আইআরআই
আসন্ন নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে আইআরআই প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে দেশের পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচন এবং সংস্কার নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। অন্য দুই সদস্য ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহদী আমিন।
আইআরআই প্রতিনিধিদলে ছিলেন এশিয়া-প্যাসিফিক ডিরেক্টর স্টিফেন চিমা, ডেপুটি ডিরেক্টর ম্যাথু কার্টার এবং সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ।
বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. মঈন খান। তিনি জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, চলমান সংস্কার উদ্যোগ এবং আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আইআরআই’র প্রতিনিধি দল
তিনি আরও বলেন, তারা আইআরআই প্রতিনিধিদের বিএনপির কৌশলগত দৃষ্টি ও পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।
ড. খান বলেন, ‘বৈঠক গঠনমূলক ছিল… আমরা ব্যাখ্যা করেছি কিভাবে আমরা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক রূপান্তর দেখছি এবং গণতান্ত্রিক সংস্কার ও আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের মতামত শেয়ার করেছি।’
আইআরআই প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করছে। গত ১৯ আগস্ট একই প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী’র শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় অফিসে বৈঠক করেছে।
আইআরআই হল একটি ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা, যা রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং সরকারি সংস্থার সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করে।
১০৬ দিন আগে
জামায়াতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আইআরআই’র প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিক্যান ইন্সটিটিউট (আইআরআই)-এর একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর মগবাজারের দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আইআরআই’র তিন সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলটি সাক্ষাৎ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জামায়াতের প্রচার বিভাগ।
এতে বলা হয়, সাক্ষাৎকারটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হ্রদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আইআরআই-এর প্রতিনিধি দলে ছিলেন আইআরআই’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক স্টিফেন সিমা, উপপরিচালক ম্যাথিউ কার্টার এবং সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ।
পড়ুন: দেশের চিকিৎসায়ই ভরসা রেখেছেন জামায়াতের আমির: ডা. তাহের
জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার।
বৈঠকে তারা ২০২৪ -এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিশেষ করে বিচার কার্যক্রম, রাষ্ট্রীয় সংস্কার এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অগ্রগতির বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
১০৭ দিন আগে
এনডিআই-আইআরআই স্বীকার করেছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী দুই মার্কিন সংস্থা এনডিআই ও আইআরআইয়ের প্রতিবেদন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এনডিআই ও আইআরআই যে রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে তারা স্বীকার করে নিয়েছে, অন্যান্য সময়ে যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসব নির্বাচনের তুলনায় এবার কম সহিংসতা হয়েছে।’
রবিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে জোট না করলে বাংলাদেশের জেনোসাইড অনেক আগেই স্বীকৃতি পেত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে যে সমস্ত নির্বাচন এর আগে হয়েছে বা আমাদের উপমহাদেশে যে নির্বাচন হয়, সেই তুলনায় এ নির্বাচনের মান অনেক উন্নত ছিল। একটি সুন্দর ও ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, 'এনডিআই ও আইআরআই তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। আমরা সেটা দেখছি। কিন্তু দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বিএনপিসহ তার মিত্ররা অংশগ্রহণ করেনি। বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা শুধু নির্বাচন বর্জন নয় নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে। সুতরাং তাদের রিপোর্টে এবং যারা এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশে তাদের এ বিষয়টাও বলতে হবে।'
আরও পড়ুন: দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির উদ্দেশ্যেই 'গণতন্ত্র মঞ্চ' পুলিশের ওপর চড়াও হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যে নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে এবং শুধু প্রতিহত নয়, নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য সহিংসতা করেছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়গুলোও তো আসতে হবে।
সরকার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণ করার বিষয় নয়। তারা প্রতিবেদন দিয়েছে, আমরা প্রতিবেদনটা দেখছি এবং আমরা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বা অন্য কেউ যে সমস্ত পর্যবেক্ষণ দিচ্ছে সেগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৬২৭ দিন আগে
মার্কিন মিশনের সুপারিশ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই: মোমেন
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন প্রতিনিধিদলের সুপারিশের বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য করার নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা তাদের মতামত দিয়েছে। এটা তাদের মতামত। এগুলো আলাদা কিছু নয়। আমরা এগুলোকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি না।’
আরও পড়ুন: আশার আলো ভারত মহাসাগর, কার্যক্রম পরিচালনা নিরাপদ করতে হবে: মোমেন
ড. মোমেন বলেন, অনেক বিদেশি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করে মজা করে এবং কিছু মিডিয়া তাদের অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, তারা সবসময় সবার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তারা ধারাবাহিক সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ওপর নির্ভর না করে তারা ভোটার চান।
তিনি আরও বলেন, তারা বিদেশিদের কাছে যান না, বরং বিদেশিরা দ্বিপক্ষীয় ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে আসে।
আইআরআই ও এনডিআই'র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক প্রাক-নির্বাচন-পূর্ব প্রতিনিধিদল রবিবার বলেছে, বাংলাদেশের জনগণই চূড়ান্তভাবে তাদের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বৈধতা এবং তাদের দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নির্ধারণ করবে।
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে 'সমর্থন ও শক্তিশালী করার চেতনায়' তাদের প্রাক-নির্বাচনী বিবৃতি দেয়।
প্রতিনিধিদল বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং অহিংস নির্বাচনের দিকে অগ্রগতির রোডম্যাপ হিসাবে নিচের সুপারিশগুলো উপস্থাপন করেছে যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
সুপারিশগুলো হলো-
· সংযত আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী ইস্যুতে উন্মুক্ত ও অর্থপূর্ণ সংলাপে অংশ নেওয়া
· মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং ভিন্নমতকে সম্মান করা
· অহিংসতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করা
· স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা জোরদার করাসহ সব দলকে অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পরিবেশ তৈরি করা এবং
· নাগরিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সক্রিয় নির্বাচনী অংশগ্রহণের সংস্কৃতি প্রচার করা।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন
৭৮১ দিন আগে