তদন্ত
তদন্তের মধ্যে বাধ্যতামূলক ছুটিতে বিএফআইইউ প্রধান শাহিনুল
অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলমান থাকায় বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহিনুল ইসলামকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তার একটি বিতর্কিত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করে বলেন, গভর্নরের নির্দেশ অনুযায়ী শাহিনুল ইসলাম বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকবেন।
চৌধুরী বলেন, ‘বিএফআইইউ প্রধানের নিয়োগ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ দিয়ে থাকে। তাই, তিনি থাকবেন কিনা—তা তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।’
তিনি বলেন, তবে, গভর্নরের ছুটির নির্দেশ কার্যকর থাকবে এবং তদন্ত চলমান অবস্থায়ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাহিনুল ইসলামের একটি বিতর্কিত ভিডিও প্রচারিত হলে বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি এক নারীকে অশ্লীল কন্টেন্ট পাঠাচ্ছেন। তবে শাহিনুল দাবি করেন, ক্লিপটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
এর জবাবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর মঙ্গলবার তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই স্পষ্ট নির্দেশ সত্ত্বেও, শাহিনুল ইসলাম আজ (বুধবার) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাজে যোগদান করেন, যার ফলে উত্তেজনা ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জন্ম দেয়।
মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একদল কর্মকর্তা গভর্নরের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। এতে তাকে অবিলম্বে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।
ইতোমধ্যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফ্যাক্ট-চেকিং তদন্ত দল বিএফআইইউ প্রধান শাহিনুল ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিতর্কিত যৌন ভিডিওর অভিযোগের সমর্থনে প্রমাণ পেয়েছে।
১০৬ দিন আগে
ওসমান পরিবারের ‘অভাবনীয় জালিয়াতি’ তদন্তের নির্দেশ
আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের পরিবারের প্রতিষ্ঠান কে টেলিকমের ‘অভাবনীয় জালিয়াতি’ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সাখাওয়াত হোসেন নামে এক ভুক্তভোগীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। রিট আবেদনকারীর চাহিত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব,, চেয়ারম্যান বিটিআরসি, রেজিস্ট্রার জয়েন স্টক কোম্পানি, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, দুদকের চেয়ারম্যান, সিআইডিপ্রধান, আইজিপি, ওসি বনানী থানাসহ শামীম ওসমানের পরিবারের ৫জন সদস্যকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। একটি জাতীয় দৈনিকে ১৪ জানুয়ারি ‘সরকারের পাওনা ১২৬ কোটি টাকা, ফাঁকি দিতে ‘অভাবনীয় জালিয়াতি ওসমান পরিবারের’ শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর ফকিরারপুলের ডিআইটি রোডের একটি ভবনে ছোট একটি কক্ষে সাখাওয়াত হোসেনের ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয়। সেখানে আসবাবপত্র বলতে শুধু একটি টেবিল ও তিনটি চেয়ার আছে। ভাড়া ছয় হাজার টাকা। সাখাওয়াত ফকিরাপুলেই একটি মেসে থাকেন।
যদিও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নথিপত্রে সাখাওয়াত কে টেলিকম নামের (পরে ইন্টারন্যাশনাল ভয়েস টেল লিমিটেড নামকরণ হয়) একটি ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে বা আইজিডব্লিউ কোম্পানির অংশীদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টেলিফোন কল বাংলাদেশে আসে।
কে টেলিকমের কাছে বিটিআরসির পাওনা ১২৬ কোটি টাকার বেশি। পাওনা আদায়ে বিটিআরসি কোম্পানিটির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রশ্ন হলো, সাখাওয়াত কীভাবে এত বড় প্রতিষ্ঠানের মালিক হলেন? গত ১৭ ডিসেম্বর ফকিরাপুলে সাখাওয়াতের কার্যালয়ে গিয়ে তার কাছে এই প্রশ্নই করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমি নিজেই তো জানতাম না, আমি মালিক। ১৮ অক্টোবর বিটিআরসির কর্মকর্তারা রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থানার পুলিশ নিয়ে আমার গ্রামের বাড়িতে যান। তখনই আমি এই কোম্পানি ও নিজের মালিকানার কথা জানতে পারি। কে টেলিকমের মালিক ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শামীম ওসমানের পরিবার। শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান ও ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য কে টেলিকমের লাইসেন্স নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ এবং তার (শামীম ওসমান) ঘনিষ্ঠ জয়নাল আবেদীন মোল্লা ও জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লার মালিকানাও ছিল।
নথিপত্রে দেখা যায়, ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট ওসমান পরিবার কে টেলিকমের মালিকানা সাখাওয়াত হোসেন, সিলেটের স্কুলশিক্ষক দেবব্রত চৌধুরী ও বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী রাকিবুল ইসলামের নামে হস্তান্তর করে। তারা তিনজন বলেছেন, তারা কেউই এ বিষয়ে জানতেন না। জালিয়াতি করে তাদের মালিক দেখানো হয়েছে।
এদিকে বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সরকারের পাওনা টাকার দায় এড়াতে তড়িঘড়ি করে ওসমান পরিবার কে টেলিকমের মালিকানা ওই তিন ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করে। এ ক্ষেত্রে জালিয়াতি করা হয়েছে। ভুয়া ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা ওসমান পরিবারের এই কারসাজির সহযোগী ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শামীম ওসমান পরিবারসহ আত্মগোপনে রয়েছেন। তার (শামীম ওসমান) বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর টেলিযোগাযোগ খাতে বেশ কিছু লাইসেন্স দেওয়া হয়। তখন বিদেশ থেকে কল আনা ছিল লাভজনক ব্যবসা। জাহাঙ্গীর কবির নানক, শামসুল হক টুকু, শামীম ওসমানসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা তখন আইজিডব্লিউ লাইসেন্স নেন। লাইসেন্স নিতে ফি দিতে হয় এবং বিদেশ থেকে আনা কল থেকে আয়ের একটি অংশ বিটিআরসিকে দিতে হয়।
আরও পড়ুন: গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ল আরও সাড়ে ৩ মাস
‘রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স পাওয়া ব্যক্তিরা বিটিআরসির পাওনা না দিয়ে একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। ছয়টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিটিআরসি এখনো ৯২১ কোটি টাকার বেশি পাবে। বিটিআরসি নথিপত্র অনুযায়ী, কে টেলিকমের কাছ থেকে পাওনা আদায়ে বিটিআরসি ২০১৪ সালের ২২ জুন মামলা করে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বিটিআরসি ও পুলিশ যায় নতুন ‘মালিকদের’ বাড়িতে।
শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে নতুন ‘মালিক’ হওয়া বগুড়ার আদমদীঘির বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, তিনি কীভাবে এই কোম্পানির মালিক হয়েছেন, তা তিনি জানেন না। তিনি ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঢাকার সাভারে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেছেন। এখন বগুড়ায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে সামান্য বেতনে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
২০২৪ সালের মে মাসে বিটিআরসি কর্মকর্তারা বগুড়ায় তার বাড়িতে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে রাকিবুল বলেন, বিটিআরসির স্যাররা দেখে গেছে আমি কী অবস্থায় থাকি।
তিনি বলেন, তার ধারণা তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে এই জালিয়াতি হয়েছে। শুধু এ ঘটনা নয়, তার এনআইডি ব্যবহার করে স্মার্টফোনে আর্থিক সেবার (এমএফএস) হিসাবও খোলা হয়েছিল। সিলেটের গোলাপগঞ্জের সরকারি এমসি অ্যাকাডেমির ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক দেবব্রত চৌধুরীর খোঁজ পেয়ে বিটিআরসি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করায়।
দেবব্রত বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের খবরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে এবং পরদিন তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তিনি ২০০৩ সাল থেকে এমসি অ্যাকাডেমিতে কর্মরত। সিলেট নগরে দুই কক্ষের একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন বলে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২৬১ দিন আগে
গণহত্যা: ২০ এপ্রিলের মধ্যে হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনা ও আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আসামিদের মধ্যে ১৬ জনকে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হাজির করা হয় ট্রাইব্যুনালে। এরা হলেন— সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী ও সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও জুনায়েদ আহমেদ পলক, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
অন্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়না জারি করা হয় তারা হলেন— শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, ডিবি হারুন, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেক ডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক র্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী, সাবেক বিচারপতি মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুর রহমান। তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার ও গাজী এমএইচ তামিমসহ অন্যান্য প্রসিকিউটর। আদালতে আসামির পক্ষে ওকালতনামা জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় শেখ হাসিনার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২০ এপ্রিল নির্ধারণ করেছেন অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার আরও ১৬ জনের বিষয়েও তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।’
শেখ হাসিনার তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান স্ট্যাটাস যে কোনো পর্যায়ে তদন্তটা আছে, সেটা আদালতে বলেছি। আমরা আশা করি আগামী মাসের মধ্যে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেটা, সেটার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা সম্ভব হতে পারে। এটা কোনো ফাইনাল টাইমলাইন নয় বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পৈতৃক সম্পত্তিতে ভাঙচুর ও লুটপাট
‘আমাদের তদন্ত রিপোর্টের মধ্যে জাতিসংঘের রিপোর্ট ন্যাচারালি অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা করছি। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের উপাদানগুলো চেয়েছি। সেগুলো সংগ্রহের একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। যতটুকু পাওয়া যাবে, সেটাকে তদন্ত প্রতিবেদনে সংযুক্ত করব। এটা মামলা প্রমাণের জন্য বড় এভিডেন্স (প্রমাণ) হিসেবে কাজ করবে। এ জন্য দুই মাসের সময় চেয়েছিলাম। আদালত ২০ এপ্রিল পরবর্তী তারিখ রেখেছেন। আমরা আশা করছি এর আগে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে পারব। আমরা তদন্তের একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি।’
স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিচারে করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩। সে আইনে অপরাধীদের বিচারও চলে আসছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর সে আইন নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে।
বিচারের জন্য উল্লেখযোগ্য সংশোধনী আনা হয়েছে আইনে। শুধু আইনেই নয়, মেরামত করে দৃষ্টিনন্দন তথা ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন। সংশোধিত আইনে বিচার হবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর অপরাধে অভিযুক্তদের।
গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ একশর বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। এসব মামলার মধ্যে গত ১৭ অক্টোবরে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় আরও ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
২৮৯ দিন আগে
সড়ক দুর্ঘটনা তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকে সম্পৃক্ত করা দরকার: ডিএমপি কমিশনার
সড়ক দুর্ঘটনার তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকে সম্পৃক্ত কিংবা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, ‘কোনো ক্র্যাশ ঘটলে তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তদন্ত করতে পুলিশের দক্ষতা বাড়াতে হবে। ট্রাফিক বিভাগ সড়কের দায়িত্বে থাকে কিন্তু ক্র্যাশের ঘটনা তদন্ত করে ক্রাইম বিভাগ। এ ধরনের ঘটনা তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকেও সম্পৃক্ত করা বা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দক্ষতা বাড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি) এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। দুদিনের এ প্রশিক্ষণে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কলাকৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এতে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় কর্মরত ঢাকার পুলিশ কর্মকর্তারা রোড পুলিশিং বিষয়ে বৈশ্বিক ধারণা লাভ করেন।
আরও পড়ুন: ছিনতাই ঠেকাতে ট্রাফিক সার্জেন্টদের অস্ত্র দেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
কর্মশালার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা ও রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে সবার ট্রাফিক নিয়মকানুন মেনে চলা প্রয়োজন। কিন্তু, সড়ক ব্যবহারকারীদের অনেকেই ট্রাফিক নিয়ম মানেন না, বিশেষ করে নির্ধারিত গতিসীমা না মানা এবং হঠাৎ লেন পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।’
‘ঢাকা শহরে অধিকাংশ রোড ক্র্যাশ মধ্যরাত থেকে সকালের মাঝে ঘটে, যখন সড়ক তুলনামূলক ফাঁকা থাকে,’ বলেন তিনি। রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধ করতে তিনি পুলিশ সদস্যদের কঠোরভাবে সড়কে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণসহ বিদ্যমান আইন বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটির (বিআইজিআরএস) ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সারওয়ার, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, জিআরএপির এশিয়া-প্যাসিফিক ম্যানেজার ব্র্যাট হারম্যান ও সিনিয়র রোড পুলিশিং এডভাইজর অ্যাল স্টুয়ার্ট, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
দুদিনের কর্মশালার প্রথম দিনে ‘রোড পুলিশিং লিডারশিপ’ ও দ্বিতীয় দিনে ‘রোড ক্র্যাশের অন্যতম ঝুঁকি গতি’ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। কর্মশালায় ৬০ জন পুলিশ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
এতে রোড ক্র্যাশের বিভিন্ন ঝুঁকি—যেমন বেপরোয়া গতি, মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ি চালানোর প্রভাব এবং এসব পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের করণীয় বিষয়েও ধারণা পান তারা। পাশাপাশি সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণীয় পদ্ধতিগুলো তাদের সামনে তুলে ধরা হয়।
জিআরএসপির এশিয়া-প্যাসিফিক ম্যানেজার ব্র্যাট হারম্যান ও সিনিয়র রোড পুলিশিং এডভাইজর অ্যাল স্টুয়ার্ট কর্মশালাটি পরিচালনা করেন। এই প্রশিক্ষণে তারা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ‘সেফ সিস্টেম’ পদ্ধতি অনুসরণ করে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দেন এবং কার্যকরভাবে সড়ক আইন বাস্তবায়নে পুলিশের করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলায় গুরুত্ব দিতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ
পাশাপাশি তারা রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের ভূমিকা, ক্র্যাশের ক্ষেত্রে যানবাহনের উচ্চ গতির ঝুঁকি, গতি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব, গতি নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ও কৌশল এবং রাস্তার পাশের তল্লাশিচৌকিগুলোর নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ওপর আলোচনা করা হয়।
২৯০ দিন আগে
এনআইডির তথ্য ফাঁস: ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্যের প্রমাণ পেয়েছে ইসি
এনআইডি সেবা ব্যবহার করে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য ফাঁস করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
অভিযুক্তরা হলেন— স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ইউসিবি ব্যাংকের ইউপে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবিএএস।
সচিব বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। গাফিলতির কারণে এমনটা হয়েছে নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ যদি নিজ উদ্যোগে এ কাজ করে থাকেন, তাহলে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
আরও পড়ুন: আমরা কোনো রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না: সিইসি
তিনি আরও বলেন, এনআইডি উইং থেকে ১৮২টি প্রতিষ্ঠান এই সেবা ব্যবহার করছে। এনআইডি সার্ভারের ডাটা ব্যবহারের একটা লিমিট থাকা উচিত।
আখতার আহমেদ বলেন, ১৮২টি সংস্থা নির্বাচন কমিশন থেকে এনআইডির তথ্য যাচাই করে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান তৃতীয় পক্ষকে এনআইডি ভেরিফিকেশন সেবা দিয়ে থাকে, যা চুক্তির শর্তের লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে তিন দিনব্যাপী এই মতবিনিময়ে একটি প্রতিষ্ঠানের কী পরিমাণ তথ্য প্রয়োজন এবং প্রয়োজনের তুলনায় তারা বেশি সুবিধা ব্যবহার করছে কিনা তা পর্যালোচনা করা হবে।
২৯৭ দিন আগে
১১৫ বারের মতো পেছাল সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ২ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে ১১৫ বার পেছালো এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন ওই সাংবাদিক দম্পতি। এ সময় তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ বাসায় ছিল। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন মাছরাঙা আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর ৬ দিনের রিমান্ডে
এ ঘটনায় শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম। মামলার আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ সাগর-রুনির বাড়ির ২ নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের 'বন্ধু' তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আছেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ২৩ অক্টোবর আলোচিত এ মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আহ্বায়ক করা হয় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও পিবিআইয়ের প্রধান মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরীকে।
৩১১ দিন আগে
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘কারচুপি’ তদন্ত করবে দুদক
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আখতার হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আব্দুস শহীদ, কবির বিন আনোয়ারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ পেয়েছে কমিশন।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের গঠিত তদন্ত দল সুনির্দিষ্টভাবে প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড তদন্ত করবে।
৩১৬ দিন আগে
বিডিআর বিদ্রোহের সুষ্ঠু তদন্ত করবে কমিশন: ফজলুর রহমান
জাতীয় স্বাধীন পূর্ণাঙ্গ কমিশনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেছেন '২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের সুষ্ঠু তদন্ত করবে কমিশন।
তিনি বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত করতে বর্তমান সরকার জাতীয় স্বাধীন কমিশন গঠন করেছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করতে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।'
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরের ঢাকা ব্যাটালিয়ন (৫ বিজিবি) এর সম্মেলন কক্ষে কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন 'আমরা এই দায়িত্বকে অতি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। আমরা আমাদের বুদ্ধির ওপর নির্ভর করে নিরপেক্ষভাবে যে তিন মাস সময় আমাদেরকে দেওেয়া হয়েছে তার ভেতরেই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমরা কোনো রকম পক্ষ নেবো না। কোনো কিছুতে আমরা প্রভাবিত হবো না।’
তিনি বলেন 'যেহেতু এটা একটা জাতীয় সমস্যা, হাজার বছরেও এরকম ঘটনা ঘটেনি। সামান্য সময়ে এত মানুষ নিহত হয়েছে। আমরা আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে জানাতে চাই- যারা এই বিডিআর বিদ্রোহে নিহত হয়েছেন, নিগৃহীত হয়েছেন,বঞ্চিত হয়েছেন, সব কিছুকে আমরা নজরে নেবো। সহমর্মিতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে আমরা তাদের ক্ষতকে নিরাময় করার চেষ্টা করব।’
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, কিছু চিঠিপত্র আমাদেরকে লিখতে হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আমরা জানিয়েছি যে আমাদের এখানে সাচিবিক সুবিধা দিতে হবে। অফিস দিতে হবে। 'আমাদের নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক ট্রান্সপোর্ট সুবিধা দিতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন 'আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো দেশকে দায়ী করতে চাই না। ৫ আগস্টের পর দেশ থেকে অনেকেই চলে গেছেন। প্রয়োজনে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেসব দেশে টিম পাঠাব।'
৩৪৩ দিন আগে
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কিনা তা তদন্তের পর বলা যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কিনা তা তদন্তের পর বলা যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সচিবালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে দিচ্ছি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একটা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য।’
এই আগুন কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা নাশকতা কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তদন্তের আগে আমি তো বলতে পারব না। তদন্তের পরে আপনাদের জানাব।’
৩৪৪ দিন আগে
সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত ১ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ আইসিটির
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ আট আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে জমা দিতে তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২০ নভেম্বর ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অবরপ্রাপ্ত) জিয়াউল আহসানও রয়েছেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় নারীসহ দুজনের যাবজ্জীবন
তাজুল ইসলাম জানান, বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত আট আসামিকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে সকালে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আট আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর বুধবার আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
তারা সবাই অন্য মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুরের সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মোহাম্মদ শহিদুর ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক ও গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
গত ২৭ অক্টোবর ১৪ আসামিকে ১৮ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
পরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ৯ জন সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে অসুস্থতার কারণে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের ২০ নভেম্বর নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছিল।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে আইসিটিতে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ ও হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, যা সরকারি চাকরিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে শুরু হয়েছিল। যা পরে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। যার ফলে প্রায় এক হাজার লোকের প্রাণহানি ও অনেকে আহত হয় এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেপ্তার
৩৭৯ দিন আগে