লামিন ইয়ামাল
৯ গোলের থ্রিলারে লড়াই করেও হারল ফ্রান্স, স্পেন-পর্তুগাল ফাইনাল
সেয়ানে সেয়ানে টক্করের পরও ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়ল ফ্রান্স, কিন্তু তারপরও কী অসাধারণভাবে ঘুরে দাঁড়াল দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লুইস দে লা ফুয়েন্তের দুর্দান্ত স্পেনের বিপক্ষে পেরে উঠল না দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। ফলে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ফরাসিদের, অন্যদিকে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে টানা তৃতীয়বার ফাইনালে উঠেছে স্পেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফিরেছিল ২০২০-২১ মৌসুমের ফাইনাল। তবে সেবার স্প্যানিশদের ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করলেও এবার আর পারল না ফ্রান্স। অপরদিকে ফরাসিদের ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে আরও একবার ফাইনালে উঠে গেল স্প্যানিশরা।
এদিন ম্যাচের ২৩ ও ২৫তম মিনিটে নিকো উইলিয়ামস ও মিকেল মেরিনোর গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্পেন। তবে প্রথমার্ধের পুরোটা আলো কেড়ে নেন স্পেন অধিনায়ক তথা দলটির গোলরক্ষক উনাই সিমোন। ফরাসিদের নিশ্চিত গোল হওয়ার মতো পাঁচটি শট রুখে দেন তিনি।
বিরতির পর নেমে ফের জোড়া ধাক্কা খায় ফ্রান্স। এবারের দুই গোলদাতা লামিন ইয়ামাল ও পেদ্রি।
৫৪তম মিনিটে লামিনকে ফাউল করে পেনাল্টি দিয়ে বসেন ফরাসি ডিফেন্ডার আদ্রিয়েন রাবিও, আর তা থেকে ব্যবধান ৩-০-তে উন্নীত করেন এই কাতালান প্রতিভা। পরের মিনিটে স্পেনের চকিত আক্রমণে চোখে সর্ষে ফুল দেখে ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা। এ সময় নিকো উইলিয়ামসের ড্রিবলের পর বাড়ানো পাস থেকে আরও নিপুণ দক্ষতায় গোল করেন পেদ্রি।
তার পাঁচ মিনিট পর অবশ্য পেনাল্টি পায় ফ্রান্সও এবং তা থেকে প্রথমবার ব্যবধান কমান এমবাপ্পে। তবে ৭৯তম মিনিটে লামিন পঞ্চম গোলটি করলে মনে হচ্ছিল ফ্রান্সের খেলা সেখানেই শেষ। কিন্তু ফুটবল বলে কথা! যেখানে শেষ বলে কিছু নেই।
৭৯তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা রায়ান শেরকির গোলে ব্যবধান কমে দেশমের দলের। এর তিন মিনিট পর এমবাপ্পের কাছে বল যাওয়া রুখতে গিয়ে তা জালে পাঠিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসেন স্পেনের বদলি হিসেবে নামা ডিফেন্ডার দানি ভিভিয়ান। ৫-৩ গোলে ব্যবধান কমে এলে পায়ের নিচে মাটি পায় ফ্রান্স; আরও জমে ওঠে খেলা।
এরপর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আরও একটি গোল করেন রাঁদাল কোলো মুয়ানি, কিন্তু তা সমতায় ফেরার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ফলে খেলা অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে গড়ানোর সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ৯০+৬ মিনিটেই শেষ হয়, আর শেষ হাসি হাসে স্পেন।
১৮২ দিন আগে
নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার বার্সেলোনার
কাগজে-কলমে রিয়াল মাদ্রিদের শিরোপাস্বপ্ন টিকে থাকলেও প্রায় অসম্ভব সমীকরণ মেলাতে হতো দলটির; নিজেদের অবশিষ্ট তিন ম্যাচ জয় এবং বার্সেলোনার তিনটি ম্যাচই হারতে হতো। এ ক্ষেত্রে রিয়াল প্রথম ম্যাচটি জিতলেও নিজেদের ম্যাচ জিতে সব হিসাব চুকিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। এতে করে ২৮তম লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
এক মৌসুম পর শিরোপা পুনরুদ্ধারে তিন ম্যাচে মাত্র দুই পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল বার্সেলোনার। তবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলকে ২-০ গোলে হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে কাতালান জায়ান্টরা।
কাতালুনিয়া ডার্বিতে এদিন পূর্ণ শক্তি নিয়েই নেমেছিল বার্সেলোনা। অপরদিকে, ম্যাচের আগে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে দেওয়া এস্পানিওল কোচের কণ্ঠে বার্সাকেও হারানোর প্রত্যয় ঝরেছিল।
ম্যাচের প্রথমার্ধ অবশ্য ঠিকঠাক খেলে লামিন-রাফিনিয়াদের আটকে রাখে এস্পানিওল। তবে বিরতির পর আর দলটিকে রুখতে পারেনি তারা। ৫৩তম মিনিটে লামিনের বাঁ পায়ের কারিকুরিতে পরাস্ত হয় দলটির রক্ষণভাগ। নির্ধারিত সময়ের দশ মিনিট আগে বার্সেলোনার এই বিস্ময়বালককে অযথা ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্বাগতিকদের ডিফেন্ডার লেয়ান্দ্রো কাবরেরা। পরে যোগ করা সাত মিনিটের পঞ্চম মিনিটে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করার গোলটি করেন দুর্দান্ত ফেরমিন লোপেস।
আরও পড়ুন: রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
এই জয়ে ৩৬ ম্যাচে ২৭ জয় ও চার ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হয়েছে ৮৫। আর সমান ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৭৮। ফলে দুই ম্যাচে রিয়াল পূর্ণ ছয় পয়েন্ট এবং বার্সেলোনা দুটিই হারলেও তাদের ধরা সম্ভব হবে না গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
এদিকে, হেরে অবনমনের শঙ্কা বেড়েছে এস্পানিওলের। টেবিলের ১৬তম স্থানে থাকলেও অবনমন অঞ্চল থেকে মাত্র পাঁচ পয়েন্ট দূরে আছে দলটি। ফলে পরের দুই ম্যাচের অন্তত একটিতে জিততেই হবে মানোলো গন্সালেসের শিষ্যদের।
২০২২-২৩ মৌসুমেও এস্পানিওলের এই মাঠ থেকেই শিরোপা নিশ্চিত করেছিল বার্সেলোনা। সেবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে জিতে শিরোপা উদযাপন করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হয় দলটিকে। এবারও বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা যাতে মাঠে উদযাপন করতে না পারে, সে লক্ষ্যে শেষের বাঁশি বাজতেই মাঠের পানির স্প্রেগুলো চালু করে দেওয়া হয়। আর হান্সি ফ্লিকও ছিলেন সতর্ক। খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিষ্যদের ড্রেসিং রুমে ডেকে নেন তিনি।
২০২ দিন আগে
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক ম্লান করে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোও জিতল বার্সেলোনা
রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-২, ৫-২ ও ৩-২ গোলে তিনটি ম্যাচ হারিয়ে আগেই দুটি শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিল বার্সেলোনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের এবার ৪-৩ গোলে হারিয়ে মৌসুমের সবগুলো এল ক্লাসিকো জিতে নিল কাতালান জায়ান্টরা। সেইসঙ্গে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ের বন্দরে প্রায় নোঙর করেই ফেলেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
ক্যাম্প ন্যুতে রবিবার লা লিগার দ্বিতীয় ও মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোতে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের শুরুতে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও ৪-৩ গোলে হেরে গেছে মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
এই জয়ে লিগের আর মাত্র তিন ম্যাচ বাকি থাকতে দুইয়ে থাকা রিয়ালের চেয়ে ৭ পয়েন্ট এগিয়ে গেছে বার্সেলোনা। ৩৫ ম্যাচে ২৬ জয় ও চার ড্রয়ে তাদের সংগ্রহ ৮২ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
লিগ শিরোপা জয়ের জন্য কাতালানদের আর দরকার দুই পয়েন্ট। আগামী বৃহস্পতিবার রাতে কাতালুনিয়া ডার্বিতে এস্পানিওলের মাঠে খেলতে যাবে ফ্লিকের দল। টেবিলের চতুর্দশ স্থানে থাকা নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ওই ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলবে তারা।
এদিন রিয়াল মাদ্রিদের তিন গোলের তিনটিই করেছেন এমবাপ্পে। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে একমাত্র ৮ বা তার বেশি রেটিংয়ের পারফরম্যান্স দিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি (৮.৮)। বার্সেলোনার দলীয় পারফরম্যান্সের সামনে বৃথা গেছে তার হ্যাটট্রিক।
অবশ্য দল না জিতলেও ব্যক্তিগত একাধিক অর্জন হয়েছে এই ফরাসি তারকার। রিয়ালের জার্সিতে প্রথম মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ৩৮টি গোল করে ফেলেছেন এমবাপ্পে, অভিষেক মৌসুমে যা রিয়াল মাদ্রিদের কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ। এই রেকর্ড গড়তে গিয়ে ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ইভান জামোরানোর ৩৭ গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন এমবাপ্পে। এমনকি হাতে আরও তিনটি ম্যাচ থাকায় এই রিকর্ডটি তিনি আরও উচ্চতায় তুলতে পারেন।
এছাড়া লা লিগায় ২৫ গোল নিয়ে ম্যাচ শুরু করা এমবাপ্পের লিগে গোল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮টিতে। চলতি মৌসুমের পিচিচি ট্রফিরে দৌড়ে বার্সেলোনার রবের্ট লেভানডোভস্কিকে (২৬) পেছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচের শুরুতেই এদিন রক্ষণের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ, আর তা থেকে সফরকারীদের এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। চতুর্থ মিনিটে বল নিয়ে বক্সের ঢোকার আগে কুবারসিকে পরাস্ত করে এগিয়ে যান এমবাপ্পে, এরপর স্টান্সনি এগিয়ে গিয়ে এমবাপ্পের পা থেকে ঝাঁপিয়ে বল কাড়তে গিয়ে তাকে ফাউল করে বসেন। এরপর ভিএআর রিভিউ শেষে ষষ্ঠ মিনিটে সফল স্পট কিক থেকে রিয়ালকে লিড এনে দেন এই ফরাসি তারকা।
চতুর্দশ মিনিটে বার্সার হাইলাইন ডিফেন্স ভেঙে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকার। গোল খেয়ে অবশ্য মাঝমাঠ থেকে লামিনকে ফাউল করে বল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছিল বার্সেলোনা, তবে রিভিউতে তাদের সে আবেদন জোর পায়নি।
এর পাঁচ মিনিট পর এরিক গার্সিয়ার গোলে ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। এ সময় বক্সের মধ্যে আসা ক্রসে প্রথমে মাথা দিয়ে বল গোলপোস্টের মাঝ বরাবর পাঠান ফেররান, তাতে সফল হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন এরিক।
এরপর ৩২তম মিনিটে লামিন ইয়ামাল ও ৩৪তম মিনিটে রাফিনিয়ার গোল প্রথমোর্ধেই রিয়ালকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য এমবাপ্পের আরও এক গোলে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল দলটি। তবে তা ম্যাচ জিতে লিগে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
একেবারে শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনার পক্ষে পঞ্চম গোলটি করেন ফেরমিন লোপেস। তবে অফসাইডে গোলটি কাটা পড়লে ৪-৩ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।
এর মাধ্যমে গত সপ্তাহে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়া বার্সেলোনার ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ মিলেছে। সেইসঙ্গে লা লিগা জয়ের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
২০৭ দিন আগে
আতলেতিকো-বার্সেলোনা: অবিশ্বাস্য সব ঘটনার জন্ম দিয়ে ম্যাচজুড়ে যা হলো
চলতি মৌসুমে ইউরোপের বদলে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে অন্যতম দুটি নাম আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। এক দল বিপুল অর্থ খরচ করে সাজিয়েছে দুর্দান্ত এক দল, অন্যটি টাকার অভাবে একাডেমির কিশোর ফুটবলারদের তুলে দিয়েছে নতুন এক কোচের হাতে।
আতলেতিকোর অর্থ আর হান্সি ফ্লিকের জাদুকরি ছোঁয়ায় দুই দলেই এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। চলতি মৌসুমে এই দুই দলের আগের দুই ম্যাচেও মিলেছিল ধ্রুপদী লড়াইয়ের দেখা। তবে তৃতীয়বারের দেখায় যা হলো তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য।
দুপক্ষই ম্যাচে অবিশ্বাস্য সব ঘটনার জন্ম দিয়েছে। চলুন দেখে নেই উত্তেজনাকর এই ম্যাচটি শুরু হয়ে কীভাবে শেষ হলো।
এদিন মাঠে নেমেই দুর্লভ এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন আতলেতিকো মাদ্রিদ, এরপর বার্সেলোনা এবং পরে আবারও লস রোহিব্লাঙ্কোসদের জার্সি গায়ে চাপানো ফরাসি ফরোয়ার্ড আন্তোয়ান গ্রিজমান। লা লিগায় ৫২০তম ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। আর এতে করে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় বনে গেছেন সোনালি চুলের এই ফুটবল তারকা।
এই কীর্তি আছে মাত্র আর একজনের। আর্জেন্টিনা থেকে শৈশবে স্পেনে পাড়ি জমিয়ে সে দেশটিকেই নিজের ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলা লিওনেল মেসির। তবে শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও আর এক ম্যাচ মাঠে নামলে মেসিকে ছাড়িয়ে যাবেন গ্রিজমান।
সেইসঙ্গে চলতি মৌসুম তো বটেই আরও কয়েক বছর সিমিওনের অধীনে খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না এই আতলেতিকো কিংবদন্তির। সেক্ষেত্রে মেসিকে ছাড়িয়ে বহুদূর এগিয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী এই ফরাসি তারকা।
২৬৩ দিন আগে
আরও একটি প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে শীর্ষে ফিরল বার্সেলোনা
অসাধারণ পারফর্ম করেও ভাগ্যের ফেরে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে দুর্দান্ত আতলেতিকো যখন জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে, তার মাঝেই প্রায় অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করে বার্সেলোনাকে পথ দেখালেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। আর সেই পথে এগিয়ে গিয়েই দিয়েগো সিমিওনের রক্ষণাত্মক ফুটবল ভেঙেচুরে একাকার করে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিল বার্সেলোনা।
রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় রবিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
ম্যাচের ৪৫ ও ৭০তম মিনিটে আতলেতিকোকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন হুলিয়ান আলভারেস ও আলেকজান্ডার সোরলথ। এর পরপরই আরও জ্বলে ওঠে বার্সেলোনা। ৭২তম মিনিটে সেই আক্রমণের সুর বেঁধে দেন লেভানডোভস্কি। এরপর ৭৮তম মিনিটে ফেররান তোরেস দলকে সমতায় ফেরানোর পর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বার্সাকে প্রথমবার এগিয়ে নেন লামিন ইয়ামাল। শেষ মুহূর্তে ফেররানের আরও এক গোলে জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা।
এই জয়ে ২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও তিন ড্রয়ে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠল কাতালান দলটি। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্টও ৬০, তবে মুখোমুখি লড়াই ও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।
অন্যদিকে, লিগে টানা দুই ম্যাচ হেরে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে আতলেতিকো মাদ্রিদের। রিয়ালের সমান ২৮ ম্যাচে দলটির সংগ্রহ ৫৬ পয়েন্ট। তবে ওসাসুনার বিপক্ষে নিজেদের বাকি থাকা ম্যাচটি জিতে দলটির সঙ্গে ব্যবধান ৭ পয়েন্ট এবং রিয়ালের সঙ্গে ৩ পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে বার্সেলোনার।
আরও পড়ুন: প্রথমে গোল পেয়েও হেরে সুযোগ হাতছাড়া করল আতলেতিকো
লিগের মাঝামাঝি সময় থেকে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদকে সমানে টক্কর দিয়ে এলেও মাত্র ১০ ম্যাচ বাকি থাকতে পরপর দুই ম্যাচ থেকে কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলো দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। এছাড়া সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ হারল দলটি। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দুই লেগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে প্রতিযোগিতাটি থেকে ছিটকে গেছে তারা।
এখন কোপা দেল রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এই বার্সেলোনাকেই তাদের মাঠে ৪-৪ গোলে রুখে দিয়ে প্রতিযোগিতাটিতে এখনও নিজেদের ধরে রেখেছে আতলেতিকো। আর লা লিগায় নিভু নিভু করে জ্বলছে তাদের শিরোপাস্বপ্ন।
অপরদিকে, নতুন বছরে বার্সেলোনার অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রইল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ ম্যাচে (১৫ জয়, ৩ ড্র)। এছাড়া চলতি মৌসুমে ঘরের মাঠে লিগের প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হারের পর কোপা দেল রের সেমিফাইনালে ৪ গোল করেও ড্র করতে হয় ফ্লিকের শিষ্যদের; দুই ম্যাচ জয়বঞ্চিত থাকার পর আতলেতিকোর মাঠে এসে অবশেষে দলটির বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল তারা।
শুধু তা-ই নয়, বার্সেলোনার দায়িত্ব নেওয়ার পর সিমিওনের দলের বিপক্ষে হান্সি ফ্লিকেরও প্রথম জয় এটি।
শনিবার রাতে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে ভিয়ারিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: ২৭ সেকেন্ডের গোলে ম্যাচ জিতেও টাইব্রেকারে আতলেতিকোর হার, কোয়ার্টারে রিয়াল
আতলেতিকো-বার্সা ম্যাচের মধ্যে দিয়ে দুই সপ্তাহের আন্তর্জাতিক বিরতিতে গেল লা লিগা। আগামী ৩০ মার্চ আরেক কাতালান দল জিরোনার বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরবে বার্সেলোনা। তার এক দিন আগে আরও এক কাতালান ক্লাব এস্পানিওলের মুখোমুখি হবে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
এরপর আগামী ২ এপ্রিল একই ভেন্যুতে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে মাঠে নামবে এই দুই দল।
২৬৩ দিন আগে
লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
প্রথম লেগে একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে প্রায় পুরো ম্যাচজুড়ে ভুগতে থাকার পরও কোনোমতে ১-০ গোলে জেতার পর ফিরতি লেগে যেন সব ক্ষোভ উগরে দিল বার্সেলোনা। তাতে পুড়ে অঙ্গার হয়ে শেষ ষোলো থেকে প্রথম দল হিসেবে বিদায় দিল বেনফিকা, আর সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
কাতালুনিয়ার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে পর্তুগিজ দলটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। এর ফলে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আটে উঠেছে কাতালান জায়ান্টরা।
ম্যাচের সবগুলো গোলই এসেছে প্রথমার্ধে। বার্সার তিনটি গোল আসে ১১, ২৭ ও ৪২তম মিনিটে। এর মধ্যে প্রথম ও তৃতীয় গোলটি করেন রাফিনিয়া। আর বাকি গোলটি আসে লামিন ইয়ামালের পা থেকে।
অপরদিকে বেনফিকার একমাত্র গোলটি করেন নিকোলাস ওতামেন্দি।
এর ফলে নতুন বছরে অপরাজেয় যাত্রায় অব্যাহত রাখল বার্সেলোনা। টানা ১৭ ম্যাচ হারেনি দলটি।
ম্যাচজুড়ে এদিন মোট ২০টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার প্রথমার্ধে নেওয়া ৬টি শট ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে, আটটি শট নিয়ে মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বেনফিকা। বল দখলের লড়াইয়েও ছিল বার্সেলোনার প্রত্যাশিত আধিপত্য। দলটির ৬৫ শতাংশ পজেশনের বিপরীতে বেনফিকার ছিল ৩৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল ১০ জনের বার্সেলোনা
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই কেউ কাউকে ছেড়ে কথা না বলার ইঙ্গিত দিলেও প্রথম শটটি নেয় বার্সেলোনা। পেদ্রির বাড়ানো পাস ধরে ষষ্ঠ মিনিটে গোলে শট নেন লামিন, তবে সহজেই তা লুফে নেন বেনফিকা গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিন।
দশম মিনিটে লামিনের পাস ধরে বক্সের মাঝ থেকে লেভানডোভস্কির নেওয়া আরও একটি শট প্রতিহত করেন ত্রুবিন। তবে পরের মিনিটে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি এই ইউক্রেনীয় গোলরক্ষক।
একাদশ মিনিটে ডান পাশ দিয়ে প্রতিপক্ষের কয়েক খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে বক্সে ঢুকেই বিপরীত পাশ দিয়ে এগোতে থাকা রাফিনিয়াকে লক্ষ্য করে একটি নিখুঁত ক্রস বাড়ান লামিন। এরপর ট্যাপ-ইনে তা ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া রাফিনিয়ার জন্য ছিল জলের মতো সরল।
২৬৮ দিন আগে
কাঙ্ক্ষিত জয় পেতে ঘাম ছুটল বার্সেলোনার
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ হারায় ব্যবধান কমাতে নিজেদের ম্যাচটি জেতার প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। তবে কাঙ্ক্ষিত সেই জয় পেতে রীতিমতো ঘাম ছুটে গেছে লামিন-রাফিনিয়া-লেভানডোভস্কিদের।
রবিবার কাতালুনিয়ার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দেপোর্তিভো আলাভেসের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
এদিন মাঠে নেমেই ফুটবলের পাশাপাশি শারীরিক সামর্থ্য দিয়ে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের অস্বস্তিতে রাখে আলাভেসের ফুটবলাররা। পুরোটা সময় সেই চ্যালেঞ্জ ধরে রাখে তারা। ফলে বল পায়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পাস দেওয়া তো দূরের কথা, পজেশন ধরে রাখাই মুশকিল হয়ে পড়ে কাতালান জায়ান্টদের। সেইসঙ্গে বল কেড়ে নিয়ে বার্সার রক্ষণে ত্রাস ছড়ানো তো ছিলই। ফলে গোলের সুযোগ তৈরি করতে হিমশিম খেতে হয় ফ্লিকের শিষ্যদের।
আলাভেসের চ্যালেঞ্জ সামলে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই প্রথমবার গোলের সুযোগ তৈরি করে বার্সেলোনা। সতীর্থের কাছ থেকে আসা পাস ধরে ড্রিবলিং করতে করতে এগিয়ে গিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের সামনে থেকে বাঁ দিকে কিছুটা ফাঁকায় থাকা রাফিনিয়াকে পাস দেন লামিন। বল ধরে বক্সে ঢোকার মুখে জোরালো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন রাফিনিয়া, তবে বল সামান্যের জন্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।
আরও পড়ুন: এস্পানিওলে ধরাশায়ী রিয়াল মাদ্রিদ
পঞ্চদশ মিনিটে উড়ন্ত পাসে হেড করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সা মিডফিল্ডার গাভি ও আলাভেস উইঙ্গার তমাস কোনেচনিকে। এর দুই মিনিট পর কাতালানদের বিপদে ফেলেই দিয়েছিল আলাভেস। তবে শটটি পোস্টের ধারেকাছেও রাখতে পারেনি তারা।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ শেষে ৪২তম মিনিটে আরও একবার আশা জাগানিয়া শট নেন পেদ্রি। তবে সেই শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন আলাভেস গোলরক্ষক হেসুস ওউয়োনো।
গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষে বিরতির পর কন্ট্রোলিং মিডফিল্ড থেকে মার্ক কাসাদোকে উঠিয়ে অভিজ্ঞ ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং এবং হলুদ কার্ড পাওয়া ডিফেন্ডার রোনালদ আরাউহোকে উঠিয়ে এরিক গার্সিয়াকে নামিয়ে দেন ফ্লিক। ফ্রেঙ্কির দক্ষতা ও সতীর্থদের সঙ্গে অসাধারণ সমন্বয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ভোল পাল্টে ফেলে বার্সেলোনা।
৩০৫ দিন আগে
বেতিসকেও ৫ গোল দিয়ে কোপা দেল রের কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে গত রবিবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে যেখানে শেষ করেছিল বার্সেলোনা, কোপা দেল রের ম্যাচে বেতিসের বিপক্ষে যেন সেখান থেকেই শুরু করল তারা। আর কাতালানদের পারফরম্যান্সের আগুনে রিয়ালের মতো পুড়ে ছাই হলো মানুয়েল পেল্লেগ্রিনির শিষ্যরা।
বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে কোপা দেল রের শেষ ষোলোর ম্যাচে রিয়াল বেতিসকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ফলে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল পাঠাল দলটি।
এদিন বার্সেলোনার হয়ে গোলের দেখা পেয়েছেন পৃথক পাঁচ ফুটবলার— গাভি, জুল কুন্দে, রাফিনিয়া, ফেররান তোরেস ও লামিন ইয়ামাল। অন্যদিকে, পেনাল্টি থেকে বেতিসের একমাত্র গোলটি করেন বার্সা থেকে ধারে খেলা ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিতর রকে।
সুপার কাপ এল ক্লাসিকোর পর এদিন আরও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন লামিন ইয়ামাল। ম্যাচসেরার পুরস্কারও তাই উঠেছে তার হাতেই।
আরও পড়ুন: রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
গাভির গোলে ম্যাচের শুরুতেই এদিন এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তৃতীয় মিনিটে মাঝমাঠ থেকে দানি অলমোকে দারুণ একটি পাস বাড়ান পেদ্রি, বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ভেতরে ঢুকতে থাকা গাভিকে ডিফেন্সচেরা পাস দেন সম্প্রতি নিবন্ধন জটিলতায় পড়া এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, আর তা থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন ২০ বছর বয়সী গাভি।
তিন মিডফিল্ডারের নৈপুণ্যে গোল পেয়ে আরও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বার্সেলোনা। অষ্টম মিনিটে জুল কুন্দের বক্সের মধ্যে পাঠানো বল ধরে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে শট নেন অলমো। তবে অসাধারণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে তা ঠেকিয়ে দেন বেতিস গোলরক্ষক ফ্রান ভিয়েইতেস।
আক্রমণের মালা গাঁথার একপর্যায়ে অলমোর আরও একটি শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ২০তম মিনিটে নেওয়া ওই শটটি ফিরে এলে তা পেয়ে যান রাফিনিয়া, কিন্তু তিনিও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন।
তবে এর সাত মিনিট পর দুর্দান্ত বার্সেলোনাকে আর আটকে রাখতে পারেনি বেতিসের ডিফেন্ডাররা। এবারও গোলের কারিগর সেই পেদ্রি।
মাঝমাঠের কিছুটা সামনে থেকে এগোতে থাকা কুন্দের উদ্দেশে পাস দেন পেদ্রি, তবে তা না ধরে ডামি দিয়ে দ্রুত বক্সে ঢুকে পড়েন এই উইংব্যাক। আর পেছনে থাকা লামিন ইয়ামাল প্রথম ছোঁয়াতেই দারুণ এক ফ্লিকে কুন্দের কাছে পাঠিয়ে দেন বল। তা নামিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ২৬ বছর বয়সী ফরাসি ডিফেন্ডার।
এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা চার মিনিটের প্রথম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ তৈরি করে বেতিস। তবে সেই শটটি দিক পরিবর্তন করলেও বিপরীত দিকে পড়তে পড়তে হাত উঁচু করে কোনোরকমে তা ফিরিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ইনিয়াকি পেনিয়া।
শেষ মিনিটে লামিন-কুন্দে যুগলবন্দীতে আরও একটি গোল পায় বার্সেলোনা, তবে ভিএআর রিভিউতে অফসাইড ধরা পড়লে ব্যবধান ২-০ রেখেই বিরতিতে যায় সদ্য স্প্যানিশ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়নরা।
৩২৩ দিন আগে
ধ্রুপদী ফুটবলের রাতে গৌরবময় সময়ে ফেরার ইঙ্গিত বার্সেলোনার
হাজারো সংকটের মাঝেও কীভাবে লক্ষ্যে অটল থেকে, মাথা ঠান্ডা রেখে জয় ছিনিয়ে আনতে হয়, তা-ই যেন দেখিয়ে চলেছেন হান্সি ফ্লিক। একের পর এক খেলোয়াড়ের চোট এবং ক্লাবের আর্থিক সংকটে নতুন খেলোয়াড় না পেয়ে একাডেমি লা মাসিয়া থেকে যুবাদের মূল দলে এনে জোড়াতালি দিয়ে শিষ্যদের মাঠে নামিয়ে চলেছেন এই জার্মান কোচ। অথচ এমনই তার দলের পারফরম্যান্স যা কোটি বার্সাভক্তকে ভুলিয়ে দেয়— দলটি ঠিক কতটা সংকটের মধ্যে সময় পার করছে। আর তেমনই এক স্মরণীয় ম্যাচ তিনি উপহার দিলেন রবিবার রাতেও।
সবশেষ কয়েক ম্যাচ উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে আসার মাঝে দানি অলমো ও পাউ ভিক্তরের নিবন্ধন নিয়ে জটিলতা, রোনালদ আরাউহোর দল ছাড়ার গুঞ্জন— সব মিলিয়ে ঝটিকাসংকুল সময়ের মাঝে কে ভেবেছিল, এই বার্সেলোনা সম্প্রতি ছন্দে ফিরতে শুরু করা রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করবে? তাও আবার শেষের অন্তত ৪০ মিনিট দশজন নিয়ে খেলে? অথচ মাঠের খেলায় সেটিই বাস্তবতা হয়ে ধরা দিল। আর হাজারো সমস্যার মাঝে লাল-নীল জার্সির মায়ায় পড়া বিশ্বব্যাপী কোটি কুলেরের হৃদয় বিগলিত করা একটি রাত উপহার দিল দলটি।
পড়তে পড়তে অনেকেরই হয়তো চোখ ভরে উঠবে, কিন্তু মরুর বুকে যে বিজয়গাঁথা বার্সেলোনা রচনা করল, তা কি এসব উপমার তুলনায় কম কিছু?
৩২৫ দিন আগে
রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
আর্থিক সংকটে পড়ে খেলোয়াড় নিবন্ধন করাতে না পারা নিয়ে সম্প্রতি সমালোচনা আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের স্বীকার হলেও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ফের জ্বলে উঠল বার্সেলোনা। আর তাতে ম্যাচের শেষের ৩০ মিনিটের বেশি সময় একজন খেলোয়ড় কম নিয়ে খেলেও চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিধ্বস্ত করে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় সুপার কাপের ফাইনালে শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদকে ৫ গোল দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। অবশ্য জয়ের পথে দুটি গোল হজমও করতে হয়েছে তাদের।
এই হারে সুপার কাপ জয়ের হিসাবে বার্সেলোনাকে এ বছর আর ছোঁয়ার প্রতীক্ষা আরও দীর্ঘ হলো রিয়াল মাদ্রিদের (১৩)। অপরদিকে, জিতে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিল (১৫) ব্লাউগ্রানা খ্যাত দলটি।
এদিন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তারপর কোথায় যেন হারিয়ে যায় দলটির সমন্বয়, সেইসঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাদের রক্ষণভাগও। আর দলীয় প্রচেষ্টা, সতীর্থদের দারুণ বোঝাপড়া আর নির্ভুল ফিনিশিংয়ে একের পর এক গোল করতে থাকে কাতালান জায়ান্টরা।
এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ২২তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান লামিন ইয়ামাল। এরপর ৩৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে লেভানডোভস্কির গোলে প্রথমবার এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তারপর ৩৯ ও ৪৮তম মিনিটে রাফিনিয়ার জোড়া গোল ও প্রথমার্ধের যোগ করা দশম মিনিটে আলেহান্দ্রো বালদের গোলে ব্যাবধান ৫-১ করে ফেলে তারা।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
দশজনের দলে পরিণত হওয়ার পর ৬০তম মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করেন রদ্রিগো। এরপর বার্সেলোনা রক্ষণে মনোযোগ দিলে আর গোল করা হয়ে ওঠে না কোনো দলেরই। ফলে ৫-২ গোলে শেষ হয় ম্যাচ।
এর ফলে সুপার কাপ জয়ের পাশাপাশি চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দুবারের দেখায় দুবারই বড় ব্যবধানে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাল বার্সেলোনা। গত ২৭ অক্টোবর লা লিগায় সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে অনুষ্ঠিত প্রথম এল ক্লাসিকো ৪-০ গোলে হেরেছিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিকে, দায়িত্ব নেওয়ার পর বার্সেলোনাকে প্রথম শিরোপা জেতালেন হান্সি ফ্লিক। সেইসঙ্গে দুটি এল ক্লাসিকোতে ডাগআউটে থেকে দুটিই জিতলেন এই জার্মান কোচ।
বার্সেলোনার পরবর্তী ম্যাচ আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি)। কোপা দেল রের শেষ ষোলোর ওই ম্যাচে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে মাঠে নামবে কাতালানরা। একদিন পর সেল্তা ভিগোকে আতিথ্য দেবে রিয়াল মাদ্রিদ।
৩২৬ দিন আগে