সংবাদকর্মীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ফেলোশিপ সম্পন্ন করার স্বীকৃতি। এছাড়া, প্রথম ৩ জনকে দেওয়া হয় ক্রেস্ট।
ফেলোশিপ প্রোগ্রামে প্রথম হয়েছেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর নাঈম আলী, দ্বিতীয় হয়েছেন ডেইলি স্টারের মো, আসাদুজ্জামান এবং তৃতীয় হয়েছেন প্রথম আলোর মো. মিনহাজুল আবেদীন রিয়াজ চৌধুরী।
জ্যেষ্ঠ ও রয়টার্সের দীর্ঘদিনের সাংবাদিক রফিকুর রহমান অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিজেএসের প্রিন্সিপাল রেদওয়ান আহমেদ এবং বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন বিজেআইএম এর আহ্বায়ক স্যাম জাহান।
আরও পড়ুন: উন্নত সাংবাদিকতার লক্ষ্যে ইএমকে-বিজেএস ফেলোশিপ চালু
এবারের ফেলোশিপ প্রোগ্রামের শিরোনাম ছিল ‘উন্নত সাংবাদিকতার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মশালা’। এই কর্মশালায় ৭টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এগুলো হলো- মোবাইলফোন সাংবাদিকতা, গল্পবলা এবং সংবাদ উৎস সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, সংবাদ নীতি ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, দীর্ঘলেখনী সাংবাদিকতা, ভুয়া নিউজ ও ভুল তথ্য খুঁজে বের করার সাধারণ কিছু নিয়মাবলী, বহুমুখী সাংবাদিকতা ও প্রতিকূল পরিবেশে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ। বিষয়গুলো সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষা নিয়েছেন ফেলোশিপে অংশগ্রহণ করা সাংবাদিকরা। এমন প্রোগ্রামের মাধ্যমে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে প্রত্যাশা করেন আয়োজকরা।
বিজেআইএম এর আহ্বায়ক স্যাম জাহান বলেন, সফল ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের জন্য আসন্ন অনেকগুলো উপকারী ইভেন্টের শুরু হলো। আমাদের সাংবাদিকতার প্রকৃত সারমর্ম চালিয়ে যেতে হবে এবং এই ধরনের প্রোগ্রামগুলো সেই বোঝাপড়াকে বাড়িয়ে দেবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার যাত্রা শুরু
কর্মশালার প্রশিক্ষক ছিলেন- এএফপির ব্যুরোপ্রধান শফিকুল আলম, প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম, আল-জাজিরার প্রতিনিধি ফয়সাল মাহমুদ, এএফপি ফ্যাক্টচেক সম্পাদক কদরউদ্দিন শিশির, ডিডব্লু একাডেমি প্রশিক্ষক মাকসুদা আজিজ, পুলিৎজারজয়ী একমাত্র বাংলাদেশি সাংবাদিক মোহাম্মদ পনির হোসেন এবং আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্যাম জাহান।
ফেলোশিপপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা হলেন- আবদুল্লাহ আল জোবায়ের, মো. মিনহাজুল আবেদীন রিয়াজ চৌধুরী, কাজী মুস্তাফিজ, ঝুমুর সাহা, নাসিমুল আহমেদ শুভ, সাইমুন মুবিন পল্লব, মনিরুজ্জামান মনির, মোঃ সবুজ মাহমুদ, মারজিয়া হাশমি মুমু, মো. হেদায়েত উল্লাহ, মো. আরশাদ আলী, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, রাফিয়া খানম চৌধুরী, গোলাম রব্বানী, মো. মিরাজ হোসেন, মো. সাহাবীর মিয়া (বীর সাহাবী), শেখ শাহরুখ ফারহান, ফারিজা সাবরিন, এম এম হাশমি সরকার, ফৌজিয়া সুলতানা, নাঈম আলী, মো. তানজিল আহমেদ, মো. ওসমান গণি, মো. তাজনুর ইসলাম, তাসলিমুল আলম তৌহিদ, শোয়েব আব্দুল্লাহ, শারীফা সুলতানা, মাহফুজুর রহমান মানিক, স্টেফান রোজারিও উত্তম, ফারহানা হক, নূর মোহাম্মদ, অমিত বণিক, নাজমুস সাকিব, মো. আসাদুজ্জামান, মারিফুল হাসান, ইফফাত জাহান, কেরী আশীর্বাদ বিশ্বাস, ইয়াসির আরাফাত ও হাসান আল মানজুর।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৩-২৪ পেলেন ৪৮ স্কলার