২ দিনের রিমান্ড
সাবেক এমপি কাজী কেরামতের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
একইসঙ্গে একই ধরনের অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. তামজিদ আহমেদ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক (সদর কোর্ট) মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘২০২৪ সালের ৩০ আগস্ট রাজবাড়ী সদর থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ছাত্র রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীসহ ১৭০ জনকে আসামি করা হয়। একইসঙ্গে অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: শাজাহান-পলক-আতিকসহ ৬ জনের রিমান্ড মঞ্জুর
এই মামলার দুই নম্বর আসামি হিসেবে কাজী কেরামত আলীকে গত ৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ৭ এপ্রিল দুপুরে তাকে রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতে তোলা হয়। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন জানান। আদালতের বিচারক মো. তামজিদ আহমেদ জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি জেলা কারাগারে রয়েছেন।
রাজবাড়ী সদর থানায় দায়ের করা ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিকাইল হোসেন।
মিকাইল বলেন, ‘ওই মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য পূর্ব নির্ধারিত তারিখ আজ ২৮ এপ্রিল নির্ধারণ করা ছিল। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কাজী কেরামত আলীকে রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতে তোলার পর সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানায় শিক্ষার্থী জিসান খানের মামলায় কাজী কেরামত আলীকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনায়েত শিকদার। শুনানি শেষে আদালত কাজী কেরামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
২২১ দিন আগে
মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি, ২ দিনের রিমান্ডে পুলিশ সদস্য
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহাসড়কে চাঁদাবাজি করার সময় পোশাকধারী দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া এলাকায় স্থানীয়রা ওই দুই পুলিশ সদস্যকে চাঁদাবাজি করার সময় ধরে ফেলেন।
পরে তাদের মহাসড়কের দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সমাজে চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বন্ধ করুন: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাতেই মধুপুর উপজেলার পিকআপ চালক রানা বাদী হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সদস্য দুইজন হলেন, জেলার বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের কৈলা রাজবংশীর ছেলে রিপন রাজবংশী এবং সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কোদালিয়ার ময়নাল হকের ছেলে মো. মোহসীন মিয়া।
তারা দুইজন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানায় কর্মরত রয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় সোমবার রাতেই ওই দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিস্কার করেছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।
মামলার তদন্ত করছেন মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোকাম্মেল হক।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, তারা দুইজন পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিল। তারা পুলিশের পোশাক সংগ্রহ করে মহাসড়কে ছিনতাইয়ের কাজ করেছে। এই ঘটনায় একজন পিকআপ চালক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ হবে না: কাদের
কোনো ধরনের চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না: আইজিপি
৬১৮ দিন আগে