সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক ঐক্য ও সহমর্মিতা জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জ্ঞানভিত্তিক উদ্যোগ ও বৈশ্বিক ঐক্য ও সহমর্মিতা জরুরি। আমাদের হাতে সীমিত সময় ও সম্পদ রয়েছে, তাই যৌথভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ সংকট কেবল টিকে থাকার প্রশ্ন নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা ও বহু রাষ্ট্রের অস্তিত্বের সঙ্গেও জড়িত।’
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে সুইজারল্যান্ড দূতাবাস আয়োজিত ‘বায়োফিলিয়া: মানুষ, জলবায়ু ও সংস্কৃতির পুনঃসংযোগ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ ভৌগোলিক অবস্থান ও বদ্বীপ দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। আমাদের জনগণ সাহসিকতার সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলা করছে, কিন্তু পর্যাপ্ত প্রশমন কার্যক্রম ও আন্তর্জাতিক সহায়তা না থাকায় সক্ষমতা বারবার সীমায় এসে ঠেকছে। অভিযোজনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহায়তা এখনো প্রত্যাশিত মাত্রায় পাওয়া যাচ্ছে না।’
উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সহায়তা নীতি পুনর্বিবেচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে আরও কার্যকরভাবে সহযোগিতা করতে হবে। সংকট যত বড়ই হোক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে শক্তি হিসেবে ধারণ করে আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে সমাধানের পথে এগিয়ে যাব।’
আরও পড়ুুন: প্রকৃতি ধ্বংস করে নয়, প্রকৃতি রক্ষা করে উন্নয়ন করতে হবে: রিজওয়ানা হাসান
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুইস দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স করিন হেনচোজ পিগনানি, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের প্রতিনিধি ভ্যালান্টাইন আচাচো এবং বাগেরহাটের শরণখোলার লাবনী আক্তার।
পরে উপদেষ্টা জলবায় ঝুঁকি মোকাবিলায় গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রদর্শনীর জন্য আয়োজিত মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থী ও জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
৯৪ দিন আগে
তিস্তায় ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনায় ১২ হাজার কোটি টাকার একটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই এ প্রকল্পের চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন হবে।
বুধবার (১৬ জুলাই) রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই শহিদ দিবস ২০২৫’ এবং শহিদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তার বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, রংপুরে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি হাসপাতাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জলাবদ্ধতা নিরসনে শ্যামাসুন্দরী খাল পুনঃখননসহ নানা প্রকল্প চলমান রয়েছে। তবে ভবিষ্যতের পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের দাবি আসা উচিত নতুন প্রজন্মের কণ্ঠ থেকে।
‘শহিদ আবু সাঈদ ও তার সহযোদ্ধারা যে আদর্শে জীবন দিয়েছেন, তা কেবল স্মরণীয় নয়—তা হোক আমাদের প্রতিদিনের প্রেরণা। তরুণ প্রজন্ম যেন মানবিকতা, সাহস ও ন্যায়ের পথে দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করে—এই হোক আমাদের প্রত্যাশা। আবু সাঈদ ভয়ের মুখে দাঁড়িয়ে সাহস দেখিয়েছিল। তার মৃত্যু ছিল এক বিপ্লবের সূচনা, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—পরিবর্তনের জন্য শুধু প্রতিবাদ নয়, প্রয়োজন সামাজিক প্রতিরোধ,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: তিস্তার ভাঙনরোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শহিদ আবু সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. এস এম এ ফায়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলীসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
এর আগে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে শহিদ আবু সাঈদ তোরণ ও জাদুঘর, স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প এবং স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।
১৪১ দিন আগে
সেন্টমার্টিন রক্ষায় বিকল্প জীবিকা ও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপ রক্ষায় সরকার সমন্বিত পরিকল্পনা এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প জীবিকার ওপর জোর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন রক্ষার অংশ হিসেবে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সভায় তিনি সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বিকল্প জীবিকা সংস্থানের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
উপদেষ্টা বলেন, দরিদ্র কৃষিজীবী পরিবারকে লবণ ও জলবায়ু সহনশীল শাকসবজি ও ফসল চাষে সহায়তা দেওয়া হবে। থাকবে প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী ও কারিগরি সহযোগিতা। কম্পোস্ট ও ভার্মি কম্পোস্ট তৈরিতেও সহায়তা দেওয়া হবে। নারকেল গাছে জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে প্রশিক্ষণ, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালনে সহায়তা এবং বাড়ির আঙিনায় ছোট নার্সারি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে খাদ্য সহায়তা বাড়ানো হবে। পরিবেশবান্ধব জালসহ টেকসই উপায়ে মাছ ধরার সরঞ্জাম দেওয়া হবে। জামাকাপড় সেলাই, টুপি তৈরি, ধাত্রীবিদ্যা ও বিভিন্ন ট্রেডে (কম্পিউটার, মোটর ড্রাইভিং, নৌযান চালনা, ইলেকট্রনিকস, হোটেল ম্যানেজমেন্ট) প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। স্থানীয় যুবকদের ট্যুর গাইড হিসেবে গড়ে তোলা হবে এবং ‘পরিবেশ গার্ড’ গঠন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সভায় ‘স্টাডিজ অ্যান্ড প্ল্যানিং’, ‘পরিবেশবান্ধব বিকল্প জীবিকা প্রকল্প’, ‘ইকো-ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট প্রোপোজাল’ এবং ‘সাসটেইনেবল সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’—এই চারটি বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয় এবং এ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: সাভার ও আশপাশের এলাকায় ইটভাটা নিষিদ্ধ হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মো. নাভিদ শফিউল্লাহ, ড. ফাহমিদা খানম ও মো. খায়রুল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কামরুজ্জামান, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়াও, কোস্ট গার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ, সিইজিআইএস, মৎস্য অধিদপ্তরসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও সভায় অংশ নেন।
১৪৫ দিন আগে
সাভার ও আশপাশের এলাকায় ইটভাটা নিষিদ্ধ হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
বাংলাদেশে চলমান উন্নয়নের ধারা টেকসই করতে বিপুল পরিমাণে গাছ লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সাভার ও আশপাশের এলাকায় ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (১২ জুলাই) সাভারে ঢাকা জেলার পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘উন্নত ঢাকা জেলা উদ্যোগ’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সবুজে বাঁচুক সাভার, নীল আকাশে উড়ুক স্বপ্ন হাজার’—এই স্লোগানে আয়োজিত কর্মসূচিতে এক দিনে এক লক্ষ চারাগাছ রোপণ করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি প্রকৃতিকে ধ্বংস করি, প্রকৃতিও আমাদের রক্ষা করবে না। ঢাকা শহর ও আশপাশের এলাকার বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ও ধুলাবালির ভয়াবহতা রোধে আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। গাছ লাগানোই এই পরিবর্তনের পথের প্রথম ধাপ। শুধু চারাগাছ লাগালেই হবে না, সেগুলো রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সাভার ও আশপাশের এলাকায় ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে।’
এছাড়া, ক্ষতিকর পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘যত্রতত্র বর্জ্য পোড়ানো যাবে না।’ শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে চালকদের হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধও জানান উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু গাছ লাগানোতেই পরিবেশ রক্ষা সীমাবদ্ধ নয়, পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার প্রতিটি উদ্যোগে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।’
ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। বক্তব্য দেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোসাম্মাৎ মাহমুদা রোকসানা, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং সাভার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুবকর সরকার।
পরে উপদেষ্টা সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটি কাঁঠাল গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিবেশ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: সুন্দরবনকে অপরাধমুক্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিবেশ উপদেষ্টার নির্দেশ
১৪৬ দিন আগে
ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ চিহ্নিত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
ঢাকা মহানগরীর বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মতভাবে সুপারিশ দেওয়ার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে।
রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে মঙ্গলবার (১ জুলাই) আগারগাঁওস্থ পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
একই বায়ু প্রবাহের অন্তর্গত একটি এলাকার বায়ুর গুণগতমান দূষণের কারণে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ এর অধীন নির্ধারিত মানমাত্রা অতিক্রম করলে সেটিকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ার শেড’ বলে।
সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বায়ুদূষণের উৎস শনাক্ত করতে কমিটি গঠন করা হবে এবং ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে পার্বত্য চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুরের রামগতিসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ইটভাটা পরিচালনা নিষিদ্ধ করা হবে।
এ সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএ’র সহযোগিতায় লাগাতার অভিযান চালানো হবে। নির্মাণসামগ্রী যত্রতত্র ফেলে রাখা, পার্ক বা উন্মুক্ত স্থানে আগুন দিয়ে পোড়ানো ও পাতা পোড়ানোর ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের ‘জিরো সয়েল’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে জনগণ ও কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ঢাকা শহরের কোনও স্থানই পতিত রাখা যাবে না, সব জায়গায়ই গাছ লাগাতে হবে। পাতা পোড়ানোর হটস্পট চিহ্নিত করে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। এ বিষয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পত্র দেওয়া ও গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে।
আমিন বাজার এলাকায় বালু রাখার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন এবং গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান পরিবেশ উপদেষ্টা।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ; মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড কামরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৫৬ দিন আগে
বাঁশের আসবাবপত্রের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
বাঁশের আসবাবপত্র ‘পরিবেশবান্ধব’ উল্লেখ করে এই ধরনের আসবাবপত্রের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, দেশে কাঠের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে। এই চাপ কমাতে আসবাবপত্র তৈরিতে কাঠের বিকল্প হিসেবে বাঁশ ব্যবহারে উদ্যোগী হতে হবে। বাঁশ সহজলভ্য, দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং একই সঙ্গে তা পরিবেশবান্ধব।
রবিবার (১৫ জুন) সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদুল আজহা-পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা এবং পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্রের উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি বাঁশগবেষণা কেন্দ্রে বাঁশ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও আধুনিক পণ্য উদ্ভাবনের ওপর জোর দেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আধুনিক, টেকসই ও রুচিশীল বাঁশের আসবাবপত্র তৈরি করে অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা পূরণ ও আন্তর্জাতিক বাজারেও সম্ভাবনা তৈরি করা সম্ভব।’
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরগুলোর প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পলিথিনের ক্ষতি কমাতে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
১৭২ দিন আগে
আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে: উপদেষ্টা
বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্বের (বিসিডিপি) আওতায় দেশের সব বিভাগীয় সদর ও পৌর এলাকায় আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সাথে বিসিডিপির অগ্রগতি বিষয়ক এক বৈঠকে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, শহর এলাকার বিশেষ করে, ঢাকা শহরের তাপমাত্রা কমাতে সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে: রিজওয়ানা
‘বিসিডিপির মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় উপকূলের মানুষদের জন্য নিরাপদ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের দিকেও গুরুত্ব দেয়া হবে,’ বলেন রিজওয়ানা।
তিনি বলেন, এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলায় কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
‘বিসিডিপির কর্মপন্থা প্রণয়নে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে, যারা পরবর্তী পরিকল্পনা নির্ধারণ করবে।’
আগামী জুলাই মাসের মধ্যে বিসিডিপির ওয়েবসাইটসহ কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা।
বৈঠকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ড. ফাহমিদা খানম এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সিনিয়র ক্লাইমেট চেইঞ্জ অফিসার মৌসুমি পারভিনসহ এডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৩৩ দিন আগে
পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকার মানুষের কল্যাণে এবং পরিবেশ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, দেশের পরিবেশ রক্ষায় কর্মকর্তাদের ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় উপদেষ্টা বলেন, জনসেবার জন্য সৃজনশীলভাবে কাজ করতে হবে। মনোভাব বদলাতে হবে। তিনি জানান, একটি অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভাগাড়সহ কোনো স্থানে ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা
‘অভিযোগ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। নিয়মিত মনিটরিং ও তদারকি করতে হবে,’ বলেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঈদের আনন্দ আমরা পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে ভাগ করেছি। এখন কাজে মন দেওয়ার সময়। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাদারিত্ব, সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানমসহ সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
২৪৩ দিন আগে
আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণ মোকাবিলায় কার্যকর আঞ্চলিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশের বায়ুদূষণের ৩০-৩৫ শতাংশ আসে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে। তাই, এ সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক আলোচনার গণ্ডি পেরিয়ে বাস্তব পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি। তিনি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর কাঠমান্ডু রোডম্যাপ ও অন্যান্য সমঝোতার কথা উল্লেখ করে বলেন, এগুলো যথেষ্ট নয়, আরও জোরালো উদ্যোগ প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোরে কলম্বিয়ার কার্টাগেনায় অনুষ্ঠিত ডব্লিউএইচও’র দ্বিতীয় বৈশ্বিক সম্মেলনের বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া সাইড ইভেন্টে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ তার বাসভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশের বায়ুদূষণ সমস্যা, বিশেষ করে ঢাকার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন জনগণের আস্থা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের বহুমাত্রিক বায়ুদূষণ সমস্যা মোকাবিলায় বায়ুমান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা ডব্লিউএইচও’র অন্তর্বর্তীকালীন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই আইনি বিধিমালায় দূষণকারী খাতগুলোর জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
তিনি জানান, ২০২৪ সালে চূড়ান্ত হওয়া জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পিছিয়ে ছিল, তবে এখন তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো মানুষের দূষণজনিত ঝুঁকি কমানো ও পরিষ্কার বায়ুর দিন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও জানান, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগিরই বাস্তবায়ন শুরু হবে। এই প্রকল্প নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করা, আইন প্রয়োগ জোরদার করা, শিল্প কারখানায় দূষণ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং গণপরিবহন খাত আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দেবে।
তিনি ঢাকার আশেপাশের এলাকাগুলোকে ইটভাটামুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনার কথা জানান, যেখানে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়া, ২০২৫ সালের মে থেকে পুরনো বাস ধাপে ধাপে তুলে দেওয়া হবে, যা পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বায়ুদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ ধুলাবালি দূষণ রোধে ঢাকা শহরের খোলা সড়কগুলোতে সবুজায়নের উদ্যোগ এবং রাস্তা পরিস্কারে আরও শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান। অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযানের ফলে ইতোমধ্যে বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে এই অগ্রগতি ধরে রাখতে কঠোর নজরদারি ও খাতসমূহের আধুনিকায়ন জরুরি।
রিজওয়ানা হাসান জানান, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় বিপুল পরিমাণ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মারা যায়, এবং ঢাকার মতো দূষিত শহরগুলোতে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে। এই সংকট আমাদের সবার জন্য, আমাদের শিশু, বাবা-মা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকি। নিষ্ক্রিয়তার মূল্য অনেক বেশি—আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, তিনি জোর দিয়ে বলেন।
তিনি বলেন, আমি আশাবাদী কারণ আমি বিশ্বাস করি, এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রযুক্তি ও বিকল্প ব্যবস্থা আমাদের হাতে রয়েছে, শুধু প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন দরকার। বায়ুদূষণ শুধুই পরিবেশগত ইস্যু নয়, এটি মানবিক সংকট।
আরও পড়ুন: পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্জ্য পৃথকীকরণ প্রয়োজন: পরিবেশ উপদেষ্টা
সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, পরিবেশ ও জ্বালানি খাতের নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক, স্থানীয় প্রশাসন, পরিবহন ও শিল্পখাতের বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ রোধে যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
২৫৩ দিন আগে
দূষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশগত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ও অপরাধীদের দায়মুক্তি এড়াতে দূষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা পরিচালনা আরও কার্যকর করতে আইনি কাঠামো ও অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।’
বুধবার (১৯ মার্চ) পরিবেশ অধিদপ্তরের চলমান মামলার অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘বায়ু, পানি ও শিল্পদূষণের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। পরিবেশ সংরক্ষণে অধিদপ্তরের নির্বাহী কার্যক্রম শক্তিশালী করা হবে। মামলা পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আদালতে শক্তিশালী উপস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।’
আরও পড়ুন: দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার তারেকের
এ সময় দূষণবিরোধী অভিযান আরও কার্যকর করতে এনফোর্সমেন্ট ম্যানুয়াল প্রস্তুতের নির্দেশনা দেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, সলিসিটর উইং, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
২৬০ দিন আগে