জুলাই-আগস্ট
মালয়েশিয়ায় জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস উদযাপন
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি এবং রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) কুয়ালামপুরের হাইকমিশনের মিলনায়তনে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহনে 'জুলাই বিয়ন্ড বর্ডারস’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্টানে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের ওপর গ্রাফিতি ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। ডিজিটাল মাধ্যমে এই প্রদর্শনীটি দূতাবাসে আগত সেবাপ্রার্থী ও দর্শনার্থীদের জন আগামী সপ্তাহেও উন্মুক্ত থাকবে।
গ্রাফিতি ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানের ওপর এবং অভ্যুত্থানে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদান নিয়ে নির্মিত দুটি পৃথক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি এবং রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস উপলক্ষে হাইকমিশনার শামীম আহসান অতিথিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
'২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বীর যোদ্ধাদের এবং রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন হাইকমিশনার।
পড়ুন: জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত সন্দেহে বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে ঢাকার উদ্বেগ, কুয়ালামপুরের সঙ্গে সমন্বয়ের আহ্বান
অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে অভ্যুত্থান অনুষ্ঠিত হয়, সে আকাঙ্ক্ষাকে পরিপূর্ণ রুপ দিতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রবাসীবান্ধব এই সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সরকারের অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালু করেছে মালয়েশিয়ার সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফরের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ইতিহাসের সেরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবস্থান করছে। এছাড়া প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত, ব্যবসা বাণিজ্যসহ প্রসারসহ বহুমাত্রিক দিগন্ত উম্মোচিত হয়েছে এ সফরে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রবাসীদের চাওয়া সেবা যেমন পাসপোর্ট-ভিসা, কনসুলার সেবা, কর্মসংস্থানসহ কল্যাণমূলক সকল প্রকার সেবা দিতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। দূতাবাসের সেবা ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমেও সেবা দেওয়া হচ্ছে। হাইকমিশনের ভ্রাম্যমান কনস্যুলার সেবা ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন স্থানে নিয়মিতভাবে দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতা, রেমিট্যান্স যোদ্ধা, ছাত্র প্রতিনিধি, প্রবাসী সাংবাদিক এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
১০৭ দিন আগে
জুলাই-আগস্টে পুলিশের অনেকেই আইন ভঙ্গ করেছেন: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় পুলিশের কিছু সদস্য ভালো কাজ করেননি, আইনভঙ্গ করেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর পুলিশ অনেক বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) পুলিশ হেডকোয়ার্টারসে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন 'যে সমস্ত পুলিশ জুলাই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন, তারা পলিটিক্যালি ইনভলভ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ হত্যা হয়েছে, কিন্তু পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয় আছে। সাংবাদিকদের কাছ থেকে তথ্য লুকানোর নজির আছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন 'এই সরকার তো স্বচ্ছ (ট্রান্সপারেন্ট)। এখন তো খুন, গুম এগুলো নেই যে আমরা লুকিয়ে রাখব। আগের সরকারের সময়ে যেটা হতো। এখন আমাদের লুকানোর কিছু নেই।'
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী
তিনি বলেন, 'আইনি ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা যতটুকু আছে ততটা দিয়ে আমরা চেষ্টা করছি।
এত মানুষ মারা গেছে, এটা বাংলাদেশ কেন, উপমহাদেশের কোথাও ঘটেনি।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, 'বাংলাদেশে পরিবর্তনের পর সঠিক জায়গায় সঠিক লোক দিতে পারিনি। বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়েছে অনেককে। আমরা গতকাল (৪ ডিসেম্বর) বিভাগ অনুযায়ী মেন্টরিং এবং মনিটরিং কমিটি গঠন করেছি। যারা তদন্ত করতে দক্ষ তাদেরকে আমরা সেসব জায়গায় দেব।’
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং পুলিশের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে তিনি কাজ করছেন বলেও উল্লেখ করেন।
আন্দোলনে আহত পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন 'যে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আর কাউকে ফিক্সড ডিপোজিট দেওয়া হয়েছে। যে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তাদের সঙ্গেও আমাদের এখান থেকে যোগাযোগ রাখা হয়েছে, চিকিৎসার ব্যাপারে সহায়তা করা হয়েছে।'
সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ যেসব শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা পলাতক রয়েছেন তাদের অবস্থান এখনও শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান তিনি। তারা দেশে থাকলে খুব দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
মাঠপর্যায়ে পুলিশ সক্রিয় হওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো সময় বলা না গেলেও দ্রুত সব কিছু পুনর্গঠন করা হবে।
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন বাহারুল আলম
৩৬৫ দিন আগে
গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ চায় যুক্তরাজ্য
জুলাই-আগস্টের বিক্ষোভের ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনাকে ‘আরেকটি স্মরণীয় ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সকল বাংলাদেশির স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ জনগণের সাহসিকতার স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাজ্য। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের আহ্বান জানায়।’
তিনি বলেন, ‘আজ যেসব রোগীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, যুক্তরাজ্যের ইমার্জেন্সি মেডিকেল টিম হাসপাতালের টিমের সঙ্গে কাজ করে প্রয়োজনীয় বিশেষায়িত চিকিৎসা দিচ্ছে।’
যুক্তরাজ্যের ইমার্জেন্সি মেডিকেল টিম নিটোরের যেখানে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিচ্ছে, সে জায়গাটি পরিদর্শন করেন সারা কুক।
অভিজ্ঞ এই দলটি গত ৫ নভেম্বর থেকে বেশ কয়েকজন আহত শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি জটিল অস্ত্রোপচারসহ ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন সেবাও দিচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন: নব্বইয়ের দশকে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী: অধ্যাপক ইউনূস
৩৮৬ দিন আগে
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের নৃশংসতার প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার আশা তুর্কের
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত নৃশংসতার তদন্তকারী জাতিসংঘের স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বুধবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ কথা বলেন।
এ সময় তুর্ক ঢাকায় জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাজ এবং উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী প্রধান, সংস্কার কমিশনের প্রধান, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠক সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের টিম স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করছে এবং এ বিষয়ে তাদের কোনো প্রভাব নেই।
শফিকুল আলম আরও বলেন, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন প্রতিবেদনটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে এবং পরে তারা প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টাদের কাছেও হস্তান্তর করবেন।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
সংবাদ সম্মেলনে প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বক্তব্য দেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাজ নিয়েও আলোচনা করেন, যা এখন দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থবহ সংস্কার পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন করেছ। এটি বিপ্লবের সময় সংঘটিত জঘন্য অপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করছে।
স্বৈরশাসনের সময় গুমের শত শত ঘটনা তদন্তকারী তদন্ত কমিশনের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন জানিয়ে তুর্ক বলেন, 'অনেকগুলো আছে, যা নির্দিষ্ট করা দরকার।’
তুর্ক বলেন, তার অফিস তদন্ত কমিশনকে সহযোগিতা করছে।
তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে 'স্বাধীন' ও 'পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী' করে শক্তিশালী করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ঢাকায় তাদের উপস্থিতি জোরদার করতে চায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে বাংলাদেশে সফর এবং বিপ্লবের সময় তার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। ‘আপনাদের সফরে বাংলাদেশের মানুষ খুশি। তারা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার প্রত্যেক নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং উন্নয়ন ও মানবাধিকার যাতে একসঙ্গে চলতে পারে তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, তার সরকার আগের সরকারের ভুল ও অপরাধের পুনরাবৃত্তি করবে না।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ও প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট বিশেষ করে মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া নতুন করে হাজার হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ নিয়েও আলোচনা করেন।
তুর্ক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং সংকট সমাধানে অব্যাহত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি নিরাপদ অঞ্চল গঠনে জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করেন, যাতে এই অঞ্চলের অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকজন তাদের বাড়ির কাছাকাছি থাকতে পারে।
উভয় বিশিষ্ট ব্যক্তি এই আঞ্চলিক ইস্যুটির দ্রুত টেকসই সমাধানের জন্য ‘কিছুটা গতিশীলতা’ আনার লক্ষ্যে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: যেকোনো হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হওয়া উচিত: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
৪০০ দিন আগে
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ
জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে গেল চলন্ত গাড়ি, আহত ৩
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ইনস্টিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আহত শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে আবেদন করতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যাচাই-বাছাই করে দ্রুত টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা করবে।
শিক্ষার্থীদের বর্তমান শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
৪০১ দিন আগে
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ২৪৫ জনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে: সারজিস
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত ২৪৫ জন এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি অর্থ সহায়তা পেয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলম মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও অর্থোপেডিক পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), চক্ষু ইনস্টিটিউট, ট্রমা সেন্টার, সিআরপি সাভারসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৪৫ জন আহতকে ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
তিনি বলেন, এখন স্বচ্ছভাবে শনাক্ত করার কাজের জন্য কিছুটা সময় লাগছে। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষ করে পর্যায়ক্রমে আহতদের কাছে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যাকে আমরা মুক্তিযোদ্ধা তালিকার মতো প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না। এজন্য আমরা যাচাইয়ের দিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিচ্ছি।
এছাড়া জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২০০ শহীদ পরিবারকে চার দিনের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশ বিচারের ঊর্ধ্বে নয়, তাদেরও বিচার হবে: সারজিস
আওয়ামী লীগ নিজেদের কর্মের ফল ভোগ করছে: সারজিস আলম
৪০১ দিন আগে
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত ‘বিশেষ সেল’ গঠন
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চূড়ান্তকরণ, আহতদের চিকিৎসা এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা দিতে ‘বিশেষ সেল’ গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে এ সেল গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আদেশ জারি করেছে।
এত বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চূড়ান্তকরণ, আহতদের চিকিৎসা এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা দিতে গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতায় এ ‘গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল’ গঠন করা হলো।
অতিরিক্ত সচিব/যুগ্মসচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে ১০ সদস্যের এই সেলের দলনেতা করা হয়েছে।
এছাড়া সেলে উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব পর্যায়ের চারজন কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দুইজন, ছাত্র প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন ও সিনথিয়া জাহিন আয়েশা এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পিআইডির একজন প্রতিনিধিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
গঠিত এই বিশেষ সেল জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের তালিকা পূর্ণাঙ্গ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংগৃহীত তালিকার ধারাবাহিকতায় অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত তালিকা বিবেচনায় নিয়ে যাচাই-বাছাইপূর্বক তালিকাভুক্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেল শহীদদের তালিকা চূড়ান্ত করতে সম্ভাব্য সব উৎস থেকে নতুন তথ্যাদি সংগ্রহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় তথ্যানুসন্ধানে যাবে ও স্থানীয় সংশ্লিষ্টদের সহায়তা গ্রহণ করতে পারবে।
আদেশে আরও বলা হয়, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতদের হাসপাতালে সুচিকিৎসা পেতে সহায়তা করবে। শহীদ ও আহতদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া ছাড়াও গুরুতর আহতদের প্রয়োজনে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে সহায়তা করবে এ সেল।
বিশেষ সেল গণঅভ্যুত্থানে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সংগ্রহ ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তথ্যানুসন্ধ্যান ও ডকুমেন্টেশনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। গণ-অভ্যুত্থানের ছবি, ভিডিও, বক্তব্য, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত নিবন্ধ, রিপোর্ট সংগ্রহ করবে। ক্লাউড সোর্স থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই এবং সংরক্ষণ করবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করবে।
বিশেষ সেল জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের ডকুমেন্টারি তথা তথ্যচিত্র তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য যাচাই করে ব্যবস্থা নেবে এবং ভুল তথ্যের বিষয়ে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরবেন।
সেলের কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনীয় অর্থ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সময়ে সময়ে ন্যস্ত অর্থ বিভাগের মঞ্জুরি থেকে নির্বাহ করা হবে। অর্থ বিভাগ এ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব সেলের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবেন বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট আহতদের চিকিৎসা ও শহীদ পরিবারকে সহায়তা দিতে একটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিচিতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা-গ্রেপ্তার নয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৪০২ দিন আগে
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা-গ্রেপ্তার নয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে নবযাত্রা সূচিত হয়েছে। এ গণঅভ্যুত্থানকে সফল করতে যেসব ছাত্র-জনতা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের মাঠে থেকে এর পক্ষে কাজ করেছেন, ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।’
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে কোনো সুবিধা অর্জনের বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ওসিদের বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ ইসি’র
৪১৭ দিন আগে
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭৩৭, আহত ২৩ হাজার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেছেন, জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৭৩৭ জন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন: মেরিটাইম সেক্টর অসীম সম্ভাবনার এক বিরাট ক্ষেত্র: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
সোমবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আন্দোলনে ৭৩৭ জন নিহত, এটা ভেরিফায়েড নয়। ছাত্রদের একটা তালিকা আছে। সেখানে বলা হয়েছে, নিহত ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি। ছাত্ররা তাদের তালিকা দিলে আমরা ক্রস চেক করে দেখব।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে আহত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ৪০০ জন চোখ হারিয়েছেন। আর দুই চোখ হারিয়েছেন ৩৫ জন।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু বা গরিষ্ঠ নয়, সবাই আমরা একই পরিবারের: উপদেষ্টা
৪২৩ দিন আগে
জুলাই-আগস্ট বিদ্রোহে ৮৭৫ জন শহীদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক গণআন্দোলনে বিএনপির ভূমিকাকে খাটো করা যাবে না।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ৮৭৫ জন শহীদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, 'এই আন্দোলন হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি। এটা ছিল বছরের পর বছর ধরে চলে আসা নিপীড়ন, দমন ও তীব্র অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বিএনপির দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফসল। এখানে বিএনপির অবদানকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বারবার আধিপত্যের রাজনীতি করছে ভারত: ফখরুল
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ১৬ বছরের স্বৈর শাসনের অবসান ঘটিয়ে এবং গণতন্ত্রের পথ প্রশস্ত করে বাংলাদেশের মানুষ ৫ আগস্ট আবারও স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে অসংখ্য ব্যক্তি ও পরিবার ত্যাগ স্বীকার করে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অবদান রেখেছেন। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৩ আগস্ট পর্যন্ত 'জুলাই গণহত্যায়' সারা বাংলাদেশে ৮৭৫ জন শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ৪২২ জন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।’
মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদদের উল্লেখযোগ্য অংশ বিএনপির নেতাকর্মী, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি দলের স্থায়ী রাজনৈতিক সংগ্রামের অনিবার্য ফল।
তিনি দাবি করেন, আন্দোলনের কৃতিত্ব দাবি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা বিএনপির লক্ষ্য নয়। বরং সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই উদ্দেশ্য ছিল।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিশন স্পষ্ট: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তার সব সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনকে নিয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এবং গণঅভ্যুত্থানে প্রেরণা যুগিয়ে পূর্ণ শক্তি নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানে বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক ভূমিকা পালন করেছে।
ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে বিএনপির ৬০ লাখ সদস্যকে। তারাই রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢালের মতো সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের জন্য জনগণের সংগ্রামে যোগ দেয়।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পোশাক শ্রমিক, রিকশাচালক, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক নির্বিশেষে বামপন্থী বা ডানপন্থী মতাদর্শের ব্যক্তি যেই হোন না কেন তাদের সবার মূল্য সমান। 'প্রতিটি রক্তবিন্দু সমান সম্মান পাওয়ার যোগ্য।'
সুতরাং হত্যার প্রতিটি ঘটনাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নথিভুক্ত করতে হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পক্ষে জাতীয় ঐকমত্য হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি; এটি অবৈধ সরকারের জুলুম, অন্যায়, দুর্নীতি, দুঃশাসন, বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত জনরোষের বহিঃপ্রকাশ।
৪৪৫ দিন আগে