৮ কর্মকর্তা
রূপপুর ‘দুর্নীতি’: প্রচ্ছায়ার ৮ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থাকায় শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও শেখ রেহানার দেবর তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মালিকানাধীন প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন আদালত। তাদের মধ্যে শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিকও আছেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আজ দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম উল্লিখিত ব্যক্তিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন— তারিক আহমেদ সিদ্দিকের স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক, তার দুই মেয়ে বুশরা সিদ্দিক ও নওরীন তাসমিয়া সিদ্দিক, সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান, তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম এবং তাদের দুই মেয়ে শেহতাজ মুন্নাসী খান ও পারিজা পাইনাজ খান। তারা সবাই প্রচ্ছায়া লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা, ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও অন্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ-সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের অনুসন্ধানে ৭ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ইউনিট-১ এ রিঅ্যাক্টর স্থাপন সম্পন্ন
প্রচ্ছায়া লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডাররা সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র পেতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।
এতে সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ আরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। এজন্য উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রহিত করা প্রয়োজন।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি তারিক আহমেদ সিদ্দিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
২১৯ দিন আগে
চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস, ৮ কর্মকর্তার কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ৮ কর্মকর্তার ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বুধবার (১০ জুলাই) এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস মামলার রায় ১০ জুলাই
মামলার ৮ আসামি হলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর আখতার-পারিসার (জেভি) তৎকালীন প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম।
চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসামি পক্ষে সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন সাতজন। গত ২৫ জুন দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আটজন আসামিকে পৃথক ধারায় সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একটি ধারায় প্রত্যেককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা জরিমানা, সেইসঙ্গে অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। অপর একটি ধারায় প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ঘোড়ার লাথিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০
৫১৩ দিন আগে