সারজিস
দুদক চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ সারজিস-হাসনাতের, ‘অতি গোপনীয়’ অভিযোগ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। তবে কী নিয়ে বা কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তা প্রকাশ করেননি তারা।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয় তাদের এই বৈঠক হয়েছে। পরে হাসনাত আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কিছু অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে এসেছি। আমাদের অভিযোগগুলো লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
কী ধরনের অভিযোগ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভেরি কনফিডেনসিয়াল (অতি গোপনীয়)।’ কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ– এ প্রশ্নে সরাসরি উত্তর না দিয়ে হাসনাত বলেন, ‘এটিও ভেরি কনফিডেনসিয়াল। এখন কনফিডেনসিয়াল বিষয় বলে দিলে তো আর কনফিডেনসিয়াল থাকলো না। তাছাড়া অপরাধীরা তখন সতর্ক হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগের সাবেক এমপি নাসিম ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এসময় সারজিস সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অতীতে দুদককে ব্যবহার করে অনেকে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। অনেক সাধারণ মানুষকে আবার বিনা অপরাধে হয়রানি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সময়ে এসেও এখন আমরা সেটি প্রত্যাশা করি না। আমাদের কিছু অভিযোগ ছিল। আমরা সেগুলো লিখিতভাবে জানিয়েছি। সেজন্যই আমরা এখানে এসেছি। এর বেশি কিছু বলছি না এখন।’
২৪০ দিন আগে
ব্যক্তি স্বার্থ ছাড়া কাজ করলেই এগিয়ে যাবে দেশ: সারজিস
ব্যক্তিস্বার্থ ছাড়া কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ বিজয় চত্বরে এক পথসভায় এ কথা বলেন সারজিস।
সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে কোনো দলের নাম বা মার্কা দেখে ভোট দেবেন না। কথা ও কাজের মিল রেখে যারা কাজ করছে তাদেরই আগামীতে ভোট দেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের আগে টাকা নেবেন না। তাহলে তারা পাঁচ বছরে আর আপনাদের কাছে আসবেন না।’
আরও পড়ুন: হাসনাত না ওয়াকার, এই বয়ান অপ্রত্যাশিত: সারজিস
সারজিস বলেন, ‘বাংলাদেশে ৫৩ থেকে ৫৪ বছরে আমরা অনেক ধরনের সরকার দেখেছি। বিগত ১৬ বছরে খুনি শেখ হাসিনা স্বৈরাচারী হয়ে দেড় থেকে দুই হাজার জীবন কেড়ে নিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।’
এনসিপি নেতা বলেন, ‘এতদিন ধরে এই বাংলাদেশে নেতারা সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করেছেন। বাংলাদেশের সিস্টেমে যে অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট এগুলোর বিরুদ্ধে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সর্বদা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
২৫৬ দিন আগে
হাসনাত না ওয়াকার, এই বয়ান অপ্রত্যাশিত: সারজিস
সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন দলটির আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। রবিবার (২৩ মার্চ) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সেদিন কী ঘটেছিল, তার পূর্ণ বিবরণ দিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘হাসনাত না ওয়াকার’ এই ন্যারেটিভ (বয়ান) এবং স্লোগান আমার কাছে অপ্রত্যাশিত। হাসনাতের জায়গা ভিন্ন এবং সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামানের জায়গাও ভিন্ন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টি অন্যান্য রাজনৈতিক দল কিংবা জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করানোও কখনো প্রাসঙ্গিক নয়। পাশাপাশি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ নিয়ে যে কথা দুয়েক জায়গায় আসছে সেটিও আমাদের বক্তব্য নয়।
‘আমার এই বক্তব্যে আমার সহযোদ্ধা হাসনাতের বক্তব্যের সাথে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দ্বিমত এসেছে। এটার জন্য অনেকে আমার সমালোচনা করতে পারেন কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমাদের ব্যক্তিত্ব স্রোতে গা ভাসানোর মতো কখনোই ছিল না। ছিল না বলেই আমরা হাসিনা রেজিমের বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিনিধি দল
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, আজও কেউ হাসনাতের দিকে বন্দুক তাক করলে তার সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার কমিটমেন্ট আমাদের আছে। কিন্তু সহযোদ্ধার কোনো বিষয় যখন নিজের জায়গা থেকে সংশোধন দেয়ার প্রয়োজন মনে করি তখন সেটাও আমি করব। সেই বিবেকবোধটুকু ছিল বলেই ৬ জুন প্রথম যেদিন শহীদ মিনারে কয়েকজন কোটা প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় তাদের মধ্যে সামনের সারিতে আমরা ছিলাম।
এরআগে শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, সেটাকে তারা রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ মনে করছেন।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যে আলোচনাটি হয়েছে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক। সেটি হচ্ছে আমরা মনে করছি, রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতি রাজনীতিবিদেরাই নির্ধারণ করবেন—রাজনীতির ঘটনাপ্রবাহ বা চলমান যা কিছুই, পরবর্তী রাজনীতি কোন দিকে যাবে, সেটি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত। তো সে জায়গায় আমরা সন্দিহান বলেই গতকাল আমার স্ট্যাটাস দিতে হয়েছে।’
নিচে সারজিস আলমের পুরো পোস্টটি তুলে দেওয়া হলো:
১১ মার্চ সেনাপ্রধানের সাথে সাক্ষাৎ নিয়ে আমার জায়গা থেকে কিছু সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন:
সেদিন আমি এবং হাসনাত সেনাপ্রধানের সাথে গিয়ে কথা বলি। আমাদের সাথে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ আরেকজন সদস্যেরও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি যেতে পারেননি। প্রথমেই স্পষ্ট করে জানিয়ে রাখি সেদিন সেনানিবাসে আমাদের ডেকে নেওয়া হয়নি বরং সেনাপ্রধানের মিলিটারি এডভাইজারের সাথে যখন প্রয়োজন হতো, তখন ম্যাসেজের মাধ্যমে আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর আদান-প্রদান হতো।
যেদিন সেনাপ্রধান পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসে অনেকটা কড়া ভাষায় বক্তব্য দিলেন এবং বললেন ‘এনাফ ইজ এনাফ’, তখন আমি সেনাপ্রধানের মিলিটারি এডভাইসরকে জিজ্ঞাসা করি আপনাদের দৃষ্টিতে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু দেখছেন কিনা? সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলনামূলক straight-forward (সোজাসাপ্টা) এবং harsh (রূঢ়) মনে হচ্ছে। তিনি আমাকে বললেন, তোমরা কি এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে চাও? আমি বললাম- বলা যেতে পারে। এরপরে সেদিন সেনাপ্রধানের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয় । সেনাভবনে সেই রুমে আমরা তিনজনই ছিলাম। সেনাপ্রধান, হাসনাত এবং আমি।
মানুষ হিসেবে যেকোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তির অভিমতকে একেকজন একেকভাবে অবজার্ভ করে। হাসনাত সেদিন তার জায়গা থেকে যেভাবে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে অবজার্ভ ও রিসিভ করেছে এবং ফেসবুকে লিখেছে, আমার সেক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিমত আছে।
আমার জায়গা থেকে আমি সেদিনের বক্তব্যকে সরাসরি ‘প্রস্তাব’ দেয়ার আঙ্গিকে দেখি না বরং ‘সরাসরি অভিমত প্রকাশের’ মতো করে দেখি। ‘অভিমত প্রকাশ’ এবং ‘প্রস্তাব দেওয়া’ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যদিও পূর্বের তুলনায় সেদিন সেনাপ্রধান অনেকটা স্ট্রেইথ-ফরোয়ার্ড ভাষায় কথা বলছিলেন। পাশাপাশি রিফাইন্ড (পরিশোধিত) আওয়ামী লীগের জন্য ‘চাপ দেওয়ার’ যে বিষয়টি এসেছে, সেখানে ‘চাপ দেওয়া হয়েছে’ এমনটি আমার মনে হয়নি। বরং রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ না আসলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সমস্যার সৃষ্টি হবে; সেটা তিনি অতি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলছিলেন।
হাসনাতের বক্তব্যে যে টপিকগুলো এসেছিল, যেমন- রিফাইন্ড আওয়ামীলীগ, সাবের হোসেন, শিরিন শারমিন চৌধুরী, সোহেল তাজ; এসব নিয়ে কথা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে কিনা, এই ইলেকশনে আওয়ামী লীগ থাকলে কি হবে না থাকলে কি হবে, আওয়ামীলীগ এই ইলেকশন না করলে কবে ফিরে আসতে পারে কিংবা আদৌ আসবে কিনা এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছিল। এসব সমীকরণে দেশের উপরে কি প্রভাব পড়তে পারে, স্থিতিশীলতা কিংবা অস্থিতিশীলতা কোন পর্যায়ে যেতে পারে সেসব নিয়ে কথা হয়েছিল।
কিন্তু যেই টোনে হাসনাতের ফেসবুক লেখা উপস্থাপন করা হয়েছে আমি মনে করি- কনভারসেশন ততটা এক্সট্রিম ছিল না। তবে অন্য কোনো একদিনের চেয়ে অবশ্যই স্ট্রেইথ-ফরওয়ার্ড এবং সো-কনফিডেন্ট ছিল। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য রিফাইন্ড আওয়ামীলীগের ইলেকশনে অংশগ্রহণ করা যে প্রয়োজনীয়, সেই বিষয়ে সরাসরি অভিমত ছিল।
আরও পড়ুন: নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ
হাসনাত তার বক্তব্যে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করেছে-
আলোচনার এক পর্যায়ে বলি—যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কিভাবে ক্ষমা করে দিবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে, ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডোম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। তোমার বয়সের থেকে বেশি।
এই কনভারসেশন টা হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু আমাদের রুমে বসে হওয়া কনভারসেশন হঠাৎ এককভাবে শেষ করে, যখন সেনাপ্রধান উঠে দাঁড়ালেন এবং রুম থেকে কথা বলতে বলতে বের হয়ে এসে যখন আমরা গাড়িতে করে ফিরবো তার পূর্বে বিদায় নেয়ার সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই কনভারসেশন হয়েছে। সেনাপ্রধান রেগে যাওয়ার সুরে এই কথা বলেছেন বলে আমার মনে হয়নি বরং বয়সে তুলনামূলক বেশ সিনিয়র কেউ জুনিয়রদেরকে যেভাবে অভিজ্ঞতার ভারের কথা ব্যক্ত করে সেই টোন এবং এক্সপ্রেশনে বলেছেন।
‘হাসনাত না ওয়াকার’ এই ন্যারেটিভ এবং স্লোগানকে আমি প্রত্যাশা করি না। হাসনাতের জায়গা ভিন্ন এবং সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামানের জায়গাও ভিন্ন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টি অন্যান্য রাজনৈতিক দল কিংবা জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করানোও কখনো প্রাসঙ্গিক নয়। পাশাপাশি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ নিয়ে যে কথা দুয়েক জায়গায় আসছে সেটিও আমাদের বক্তব্য নয়।
এসবের পাশাপাশি আমি আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে একটি অভিমত প্রকাশ করতে চাই। আমি ভুল হতে পারি কিন্তু এই মুহূর্তে আমার এটিই সঠিক মনে হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কেউ না-কেউ যোগাযোগ রক্ষা করে। সেই প্রাইভেসি তারা বজায় রাখে। আমাদের সাথে সেনাপ্রধানের যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে সেগুলোর সাথে আমাদের সরাসরি দ্বিমত থাকলেও আমরা সেগুলো নিয়ে আমাদের দলের ফোরামে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারতাম, সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম, সে অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারতাম। কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সনের বিরুদ্ধে এখনকার মতোই রাজপথে নামতে পারতাম। অথবা অন্য রাজনৈতিক দলগুলো সরাসরি আমাদের সাথে ঐক্যমতে না পৌঁছালে আমরা শুধু আমাদের দলের পক্ষ থেকেই এই দাবি নিয়ে রাজপথে নামতে পারতাম।
কিন্তু যেভাবে এই কথাগুলো ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে, এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি বরং এর ফলে পরবর্তীতে যেকোনো স্টেকহোল্ডারের সাথে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আস্থার সংকটে পড়তে পারে।
আমার এই বক্তব্যে আমার সহযোদ্ধা হাসনাতের বক্তব্যের সাথে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দ্বিমত এসেছে। এটার জন্য অনেকে আমার সমালোচনা করতে পারেন কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমাদের ব্যক্তিত্ব স্রোতে গা ভাসানোর মতো কখনোই ছিল না। ছিল না বলেই আমরা হাসিনা রেজিমের বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম।
আরও পড়ুন: ডামি, মিডনাইট ইলেকশনের সময় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কোথায় ছিল, প্রশ্ন হাসনাতের
আজও কেউ হাসনাতের দিকে বন্দুক তাক করলে তার সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার কমিটমেন্ট আমাদের আছে। কিন্তু সহযোদ্ধার কোনো বিষয় যখন নিজের জায়গা থেকে সংশোধন দেয়ার প্রয়োজন মনে করি তখন সেটাও আমি করব। সেই বিবেকবোধটুকু ছিল বলেই ৬ জুন প্রথম যেদিন শহীদ মিনারে কয়েকজন কোটা প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় তাদের মধ্যে সামনের সারিতে আমরা ছিলাম।
আমি বিশ্বাস করি আমাদের এই বিবেকবোধের জায়গাটুকুই আমাদেরকে সঠিক পথে রাখবে।আত্মসমালোচনা করার এই মানসিকতাই আমাদেরকে আমাদের কাঙ্খিত গন্তব্যে নিয়ে যাবে। জুলাই গণহত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটানো 'আওয়ামীলীগের যেকোনো ভার্সনের' বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
২৫৭ দিন আগে
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আলাদা সরকারের প্রয়োজন নেই: সারজিস
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আলাদা সরকারের প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ড. ইউনুসের হাত ধরেই বাংলাদেশ স্বচ্ছ নির্বাচন দেখতে পারবে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ মাঠে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইয়ুথ সামিট প্রোগ্রাম শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার দোসররা গুজব খুঁটির ওপর দাঁড়িয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। তারা পাচার করা টাকা দিয়ে বিভিন্ন গুজব সেল থেকে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তবে দেশের মানুষ বিবেকবান হওয়ায় এই গুজবে শুধু বিনোদনের খোরাক জোগায়।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টকে কেন্দ্র করে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এসব গুজব পাত্তা দিলে আমাদের শুধু সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই হবে না। আমরা আমাদের জায়গা থেকে মানুষের স্বপ্ন ও স্পিরিটকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্মের প্রতি ঐক্যের ডাক সারজিসের
সারজিস বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার গণঅভ্যুত্থানের সামনের সারিতে ছিল মেয়েরা। আগামীর বাংলাদেশ গড়তেও সামনের সারিতে থাকবে মেয়েরা। মেয়ে-ছেলে যাই বলি না কেন, দিন শেষে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিজের জায়গা থেকে নিজের যা কাজ তা করা। তাই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে সবার পাশাপাশি তরুণদের নিয়ে কাজ করতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি, পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতের পিপি আদম সুফি, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি ও সারজিস আলম পঞ্চগড় রেল স্টেশনের সৌন্দর্যবর্ধন কাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় নাসিমুল গনি বলেন, ‘শিগগিরই মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবে পুলিশ, পুলিশের প্রতি (জনসাধারণের) ভয় কেটে যাবে। পুলিশ যাতে মানুষের সাথে দেশের নাগরিকের বন্ধু হিসেবে কাজ করতে পারে সেই চেষ্টা করছে সরকার।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক আদালতে সীমান্তে হত্যার বিচার চান সারজিস
একই সঙ্গে যেসব পুলিশ অন্যায় করেছে তাদের বিচার হচ্ছে, সেই সঙ্গে পুলিশ বাহিনী পুর্নগঠনের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
৩১৪ দিন আগে
জাতীয় নাগরিক কমিটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম নয়, হবেও না: সারজিস
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি দায়িত্ব নিয়েছে মাত্র। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম নয়, আগামীতেও হবে না।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামের হলরুমে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে যে সরকারই আসুক, জবাবদিহিতায় জাতীয় নাগরিক কমিটি প্রেসার ক্রিয়েট গ্রুপ (চাপ সৃষ্টিকারী দল) হিসেবে কাজ করবে। আগামীর বাংলাদেশে লিডারশিপ (নেতৃত্ব) তৈরির কাজ করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি।’
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে লিডাশিপ ধ্বংস করেছে। আর এতে ১৬ বছরে বাংলাদেশে কোনো লিডার তৈরি হয়নি, তৈরি হয়েছে শেখ হাসিনার দাস আর দালাল, কিংবা আমাদের মত কিছু নীরব দর্শক যারা চুপচাপ সবকিছু সয়ে গেছে। আমি মনে করি, আগামীর বাংলাদেশের যে প্রতিষ্ঠানগুলো করেছে সেগুলোর যদি উন্নয়ন করতে চাই, তাহলে আগে আমাদের লিডার (নেতা) তৈরি করতে হবে। তাই আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, আগামীর বাংলাদেশে লিডারশিপ তৈরি করা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: কুকুরের লাশই প্রমাণ করে সচিবালয়ের আগুন একটি ষড়যন্ত্র: সারজিস
‘এই লিডারশিপ শুধু রাজনৈতিক লিডারশিপ হবে সেটা নয়, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আমাদের লিডার প্রয়োজন। আর এই লিডার তৈরির কাজটি করবে আমাদের জাতীয় নাগরিক কমিটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দুই মাসের মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দল গড়ে উঠবে। কিন্তু জাতীয় নাগরিক কমিটি রাজনৈতিক দল হবে না।’
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সংগঠক বলেন, ‘শেখ হাসিনা গত ১৬ বছরে কিছু অবকাঠামো দিয়ে বাংলাদেশের যে উন্নতি দেখিয়েছে, তার ভেতরে ভেতরে যতগুলো অপকর্ম করা যায় সেগুলো করেছেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তদবিরের মধ্যেই কাজ হতো। আমরা শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে চাই; তদবিরে বিশ্বাস করি না।’
৩৪৩ দিন আগে
হাসনাত-সারজিসকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদ জাতীয় নাগরিক কমিটির
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম থেকে ফেরার পথে ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাকচাপা দেওয়ার ঘটনায় তাদেরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয় বলে জানা গেছে।
হামলার প্রতিবাদে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের গণহত্যার বিচার যারা চায় না তারাও ফ্যাসিস্টের দোসর: সারজিস
মানববন্ধনে নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন চারটি মূল দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো- উগ্রবাদী হিন্দুত্বের প্রভাব থেকে বাংলাদেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের মুক্তি দেওয়া, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তার ও বিচার করা, গত ১৫ বছরে হিন্দু মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা।
আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে তারা এ ধরনের ফাঁদে পা দেবে না। আমাদের দেশকে রক্ষা করতে আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সবাই জীবন দিতে প্রস্তুত।’
সমাবেশে সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা মনে করে, হাসনাত ও সারজিসকে লক্ষ্যবস্তু করে তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে পারবে। কিন্তু সচিবালয় থেকে শ্রমিক, এদেশের প্রতিটি নাগরিকই যোদ্ধা। দিল্লির আধিপত্য বা কোনো ধরনের ফ্যাসিবাদকে কেউ মেনে নেবে না। এই ভূমির জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত সবাই।’
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সারজিস ও হাসনাতের গাড়ি
৩৭২ দিন আগে
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সারজিস ও হাসনাতের গাড়ি
হাসনাত আবদুল্লাহ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমের গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
বুধবার(২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দাফন শেষে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গাড়িটির সামনের অংশটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ভাগ্যক্রমে কোনো হতাহত হয়নি।
লোহাগাড়ার চুন্তি ইউনিয়নের হাজী রোড মোড়ে একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় প্রাইভেটকারটির।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাকটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
৩৭২ দিন আগে
জুলাইয়ের গণহত্যার বিচার যারা চায় না তারাও ফ্যাসিস্টের দোসর: সারজিস
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের হত্যাকারী খুনি হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচারের কথা না বলে যারা তাকে ও তার দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের কথা বলে, আমরা মনে করি তারাও ফ্যাসিস্টদের দোসর।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকারী খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বরিশালে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে সহায়তার চেক বিতরণকালে একথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
সারজিস বলেন, যে নবজাতক শিশু জন্ম নেওয়ার আগেই বাবাকে হারালো, তাকে আমরা কি জবাব দেব? আমরা সহজে সব ভুলে যাই। ১৬ বছর ভুলে যাই, গুম খুন হত্যা ভুলে যাই। কিন্তু এদেশের ছাত্র সমাজ এবার আর ভুল করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা সকল হত্যার বিচার নিয়েই ঘরে ফিরব। আর কোন ফ্যাসিস্টকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হবে না।’
শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বরিশাল বিভাগে মোট শহীদ হওয়া ৩১৪ জনের মধ্যে ৭৯ জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে সহায়তার চেক দেওয়া হয়।
শহীদ পরিবারের অনেকে ঢাকায় নিবন্ধন করেছেন এবং পর্যায়ক্রমে সকল শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন এবং সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ২৪৫ জনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে: সারজিস
৩৭৭ দিন আগে
পুলিশ বিচারের ঊর্ধ্বে নয়, তাদেরও বিচার হবে: সারজিস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, পুলিশের যদি বিচার না হয়, তাহলে রাষ্ট্রের অন্য কোনো নাগরিকের বিচার করাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পুলিশও বিচারের বাইরের কেউ না। পুলিশ বা অন্য যে কেউ হোক, যে দোষী তার বিচার হতেই হবে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ও শহীদদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কর্তৃপক্ষ তাদের কথা রাখেনি, আন্দোলন চলবে: সমন্বয়ক সারজিস আলম
সারজিস বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। যে পদ্ধতিতে তাদের বিচার হওয়ার কথা, সেই পদ্ধতিতে অবশ্যই বিচার হতে হবে। যারা অতি উৎসাহী হয়ে নিজের জায়গা থেকে সরে ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে নিজেকে তুলে দিয়ে অন্যায় করেছে, তাদের কোনো ছাড় নেই। সে যদি পুলিশও হয়, সে অন্যায়কারী। তাদের বিচার হতেই হবে।
এই সমন্বয়ক আরও বলেন, কেউ বিচার চাইতে গেলে পুলিশ যুদি বিন্দুমাত্র স্পর্ধা দেখায়, আমরা কঠোরভাবে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেব।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিজেদের কর্মের ফল ভোগ করছে: সারজিস আলম
৪৪৬ দিন আগে