বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পারলে মার্কিন শুল্ক হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে: উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপ করা বাড়তি ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরও কিছুটা কমাতে চায় বাংলাদেশ।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পাল্টা শুল্ক বিষয়ে আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে তিন দিনের সফরে আজ ঢাকায় এসেছে প্রতিনিধি দলটি। তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি নিম্নমুখী করার যে উদ্দেশ্য আমাদের, সেই উদ্দেশ্যসাধন করতে পারলে আমরা আশা করতে পারি যে, আমাদের শুল্ক হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শিগগিরই রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ইতোমধ্যে দেশটি থেকে যেসব পণ্য কেনার পরিমাণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, এগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত কৃষি ও জ্বালানি পণ্যের পাশাপাশি বিমান কেনার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। কেনাকাটার বিষয়েও ভালো অগ্রগতি হয়েছে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্কের হার কমিয়ে ২০ শতাংশ কার্যকর করেছে। তবে দেশটির সঙ্গে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। পাল্টা শুল্ক অন্তত ১৫ শতাংশে নামিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করতে চায় ঢাকা। এ কারণে আলোচনার জন্য ইউএসটিআরের কাছে সময় চেয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে সাড়া দিয়ে ঢাকা সফরে এসেছে সহকারী ইউএসটিআর ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল। তিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত।
৮১ দিন আগে
চার দিনের সফরে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায়
বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে চার দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান।
বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি, বিনিয়োগের নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার বর্তমান বাণিজ্য সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিষয়গুলো এই সফরের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাম কামাল খান ২১ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবেন। সফরকালে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে, যা দুই দেশের বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়াতে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামাল হোসেনের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এ সময় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ছাড়াও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সফরের অংশ হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম বন্দর, একটি ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ইস্পাত কারখানাও পরিদর্শন করবেন।
এই উচ্চ পর্যায়ের সফরটি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গতিশীল করবে বলে আশা করছে মন্ত্রণালয়।
১০৬ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ১৫ শতাংশে নামানোর চেষ্টা চলছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে শুল্ক কমানোর জন্য সরকারের সব মহল থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা এখনো চলছে এবং চূড়ান্ত চুক্তির আগে শুল্ক কমানো হতে পারে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কারণে শুল্ক কমতে পারে, তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় কারণ শুল্ক আরোপকারী পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের উপর বিষয়টি নির্ভর করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তির নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখনও পাওয়া যায়নি।
পড়ুন: সবে তো শুরু, আরও দেখতে পাবেন: শুল্কারোপ নিয়ে ট্রাম্প
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ ঘোষণার পরও এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। এ মাসের শেষে চুক্তি হতে পারে বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) চুক্তির খসড়া তৈরি করছে।
বাজারে পেয়াজের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আমদানি করা হবে কিনা এবং ভারত থেকে আমদানি হবে কিনা—এসব প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে এবার পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। শুধুমাত্র ভারত থেকেই নয়, ব্যবসায়ীরা যেখান থেকে আমদানি করতে চান সেখান থেকেই অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য পেঁয়াজের দাম কমানো ও সরবরাহ বৃদ্ধি করা। এজন্য যেখান থেকে কম দামে পাওয়া যাবে সেখান থেকেই পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) আব্দুর রহিম খান, অতিরিক্ত সচিব (ডাব্লিউটিও) ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী এবং বিকেএমই এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।
১১৪ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি সাপেক্ষে চুক্তির তথ্য প্রকাশ করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পর দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের পর সম্মতি সাপেক্ষে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের তথ্য অধিকার (তথ্য অধিকার আইন-আরটিআই) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতির ভিত্তিতে আমরা অবশ্যই চুক্তিটি প্রকাশ করব।’ চুক্তি সই হওয়ার পরে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে, বলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, চুক্তির বিষয়টি ফাঁস হওয়া কিছুটা দুর্ভাগ্যজনক। ‘আপনিও দেখেছেন। আসলে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছুই নেই।’
শনিবার (২ আগস্ট) ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মন্ত্রী (প্রেস) গোলাম মোর্তোজার সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। গোলাম মোর্তোজা নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজ গণমাধ্যমের জন্য এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তারা স্পষ্টতই সেই বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে এসেছেন, যা পরোক্ষভাবে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে এবং মূলত তারা বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে।
তিনি বলেন, যদি তারা বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন করতে চায়—তাহলে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। ‘একই সঙ্গে, এ বিষয়ে আত্মতুষ্টিরও কোনো সুযোগ নেই,’ বলেন উপদেষ্টা।
পড়ুন: শুল্ক নিয়ে আলোচনায় সোমবার যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘এর সাফল্য বা ব্যর্থতা আমাদের সক্ষমতা এবং প্রতিযোগিতার উপর নির্ভর করবে। এর সুফল পেতে হলে আমাদের সক্ষমতা এবং প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে। আমি শুনেছি, আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। আমি এতে শতভাগ একমত। কোনো অবস্থাতেই আমাদের আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে বশির বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় বিষয়টি মোটেও উত্থাপন করেনি। ‘এই বিষয়টি একতরফা। বোয়িং গত বছর ১২টি বিমান তৈরি করেছিল। তাই এই চুক্তি অনুসারে, তারা ২০৩৭ সালে প্রথম বিমান সরবরাহ করতে সক্ষম হতে পারে।’
কৃষি পণ্যের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী ছিল। বাংলাদেশ দেড় থেকে দুই হাজার কোটি ডলার মূল্যের খাদ্যপণ্য আমদানি করে এবং যুক্তরাষ্ট্রও কৃষিপণ্যের একটি বৃহৎ উৎপাদক।
বাংলাদেশ মূলত জ্বালানি ও কৃষিপণ্যের ভিত্তিতে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর কথা বলেছে। যে পণ্যগুলো বাংলাদেশকে ইতোমধ্যেই আমদানি করতে হচ্ছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৬০০ কোটি ডলার। তুলা, সয়াবিন, ভুট্টা এবং গমজাত পণ্য আমদানি বাড়িয়ে বাংলাদেশ ২০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা করতে পারে।
তিনি বলেন, এই পদ্ধতি বাংলাদেশকে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করবে। ‘বোয়িং বিমান খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়,’ উল্লেখ করে বশির বলেন, ‘আপনি প্রতিদিন এটি(বোয়িং) কিনবেন না, তবে আপনাকে প্রতিদিন সয়াবিন কিনতে হবে।’
উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিমানের পরিচালনা ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অতিরিক্ত ১ কোটি যাত্রী পরিবহনের সম্ভাবনা রয়েছে। ২৫টি বিমান খুব বেশি নয়, বলেন তিনি।
পড়ুন: দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ অবান্তর: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের উপর ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে পারস্পরিক শুল্ক কমানোর বিনিময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো গোপন চুক্তির জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দেন। বলেন, পুরো আলোচনায় জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের নিজের দেশের স্বার্থকে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা যা কিছু করেছি, আমরা আমাদের দেশকে অগ্রাধিকার দিয়ে করেছি—যেমন আমেরিকা তার জাতীয় নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে। ‘তারা এমন কিছু করবে না—যা তাদের নিজেদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।’
১২৪ দিন আগে
শুল্ক নিয়ে আলোচনায় সোমবার যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
নতুন করে আরোপিত শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুবুর রহমান রবিবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বাণিজ্য সচিব জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক হার কমানোর লক্ষ্যে তৃতীয় দফা আলোচনার জন্য সোমবার বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন। ওয়াশিংটনে ২৯ ও ৩০ জুলাই দুপক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে এটি তৃতীয় আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ অবান্তর: বাণিজ্য উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আগের দুই দফার আলোচনা ইতিবাচক ছিল বলে আমরা মনে করি। এবার ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) সঙ্গে মূল বৈঠক হবে। আশা করছি, এবারের আলোচনাতেও ভালো কিছু হবে।
১ আগস্টের আগেই ইতিবাচক কোনো ঘোষণা পাওয়া যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং কেনার একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, যা ধাপে ধাপে সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি গম কেনার চুক্তিও হয়েছে। সয়াবিন ও তুলা কেনার বিষয়েও আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়লেও দেশের বাজারে ভোক্তাদের ওপর এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
১৩০ দিন আগে
দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ অবান্তর: বাণিজ্য উপদেষ্টা
দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াচ্ছে যে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি বা সুবিধা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে—এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে বলেন, ‘আমার এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। আপনার মতো আমিও একজন বাংলাদেশি। বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে আমরা কেন কাজ করব? এটা সম্পূর্ণ অবান্তর প্রশ্ন।’
আরও পড়ুন: শুল্ক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জবাবের অপেক্ষায় বাণিজ্য উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি আমরা দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে চুক্তি করি, তাহলে তো আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের প্রয়োজনই হতো না। নির্দিষ্ট কোনো কিছু মেনে নিয়ে কাজটা করে ফেললেই হয়ে যেত। স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার প্রশ্ন আসলে পরিশ্রমের দরকার নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নের ভিত্তিতে মূল ধারার গণমাধ্যম প্রশ্ন করবে এটা আমার কাছে রিয়েলিস্টিক মনে হচ্ছে না।’
১৩৩ দিন আগে
শুল্ক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জবাবের অপেক্ষায় বাণিজ্য উপদেষ্টা
আরোপিত শুল্ক কমানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে লেখা চিঠির জবাব এবং দেশটিতে আবার সফরের আমন্ত্রণের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। শুক্রবার (২৫ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি অনলাইন মিটিং হবে বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কহার কমিয়ে আনার ব্যাপারে দুই দফা আলোচনা হলেও এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৮ জুলাই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে আগামী ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্কহার কার্যকরের কথা জানান। নতুন করে এই শুল্ক কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে গড় শুল্কহার ৫০ শতাংশে দাঁড়াবে।
আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা গত পরশু যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রীকে আমাদের করণীয় সম্পর্কে একটি পত্র দিয়েছি। বর্তমানে চিঠির জবাব এবং আমন্ত্রণের অপেক্ষায় আছি। জবাব এবং আমন্ত্রণ পেলে আমাদের নেগোশিয়েশন টিমসহ সবাই একত্রে যুক্তরাষ্ট্রে যাব।’
পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক কমাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: অর্থ উপদেষ্টা
১ আগস্ট তো সামনে, এর মধ্যেই জবাব আসতে হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য যেমন প্রয়োজন, তেমন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমাদের কর্মকাণ্ডের কোনো স্থবিরতা নেই। আমাদের কর্মকাণ্ড যথেষ্ট গতিশীলতা নিয়ে আগাচ্ছে। আমরা আমাদের অবস্থানগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরেছি। সক্ষমতার ভিত্তিতে আমাদের যা করণীয়, সেটা তুলে ধরেছি। এখন আমরা জবাবের অপেক্ষায় আছি। আমন্ত্রণ পেলেই চলে যাব।’
প্রত্যাশার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ভালো কোনো কিছুর প্রত্যাশা করছি। ভালো কোনো কিছু করার ক্ষেত্রে যা করণীয়, সেগুলোই আমরা করছি।’
সর্বশেষ বৈঠকে কোনো ইঙ্গিত পেয়েছিলেন কিনা—এ প্রশ্নের উত্তরে বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে, হয়তো ভালো কিছুই হবে।’
লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি ব্যবসায়ীদের এখতিয়ার। সরকার কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। আপনাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে—যুক্তরাষ্ট্র ন্যাশনাল ইমারজেন্সি বিনিময়ে কাজটি করছে। এখানে যে কাঠামোর উপর ঘটনাটা ঘটছে, এই কাঠামোতে লবিস্টদের করার কোনো কিছু আছে কিনা, আমি ঠিক জানি না। আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনতে হবে।’
তিনি জানান, এই পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কেউ বুঝতে পারবে না। পরিবর্তনগুলোতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো আইনি প্রক্রিয়া আছে। এই আইনি প্রক্রিয়াগুলো একজন লবিস্টের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় বলে আমার ধারণা। আমরা সরকারের সব মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছি। গত ১৫ দিন ধরে এটি নিয়ে দিন-রাত কাজ হয়েছে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা হয়তো আজ-কালকের মধ্যেই একটা অনলাইন মিটিংয়ের সিডিউল পাচ্ছি। অনলাইন মিটিংয়ের ভিত্তিতে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ড করব। কালই সম্ভবত মিটিংটি হবে।’
আগস্টের পরবর্তী সময়েও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলবে বলে জানান উপদেষ্টা।
১৩৩ দিন আগে
অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলনের আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন (গুড ইকোনমিক প্রাক্টিস) বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, একাজে পেশাদার হিসাববিদরা মূল ভূমিকা পালন করতে পারে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই ) সকালে দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)-এর আয়োজনে সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব একাউন্যান্টস (সাফা) ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, গত দশ মাসে সরকারে কাজ করতে এসে দেখেছি সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশের জন্য সোনালী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। যদি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে সম্পদের সুষম বণ্টন করা যায়—তাহলে আমরা যে অবস্থানে আছি তা থেকে উত্তরণ সম্ভব। আর যদি সেটা না হয় তাহলে—চোরতন্ত্র (ক্লেপ্টোক্রেসি) তৈরি হবে। আমরা চোরতন্ত্রের বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিগত সময়ে আমরা দেখেছি কিভাবে অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান (ইকোনমিক রেকর্ড) ম্যানুপুলেট করে হাজার হাজার কোটি ডলার পাচার করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবসাকে সামনে রেখে অর্থ পাচার (মানিলন্ডারিং) করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ব্যাপক অনিয়মের ফলে প্রচুর ক্রিমিনাল ক্যাপিটাল তৈরি হয়েছে, যা ব্যবসার ন্যায্য প্রতিযোগিতাকে (ফেয়ার কম্পিটিশন অব মার্কেট) ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। বর্তমান সরকার ব্যবসায় অনায্য প্রতিযোগিতা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পড়ুন: প্রকাশ্যে বদলির আদেশ ছিঁড়ে ফেলায় বরখাস্ত ৮ এনবিআর কর্মকর্তা
সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব একাউন্ট্যান্টস (সাফা) দক্ষিণ এশিয়ার হিসাবরক্ষণ পেশাজীবীদের একটি সংগঠন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হলো ‘ রিফর্ম, রিস্কিল, রিইমাজিন: দ্য ফিউচার ওফ বাংলাদেশ ইকোনোমি’।
সার্কভুক্ত দেশসমূহের প্রায় ৬ শতাধিক পেশাদার হিসাববিদ, অর্থনীতিবিদ, পলিসি-মেকার, কর্পোরেট-লিডার ও ব্যবসায়ী নেতা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব একাউন্যান্টস (সাফা) এর প্রেসিডেন্ট আসফাক ইউসুফ তোলা, ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া, দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) প্রেসিডেন্ট এন কে এ মুবিন এবং ইনস্টিটিউট অব কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সিপিডি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্য ও ডিস্টিংগুইশড ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
সম্মেলনের তিনটি টেকনিক্যাল সেশনে আলোচক হিসেবে অংশ নেন সার্কভুক্ত দেশের অর্থনীতি, ব্যাংকিং, শিল্প, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা।
এতে জিডিপি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অটোমেশন এবং পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় হিসাব পেশাজীবীদের পরিবর্তিত ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
১৩৯ দিন আগে
শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা আশাব্যঞ্জক: বাণিজ্য উপদেষ্টা
শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা আশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে রেসিপ্রোকল ট্যারিফ অ্যাগ্রিমেন্টের খসড়া বিষয়ক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা গতকাল (রবিবার) যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছি আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ডের আলোচনা শেষ করে। আলোচনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আজ কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শেষ করে আবার প্রস্তুতি নিচ্ছি তৃতীয় রাউন্ডের আলোচনার জন্য। আমরা চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যাব। আমরা আশা করছি একটা ভালো আউটকাম আসবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের আলোচনাগুলো আশাব্যঞ্জক হয়েছে। আলোচনাটা যথেষ্ট এনগেজিং ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার বৈঠক হয়েছে। দফাওয়ারি আমাদের সঙ্গে যারা নেগোশিয়েশনে যুক্ত ছিলেন তাদের ৩৫-৪০ জনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।’
পড়ুন: নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে দৃড় সম্পর্ক গড়ে ওঠার আশাবাদ
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সেখান থেকে বেশকিছু পরামর্শ পেয়েছি। আমরা আশা করছি, এই আলোচনার মাধ্যমে রপ্তানির ওপর আমাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি যৌক্তিক শুল্কহার নির্ধারণ করবে।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা করি। ২০১৫ সাল থেকে আমরা শুল্ক পরিশোধ করে ব্যবসা করছি। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব সক্ষমতার ভিত্তিতে এই ব্যবসা করে থাকে। যদি তুলনামূলকভাবে আমাদের সঙ্গে কোনো বৈষম্যমূলক অবস্থান তৈরি না হয় তাহলে আমাদের ব্যবসায়ীরা সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করে যাবে।’
যৌক্তিক শুল্কহারের কথা বলা হচ্ছে। আসলে কত শতাংশ শুল্ককে যৌক্তিক মনে করছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শূন্য।’
১৪৩ দিন আগে
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
আসন্ন কোরবানির ঈদে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম গত বছরের তুলনায় ৫ টাকা বাড়িয়ে ঢাকায় প্রতি বর্গফুট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। একই সঙ্গে খাসি ও বকরির চামড়ার দাম ২ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (২৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ হয়েছে ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা।’
আরও পড়ুন: কোরবানির চামড়ার উপযুক্ত দাম নিশ্চিতে সংরক্ষণে সহায়তা দেবে সরকার : বাণিজ্য উপদেষ্টা
এ ছাড়া ঢাকায় গরুর চামড়া প্রতিপিস ১ হাজার ৩৫০ টাকার নিচে এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ১৫০ টাকার নিচে কেনা হবে না বলেও জানান তিনি।
গত বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। খাসির চামড়ার দাম ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা। সেবার ঢাকায় গরুর চামড়া প্রতিপিস ১,২০০ টাকার নিচে এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার টাকার নিচে কেনা হতো। ২০ বর্গফুট আকারের একটি ছোট গরু বা এক লাখ টাকার গরুর চামড়ার দাম এই হিসাবেই নির্ধারিত হয়।
১৯৩ দিন আগে