আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগের নিবন্ধনও স্থগিত
আওয়ামী লীগের সব ধরনের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এবার রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের বৈঠকের পর রাত সোয়া ৯টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন জ্যেষ্ঠ ইসি সচিব আখতার আহমেদ। ব্রিফিংয়ে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তার অঙ্গ সংগঠন এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ইলেকশন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হলো। সে অনুযায়ী আজকে আমরা গেজেট নোটিফিকেশনে জারি করেছি, আপনারা গেজেটের কপিটা বিজি প্রেস থেকে পেয়ে যাবেন।’
কোন গ্রাউন্ডে এই নিবন্ধন স্থগিত করা হলো—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপন, তার ধারাবাহিকতায় আমরা এটি করেছি।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
পরে রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯–এর ধারা-১৮(১)–এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, সেহেতু বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল।
এর ফলে ছয় মেয়াদে দুই যুগের বেশি সময় সরকারে থাকা দেশের অন্যতম প্রাচীন এ দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হয়ে গেল।
এর আগে, রবিবার (১১ মে) জুলাই আন্দোলন দমনে ‘মানবতাবিরোধী’ অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এ অঙ্গসংগঠনগুলোকে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এরপর সোমবার বিকালে আসে নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন। সেখানে বলা হয়, ‘ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।’
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের নিয়ম চালু করে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নম্বর ছিল ৬, প্রতীক নৌকা।
গত ১৭ বছরে সব মিলিয়ে ৫৫টি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে জামায়াতে ইসলামীসহ পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় এখন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল থাকল ৪৯টি।
২০৬ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ: জাবিতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১০ মে) রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে মিষ্টি বিতরণ করেন। পরে রাত পৌনে ১২টায় সেখান থেকে একটি মিছিল বের করেন তারা।
মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে দেশে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতি, শিক্ষাক্ষেত্রে দলীয়করণ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির অধীনে ক্যাম্পাসে সহিংসতা, ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে দলীয় দখলদারত্ব এবং মুক্তচিন্তার জায়গাগুলোর কমে গিয়েছিল। এই নিষেধাজ্ঞা শিক্ষাঙ্গনকে আবারও শান্তিপূর্ণ, গঠনমূলক এবং পাঠভিত্তিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।’
মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, ‘আমরা দেখেছি এই স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার শাহবাগে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। তারা শাপলায় গনহত্যা চালিয়েছিল। তারা এদেশে গুম খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আজকে তারা নিষিদ্ধ হয়েছে, এ জন্য আমরা ইন্টেরিমকে (অন্তর্বর্তী সরকার) ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেট-শরীয়তপুরে বিক্ষোভ
তিনি আরও বলেন, ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমাদের প্রধান দাবি ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আজকে সেটা হয়েছে শুধু নির্বাহী আদেশে। বিচারিক প্রক্রিয়ায় এই আদেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।'
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, 'আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় বাংলাদেশ একটি নতুন যুগে প্রবেশ করল। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আমরা সাময়িক খুশি, তবে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে যখন নিষিদ্ধ করা হবে তখন সেটা আমাদের চূড়ান্ত বিজয় হবে।’
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম লিমন বলেন, 'আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের নির্বাহী আদেশকে অবিলম্বে বিচারিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে হবে এবং সেইসঙ্গে অতিদ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।’
এর আগে, রবিবার (১১ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় একটি গরু ও একটি খাসি জবাই করে আনন্দভোজ উৎসবের ঘোষণাও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
২০৮ দিন আগে
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। দীর্ঘ এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস। সভা শেষে রাত ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আইন উপদেষ্টা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
পাশাপাশি, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে প্রকাশ করা হবে।
২০৮ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি: শাহবাগ মোড় অবরোধ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগা মোড় অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার (৯ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মিন্টো রোড থেকে শাহবাগ অভিমুখে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে বসে পড়েন।
এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আজ বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘ইন্টেরিমের (অন্তর্বর্তী সরকারের) কানে আমাদের দাবি পৌঁছায়নি। তাই আমরা সমাবেশস্থল থেকে শাহবাগ অবরোধে যাচ্ছি। দাবি না আদায় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করব।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার
এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কোনোভাবে রাজনৈতিক দল নয়। ‘১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ বাকশাল তৈরি করে এ দেশে গণতন্ত্রের পরিবর্তে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল তারা।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের লুটপাটের কারণে দুর্ভিক্ষে ১৫ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গিয়েছিল। বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে এ দেশের মানুষের রক্ত লেগে আছে। আওয়ামী লীগ ভারতের সহায়তায় দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছিল।’
এর আগে এনসিপি নেতা আশরাফ মাহাদীর কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ দুপুর পৌনে ৩টার দিকে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের শুরু হয়।
সমাবেশ শুরু হওয়ার পর সমাবেশস্থলের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে বিকালে ৩টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) স্প্রে ক্যানন পানি ছিটানো শুরু করে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ছাত্র-জনতাকে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে সমাবেশে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার কাছে জড়ো হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা
২০৯ দিন আগে
জাবিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
জাবি, ১৩ ফেব্রুয়ারি, (ইউএনবি)— গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত দল আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের (ডেইরি গেইট) সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিল চলাকালে শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিল শেষে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বক্তারা। এ সময় তারা অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান এবং আওয়ামী লীগের বিষয়ে বর্তমান সরকারের ‘নীরবতার’ সমালোচনা করেন।
সমাবেশে জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাকির হোসেন বলেন, ‘বহু মানুষের জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছে, কিন্তু এই হতাহতের জন্য আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের মধ্যে বিন্দু পরিমাণ অনুতাপ নেই। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলে দিতে চাই, অবিলম্বে এই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন এবং প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন।’
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন আগামী ২১ মের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে: জাবি উপাচার্য
সাংস্কৃতিক জোটের একাংশের আহ্বায়ক মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু এই চব্বিশেই ফ্যাসিস্ট হয়নি, তারা ১৯৭৫ সালেও ফ্যাসিস্ট ছিল। পরপর তিনটি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে।’
এ কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম লিমন বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৩ শতাংশ শিশু শহিদ হয়েছে।’
ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘যারা শিশুদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করতে পারে, সেই গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের সহযোগী ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।’
জাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৪ সালের পর থেকে আমাদের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। রাতের আধারে ভোট কেটে সকালে ভোটের মুলা ঝোলানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা একটা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, একদল মানুষ উঠে পড়ে লেগেছে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য। আমরা বলে দিতে চাই, কোনো প্রকার টালবাহানা আমরা মেনে নেব না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
২৯৪ দিন আগে
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক নীতি অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ বা আসন্ন নির্বাচনে একেবারে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ।
তিনি বলেন, 'আমি আগেও বলেছি, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা বারবার বলেছি, আমরা উদার গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রের নীতি ও অনুশীলনে বিশ্বাস করি এবং সেগুলো মেনে চলি। অতীতেও আমরা তাই করেছি।’
বৃহস্পতিবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের অনুরোধের বিষয়ে এক সাংবাদিকের দৃষ্টি আকর্ষণের পর বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা।
তিনি বলেন, তাদের দল বিশ্বাস করে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা হবে, কে কাজ করতে পারবে বা কে পারবে না, তা ঠিক করার দায়িত্ব তাদের নয়। ‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। জনগণই নির্ধারণ করবে কোন দল থাকবে, কোন দল থাকবে না, কোন দল নির্বাচনে অংশ নেবে আর কোনটি নির্বাচন করবে না।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাকে বিএনপি সমর্থন করে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা আগেই বলেছি, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা পক্ষে না বিপক্ষে, সেটা বড় কথা নয়... এটা জনগণের ব্যাপার, আমাদের নয়।’
এর আগে বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের বিগত সরকার, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা এবং আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো সহিংস ও পরিকল্পিতভাবে ২০২৪ সালের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আপত্তি নেই, সংস্কার আগে হতে হবে: জামায়াত
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিক্ষোভ দমনে সরাসরি জড়িত সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অভ্যন্তরীণ অন্যান্য সূত্রের বরাত দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে, কীভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বড় আকারের ধারাবাহিক অভিযানের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধান করেছেন। সেসময় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করেছে বা নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করেছে।
তবে বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ না করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নয়
ফখরুল বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব প্রবর্তনের তীব্র বিরোধী।
তিনি বলেন, ‘আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। আমরা কোনো ধরণের আনুপাতিক নির্বাচনকে সমর্থন করব না। কারণ, দেশের জনগণ এতে অভ্যস্ত নয়। এ ধরনের প্রশ্ন ওঠাও উচিত নয়।’
ফখরুল বলেন, তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেরও বিপক্ষে। ‘আমরা এর সঙ্গে পুরোপুরি দ্বিমত পোষণ করছি। এটা দেশকে আরও ভঙ্গুর রাজনৈতিক অবস্থানে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা বিশ্বাস করেন, যত দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তত তাড়াতাড়ি রাজনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এর ফলে বাংলাদেশের জনগণ আরও স্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাবে। স্থিতিশীলতা ও সুশাসন ফিরিয়ে আনতে জাতীয় নির্বাচন জরুরি।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'বর্তমানে প্রশাসন গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন। একবার সুশাসন পুনপ্রতিষ্ঠিত হলে— আপনি দেখতে পাবেন যে অর্থনীতির উন্নতি হবে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিস্থিতিও উন্নত হবে। ... বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজগুলো এখনো ঠিকমতো চালু হয়নি। সেসব ব্যবস্থা ঠিক করা হবে। নির্বাচিত সরকার না থাকলে এসব বিষয় সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এই মুহূর্তে আমরা সম্পূর্ণ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী করবে— তা নিয়ে তিনি অনিশ্চিত।
ফখরুল বলেন, সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছেন বলে সরকারপ্রধান তাদের জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গণহত্যার বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি বিএনপির আহ্বান
২৯৪ দিন আগে
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে এর নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিএফআইইউর প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের বিবাদী করা হয়েছে।
আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া বলেন, আবেদনে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর করতে, বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
৪৭২ দিন আগে