৮০ জন
কয়রায় সাবেক এমপি, ইউএনও ও পুলিশসহ ৮০ জনের নামে মামলা
বছর চারেক আগে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাদের ত্রাণ বিতরণে বাধা দিয়ে মারপিটের অভিযোগে খুলনার কয়রায় সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৮০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন জি এম রাজিবুল আলম নামের লবণচরা এলাকার এক বাসিন্দা। তিনি খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন।
আসামিরা হলেন, খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউএনও মমিনুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক নীশিত রঞ্জন মিস্ত্রী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরদার, তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সাচ্চু শেখ ও মিহির মজুমদার, কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, বাগালী ইউপির চেয়ারম্যান আ. সামাদ গাজী, আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক ও আরাফাত হোসেন, আমিনুল হক বাদল, মনি শংকর রায়, সুমাইয়া নীলা ও কাজল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বন্ধুকে হত্যা মামলার প্রায় ১০ বছর পর যুবককে আটকাদেশ
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১২ জুন সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নেতৃত্বে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা কয়রায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও ক্ষতিগ্রস্ত ভেড়িবাঁধ পরিদর্শনে আসেন। কয়রায় ত্রাণ বিতরণ শেষে পাইকগাছাতে বিতরণের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে চাঁদআলী সেতু এলাকায় তাদের বহনকারী গাড়ির পথরোধ করে আসামিরা। এরপর বন্দুক, দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোঁটা দিয়ে মারপিট করে তাদেরকে রক্তাক্ত জখম করে।
ওই সময় পুলিশ-প্রশাসনের কাছে সহায়তা চাইলে উল্টো তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাদের পাঁচটি প্রাইভেটকার ও ১৭টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।
মামলার বাদী বাপ্পী বলেন, ‘তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট প্রতিকূল না থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে। ন্যায়বিচার পাবো বলে আশা করছি।’
বাদীর আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছে। আশা করছি ন্যায় বিচার পাবো।’
২৯০ দিন আগে
তিন হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
পৃথক তিন হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন বুধবার (২৮ আগস্ট) দুইটি মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
ঢাকার সিনিয়ার জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান অপর একটি অভিযোগকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে আশুলিয়া থানাকে নির্দেশ দেন।
তিনটি হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে শেখ হাসিনাসহ ৮৫ জনের নামে হত্যা মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বনশ্রীতে মুদি দোকানি মিজানুর রহমান গুলিতে নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজিব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মিজানুর রহমানের বাবা কামাল হোসেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ ফজলে নূর তাপস, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আমির হোসেন আমু, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, বিজিবির মহাপরিচালক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, হারুন-অর-রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার, সাদ্দাম হোসেন, ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে গত ১৯ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হন মিজানুর রহমান। তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে মারা যান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে গত ১৯ জুলাই খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় ১৪ বছরের কিশোর আশিকুল ইসলাম গুলিতে নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন ওই কিশোরের মা আরিশা আফরোজ।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- আসাদুজ্জামান খান কামাল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, হারুন-অর-রশীদ, বিপ্লব কুমার সরকার।
আশুলিয়া থানার সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন সজলকে (১৯) গুলি করে হত্যার পর লাশ আগুন দিয়ে পোড়ানোর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সজলের ভাই মিজানুর রহমান।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, হারুন অর রশীদ, বিপ্লব কুমার, হাবিবুর রহমান।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সময় ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইলে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল করেন। আন্দোলন দমনের জন্য পুলিশ নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায় এবং গ্রেপ্তার করে।
ওই সময় সিটি ইউনিভার্সিটির বিএসসি (টেক্সটাইল) দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র মো. সাজ্জাদ হোসেন সজলকে (১৯) আটক করে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করা হয়।
পরে আশুলিয়া থানার সামনে রাস্তার ওপর রাখা পুলিশের ব্যবহৃত লেগুনায় থাকা সজলের লাশসহ অন্য ছাত্রদের লাশ পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে ৩ হত্যা মামলা
সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা
৪৬৩ দিন আগে