মাদরাসা সুপার
খাবার আনতে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীকে ‘গরম খুন্তির ছ্যাঁকা’ দিলেন মাদরাসা সুপার
মাগুরা জেলার শ্রীপুরে খাবার আনতে দেরি হওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাদারাসা সুপার মাওলানা আবু সাইদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে উপজেলার নাকোল-কমলাপুর দারুল উলুম ইসলামি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম জুনায়েদ হোসেন (১২)। সে মাগুরা শহরের আদর্শপাড়ার ভাড়া বাড়ির বাসিন্দা সুজন মিয়ার ছেলে।
নাকোল থানা পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতনের পর শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি, বরং কাউকে কিছু না জানানোর জন্য ভয় দেখিয়ে মাদরাসায় আটকে রাখা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) জুনায়েদ পালিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে তার বাবা সুজন মিয়া নাকোল পুলিশ ফাঁড়িতে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
সুজন মিয়া জানান, চার বছর আগে ছেলেকে হাফেজ বানানোর উদ্দেশ্যে ওই মাদরাসায় ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে তুচ্ছ ঘটনায়ও মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু সাইদের নির্যাতনের শিকার হতে হতো তার ছেলেকে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে বাংলাদেশি যুবকের নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি
তিনি বলেন, গত রাতে সুপারের খাবার আনতে জুনায়েদকে মাদরাসার পাশে একটি বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানে গৃহস্থের খাবার প্রস্তুতে দেরি হওয়ায় জুনায়েদের ফিরতেও দেরি হয়। কিন্তু এ জন্য জুনায়েদকে অপরাধী করে নির্যাতন করা হয়।
শিশু জুনায়েদ জানায়, রাত ৯টার দিকে খাবার নিয়ে মাদরাসায় ফিরলেও সুপারের ঘনিষ্ট দুই ছাত্র ওয়ালিদ ও সিজান তার হাত বেঁধে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে পরনের কাপড় খুলে ফেলে। এরপর মোমবাতির আগুনে স্টিলের খুন্তি গরম করে শরীরে ছ্যাঁকা দেয়। নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করলে আরও মারধরের হুমকিও দেওয়া হয় তাকে।
এ বিষয়ে এ ঘটনার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু সাইদ বলেন, রাতে তাদের মাদরাসায় তালা দিয়ে নিজ ঘরে যাই। কিন্তু কখন এটি ঘটেছে জানা নেই।
নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুকুল হোসেন জানান, শিশুটির বাবার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৯৮ দিন আগে
ফরিদগঞ্জে দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মাদরাসা সুপারসহ আটক ৩
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চলমান দাখিল পরীক্ষার হাদিস বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে এক মাদরাসা সুপারসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া এমএ কামিল মাদরাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।
আটকরা হলেন, ফরিদগঞ্জের চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের এখলাশপুর মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা ইকরাম হোসাইন হামিদ (৪৬), ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া এমএ কামিল মাদরাসার নৈশ প্রহরী ইসমাইল হোসেন (৩২) ও মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তারেকুল ইসলাম (৩০)।
পুলিশ জানায়, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদরাসার দুই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইসমাইল হোসেন (৩২) ও তারেকুল ইসলাম (৩০) হাদিস বিষয়ের প্রশ্নের ছবি তুলে চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের এখলাশপুর মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা ইকরাম হোসাইন হামিদের হোয়াটসঅ্যাপে ডকুমেন্ট আকারে পাঠায়। বিষয়টি জানাজানি হলে, ইউএনও ঘটনাস্থলে আসেন।
আরও পড়ুন: শিবির সন্দেহে আটক, তিন বছর পর অব্যাহতি জবির ১১ শিক্ষার্থীর
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া ইউএনবিকে বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশনা দিয়ে পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম ইউএনবিকে বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এক মাদরাসা সুপারসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২২৫ দিন আগে
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদরাসা সুপার গ্রেপ্তার
খুলনায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মো. হাসিবুর রহমান হাসিব নামে এক মাদরাসার সুপারকে (মাদরাসা প্রধান) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার নগরীর সোনাডাঙ্গা সৈয়দ আলী হোসেন সড়কের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার মো. হাসিবুর রহমান হাসিব শহীদ শেখ আবু নাসের দাখিল মাদরাসার সুপার (মাদরাসা প্রধান)।
এর আগে শুক্রবার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মাদরাসা সুপার মো. হাসিবুর রহমান হাসিবের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। শিশুটি বর্তমানে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই শিশু ও তার ভাই প্রতি রাতে হুজুরের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে পড়তে গেলে হুজুর ভুক্তভোগীর ভাইকে ওজু করতে পাঠান। একা পেয়ে শিশুটির যৌন নিপীড়ন করে। বাড়ি ফিরে শিশুটি কাঁদতে থাকে এবং একপর্যায়ে মাকে সব বলে দেয়। এ ঘটনায় রাতেই এলাকাবাসী ওই শিক্ষকের বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।
সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার মিত্র বলেন, মাদরাসার সুপারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া আজ রবিবার আদালতে তার রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে বলেও জানান উত্তম কুমার মিত্র।
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলায় শিক্ষার্থীর নামে জিডি
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষক শাহেদ ইমনকে বরখাস্ত ও চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি
৫৬৬ দিন আগে