পার্বত্য এলাকা
পার্বত্য এলাকার পণ্যের প্রসারে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশের বাজারে কক্সবাজার ও পার্বত্য এলাকার বাঁশ, বেত, হস্তশিল্প, মধু, ও পাহাড়ি ফল জাতীয় বহুমুখী পণ্যের প্রসারে একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া জরুরি। পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের বড় শহরগুলোতে প্রদর্শনী ও বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করলে বাজার সম্প্রসারণ সহজ হবে।’
সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে ‘হোস্ট অ্যান্ড ইমপ্যাক্টেড কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স অ্যাক্টিভিটি’ শীর্ষক কর্মসূচির জাতীয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার, এনজিও ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের যৌথ সহযোগিতায় প্রচারণা চালিয়ে স্থানীয় পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বৃদ্ধি করা দরকার। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বাড়িয়ে পণ্যগুলোকে অনলাইনে জনপ্রিয় করা সম্ভব। এর মাধ্যমে উৎপাদকরা ন্যায্যমূল্য পাবেন ও স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। বাংলাদেশ সরকার ও ইউএসএআইডির এই যৌথ উদ্যোগ কোনো সম্প্রদায় যেন পিছিয়ে না পড়ে তা নিশ্চিতে সহায়ক হবে।’
আরও পড়ুন: সন্তানদের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
টেকসই উন্নয়ন, সাম্য ও সামাজিক ঐক্যের জন্য আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণ করাও জরুরি বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ফ্রেন্ডস অব ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশের সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ ও প্রকল্প প্রধান ট্রিনা বিশপ। অনুষ্ঠানে নীতিনির্ধারক, উন্নয়ন অংশীদার ও কমিউনিটি প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
৩১৮ দিন আগে
পার্বত্য এলাকাকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী আখ্যা দেওয়া ঠিক হবে না: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য এলাকাকে এখন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে আখ্যা দেওয়া ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্য দূর করা ও সবার জন্য সমান অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ সাম্যের দেশ গড়াই হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ।’
আরও পড়ুন: আমরা ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আছি, নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে: প্রধান বিচারপতি
সোমবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সুপ্রদীপ চাকমা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সমাজকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম বঞ্চিত ছিল। ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম, তখন চারপাশে কোনও পাহাড়ি শিক্ষার্থী ছিল না। তখন থেকে চিন্তা করেছিলাম আর পাহাড়ি এলাকায় ফিরে যাব না, মূলধারায় (মেইনস্ট্রিমে) থাকব। বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে টেনে তুলব। সেই ইচ্ছাটাই এখন পূরণ করতে হবে।’
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় আম, আনারস, পেঁপে চাষ এখন ব্যাপক আকারে হচ্ছে। এখানকার মানুষের আয় ও জীবিকার সংস্থান হচ্ছে। আমাদের চারপাশে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষের বাস। এখানকার মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। এছাড়া আমাদের জন্য ইনক্লুসিভিটি এখন খুব বেশি প্রয়োজন। সবার সমন্বিত উদ্যোগে এখানকার উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তি ছিল মূলত নেগোশিয়েশন বা সমঝোতাভিত্তিক চুক্তি। আমি এটাকে শান্তি চুক্তি বলি না, এটাকে পার্বত্য চুক্তি বলি। এ বিষয় নিয়ে সরকারকে আরও নমনীয় হওয়া উচিত। এছাড়া পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে বেশির ভাগ মানুষই ইচ্ছুক ছিল। সবাই শান্তিতে বিশ্বাসী। তাই শান্তির প্রত্যাশায় সকলেই ভালো দিকগুলো গ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দেশের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আমার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছি। পার্বত্যবাসীদের মধ্যে যারা বঞ্চিত তাদের এগিয়ে নিতে হবে। পাহাড়ি-বাঙালি সবাই উন্নয়ন চায়। তাই সকলেই সম্মিলিতভাবে উন্নয়ন প্রত্যাশা করে। দেশের উন্নয়নে সকলকেই একযোগে কাজ করতে হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, উপসচিব কংকন চাকমা, উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন প্রয়োজন: উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা
৪৭৯ দিন আগে