সমন্বয়ক
‘বৈষম্যবিরোধী’ বা ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ের এখন আর অস্তিত্ব নেই
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আত্মপ্রকাশের পর ‘বৈষম্যবিরোধী’ বা ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ের এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ টাওয়ারে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সমন্বয়ক পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজির নানা অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এখন আর আগের জায়গায় নেই। সেখান থেকে একটি ছাত্র সংগঠন তৈরি হয়েছে।’
তার ভাষ্যে, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে একটি রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছে বলে ‘বৈষম্যবিরোধী’ বা ‘সমন্বয়ক’ বলে যে পরিচয়টা, সেটা এখন আর এক্সিস্ট করে না সেই অর্থে।”
“ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ থাকবে, যদি কেউ ‘বৈষম্যবিরোধী’ বা ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় ব্যবহার করে অপকর্ম করে, তাহলে তারা তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।”
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিচার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায় এনসিপি
এনসিপির কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন রাজনৈতিক নিবন্ধনের শর্তাবলী নিয়ে মনযোগী হচ্ছি। তৃণমূলে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছি। রোজার পর পুরোদমে শুরু করব। আমরা নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করছি। জোট গঠনের বা নির্বাচনের প্রার্থীর বিষয়ে আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করতে আরও সময় লাগবে।’
এ সময় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, প্রধান সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীসহ দলটির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২৭২ দিন আগে
জবির সমন্বয়ক পদ থেকে সরে গেলেন নূর নবী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার নেতৃত্ব দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নূর নবী সমন্বয়ক পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (১৭ আগস্ট) তার নিজ ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন নূর নবী।
আরও পড়ুন: জবিতে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ, রবিবার থেকে ক্লাস শুরুর আশ্বাস
সমন্বয়ক থেকে সরে গেলেও যেকোনো আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অংশ নেবেন জানিয়ে নূর নবী বলেন, ‘আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক হিসেবে শুরু থেকেই সব আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। এক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক চাওয়াগুলো পূরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমাদের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে শহীদরা যে রক্ত দিয়েছেন তা এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। শহীদদের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে যেকোনো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অংশ নেব।’
তিনি বলেন, ‘আজ শনিবার থেকে আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম। ব্যক্তি স্বার্থবিহীন এই আন্দোলনে শুরু থেকেই মাঠে থেকেছি। ময়দানে ছাত্রলীগের বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছি, ময়দান থেকেই গুম হয়েছি ও পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি, কারাগারে গিয়েছি। এসব কিছুর ঊর্ধ্বে আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি। সে ভালোবাসার মর্যাদা রক্ষা করার জন্য আমি সর্বদা আপনাদের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।’
কোটা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৯ জুলাই ক্যাম্পাস গেট থেকে গ্রেপ্তার হন এই শিক্ষার্থী। পরে ডিবি অফিসে নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৬ আগস্ট মুক্তি পান। নির্যাতনকালে পানিতে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খেতে দেওয়া হতো। গোপনাঙ্গে আঘাতসহ ব্যাপক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে গত ৯ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে এই চিত্র তুলে ধরেন। এমনকি ডিবির হারুন ক্রসফায়ার দেওয়ারও কথা বলেছিলেন বলে জানান তিনি।
এরআগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বেগবান করতে গত ২৯ জুলাই ২৭ সদস্যের অফিসিয়াল সমন্বয়ক প্যানেল ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ইউনিট। সেখানে প্রথমে নাম ছিল নূর নবীর।
আরও পড়ুন: জবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হলেন মোহম্মদ জাহিদ
গুলিবিদ্ধ জবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু, বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
৪৭৫ দিন আগে