আইন উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা একদমই ভালো না: আইন উপদেষ্টা
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা একদমই ভালো নয় জানিয়ে তার জন্য সবাইকে দোয়া করতে বলেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস।
রাত পৌনে ১২টার দিকে তারা সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা হাসপাতালে গেলে সেখানে উপস্থিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও তাদের কথা হয়।
পরে রাত ১টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে আইন উপদেষ্টা লেখেন, ‘এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এখনি ফিরলাম। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা একদমই ভালো না। সবাই দোয়া করবেন উনার জন্য।’
এর আগে, গতকাল (শুক্রবার) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘গত রাতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
৬ দিন আগে
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে: আইন উপদেষ্টা
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
বিএনপির সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় যা বুঝেছি, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাননি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে— সেটাই বলেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের কাছ থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছেন। আমরা তাদের বলেছি, আমরা নিরপেক্ষ ভূমিকাই পালন করছি। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের নিশ্চয়তা প্রধান উপদেষ্টা দিয়েছেন। জনপ্রশাসন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে বড় ধরনের বদলির ব্যাপারটি তিনি নিজে দেখবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়— এটা বলেনি। বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করতে। আমাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে, সে বিষয়ে তাদের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।’
নির্বাচনের সময় উপদেষ্টা পরিষদ ছোট হবে কিনা জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ ধরনের কথা কোথাও আলোচনা হয়নি। এটা উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনার বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার ছোট হবে কিনা— এ ধরনের কোনো দাবিও কোনো মহল থেকে উত্থাপন হয়নি।’
দলীয় কেউ অন্তর্বর্তী সরকারে থাকলে সে বিষয়ে বিএনপির দৃষ্টিআকর্ষণের প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা তো তারা আগেও বলেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনি আরও নিবিড়ভাবে মনিটর করবেন।’
একজন উপদেষ্টা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন— এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে মন্তব্য করার মতো অবস্থানে নেই। আমি জনপ্রশাসনের দায়িত্বে নেই।’
তাছাড়া, জনপ্রশাসনের নিয়োগ-বদলি দলীয়ভাবে হয় না বলেও মনে করেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে সব দলই অভিযোগ করে। এক দল বলে ওই দলের লোক আছে, আরেক দল বলে এই দলের লোক আছে। যেহেতু সব দলই অভিযোগ করে অন্য দলের লোক আছে, তার মানে হচ্ছে আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছি।’
৪৩ দিন আগে
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা একজন সর্বজনস্বীকৃত ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নন্দিত ব্যক্তি। তিনি নিজেই নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণার পেছনে সরে যাওয়ার কোনো চিন্তাই আমাদের নেই।’
আরও পড়ুন: মানুষ নিরুপায় হয়ে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যায়: ড. আসিফ নজরুল
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার, কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। এতে নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব সরকারের, কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। আমরা নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই করব—এই লক্ষ্য মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের সময় বিভিন্ন কথা বলে। এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ারই অংশ। ফলে বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে এসব রাজনৈতিক আলোচনা হয়ে এসেছে, এখনো ঠিক ওরকমভাবেই আলোচনা চলছে। এসব মন্তব্যে গুণগত পরিবর্তন খুব একটা হয়নি। ফলে নির্বাচনের সময় নিয়ে কে কী বলল, সেটাকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক অংশ হিসেবেই দেখতে হবে।’
১০৭ দিন আগে
অপেক্ষা করেন, কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা
কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এজন্য তিনি অপেক্ষা করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে সংস্কার ও সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
গত তিন-চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি জনগণ সামনে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, 'অবশ্যই পারবেন, ভোট দিতে সবাই পারবেন।'
সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমাদের হেন উদ্যোগ নেই, যা নেওয়া হচ্ছে না। ভোটাধিকারের কথা বলছেন? ক্লাসে যখন যেতাম। জিজ্ঞেস করতাম ছাত্রদের- তোমাদের মধ্যে কে কে ভোট দিয়েছো- তারা হাসাহাসি শুরু করত। কেউ কেউ বলতো স্যার ভোট দিয়েছি, তবে দশ বারোটা। ৯০ শতাংশ বলতো তারা ভোট দেয়নি। যা হোক আমাদের সেই দুঃখ ঘুচবে। আমরা ১৮ বছর ধরে ভোট দিতে পারিনি।'
পড়ুন: হাসিনা ও তার দোসরদের অপরাধ পাকিস্তানি বাহিনীকে হার মানিয়েছে: আইন উপদেষ্টা
নির্বাচনের তারিখ সম্পর্কে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, 'নির্বাচনের সময় তো জাস্ট ওয়েট করেন, কিছুদিনের মধ্যে ঘোষণা শুনবেন।'
২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যে নির্বাচন হয়েছিল সেটা নিয়ে প্রশ্ন নেই। এর পরের নির্বাচনগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আপনারা এবার কি করবেন যে এই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে- এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, এর সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করি। ২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে। আপনারা যারা সাংবাদিকরা আছেন কাজ করেন, অনেক ভয়াবহ তথ্য পাবেন ২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে।
উপদেষ্টা বলেন, 'নির্বাচনী কার্যক্রম তো নির্বাচন কমিশন দেখবে। আমি শুধু আমাদের সরকারের নিয়তের কথা আপনাদেরকে বলতে পারি। আমাদের নিয়ত আছে বাংলাদেশের ইতিহাসে বেস্ট ইলেকশন দেওয়া, এটা স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদের সব সময় বলেন।'
১২৬ দিন আগে
বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে গুজব ছড়ানো গুরুতর অপরাধ: আইন উপদেষ্টা
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনার তথ্য প্রচারে সরকার পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখাসহ জনসাধারণের বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে—এমন গুজব প্রতিরোধের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সবকিছু অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। গণমাধ্যম স্বাধীন ও শক্তিশালী রয়েছে।’
ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সত্য না জেনে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে গুজব ছড়ানো একটি বড় অপরাধ।’
তিনি সরকারকে সহনশীল বর্ণনা করে দায়িত্বশীল, তথ্য-ভিত্তিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে ভুল তথ্য রোধের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, সরকারের তথ্য চ্যানেল সকলের জন্য উন্মুক্ত এবং ব্যবহারযোগ্য— যার মাধ্যমে জনগণ সঠিক তথ্য জানতে পারে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সম্পর্কে মন্তব্য করে আইন উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা পরিস্থিতি নিয়ে খুবই সহযোগিতা করেছেন।
তবে তিনি স্বীকার করেন কিছু ব্যক্তি রাগ বা হতাশা প্রকাশ করতে পারেন। তারা এটিকে বড় করে দেখেন না বলেও উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক: উপদেষ্টা আসিফ
সোমবার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মর্মান্তিক সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। সবশেষ আজ বৃহস্পতিবার ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, মাহতাব নামে নিহত কিশোরের ৮৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এছাড়াও, ৫৬ জন আহত ব্যক্তি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৪৪ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে, ২১ জন ঢাকা সিএমএইচে, একজন কুয়েত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সরকারি হাসপাতালে, একজন শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও একজন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে বুধবার সরকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিচয় প্রকাশ
১৩৩ দিন আগে
দ্রুতই আবু সাঈদ হত্যার বিচার হবে: আইন উপদেষ্টা
দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শহীদ আবু সাঈদ হত্যার বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, তার বাবা এই বিচার দেখে যেতে পারবেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টায় জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদৎবার্ষিকীতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নামে তোরণ ও মিউজিয়াম এবং শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন এসব উদ্বোধন করেন।
পরে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আসিফ নজরুল বলেন, দ্রুতই আবু সাঈদ হত্যার বিচার হবে — তার বাবা এ বিচার দেখে যেতে পারবেন। এ সরকারের আমলেই জুলাই হত্যার বিচার হবে।
এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রংপুর অঞ্চলের মানুষ আর বৈষম্যের শিকার থাকবে না। ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এ বছরেই হবে। এছাড়া কুড়িগ্রামে ইপিজেড হবে। রংপুর অঞ্চলে হবে চীনের অত্যাধুনিক হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: তিস্তায় ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে: পরিবেশ উপদেষ্টা
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী। এছাড়াও বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, ডিআইজি আমিনুল ইসলামসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলীর নেতৃত্বে প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৭টায় পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করা হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে কালো ব্যাজ ধারণ করেন তারা। এরপর ক্যাম্পাসের দক্ষিণ গেট থেকে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি নগরীর মডার্ন মোড় হয়ে শহীদ আবু সাঈদ গেটে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে বিকেলে জুলাই শহীদ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে ক্যাফেটেরিয়ায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও বিকেল সাড়ে ৫টায় দোয়া এবং মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, গত বছরের এই দিনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।
১৪১ দিন আগে
মিটফোর্ডে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুতই হবে: আইন উপদেষ্টা
রাজধানীর মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যবস্থা দ্রুততম সময়ের মধ্যে করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২ এর ধারা ১০ এর অধীনে এ বিচার করা হবে।
শনিবার (১২ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে একটি পোস্ট দিয়ে এ কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। পাশবিক এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও লেখেন, দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে। এ ছাড়া দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২ এর ধারা ১০ এর অধীনে দ্রুততম সময়ে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: মিটফোর্ডের সামনে ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভ
গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে নিজ দোকান থেকে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) টেনেহিঁচড়ে বের করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হামলাকারীরা তাকে ইট, রড, কংক্রিট ও পাথর দিয়ে উপুর্যুপরি আঘাত করে এবং শরীরের ওপর লাফিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার পর, সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কারও করেছে।
১৪৬ দিন আগে
ঢাকায় দপ্তর স্থাপন করতে যাচ্ছে ওএইচসিএইচআর
বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক সহযোগিতা জোরদারে তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) দপ্তর স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) এ সংক্রান্ত খসড়া সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
পরবর্তীতে বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের আলোচনার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য তাদের দপ্তর চালু করা হবে। প্রয়োজন হলে পরে দুপক্ষের সম্মতিতে মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, কয়েকজন উপদেষ্টা আরও একবার খসড়া এমওইউ পর্যালোচনা করবেন এবং তারপর চূড়ান্ত খসড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের কাছে পাঠানো হবে।
‘ওই পক্ষ (জাতিসংঘ) সম্মতি দিলে দ্রুতই চুক্তি স্বাক্ষর এবং দপ্তর স্থাপন করা হবে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারের কঠোরতায় ‘মব সন্ত্রাস’ কমে এসেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ নজরুল আশা প্রকাশ করেন, গত বছর জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক সহিংসতার পর অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরকে স্বাধীন তদন্ত মিশন পরিচালনার আমন্ত্রণ জানায়। সেই মিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জুলাই-আগস্ট সময়কালে সহিংসতায় প্রায় এক হাজার ৪০০ জন নিহত হন।
জাতিসংঘের দপ্তরটি দেশে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, পুলিশ ও বিচার বিভাগীয় সংস্কারসহ বিভিন্ন চলমান প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
গত ৪ জুন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছিলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, সরকার ইতোমধ্যে সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করেছে। খুব দ্রুত সই হওয়ার পর বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের দপ্তর চালু হবে।’
১৫৮ দিন আগে
মানবাধিকার রক্ষায় সিআরপিসি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আসিফ নজরুল
আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় অধিকতর মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি) আইন-১৮৯৮ সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় অধিকতর অধিকারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কঠোর সুরক্ষার জন্য সিআরপিসি সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত করেছি। খুব দ্রুতই এটি চূড়ান্ত করা হবে।’
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট ‘কমনওয়েলথ চার্টার ইয়ুথ ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ-২০২৫’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘কমনওয়েলথ চার্টারের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকার আইনি সংস্কারের সাহসী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সিভিল প্রসিডিউর কোড (দেওয়ানি কার্যবিধি) সংশোধন করেছি—যাতে বিচার আরও দ্রুত, সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য হয়।’
বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগের কথা জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা এই প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটির দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করতে চাই।’
তিনি আরও জানান, সময়সীমার মধ্যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা সংক্রান্ত আইন সংশোধন করা হয়েছে এবং বিবাহবিচ্ছেদসহ বিয়ের নিবন্ধনে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে—যা লিঙ্গভিক্তিক সমতা রক্ষায় ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অতীতের অন্যতম বিতর্কিত আইন ছিল সাইবার সিকিউরিটি আইন। তবে তা সংশোধনের সময় সরকার ২৩টি খসড়া তৈরি করেছে এবং ব্যাপক পরামর্শের মাধ্যমে সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
‘আমরা গভীর পর্যালোচনা করে আইনটি সংশোধন করেছি। এমনকি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন, এই আইন খুব একটা খারাপ নয়। তাদের কাছ থেকে এই মন্তব্য পাওয়ার অর্থ, আইনটি যথেষ্ট ভালো হয়েছে,’ যোগ করেন আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, অতীতের তুলনায় সাইবার সিকিউরিটি আইনে মানুষের অধিকারের সুরক্ষা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতন থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ভালো থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচ্ছিন্নভাবে নয়, সবকটি আইনি পরিবর্তন সরকারের আইনের শাসন, সুশাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং মানুষের মর্যাদা রক্ষার প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন, যা কমনওয়েলথ চার্টারের মূল্যবোধের সঙ্গে মিল রেখে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কমনওয়েলথ চার্টার শুধুই ঘোষণাপত্র নয়, এটি আমাদের মধ্যে সীমান্তের বাইরে ঐক্যবদ্ধ রাখার নৈতিক নির্দেশনা।’কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন পেশা ও সম্প্রদায়ের তরুণরা অংশ নেন এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে গভীর আলোচনা হয়।
কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক লুইস ফ্রানচেস্কি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আজকের তরুণদের সিদ্ধান্তের ওপর। সাফল্যের নিশ্চয়তা হয়তো নেই, কিন্তু হাল ছেড়ে দিলে ব্যর্থতা নিশ্চিত। তাই হাল ছাড়বেন না, সাহসী হোন, আওয়াজ তুলুন এবং নেতৃত্ব দিন। পদক্ষেপ নিন, যা আপনার দেশ ও জাতিকে গর্বিত করবে।’
এর আগে সোমবার কর্মশালার উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘কমনওয়েলথ চার্টার বিশ্বের ৫৬টি দেশের ২৭০ কোটি মানুষের জন্য একটি নৈতিক মানদন্ড।’
২০১৩ সালে প্রণীত কমনওয়েলথ চার্টারে সদস্য দেশগুলোর রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত মূল্যবোধ এবং নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৬৩ দিন আগে
এক মাসের মধ্যে গুম বিষয়ক কমিশন গঠন করা হবে: আইন উপদেষ্টা
গুম বিষয়ক আইনের অধীনে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি শক্তশালী গুম বিষয়ক কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ সোমবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে জাতিসংঘের বলপ্রয়োগে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে গুম সম্পর্কিত কার্যনির্বাহী দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব জানান।
এ সময় গুম বিষয়ক আইনটি আগামী এক মাসের মধ্যে হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইন উপদেষ্টা।
আইন করলে পরবর্তী সরকার আইনটি বাতিল করবে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি বা যে সরকারই আসুক তারা সবাই গুমের শিকার। তারা সবাই সোচ্চার ছিলেন। বিএনপি-জামায়াতই সবচেয়ে বেশি শিকার ছিলেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে তারা বারবার বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারাই গুমের ঘটনাগুলো ঘটিয়েছিল বলে আমাদের বিশ্বাস। সেজন্য তারা জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপকে বাংলাদেশে আসতে দেয়নি, তাদের চিঠির উত্তর পর্যন্ত দেয়নি।’
আসিফ নজরুলের ভাষ্যে, ‘আমাদের সরকারের একটা প্রতিশ্রুতি ছিল গুমের তদন্ত ও বিচার। জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশে এসেছে, তাদের সঙ্গে মিটিং করেছি। মিটিংয়ে বসার পর তারা আমাদের কিছু কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে। গুম কমিশনের, তদন্ত কমিশনের প্রশংসা করেছে, এ ছাড়াও আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছি সেটার প্রশংসা করেছে।’
ওয়ার্কিং গ্রুপ গুম বিষয়ক কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলেছেন বলে জানান তিনি। জবাবে উপদেষ্টা বলেছেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে সবাই বসে নেবে। তিনি বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করবেন।
এ সময় তিনি জানান, যারা অতীতে গুমের শিকার হয়েছেন, তাদের মিসিং সার্টিফিকেট দেওয়ার প্রস্তাবও সরকার বিবেচনা করছে। এটি বাস্তবায়িত হলে মৃত্যুসনদের মতো আইনি কাজেও ব্যবহার করা যাবে।
‘ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন’ (সত্য ও পুনর্মিলন) কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ব্যাপারটি জেনে এসেছেন। এখন দ্বিতীয় ধাপে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি আঞ্চলিক পরামর্শ (কনসালটেশন) করা হবে। সেখানে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিদের আনা হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মী, ছাত্র—সবার মতামত নিয়ে কী করা যায়, সে বিষয়ে চিন্তা করা হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে সরকার: আইন উপদেষ্টা
১৭১ দিন আগে