৪২ ডিগ্রি
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, বিপাকে শ্রমজীবীরা
চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। জেলায় অস্বাভাবিক তাপমাত্রা ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। একসঙ্গে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ।
শনিবার (১০ মে) জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল মাত্র ২৩ শতাংশ।
গত দুই দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে গরমের মাত্রা। মধ্যদুপুরের পর শহরের রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শ্রমজীবীরা কর্মস্থলে গেলেও কাজ শেষ না করেই ফিরে আসছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এখন তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহে পরিণত হয়েছে। আজকের তাপমাত্রা মৌসুমের সর্বোচ্চ। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, ‘তাপপ্রবাহের কারণে অনেক রোগী মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ত্বকে জ্বালা-পোড়া ও পানিশূন্যতার সমস্যায় হাসপাতালে আসছেন।’
বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে বলেও জানান চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি ছাড়াল তাপমাত্রা, গলে গেছে সড়কের পিচ
সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই গরমে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বাইরে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার ও প্রতি ঘণ্টায় বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা রয়েছে, তাই কেউ অসুস্থতা অনুভব করলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’
তীব্র তাপপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গার বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, এমনকি পরিবহন ব্যবস্থাতেও প্রভাব পড়েছে। দোকানপাটে ক্রেতার সংখ্যা কম, রাস্তাঘাটে চলাচলকারী মানুষও হাতে গোনা।
২০৯ দিন আগে
দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই
দিন দিন তাপমাত্রার পারদ বেড়েই চলেছে চুয়াডাঙ্গায়। তাপদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
শনিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ২৫ বছরের ইতিহাসে খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৮ ডিগ্রির রেকর্ড, সতর্কতা জারি
এদিকে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণীরা। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ।
জেলাটিতে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র দাবদাহ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, টানা ১৯ দিন (৬ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে উঠা নামা করছিল।
শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
শনিবার (২৫ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা উঠেছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
ভ্রাম্যমাণ ডাব বিক্রেতা মো. আক্তার হোসেন জানান, কয়েকদিন বৃষ্টির পর আবার তাপমাত্রা বাড়ছে। আজ ভ্যাপসা গরমে ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গায় শহীদ চত্বর মোড় ঘুরে দেখা যায়, জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া মানুষের মুখে ক্লান্তির ছাপ। অনেকেই ক্লান্তি দূর করতে ভিড় জমাচ্ছে শরবতের দোকানে। এক গ্লাস শরবতে মিলছে ক্ষণিকের প্রশান্তি।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, গত ৬ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত ৩৪ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস মধ্যে উঠানামা করছিল।
সবশেষ শনিবার (২৫ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ। বাতাসে জলীয় বাষ্পর পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার শুক্রবারের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি
৪৩ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে গেল পাবনার তাপমাত্রা!
৫৫৯ দিন আগে