বিএনপি নেতা
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাজনীন মাওলা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার(১৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত-১ এর বিচারক মো. হেলাল উদ্দীন ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৬০ কোটি ৭৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড নগরীর পাহাড়তলী শাখা থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ না করায় এ আদেশ দেওয়া হয়। ব্যাংকে যে বন্ধকি সম্পদ রয়েছে, তা নিলামে বিক্রির চেষ্টা করেও ব্যাংক ব্যর্থ হয়। ফলে ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
পড়ুন: বিএনপির আসলাম চৌধুরীর জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত
বিভিন্ন মামলায় প্রায় আট বছর কারাগারে ছিলেন আসলাম চৌধুরী। গত বছর গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।
বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে ৭৬টি মামলা হয়।
২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর একই বছরের ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। মামলায় তার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
১০৮ দিন আগে
কনস্টেবলকে চড়-থাপ্পড়, বিএনপি নেতার নামে মামলা
সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশাচালককে সরে যেতে বলায় পুলিশ কনস্টেবলকে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় মারার ঘটনায় নওগাঁ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রহমান রিপনের নামে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ভুক্তভোগী কনস্টেবল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম আমিনুল ইসলাম। তিনি সদর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণা মামলা: বিএসবি গ্লোবালের বাশার রিমান্ডে
এর আগে সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের মুক্তির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগীকে চড়-থাপ্পড় মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকেই মুক্তির মোড় এলাকায় ট্রাফিকের ডিউটিতে ছিলেন কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই সড়ক হয়ে একটি মিছিল যাচ্ছিল জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ওই মুহূর্তে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে সেখানে নামেন মামুনুর রহমান রিপন। এতে যানজট সৃষ্টি হলে রিকশাটিকে সেখান থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেন কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করার পাশাপাশি ওই কনস্টেবলকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মামুনুর রহমানসহ তার সঙ্গে থাকা ৭–৮ যুবক। পাশাপাশি ‘আওয়ামী দোসর’ ট্যাগ দিয়ে কনস্টেবল আমিনুল ইসলামকে নওগাঁ ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম বলেন, রিকশাটিকে সরে যেতে বলায় মামুনুর রহমান অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমার দুই গালে কয়েকবার চড়-থাপ্পড় দিয়ে বাড়ি কোথায় জানতে চান। ঘটনার ভিডিও মামলার এজাহারের সঙ্গে সংযুক্ত করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মামুনুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কনস্টেবল বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ বলেন, মামুনুর রহমান রিপন জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
১৪১ দিন আগে
নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে বিএনপি নেতাকে গাছের সঙ্গে বাঁধল গ্রামবাসী
প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে হাতেনাতে আটক হয়েছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম মুনজেল (৪৫)। স্থানীয়রা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে সামাজিকভাবে বিচার বসিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে।
স্থানীয়রা জানায়, চরদেশ গ্রামের এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে দীর্ঘদিন ধরে এক ব্যক্তির প্রবেশ নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিনের চাঞ্চল্য ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতেও ওই ব্যক্তি প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢোকার পর এলাকার লোকজন তাকে হাতে-নাতে আটক করে এবং গভীর রাত পর্যন্ত গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম মুনজেল উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নের গালা এলাকার মৃত শিরজন আলীর ছেলে।
ধামশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী বলেন, রাত দুইটার দিকে এলাকাবাসী তাদের দুজনকে আটক করে গাছে বেঁধে রাখে। তারা দুজনেই অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। ওই নারীর প্রবাসী স্বামী এখন তাকে নিয়ে সংসার করবে না বলে জানিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত দুজনেই দুজনকে বিয়ে করতে রাজি আছেন। এখন সামাজিকভাবে বিষয়টা মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
এদিকে,খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরকীয়ার সম্পর্কে দুইজনই বিয়েতে সম্মত হয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধামশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, অন্যায় ও গর্হিত কাজে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম মুনজেলের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১৪৬ দিন আগে
দোহারে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
ঢাকার দোহার উপজেলার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুনুর রশিদ ওরফে হারুন মাস্টারকে গুলি হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বুধবার (২ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে দোহার বাহ্রা স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হারুন মাস্টার (৬৫) বাহ্রা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। দোহার নয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, আজ সকালে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ির পাশে নদীর ধারে হাঁটতে যান হারুন মাস্টার। এ সময় তিন যুবক এসে হঠাৎ তাকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলি করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শব্দ শুনে এগিয়ে গিয়ে একালাবাসী তাকে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বাড্ডায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিএনপি নেতা নিহত
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দোহারে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলেছিল। বিএনপির কিছু নেতা-কর্মীর কার্যকলাপ নিয়ে হারুন মাস্টার প্রতিবাদ জানালে সেই শাসনই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া স্থানীয় বালু ব্যবসা নিয়েও টানাপোড়েন ছিল বলে একাধিক সূত্র জানায়।
নিহতের ভাতিজা মো. শাহিন বলেন, ফজরের নামাজ শেষে প্রতিদিন ভোরে আমার চাচা হাঁটতে বের হন। হাঁটার সময় আজ তিন যুবক চাচাকে লক্ষ করে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে।
দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. নুসরাত তারিন বলেন, তার মাথা ও ঘাড়সহ শরীরের অন্যান্য স্থানে ছয়টি গুলির ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, স্থানীয় কারো সঙ্গে পূর্বশত্রুতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কিনা, এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
১৫৬ দিন আগে
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে সিরাজগঞ্জ বিএনপির ১৩ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের বিএনপির ১৩ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শেখ মো. এনামুল হকের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
নোটিশ পাওয়া নেতারা হলেন— জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক দুলাল হোসেন খান, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুল ইসলাম, জেলা বিএনপির তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি আয়নুল হক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কামাল হোসেন, আমিনুল বারী তালুকদার, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আব্দুল বাতেন, জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য রহিত মান্নান লেলিন, রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি খায়রুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল, সাবেক সদস্য আব্দুল হাশেম মেম্বার, রায়গঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাতেম আলী সুজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম হিরণ ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুম বাদশা। এছাড়া, বিএনপির সহযোগী সংগঠন—ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আরও ২১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২০ জুন তাড়াশ উপজেলার শাহ শরীফ জিন্দানীর (রহ.) মাজার জিয়ারতের সময় নেতাকর্মীরা ‘টুকু ভাইয়ের সালাম নিন, দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিন’—এমন শ্লোগান দেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এটি দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।
নোটিশে ১৩ নেতাকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের কাছে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিএনপির সহযোগী সংগঠনের ২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান বলেন, ‘এই ঘটনায় ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় এসআইকে মারপিট করে পুলিশে দিল বিএনপির নেতাকর্মীরা
১৬২ দিন আগে
যশোরে বিএনপি নেতার ওপর বোমা হামলা
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন ভূঁইয়ার উপর বোমা হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে যান তিনি।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রোহিতা বাজার সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মমিন রাত ১০টার দিকে রোহিতা ভান্ডারী মোড়ে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (ভাই ভাই সমিল) বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় রোহিতা বাজার পার হয়ে গ্রাম্য ডাক্তার বিল্লাল হোসেনের বাড়ির সামনে পৌঁছালে ওঁৎ পেতে থাকা ৭ থেকে ৮ জন দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। তবে বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে যান তিনি।
বিএনপি নেতা আব্দুল মমিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি দোকান থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ ৭ থেকে ৮ জন আমাকে লক্ষ্য করে দুইটি বোমা মারে। আমি দ্রুত মোটরসাইকেল ফেলে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করি। একটি বোমা আমার মোটরসাইকেলের কাছে বিস্ফোরিত হয়। আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে তাড়া করে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ
‘পরে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের মধ্যে তিনজনকে আমি চিনতে পেরেছি। বাকিদের মুখে কাপড় বাঁধা থাকায় শনাক্ত করতে পারিনি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।’
খেঁদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে একটি বিস্ফোরিত বোমার অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’
তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
২৩৫ দিন আগে
চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নোমানের দাফন সম্পন্ন
চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা গ্রামে নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানকে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে জানাজার নামাজ শেষে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে রাউজানে নিজ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
জানাজায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে শেষবারের মতো নিয়ে যাওয়া হয় আবদুল্লাহ আল নোমানের লাশ। সেখানে চট্টগ্রামের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
পরে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে আবদুল্লাহ আল নোমানের তৃতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জামায়াতের মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপি উত্তর জেলা আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা মাহবুবের রহমান শামীম, মীর মোহাম্মদ হেলাল, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, আবুল হাশেম বক্কর, মরহুমের ছেলে সাঈদ আল নোমান, জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ প্রমুখ।
২৮০ দিন আগে
শেরপুরে দলীয় কোন্দলে বিএনপি নেতা নিহত, আহত ২
শেরপুর জেলা সদরের ভীমগঞ্জ এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন তার দুই সহযোগী।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জের মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাকারিয়া বাদল (৪৭) শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস ছিলেন।
আহতদের মধ্যে সোহাগ আলম (৩৫) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং রুহুলকে (৩২) শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শেরপুর সদর থানার এসআই আনসার আলী জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজধানী ঢাকায় নেওয়ার পথে জাকারিয়া বাদলের মৃত্যু ঘটে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে জাকারিয়া বাদলসহ ৩ জন একই মোটরসাইকেলে করে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সাভারে স্টিম বুসার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত বাদল ও সোহাগকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মধ্যরাতে বিএনপি নেতা জাকারিয় বাদলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত জাকারিয়া বাদলের স্বজন ও ছাত্রদল কর্মী রমজান আলী জানান, কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে বাদলের দ্বন্দ্ব রয়েছে। সম্প্রতি জেলা বিএনপির কোন্দল স্থানীয় ওই দুই নেতার সম্পর্ককে আরও জটিল করে তোলে। আবার হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগ নেতা নুরে আলমের সঙ্গে বাদলের রাজনৈতিক বৈরিতা অনেক আগে থেকেই।
এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।
২৮২ দিন আগে
শহিদ মিনারে বিএনপির ‘অপকর্মের ভিডিও করায়’ সাংবাদিককে মারধর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুই সদস্যকে ‘ছাত্রলীগ’ আখ্যা দিয়ে পেটানোর ভিডিও ধারণকালে সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় নাসিরনগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিনের দিকে আঙুল তুলেছেন গুরুতর আহত ওই সাংবাদিক।
একুশের প্রথম প্রহরে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
বেধড়ক মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দৈনিক কালবেলা ও এনটিভির নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। হামলায় তার মুখ, মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন অংশ জখম হয়েছে।
আহত আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, শহিদ দিবদের সংবাদ সংগ্রহ করতে তিনি গতরাতে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুই সদস্যকে ‘ছাত্রলীগ’ আখ্যা দিয়ে পেটাতে থাকেন। ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে বশির উদ্দিন ও তার সমর্থকরা তার দিকে তেড়ে আসেন।
তিনি বলেন, ‘এ সময় বশির আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে প্রথমে রড দিয়ে আঘাত করে। পরে তার ভাতিজারাসহ অন্যান্য বিএনপিকর্মীরা রড, চাপাতি নিয়ে আমার ওপর উপর্যুপরি হামলা চালায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।’
বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত বশির উদ্দিন তুহিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা দুঃখজনক।’
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, ‘যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
অপরদিকে, জেলার বিজয়নগর উপজেলায় শহিদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মো. বিল্লাল মিয়া ও জীবন আলী নামে দলটির দুই কর্মী আহত হয়েছেন।
পরে তাদের বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ এ বিষয়ে জানায়, রাতে শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় মহসিন ও শাহ আলম গ্রুপ একসঙ্গে ফুল দিতে গেলে বাদানুবাদ থেকে এই সংঘর্ষ ঘটে।
বিজয়নগর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২৮৭ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় ভ্যান-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে বিএনপি নেতার মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় দলীয় কার্যক্রম শেষে ফেরার পথে ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মিজানুর রহমান শাহিন নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
মিজানুর রহমান শাহিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং উপজেলার চাপড়া ইউনিয়ন বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২০ জন আহত, ২৫ বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট
স্থানীয়রা জানায়, শাহিন সকাল ৮টার দিকে উপজেলার সান্দিয়ারা-লাহিনীপাড়া সড়কের ভাঁড়রা থেকে সাঁওতার দিকে যাওয়ার পথে মাদুলিয়া এলাকায় পৌঁছালে ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে দুপুর ২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৯৮ দিন আগে